প্রভাবশালীদের ভয়ে আতঙ্কিত মহম্মদপুরের বসু পরিবার
মাগুরা প্রতিনিধি : 'আমরা হিন্দু, এ দেশ নাকি আমাদের না। আমাদের দেশ ভারত। আমরা এখানে কেন পড়ে থাকি। আমাদের সম্পত্তি দখল করাই তাদের উদ্দেশ্য। এ জন্য তারা বিভিন্ন সময়ে নানা খোড়া অজুহাতে আমাদের মারপিঠ, বাড়িতে চুরি- ডাকাতিসহ নানা ধরনের নির্যাতন করে আসছে। প্রতিদিন জীবন নাশের হুমকীও প্রদান করছে।
আমরা সংখ্যালঘু অসহায় একটি পরিবার। প্রভাবশালী নির্যাতন কারিদের ভয়ে আমাদের পাশে কেউ নেই। আপনারা এসেছেন ওরা জানতে পারলে আমাদের মেরে ফেলবে। কথা গুলো বলতে-বলতে কেঁদে ফেললেন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পাল্লা গ্রামের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক জ্যোতি রজ্ঞন বসু(৭৫)র স্ত্রী গৃহবধু অর্চনা বসু (৬০)।
শাড়ির আঁচলে চোখ মুছে দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি বলেন ২৩ আগষ্ট শনিবার বিকেলে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ পার্শ্ববর্তী কোমরপুর গ্রামের আকবর মাষ্টারের ছেলে এলাকায় ছিঁচকে চোর হিসেবে পরিচিত হাসিব (২২) তার লোকজন নিয়ে চিৎকার করতে-করতে এসে ঘরে ঢুকে আমার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে বীরদর্পে চলে যায়। যাবার সময় বলে যায় এক মাসের মধ্যে ভারতে চলে যাবি নইলে তোদের জীবনে মেরে ফেলবো। একটি চুরির ঘটনার প্রতিবাদ করায় তারা জ্যোতি রঞ্জন বসুকে কুপিয়ে জখম করে। তাকে মহম্মদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসি হাসপাতালে গিয়ে আহতের খোঁজ খবর নেন এবং বিচারের আশ্বাস দেন।
গত বিএনপি'র আমলে বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান ধলা ১ একর ১৭ শতক জমি দখল করে নিয়েছে। মহম্মদপুর থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দিঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের ছত্র ছায়ায় গ্রামের মৃত ইউছুফ মোল্যার পুত্র জহুর মোল্যা, হাসিবসহ একদল সন্ত্রাসী সম্পত্তির জবর-দখলের জন্য দীর্ঘদিন থেকে আমাদের উপর একের পর-এক নির্যাতন করে আসছে। যে কোন সময় আমাদের খুন করা হতে পারে। ৭১ সালে যুদ্ধের সময় রাজাকারদের ভয়ে জীবন বাঁচাতে এ দেশ ছেড়েছি। এখন কাদের ভয়ে জীবন বাঁচাতে ভারতে যেতে হবে ? ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় ভূমি দস্যু নেতাদের জবরদখল, প্রাণ নাশের অব্যাহত হুমকিতে তিনি ক্ষোভের সঙ্গে এ কথা বলেন।
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে দীঘা ইউনিয়নের একটি গ্রাম পাল্লা। উপজেলা সদর থেকে পাল্লা গ্রামে যাওয়ার তেমন ভালো কোন রাস্তা নেই। মধুমতি নদীর তীরে নির্মিত এবড়ো থেবড়ো বেঁড়িবাধই এখানে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। মুসলমান অধ্যুষিত এই গ্রামে যে ২/৩টি সংখ্যালঘু পরিবার এখনো পর্যন্ত মাটি কামড়ে পড়ে আছে তাদের একটি এই বসু পরিবার।
জ্যোতি রঞ্জন বসুর ঠাকুরদা জটাধর বসু ছিলেন বৃটিশ পুলিশের ইন্সেপেক্টর। বাবা কৃষ্ণ রঞ্জিত বসুর উত্তোরাধিকার হিসাবে ৪ ভাই রঞ্জিত বসু, মনোজ বসু, জ্যোতি বসু ও প্রীতি বসু বড় হয়েছেন এখানে। নানা কারনে অনেক আগেই ভিটে ছেড়েছেন বড় দু'ভাই রঞ্জিত বসু ও মনোজ বসু। ছোট দুই ভাই জ্যোতি রজ্ঞন বসু ও প্রীতি বসু এখানে থেকে গেলেও ১৯৯৫ সালে এলাকার চিহ্নিত একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ মুক্তিপন আদায়ের জন্য প্রীতি বসুকে অপহরণ করে। এক লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরনকারীরা তাকে ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনার পর প্রাণ ভয়ে সে ভারত চলে যায়। এখন জ্যোতি রঞ্জন বসু তার স্ত্রী কয়েক পুরুষের ভিটা আগলে রেখেছেন। তাদের ৩ পুত্র ও ২ কন্যা রয়েছে। পুত্রদের মধ্যে প্রথম পুত্র ধৃতি রজ্ঞন বসু অর্থ মন্ত্রনালয়ে, দ্বিতীয় পুত্র শ্রীমন্ত রজ্ঞন বসু ব্র্যাক ঢাকা বিভাগের অডিটর হিসাবে কর্মরত। তৃতীয় পুত্র বিনায়ক রজ্ঞন বসু সরকারী হোমিও মেডিকেল কলেজ থেকে বিএইচএমএস পাশ করেছেন। কন্যাদের মধ্যে প্রথম চামেলী বসু রাজধানী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক এবং ছোট কন্যা চন্দ্রা বসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মার্ষ্টাসে ফাস্ট ক্লাস ও একই বিষয়ে এমফিলে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হন। এদের কেহই নিরাপত্তাহীনতার কারণে নিজ গ্রামে আসেন না।
জ্যোতি রজ্ঞন বসু জানান, স্থানীয় বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান ধলা মিয়া ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে আবারো সন্ত্রাসী গ্রুপটি সক্রীয় হয়েছে। বিভিন্ন ভাবে তাদেরকে প্রান নাশের ভয় দিচ্ছে। এই বাহিনীই গত জোট সরকার আমলে বোমা ফাটিয়ে আমার দেড় একর নিজস্ব জমি জোর করে দখল করে নেয়। এ সময় আমি আইনী সহায়তা নিতে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে তাড়া করে। এছাড়া উল্টো তারা আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে। বর্তমানে মোস্তাফিজের ভাই জহুর আমার ২৬ শতক জমি দখল করার জন্য রাতা-রাতি জোর পূর্বক ঘর তুলেছে।
এ বিষয়ে জানতে গেলে সে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
২০১০ সালের ১০ফেব্রয়ারি রাতে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে স্বর্নালংকারসহ দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। আমার স্ত্রী এসময় তাদের পায়ে ধরে কোনরকমে প্রাণ বাঁচিয়েছে। তবে তারা প্রান নাশের হুমকি দিয়ে যায়। থানায় মামলা দিতে গেলে থানা পুলিশ ঘটনাটি দস্যুতা হিসাবে স্বীকার না করা পর্যন্ত অভিযোগ নেয়নি। একারনে ৫ভরি স্বর্ণের স্থলে চার আনা স্বর্ণ লিখিয়ে এটিকে দস্যুতা দেখাতে হয়েছে। এ ঘটনায় সেলিম নামে একজনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে পরে ছেড়ে দেয়। আমার নিজস্ব ২২ একর জমি রয়েছে। ছেলে-মেয়েরা ভয়ে এলাকায় আসেনা। আমাদের দু'জনকে এখান থেকে তাড়াতে পারলেই এ জমির দখল নিতে পারবে বলে দীর্ঘদিন থেকে তারা এ অত্যাচার ও নির্যাতন করে আসছে।
জ্যোতি রঞ্জন বসু আরো জানান, গত ১৯৯২ সালে তৎকালীন এমপি এ্যাডঃ আছাদুজ্জামান নিজে উদ্দোগী হয়ে এলাকার দাঙ্গাবাজ আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দিলে কিছু দিনের জন্যে পরিস্থিতি শান্ত থাকে। বিগত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে আবারও উপদ্রুপ শুরু হয়।
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আশা করেছিলেন অবস্থার উন্নতি হবে। কিন্তু রাতের আধারে ওই সব দুস্কৃতিকারী সরকারী দলে ঢুকে স্বরূপে আত্ম প্রকাশ করে। গত ২৩ আগষ্ট শনিবার বিকেলে হাসিব ও তার দলবল অর্তকিত আমার উপর আক্রমন করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমাকে মারাত্মক জখম করে। নিরূপায় হয়ে আমি থানায় মামলা দায়ের করি। পুলিশ হাসিবকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। তবে তার লোকজন আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার হুমকী প্রদান করে চলছে। হাসিব ছাড়া পেলে না জানি আমাদের কপালে কি আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রতিবেশী জানান বোস বাড়ির অর্থ ও সম্পত্তির লোভে এ চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. মতিয়ার রহমান জানান, 'ভুক্তভোগীদের একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত হাসিবকে আমরা গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছি। তাদের পরিবারের যথাযথ নিরাপত্তা ও আইনী সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি।
(ডিসি/এএস/আগস্ট ২৮, ২০১৪)
শাড়ির আঁচলে চোখ মুছে দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি বলেন ২৩ আগষ্ট শনিবার বিকেলে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ পার্শ্ববর্তী কোমরপুর গ্রামের আকবর মাষ্টারের ছেলে এলাকায় ছিঁচকে চোর হিসেবে পরিচিত হাসিব (২২) তার লোকজন নিয়ে চিৎকার করতে-করতে এসে ঘরে ঢুকে আমার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে বীরদর্পে চলে যায়। যাবার সময় বলে যায় এক মাসের মধ্যে ভারতে চলে যাবি নইলে তোদের জীবনে মেরে ফেলবো। একটি চুরির ঘটনার প্রতিবাদ করায় তারা জ্যোতি রঞ্জন বসুকে কুপিয়ে জখম করে। তাকে মহম্মদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসি হাসপাতালে গিয়ে আহতের খোঁজ খবর নেন এবং বিচারের আশ্বাস দেন।
গত বিএনপি'র আমলে বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান ধলা ১ একর ১৭ শতক জমি দখল করে নিয়েছে। মহম্মদপুর থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দিঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের ছত্র ছায়ায় গ্রামের মৃত ইউছুফ মোল্যার পুত্র জহুর মোল্যা, হাসিবসহ একদল সন্ত্রাসী সম্পত্তির জবর-দখলের জন্য দীর্ঘদিন থেকে আমাদের উপর একের পর-এক নির্যাতন করে আসছে। যে কোন সময় আমাদের খুন করা হতে পারে। ৭১ সালে যুদ্ধের সময় রাজাকারদের ভয়ে জীবন বাঁচাতে এ দেশ ছেড়েছি। এখন কাদের ভয়ে জীবন বাঁচাতে ভারতে যেতে হবে ? ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় ভূমি দস্যু নেতাদের জবরদখল, প্রাণ নাশের অব্যাহত হুমকিতে তিনি ক্ষোভের সঙ্গে এ কথা বলেন।
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে দীঘা ইউনিয়নের একটি গ্রাম পাল্লা। উপজেলা সদর থেকে পাল্লা গ্রামে যাওয়ার তেমন ভালো কোন রাস্তা নেই। মধুমতি নদীর তীরে নির্মিত এবড়ো থেবড়ো বেঁড়িবাধই এখানে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। মুসলমান অধ্যুষিত এই গ্রামে যে ২/৩টি সংখ্যালঘু পরিবার এখনো পর্যন্ত মাটি কামড়ে পড়ে আছে তাদের একটি এই বসু পরিবার।
জ্যোতি রঞ্জন বসুর ঠাকুরদা জটাধর বসু ছিলেন বৃটিশ পুলিশের ইন্সেপেক্টর। বাবা কৃষ্ণ রঞ্জিত বসুর উত্তোরাধিকার হিসাবে ৪ ভাই রঞ্জিত বসু, মনোজ বসু, জ্যোতি বসু ও প্রীতি বসু বড় হয়েছেন এখানে। নানা কারনে অনেক আগেই ভিটে ছেড়েছেন বড় দু'ভাই রঞ্জিত বসু ও মনোজ বসু। ছোট দুই ভাই জ্যোতি রজ্ঞন বসু ও প্রীতি বসু এখানে থেকে গেলেও ১৯৯৫ সালে এলাকার চিহ্নিত একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ মুক্তিপন আদায়ের জন্য প্রীতি বসুকে অপহরণ করে। এক লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরনকারীরা তাকে ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনার পর প্রাণ ভয়ে সে ভারত চলে যায়। এখন জ্যোতি রঞ্জন বসু তার স্ত্রী কয়েক পুরুষের ভিটা আগলে রেখেছেন। তাদের ৩ পুত্র ও ২ কন্যা রয়েছে। পুত্রদের মধ্যে প্রথম পুত্র ধৃতি রজ্ঞন বসু অর্থ মন্ত্রনালয়ে, দ্বিতীয় পুত্র শ্রীমন্ত রজ্ঞন বসু ব্র্যাক ঢাকা বিভাগের অডিটর হিসাবে কর্মরত। তৃতীয় পুত্র বিনায়ক রজ্ঞন বসু সরকারী হোমিও মেডিকেল কলেজ থেকে বিএইচএমএস পাশ করেছেন। কন্যাদের মধ্যে প্রথম চামেলী বসু রাজধানী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক এবং ছোট কন্যা চন্দ্রা বসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মার্ষ্টাসে ফাস্ট ক্লাস ও একই বিষয়ে এমফিলে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হন। এদের কেহই নিরাপত্তাহীনতার কারণে নিজ গ্রামে আসেন না।
জ্যোতি রজ্ঞন বসু জানান, স্থানীয় বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান ধলা মিয়া ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে আবারো সন্ত্রাসী গ্রুপটি সক্রীয় হয়েছে। বিভিন্ন ভাবে তাদেরকে প্রান নাশের ভয় দিচ্ছে। এই বাহিনীই গত জোট সরকার আমলে বোমা ফাটিয়ে আমার দেড় একর নিজস্ব জমি জোর করে দখল করে নেয়। এ সময় আমি আইনী সহায়তা নিতে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে তাড়া করে। এছাড়া উল্টো তারা আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে। বর্তমানে মোস্তাফিজের ভাই জহুর আমার ২৬ শতক জমি দখল করার জন্য রাতা-রাতি জোর পূর্বক ঘর তুলেছে।
এ বিষয়ে জানতে গেলে সে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
২০১০ সালের ১০ফেব্রয়ারি রাতে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে স্বর্নালংকারসহ দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। আমার স্ত্রী এসময় তাদের পায়ে ধরে কোনরকমে প্রাণ বাঁচিয়েছে। তবে তারা প্রান নাশের হুমকি দিয়ে যায়। থানায় মামলা দিতে গেলে থানা পুলিশ ঘটনাটি দস্যুতা হিসাবে স্বীকার না করা পর্যন্ত অভিযোগ নেয়নি। একারনে ৫ভরি স্বর্ণের স্থলে চার আনা স্বর্ণ লিখিয়ে এটিকে দস্যুতা দেখাতে হয়েছে। এ ঘটনায় সেলিম নামে একজনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে পরে ছেড়ে দেয়। আমার নিজস্ব ২২ একর জমি রয়েছে। ছেলে-মেয়েরা ভয়ে এলাকায় আসেনা। আমাদের দু'জনকে এখান থেকে তাড়াতে পারলেই এ জমির দখল নিতে পারবে বলে দীর্ঘদিন থেকে তারা এ অত্যাচার ও নির্যাতন করে আসছে।
জ্যোতি রঞ্জন বসু আরো জানান, গত ১৯৯২ সালে তৎকালীন এমপি এ্যাডঃ আছাদুজ্জামান নিজে উদ্দোগী হয়ে এলাকার দাঙ্গাবাজ আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দিলে কিছু দিনের জন্যে পরিস্থিতি শান্ত থাকে। বিগত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে আবারও উপদ্রুপ শুরু হয়।
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আশা করেছিলেন অবস্থার উন্নতি হবে। কিন্তু রাতের আধারে ওই সব দুস্কৃতিকারী সরকারী দলে ঢুকে স্বরূপে আত্ম প্রকাশ করে। গত ২৩ আগষ্ট শনিবার বিকেলে হাসিব ও তার দলবল অর্তকিত আমার উপর আক্রমন করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমাকে মারাত্মক জখম করে। নিরূপায় হয়ে আমি থানায় মামলা দায়ের করি। পুলিশ হাসিবকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। তবে তার লোকজন আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার হুমকী প্রদান করে চলছে। হাসিব ছাড়া পেলে না জানি আমাদের কপালে কি আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রতিবেশী জানান বোস বাড়ির অর্থ ও সম্পত্তির লোভে এ চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. মতিয়ার রহমান জানান, 'ভুক্তভোগীদের একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত হাসিবকে আমরা গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছি। তাদের পরিবারের যথাযথ নিরাপত্তা ও আইনী সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি।
(ডিসি/এএস/আগস্ট ২৮, ২০১৪)
সম্পাদক : প্রবীর সিকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সৈয়দ কামালুর রহমান খোকন
যোগাযোগ : উত্তরাধিকার ৭১ মিডিয়া গ্রুপ
২০/১ ইন্দিরা রোড, সাগর-সৈকত মার্কেট, তৃতীয় তলা, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫
ফোন : ০২ ৯১০২৫১৯, নিউজ রুম : +৮৮০১৮৫৬৪০০০৩১
ফোন : ০২ ৯১০২৫১৯, নিউজ রুম : +৮৮০১৮৫৬৪০০০৩১
ইমেইল : uttaradhikar71news@gmail.com
On Fri, wrote:
On Friday, June 26, 2015 8:28 PM, Sasanka Dasgupta
__._,_.___