Banner Advertiser

Tuesday, April 7, 2015

[mukto-mona] ফাঁসির বিরোধিতায় যে কারণে সরব এইচআরডাব্লিউ



ফাঁসির বিরোধিতায় যে কারণে সরব এইচআরডাব্লিউ

প্রকাশিত: সন্ধ্যা ০৭:১৯ এপ্রিল ০৭, ২০১৫

 

সম্পাদিত: রাত ১২:২৪ এপ্রিল ০৮, ২০১৫

হারুন উর রশীদ॥

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের দণ্ড অবিলম্বে স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে বিচার প্রক্রিয়াকে 'ত্রুটিপূর্ণ' হিসেবে উল্লেখ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) মঙ্গলবার। আর একইদিনে আরেকটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবর এসেছে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে- কাশিমপুর কারাগারে বাচ্চু নামে এক দণ্ডিতের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলো। অবাক করা ব্যাপার হলো তাকে নিয়ে এইচআরডাব্লিউ'র কোনও বিবৃতি নেই কেন!

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী দুই বোনকে খুনের দায়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আজিজুল হক বাচ্চু (৩৫) নামে এক দণ্ডিতকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে সোমবার রাতে।

২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নাটোরের বড়াই গ্রামে পাখি খাতুন ওরফে চাঁদনী (১৩) ও তার বোন দেড় বছরের সুমাইয়া খাতুনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন তিনি। ২০০৫ সালের ২৮ নভেম্বর বাচ্চুকে মৃত্যুদণ্ড দেন নাটোরের দায়রা জজ আদালত। এরপর ২০১১ সালের ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগ ও ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগেও তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকে। গত ৪ মার্চ বাচ্চুর প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর তার দণ্ড কার্যকর করা হল।

বাচ্চুর নরহত্যা প্রমাণ হয়েছে। তাই তার ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়েছে। কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে শুধু নরহত্যা নয়, মানবতাবিরোধী অপরাধ গণহত্যা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি একাত্তরে শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার সোহাগপুরে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন। তাহলে এইচআরডাব্লিউ'র তার জন্য এতো দরদ কেন? কেন দরদ নেই দুইজনকে হত্যায় দণ্ডিত বাচ্চুর জন্য!

ঘোষিত নীতি অনুযায়ী এইচআরডাব্লিউ মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী। তারা মনে করে মৃত্যুদণ্ড মানবাধিকারের সর্বোচ্চ লঙ্ঘন। কিন্তু তারা তাদের বিবৃতিতে বলেনি যে, নীতিগতভাবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতার কারণে তারা কামারুজ্জামানের দণ্ড কার্যকরের বিরোধিতা করছে। বরং তারা কামারুজ্জামানের বিচার প্রক্রিয়াকে 'ত্রুটিপূর্ণ' হিসেবে উল্লেখ করে পুরো মামলার স্বাধীন রিভিউ দাবি করেছে, দণ্ড স্থগিত করতে বলেছে।

এইচআরডাব্লিউ'র এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেছেন, 'ন্যায়বিচার লঙ্ঘনের ক্রমাগত ও বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ এবং নিরপেক্ষ বিচারিক পুনর্বিবেচনার অভাবে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।'

কিন্তু বিচার কীভাবে ত্রুটিপূর্ণ হলো, ন্যায়বিচার কীভাবে লঙ্ঘিত হলো তার ব্যাখ্যা দেননি ব্র্যাড অ্যাডামস। তারা তাদের মতো কোনও তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই কামারুজ্জামানের ফাঁসি স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছে।

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড কোনও সংক্ষিপ্ত আদালতে হয়নি। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাব্যুনালে হয়েছে। এটি একটি প্রকাশ্য আদালত। আর পুরো বিচার প্রক্রিয়া শেষ হতে লেগেছে পাঁচ বছর। বিচারে সব মানদণ্ড বজায় রেখে এখানে আপিল, রিভিউ এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সব বিধানই মানা হয়েছে। তারপরও কেন যেন এইচআরডাব্লিউ'র এই বিচার পছন্দ হয় না!

লক্ষ্যণীয় যে, মানবতাবিরোধী অপরাধে যাদেরই মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে তাদের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে এইচআরডাব্লিউ। আবারও বলছি নৈতিকভাবে মৃতুদণ্ডের বিরুদ্ধে নয় (যার উদাহরণ শুরুতেই দিয়েছি) যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান। প্রতিবারই তারা বিচারকে 'ত্রুটিপূর্ণ ও প্রশ্নবিদ্ধ' বলেছে। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আরেক জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগেও তারা একইভাবে তৎপর হয়েছে। ফাঁসি বন্ধ করতে ব্যাপক কাজ করেছে দুনিয়াজুড়ে।

নিজ দেশেই এইচআরডাব্লিউ এসব থামাতে পারছে না। তারা কথা বলছে না এসব বিষয় নিয়ে। সব তৎপরতা বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে।

আর জামায়াত গুরু গোলাম আযমের মামলার বিষয়েও একই ধরনের মন্তব্য করে ২০১৩ সালে আদালত অবমাননার মামলার মুখোমুখি হয়েছিল তারা। পরে আদালতে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে রক্ষা পায়। তারপরও থামছে না। তাই বোঝাই যায়, জামায়াতের যুদ্ধাপরাধীদের জন্য তারা কতটা ঝুঁকি নিতে পারে।

এইচআরডাব্লিউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠন। কিন্তু সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি স্টেটের মধ্যে ৩২টি স্টেটে এখনো মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকর। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে কোনও ফাঁসির দণ্ড কার্যকর না হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওই বছর ৩৫টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বিশ্বে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হারের দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান চতুর্থ। এটা আমার কথা নয়। আরেকটি মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর এ মাসেই প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গেছে।

আর পৃথিবীতে জঘন্যতম উপায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের যেসব পদ্ধতি আছে তার প্রায় সবগুলোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর। এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস চেম্বার, ফাযারিং স্কোয়াড, লেথাল ইনজেকশন ।

নিজ দেশেই এইচআরডাব্লিউ এসব থামাতে পারছে না। তারা কথা বলছে না এসব বিষয় নিয়ে। সব তৎপরতা বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে, তাদের দণ্ড বন্ধ করা নিয়ে। এখানে তো এখন একটি-দুটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়। তারা কেন গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫টি মৃত্যুদণ্ড বন্ধ করল না। সেটা তো আরও বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন।

১৯৭৮ সালে এইচআরডাব্লিউ প্রতিষ্ঠিত হয়। আর যুক্তরাষ্ট্রে আদালতের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ফিরে আসে ১৯৭৬ সালে। এইচআরডাব্লিউ যদি নিজেদের দেশে ঠিকমতো কাজ করতো তাহলে প্রায় ৪০ বছরেও তারা কেন মৃত্যুদণ্ড বিদায় করতে পারল না। বাস্তবতা হল বিশ্বের যে ৫২টি দেশে মৃত্যুদণ্ড আছে, কার্যকারিতার দিক থেকে তার চতুর্থ নম্বর দেশ এইচআরডাব্লিউ'র জন্মভূমি যুক্তরাষ্ট্র। আর ওই দেশের ৬৩ ভাগ মানুষ নরহত্যার মতো জঘন্যতম অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে। ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১,৩৮৯ জনের মৃতুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। নিজের ঘরে অনাচার আর বাইরে সদাচার!

এইচআরডাব্লিউ'র একটি ঘোষিত নীতি হলো, কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় কোনও অর্থ সহায়তা করলে সেই প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নাম প্রকাশ করে না তারা। যে কেউ তাদের ওয়েবসাইটে গেলে এই ঘোষিত নীতি দেখেতে পাবেন। তাহলে প্রশ্ন হল যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তাদের আর্থিক স্বচ্ছতা কেন থাকবে না?

আমরা জানি জামায়াত যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধে কোটি কোটি ডলার খরচ করেছে এবং এখনও করছে। লবিস্ট নিয়োগ করেছে। জাময়াতের লবিস্ট টবি ক্যাডম্যানের কথা সবারই জানা। জামায়াতের এই বিপুল অর্থের একটি অংশ এইচআরডাব্লিউ'র ফান্ডে যায়নি তো? প্রশ্ন তুললাম। তহবিলের হিসাব প্রকাশ করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর।

লেখক: সাংবাদিক, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কর্মরত

swapansg@yahoo.com

http://www.banglatribune.com/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC





__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___