Banner Advertiser

Thursday, June 25, 2015

[mukto-mona] বাংলাদেশ পুলিশ : ডিবি হেফাজতে স্কুল ছাত্রকে নির্যাতন



ডিবি হেফাজতে স্কুল ছাত্রকে নির্যাতন

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ : ২৬ জুন, ২০১৫

দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কয়েকজন সদস্য এক স্কুলছাত্রকে আটকে রেখে বর্বরতম নির্যাতন চালিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে ডিবি কার্যালয়ের গোপন কক্ষে নির্যাতনের সময় মোবাইল ফোনে তার আর্তচিৎকার শোনানো হয় বাবা-মাকে। একপর্যায়ে স্কুলছাত্রের অভিভাবকের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা আদায় করেন ডিবি পুলিশের কয়েকজন সদস্য। এরপর গুরুতর অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রকে ছেড়ে দেয়া হলেও তাকে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেয়া হয়নি। এমনকি ঘটনা প্রকাশ করা হলে তার পুরো পরিবারকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।

নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রের নাম আল আমিন। ডাক নাম অপু। বয়স ১৩ বছর। অপু রাজশাহী মহানগরের হরিপুর স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র। আর নির্মম এ ঘটনাটি ঘটে ৮ জুন। ডিবির হাত থেকে ছাড়া পেয়ে স্কুলছাত্র অপু ও তার পরিবারের সদস্যরা যুগান্তরের কাছে ডিবি হেফাজতে নির্যাতনের রোমহর্ষক বর্ণনা দেন। তাদের দেয়া বক্তব্যের পুরো রেকর্ড যুগান্তরের কাছে সংরক্ষিত আছে।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বৃহস্পতিবার রাতে যুগান্তরকে জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। ইতিমধ্যে জড়িত কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। তবে অফিসিয়ালি বিষয়টি এখনও তার দফতরে আসেনি। আসার পর তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।এ বিষয়ে মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিনের বক্তব্য জানতে তার সরকারি মোবাইল ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। পুরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।অপুর বাবা মিলন যুগান্তরকে জানান, গত ৮ জুন জামিনে থাকা একটি মাদক মামলায় হাজিরা দিতে তিনি জেলা জজ আদালতে যান। এ সময় এসআই (উপপরিদর্শক) মনোয়ারের নেতৃত্বে মহানগর ডিবি পুলিশের ৮ সদস্য আদালত ভবনের নিচে অবস্থান নেন। তাদের একজন মিলনকে ফোন করে বলেন, দুই লাখ আনতে বল, না হলে তোকে আজ আদালত থেকেই নিয়ে যাব। মিলন তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি তার আইনজীবীকে জানান। এরপর সঙ্গে সঙ্গে আদালতকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়। আদালত কোর্ট পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু কোর্ট পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এর কিছুক্ষণ পর ডিবির এক কনস্টেবল মিলনকে ফোন করে বলেন, আজ তোর শেষ দিন। তোকে বাঁচানো যাবে না। বাঁচতে চাইলে তাড়াতাড়ি টাকাটা আনতে বল।কান্নাজড়িত কণ্ঠে মিলন যুগান্তরকে বলেন, আমি বুঝতে পারছিলাম ডিবি যদি এবার আমাকে তুলে নিয়ে যায় এবং তাদের চাহিদামতো টাকা দিতে না পারি তাহলে তারা আমাকে জীবিত ফিরে আসতে দেবে না। পিটিয়ে মেরেই ফেলবে।মিলন বলেন, বাঁচার জন্য আমি বুদ্ধি আঁটলাম। ডিবির ওই দলে আমার পরিচিত দু'জন সদস্য ছিলেন। তাদের আমি আগেও কয়েক লাখ টাকা দিয়েছি। কৌশলে মোবাইল ফোনে তাদের সঙ্গে টাকার অংক নিয়ে দরকষাকষি শুরু করলাম। আর কথাবার্তার ফাঁকে ফাঁকে আদালত চত্বর থেকে পালানোর পথ খুঁজতে লাগলাম।একপর্যায়ে আদালত ভবনের দেয়াল-ঘেঁষা একটি নারকেলগাছ বেয়ে তিন তলা থেকে প্রাণপণে লাফ দিলাম। এতে আমার বাম পা ভেঙে যায়। কিন্তু ভাঙা পা নিয়েই আমি পালিয়ে যেতে সক্ষম হই। তবে আদালত চত্বরে রাখা আমার মোটরসাইকেলটি নিয়ে আসতে পারিনি।মিলন বলেন, আমি আদালত ভবন থেকে পালিয়েছি এটা ডিবির দলটি জানতে পারে দু'ঘণ্টা পর। সন্ধ্যা হলে তারা আদালত ভবনের প্রতিটি তলা খুঁজে আমাকে না পেয়ে ফিরে যায়। যাওয়ার সময় আমার মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়। এরপর রাতে ডিবির এক কনস্টেবল আমাকে ফোন করে বলেন, তুই পালিয়ে বেঁচে গেছিস মনে করিস না। টাকা তোকে দিতেই হবে। টাকা ছাড়া তোকে আমরা বাঁচতে দেব না।এরপর ডিবি পুলিশের একটি দল আমার বাসার আশপাশে ঘোরাঘুরি শুরু করে। রাস্তায় আমাকে ধরার জন্য ওত পাতে। কিন্তু আমি লুকিয়ে থাকায় তারা আমার নাগাল পায়নি। পরদিন রাত ১০টার দিকে আমার ছোট ছেলে আল আমিন অপু তার খালুর মোটরসাইকেলে চড়ে আরেক আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় আমাকে না পেয়ে তারা অপুকে তুলে নিয়ে যায়। মিলন জানান, আরএমপি (রাজশাহী মহানগর পুলিশ) এলাকার প্রায় ৯ কিলোমিটার বাইরে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের হরিপুর এলাকা থেকে নগর ডিবির একটি দল লাল রঙের একটি মাইক্রোবাসে (এটির মালিক ডিবির পরিদর্শক আশিক) আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। ডিবির এক কনস্টেবল আমাকে ফোন করে বলেন, তোর ছেলেকে ফেরত পেতে চাইলে রাতেই টাকাটা নিয়ে আয়। ভোর হলে কিন্তু ছেলেকে আর পাবি না।বর্বরতম নির্যাতন : স্কুলছাত্র অপু যুগান্তরকে বলেন, 'সাদা পোশাকের ৫ জন পুলিশ সদস্য পিস্তল দেখিয়ে রাস্তার ওপর আমার মোটরসাইকেল থামায়। এসআই মনোয়ার ও কনস্টেবল মনির তাদের হাতে থাকা অস্ত্র আমার বুকের ওপর ঠেঁসে ধরেন। এরপর তারা আমাকে তাদের গাড়িতে তুলে নেন। গাড়িটি সোজা কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ের কাছে রহমান পেট্রল পাম্পে গিয়ে থামে। সেখানে আগে থেকেই একটি খয়েরি নোয়া মাইক্রোবাস দাঁড়ানো ছিল। আমাদের গাড়িটি দেখে ওই মাইক্রোবাস থেকে একজন অফিসারসহ ডিবির কয়েকজন সদস্য নেমে আসেন। এবার ওই অফিসার, আমাকে দেখে ডিবির অন্য সদস্যদের বলেন, এটাই কি আমাদের চেক? এ প্রশ্নের উত্তরে ডিবির এক সদস্য অফিসারকে বলেন, ইয়েস স্যার, এটাই এখন আমাদের চেক। নগদ পেলেই চেক ফেরত দেব। নইলে চেক আর ফেরত দেব না। এবার ওই অফিসার বলেন, ওকে, সব ঠিক আছে। এবার মিলনকে ফোন দাও। তাকে টাকা আনতে বল। সবকিছু রাতেই সেরে ফেলতে হবে। তা না হলে, তদবির শুরু হবে। আর হ্যাঁ, কোনো কিছু যাতে জানাজানি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখ।অপু যুগান্তরকে জানান, ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে প্রথমে তাকে বেদম লাঠিপেটা করেন দু'জন কনস্টেবল। এ সময় তার আর্তচিৎকার মোবাইল ফোনে বাবা-মাকে শোনানো হয়। কয়েক ঘণ্টা নির্যাতনের পর একপর্যায়ে মোটা কালো কাপড় দিয়ে তার চোখ বেঁধে ডিবি কার্যালয়ের দোতলায় একজন অফিসারের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। বড় অফিসার তাকে গুদামে (গোপন কক্ষ) আটকে রাখার নির্দেশ দেন। ওই অফিসার ডিবি সদস্যদের বলেন, ওর সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দিও না। আর ওর বাবার সঙ্গে কথা বলে টাকার ব্যবস্থা কর।অপু যুগান্তরকে জানান, গোপন কক্ষে নিয়ে যাওয়ার পর তার ওপর আবার নির্যাতন শুরু হয়। সেখানে ১০ মিনিট পরপর বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে অপু বলতে থাকেন, প্রতিবার শক দেয়ার পর আমি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলি। তখন ডিবির লোকজন আমার চোখে-মুখে পানির ছিটা দেয়। জ্ঞান ফেরার পর আবারও তারা আমাকে বৈদ্যুতিক শক দেন। শক দেয়ার সময় কেউ যাতে আমার চিৎকার শুনতে না পায় সে জন্য আমার মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দেয়। শেষ রাতের দিকে ডিবির লোকজন আমার বাবাকে ফোন করেন। তারা আমার বাবার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। আমি তখন জীবন বাঁচানোর জন্য বাবার কাছে মিনতি করি। বলি, আমাকে বাঁচাও বাবা, নইলে এরা আমাকে মেরে ফেলবে। ওরা যত টাকা চায় তাই দিয়ে এখান থেকে আমাকে নিয়ে যাও। কিন্তু আমার বাবার টাকা আনতে দেরি হচ্ছিল। এ সময় আমাদের পরিচিত কয়েকজন ডিবি অফিসে ফোন করে আমাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হয়। ক্ষিপ্ত হন ডিবির সংশ্লিষ্ট অফিসাররা। এবার আজাহার নামের এক এসআই (উপপরিদর্শক) দুই কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে আমার কাছে আসেন। এবার তারা আমার গোপন অঙ্গে বৈদ্যুতিক শক দেয়া শুরু করেন। সঙ্গে বেদম মারধর চলতে থাকে। একপর্যায়ে ডিবির এই তিন সদস্য পিঠমোড়া করে আমার হাত বাঁধেন। তারা আমার পশ্চাদদেশ দিয়ে একটা টর্চলাইট ঢুকিয়ে দেন। আমার গোপনাঙ্গে দড়ি বেঁধে টানতে থাকেন। একপর্যায়ে আমি আবারও সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরে দেখি, আমার গোপনাঙ্গ ও পশ্চাদদেশ দিয়ে রক্ত ঝরছে। আমি রাত ৯টা পর্যন্ত সে অবস্থাতেই ডিবি কার্যালয়ে পড়ে থাকি। সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি অফিসের একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে সাদা কাগজে আমার সই নেয়া হয়। পরে আমি জানতে পারি ডিবির এক কর্মকর্তাকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেয়ার পর তারা আমাকে ছাড়তে রাজি হন।অপুর বাবা মিলন বলেন, ছেলেকে ডিবি থেকে ছাড়ানোর পর পুলিশের ভয়ে তাকে কোনো হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারিনি। পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে টানা সাত দিন স্যালাইন দেয়া হয়। গোপনে একাধিকবার ডাক্তারও দেখানো হয়। কিন্তু অপু এখন আর স্বাভাবিক নেই। এক মুহূর্তের জন্যও সে বাড়ির বাইরে বের হয় না। কারও সঙ্গে কথাও বলে না। ঘটনার পর থেকে তার স্কুলে যাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে।এদিকে এ বিষয়ে ডিবির ওসি জাহিদুল ইসলাম অপুকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তাকে আটক করা হলেও কোনো নির্যাতন করা হয়নি। পরদিনই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আটকের কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। 
- See more at: http://www.jugantor.com/first-page/2015/06/26/284467#sthash.MfcUan0J.dpuf

http://www.jugantor.com/first-page/2015/06/26/284467






__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___