দীর্ঘ নয়মাস ৭১এর স্বাধীনতা যুদ্ধকাল,এসময়ের অনেক স্মৃিত আজও মুক্তযোদ্ধাদের বুকে জগদ্দল পাথর হয়ে চেপে বসে আছে।আজও সংবাদমাধ্যমগুলোতে তাঁদের হতাশা মাখা খেদোক্তি প্রকাশিত হয়,ভাবতে বড় কষ্ট হয় যারা জীবন বাজি রেখে তাঁদের মা,বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন,তাঁরা কেউ এখনো পথের কিনারে ভিক্ষা মাগে,অথচ-ঐ সময়ে যারা অকালের উলঙ্গতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি,মায়ের বুকের দুধ ছিল উদরপুর্তির উপাদেয় যাদের অথবা যারা সরাসরি বিরোধিতা করেছিল তারা আজ দিব্যি মহামূল্যবান একটি সনদের মাধ্যমে ভাতা তুলে নির্দ্বিধায় খেয়ে যাচ্ছে।আমাদের এলাকায় বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা আছে যাদের মধ্যে কেউ আসল আবার কেউবা নকল,তো আসল বলে যার সুখ্যাতি আছে তার মদের আসরে যাওয়া হল একদিন,ইচ্ছে ছিল অনেক তথ্য তাঁর কাছথেকে নেব,কিন্তু মদের নেশায় ঐ একটু খানি কথায় সে বলতে পেরেছিল"উমুক বাজারে তুকুক বীরাঙ্গনা বলতে পারবে আমি কেন মদ খাই।"এর কয়েকদিন পরে তিনি মারা যান বলে বীরাঙ্গনাকেই খুজতে হল।তাকেও পাওয়া গেল ভিখারিণী বেশে/বীরাঙ্গনা পাগলী বলে তার এলাকায় সুনাম আছে,তো তার কাছে প্রশ্ন করার আগে সে টাকার জন্য হাত বাড়াল,প্রাপ্য দিয়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম,তার মধ্যে আমাদের সেই মুক্তিযোদ্ধার মাতালামির কারণটাও জানা গেল-তিনি আসলে ভূয়ামুক্তিযোদ্ধাদের মেনে নিতে পারেনি,তাই তাদের সাথে সহবস্থান করে না থাকার চেয়ে মরণটাই তার কাছে অধিক যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়েছে,তাই তিনি সজ্ঞানে না থেকে অজ্ঞানে মরেছেন।এরকম আরও মুক্তিযুদ্ধের দলিল বাংলার বুকে খুঁজলে অহরহ পাওয়া যাবে।এবার মূল প্রসঙ্গে আসা যাক-তাহলে আমাদের দেশটা কতটুকু স্বাধীন?মুক্তিযোদ্ধা হতে হলে রাজনীতি কি বাধ্যতামূলক,তাও একটা বিশেষ দলকে সমর্থন করে?যারা ঐ সময় বিরোধীতা করল এ সময়ে এসে চাটুকারিতার মাধ্যমে তারা উপকার ভোগী হয়ে গেল,আর কলংক এঁকে দিল লাল সবুজের ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে!এ অপরাধবোধটুকু কার মধ্যে আছে!কাকে খুঁজব চেতনার নাগপাশে?হায় বাংলাদেশ!কিছুই করতে পারলাম না ক্ষমা কোরো।
__._,_.___