আর সব রাজাকারের তুলনায় সাইদীকে নিয়ে আলোচনা একটু কম হয়-
এর কারণ বোধ করি বেশ কয়েকটা আছে...
লেখার শুরুতে একটা কথা পরিস্কার বলে দেই- সাইদীকে আপীল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবতজীবন কারাদণ্ড দিয়েছে এর মানে কিন্তু এই না যে "এই সাইদী সেই সাইদী না"- তত্ত্ব সঠিক। আমাদের বিচারিক আদালতে ফাঁসি এবং যাবতজীবন কারাদণ্ড দুটোই সর্বোচ্চ শাস্তি, দুটোর মানই আইনের কাছে সমান। ফাঁসি আর যাবতজীবন নির্ভর করে একেবারেই বিচারকদের ওপরে। ট্রাইব্যুনালের মত আপীল বিভাগও বলছে যে এই সাইদীই সেই সাইদী। শুধু মাত্র ফাঁসির দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে অধিকাংশ মতৈক্যে পৌছাতে পারেননি। কিন্তু এই সাইদী যে সেই দেলু সেটা আদালত সন্দেহের ওপরেই মেনে নিয়েছে। সুতরাং এখনো ফাঁসিতে ঝোলেনি বলে সাইদী রাজাকার নয় এটা বলা অযৌক্তিক।
প্রথমে যেটা বলছিলাম- সাইদীকে নিয়ে আমরা কথা একটু কম বলতেই পছন্দ করি...
প্রথমত একটা বড় কারণ দেশের মোট জনগোষ্ঠীর বড় অংশ (ইভেন নন জামাতী) সাইদীকে পছন্দ করে, তাই সাইদীর বিপক্ষে লেখা মূলস্রোতের জনমতের বিরুদ্ধে যায়। দ্বিতীয়ত সাইদী সম্পর্কে লিখলে গালি/হুমকি খেতে হয় বেশি (একেবারে লিখে দিতে পারি, দুই দিন পর এই পোস্টের নিচেও দেখবেন- নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়)। তৃতীয়ত সাইদী আসলেই অপরাধী কি না সেটা নিয়ে অনেকে সন্দিহান কারণ অন্যসব রাজাকারের হাতে গন্যমান্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ড/নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, সেইসব অপরাধের বিচারের পর টেলিভিশন/টক-শো গুলোতে আমরা দেখি সেসব মামলার বিভিন্ন সাক্ষিরা উপস্থিত থেকে কথা বলেন।
সাকার রায়ের পর কিছুদিন সাকার হাতে নির্যাতিত কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য পেপার-পত্রিকা-টেলিভিশনে খুব প্রচার হচ্ছে। কাদের মোল্লার সময় একজন প্রধান সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল হক মামাকেও আমরা সহজেই ধরতে পারতাম কাদেরের অপরাধ ভেরিফাই করার জন্য। কামারুজ্জামানের বেলার তার নিজের ভগ্নিপতি লাশ দাফন করতে দেবেন না বলেছিলেন এটাও খুব ভালো প্রভাব ফেলেছিলো জনমনে। নিজামি/ গোলাম আযম/ মুজাহিদ এদের বেলায় তো কোন কথাই নাই। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবার আদালতে দাঁড়িয়ে তাদের সনাক্ত করে। মুক্তিযুদ্ধ গবেষকেরা সমস্ত প্রমাণ তুলে দিয়ে আসেন আদালতে বিচারকদের হাতে।
সাইদীর বেলায় এত আলোচনা নেই কারণ বিশবালি কিংবা শেফালী ঘরামী সেলিব্রেটি ছিলেন না। দয়া করে শব্দকে ভুল বুঝবেন না, আদালতে রাস্ট্রপক্ষ যথেষ্ট খেটেছে মামলার জন্য। ট্রাইব্যুনালের বিচারকেরাও রায় লিখেছেন অনবদ্য ভাষায়, এটা সবচেয়ে দীর্ঘ রায় গুলোর একটা। বিশ্বাস করবেন না কেবল নাবালক সাক্ষির জন্য মামলা বাতিল হয়েছে, চোখের ডাক্তার সাক্ষ দিয়েছে যে একটা নির্দিষ্ট দূরত্বের বাইরে থেকে কিছু দেখলে সেটাতে ভুলও থাকতে পারে- শুধু এই আসঙ্কা থেকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারকেরা, তারপরেও এত সাক্ষ্য প্রমাণ ছিলও যে ফাঁসির রায়ই এসেছিলো। অর্থাৎ ট্রাইব্যুনাল তাদের সবটুকুই করেছে নিঃসন্দেহে, বরং অনেক বেশি করেছে। আমি আলোচনার কথা বলছি আমাদের সাধারণদের কথা বোঝাতে।
অথচ এই ধর্ম ব্যাবসায়ি দেলোয়ার হোসেন সাইদী উচ্চস্বরে ওয়াজ করেছে;
"জাহান্নামের ইমাম;
চেনেন তো...
চেনেন না...
ঐ যে রাজাকারের নাকি বিচার করবে...
মিথ্যুক...
আলেমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী এই মহিলা। দেখেন না আলেমদের নামে মিথ্যা বলার কারণে আল্লাহ তার জবান কেড়ে নিয়েছেন। তার মুখে ক্যান্সারের খবর আপনারা জানেন..."
বলা বাহুল্য এই জাহান্নামের ইমাম হচ্ছেন আমাদের আম্মা জাহানারা ইমাম। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক, গণ আদালতের স্বপ্নদ্রষ্টা, গণজাগরণের প্রেরণা, স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের দাবীতে গড়ে ওঠা এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণ-আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি ক্র্যাক প্লাটুনের দুর্ধর্ষ যোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শাফি ইমাম রুমি (বীর বিক্রম) -এর মা। এই মায়ের অপরাধ একটাই, তাঁর ছেলের মৃত্যুর বিচার চেয়ে আন্দোলন করা।
কয়েক বছর পরের কথা;
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেলোয়ার হোসেন সাইদীকে রাষ্ট্রপক্ষ- দেলু, দেইল্লা বলে ডাকায় উত্তেজিত সাইদী বিচারকদের তিরস্কার করে বলেন;
'মাননীয় বিচারক, আমাকে এখানে আনার পর প্রসিকিউটর আমার নাম বিকৃত করে বলেছিলো। আমি আশা করেছিলাম আপনি এর প্রতিবাদ জানাবেন। কিন্তু আপনি সেটা করেননি। আপনি আদেশ দেয়ার সময় একই বিকৃত নাম বলেছেন। 'সুরা হুজরাতের ১১নং আয়াতে নামের বিষয়ে বলা আছে- কোনও মানুষকে বিকৃত করে ডেকো না।'
মানুষ কি বুঝে উঠতে পারে না সূরা হুজুরাতের এগারো নাম্বার আয়াত-
একান্ত সাইদীর ব্যাক্তিগত ব্যাবহারের জন্য নয়।
এরপর রটনা রটলো সাইদি নাকি যুদ্ধের সময় দুগ্ধপস্য শিশু ছিলেন। এত কম তার বয়স- যে তার পক্ষে যুদ্ধাপরাধ করা সম্ভব নয়। ট্রাইব্যুনালেও খুব জল ঘোলা করার চেষ্টা হয়ছে বয়স নিয়ে কিন্তু সাইদির হিসাব গোলমাল করলো তার নিজের একটা সাক্ষাৎকার, নিজের কণ্ঠে স্বীকার করলো তার জন্ম পিরোজপুর জেলায়, ১লা ফেব্রুয়ারী, ১৯৪০ সালে। তার মানে ১৯৭১ সালে ৩১ বছরের তাগড়া নওজোয়ান।
রটনা রটলো সাইদী জামাতের সাথে যুক্ত ছিলো না ১৯৭১ সালে। কিন্তু দেখা গেলো নিজ মুখেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছে সে ১৯৭০ সালে জামাতের একজন উচ্চতর পর্যায়ের রোকন ছিলো। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে খবরা-খবর রাখা যে কোন মানুষ নিঃশঙ্কচিত্তে বলে দিতে পারে ১৯৭০ সালে জামাত করা একটা মানুষ কি করতে পারে ১৯৭১ সালে। আর যেহেতু সাইদি মুক্তিযুদ্ধের পরেও দল পরিবর্তন করেনি সুতরাং ১৯৭১ সালে দল পরিবর্তনের প্রশ্নই আসে না।
টোকিও ট্রায়ালের মত আমরা যদি সরাসরি সুপেরিয়র নেতৃত্বের বিচার করতে পারতাম, তাহলে পিরোজপুরে ১৪,০০০ মানুষের গনহত্যার দায়ে আমরা তার বিচার করতে পারতাম শুধু '৭০ সালে জামাতের রোকন ছিলো' এই একটা তথ্যেই ওপরে দাঁড়িয়ে। উল্লেখ করা প্রয়োজন পিরোজপুরে এখনো ৪-টা বধ্যভূমি আছে। সুতরাং ১৯৭১ সালে সাইদীর পিরোজপুরে জামাতের রোকন পর্যায়ের নেতার অবস্থান এবং সেখানে গনহত্যা সংগঠিত হয়েছিলো এই দুটো তথ্যেই কোন সাক্ষী প্রমাণ ছাড়াই আমি সাইদীর গা থেকে রক্তের গন্ধ পাচ্ছি। আর আদালতে তো প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অনেক মানুষ সাক্ষ্য দিয়েছিলেনই।
একজন সাক্ষীকে খুন পর্যন্ত করা হয়েছিলো...
মনে পড়ে সাইদীকে সনাক্ত করে সাক্ষী দেয়ার অপরাধে-
রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী গোলাম মোস্তফাকে ঘরের সিঁধ কেটে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো?
গোলাম মোস্তফার স্ত্রী স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাঁকেও কুপিয়ে আহত করা হয়?
গোলাম মোস্তফা ছিলেন বিশবালী হত্যা মামলায় আট নাম্বার সাক্ষী। আদালতে উপস্থিত থেকে আসামী সাইদীকে সনাক্ত করেন তিনি এবং একই সাথে এই হত্যা মামলা সাইদী জড়িত থাকার পক্ষেও সাক্ষ্য দেন তিনি। সেই বিশাবালী হত্যা মামলায়ই সাইদীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলো নিম্ন-আদালত।
সবকিছু বাদ দিয়ে একটু ঘুরে আসি নিহত গোলাম মোস্তফার পরিবারের কাছ থেকে। মোস্তফা ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি, তাঁকে হত্যার পর তিন মেয়ে ও দুই ছেলে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাঁর স্ত্রীর। কেউ তাঁদের পাশে নেই। গোলাম মোস্তফার মৃত্যুর পর তাঁর ছোট ছেলে হাফিজুল বাজারে একটা ছোট চায়ের দোকান দেয়। এখনো নিয়মিত হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে তাকে। রায়ের আগের দিন পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছিলো হাফিজুলকে।
গোলাম মোস্তফা মারা যাবার পর পাড়েরহাট বন্দরে ছোট চায়ের দোকানের আয়েই কোনো রকমে সংসার চলছে। কিন্তু রায়ের পরবর্তী সহিংসতার আশংকায় কয়েকদিন সেই চায়ের দোকান বন্ধ থাকায় তাঁদের খাবারের বন্দবোস্ত হয়নি।
আজ রাতও এই পরিবারটির হয়তো ভাত জুটবে না...
আর ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দী দিতে এসে সাক্ষীরা একে একে মরে যায়... সাক্ষী দেয়ার অপরাধে মৃত সাক্ষ্যদাতার পুত্রটিও মৃত্যুর হুলিয়া নিয়ে ঘুরে বেড়ায়... মৃত সাক্ষীর পরিবার অভুক্ত-অর্ধভুক্ত থাকে দিনের পর দিন...আর সাইদীদের জন্য প্রতিদিন হরেক রকম খাবার... মণ্ডা মিঠাই, মধু আর অলিভ অয়েল...
সাইদীর রিভিউকে আমরা যেন না ভুলে যাই...
Sent from my iPad
Should a rat like Anis be allowed to issue threats to a sitting Prime minister of a sovereign country? Can somebody contact Bangladesh Embassy about this midget's intention to assassinate PM SK Hasina? This not a matter of free speech but an oblique threat that needs to be reported to local law enforcement authorities as a precaution.Its OK to throw some political punches here and there but publicly threatening somebody with death threats definitely crosses the line. .
--- On Sat, 11/21/15, Anis Ahmed <anis.ahmed@netzero.net> wrote:
> From: Anis Ahmed <anis.ahmed@netzero.net>
> Subject: Re: {NA Bangladeshi Community} মিডিয় 94;র কুৎসিত চর&# 2495;ত্র
> To: abid.bahar@gmail.com
> Cc: nazir0101@gmail.com, nabdc@googlegroups.com, NOORIN@aol.com
> Date: Saturday, November 21, 2015, 10:52 PM
> Hasina set an
> example for her in future. What goes around that comes
> around. Example is Aug. 1975. History tells
> that.
>
"Hasina set an example for her in future.What goes around that comes around.Example is Aug. 1975. History tells that." -Anis Ahmed
---------- Original Message ----------
Return-Path: nabdc@googlegroups.com
for <anis.ahmed@netzero.com>Yes, a week or two ago, Sinhathe the chief justice went to India for something that wasn't revealed to the public.
2015-11-21 19:43 GMT-05:00 Mohamed Nazir <nazir0101@gmail.com>:
সশস্ত্র বাহিনী দিবস পার করেই দুই সাবেক মন্ত্রীর হত্যা সম্পন্নঃ মিডিয়ার কুৎসিত চরিত্রঅবশেষে সশস্ত্র বাহিনী দিবসকে পার করেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের দুইজন সাবেক মন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করা হলো। আর এই হত্যাকাণ্ডে মুল নিয়ামক দায়িত্ব পালন করেছে বাংলাদেশের বিচারবিভাগের অবৈধ সরকার দলীয় বিচারপতিগণ। উল্লেখ্য সশস্ত্র বাহিনী দিবসে এক ঢিলে অনেক পাখি হত্যা করার মত ফাঁসি দেয়ার চেষ্টা করেও সশস্ত্র বাহিনীর ভয়ে গোয়েন্দাদের পরামর্শে এই দিবসকে পার করে দেয়া হয় সাক্ষাতের নামে। উল্লেখ্য বিচারিক এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ। কেবলমাত্র ভারতের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোকে উপেক্ষা করেই এই ফাঁসি দেয়া হয় বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে।শনিবারে ফাঁসি দেয়ার চেষ্টা বিফলে গেলেও দালাল মিডিয়াগুলোর গয়েবলসিয় প্রচারনায় প্রান ভিক্ষার নামে এক প্রচারনা চালিয়ে এই দুই সম্মানিত নাগরিকের সম্মানহানির চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালায়। এমনকি ভুয়া বিচারের কোথায়ও তাদের যুদ্ধাপরাধী বলা না হলেও ভারতীয় ব্রাহ্মন্যবাদের দালাল হিসেবে চিহ্নিত সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া অতি কৌশলে জনগনের ও নতুন প্রজন্মের মন বিষিয়ে তুলতে এবং বিচারিক এই হত্যাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা চালায়। উল্লেখ্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বা আলী আহসান মুজাহিদ কেউই প্রান ভিক্ষার কোন আবেদন করেন নাই।সশস্ত্র বাহিনী দিবসে এই দুই সাবেক মন্ত্রিকে ফাসিতে হত্যার চেষ্টা চালানো হয় যাতে আগে থেকেই হাসিনা গংদের থাকা সশস্ত্র বাহিনীর সাথে দেশপ্রেমিক শক্তির এক দ্বন্দ্ব শুরু হয় দিবস পালন নিয়ে। কিন্তু সরকারের কাছে বিরুপ বার্তা পৌঁছে গেলে সরকার পিছু হটে। তারা দেখা সাক্ষাতের বাহানায় পেছাতে থাকে সময়। তবে বিএনপির একটি কৌশলগত সাংবাদিক সম্মেলন করা ছাড়া শীর্ষ নেতৃত্বের অদৃশ্য কারনে চুপ থাকায় জাতীয়তাবাদী, ইসলামী ও দেশপ্রেমিক শক্তি বিস্মিত ও বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে।রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে তাদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন হয়। রাত ৮টার কিছুক্ষণ আগে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল ফজলুল কবির ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢোকার পরই তৎপরতা বেড়ে যায়।এরপর কারা কর্তৃপক্ষ সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের পরিবারকে দেখা করতে ডেকে পাঠালে কারা অভ্যন্তরের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। কারাগারের ভেতরে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক বাতিগুলো জ্বলে উঠে, কারারক্ষীদের ছোটাছুটিও শুরু হয়। কারাগারসহ আশেপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেষ্টনীর মধ্যে নেওয়া হয়। কারাগারের সামনের সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি অবস্থান নেয় কারাগারের আশেপাশের উঁচু ভবনে। বিভিন্ন বাহিনীর পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের সদস্য এবং দালাল মিডিয়াগুলোর সংবাদকর্মী ছাড়া কারাগারের আশেপাশে আর কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হয়নি সে সময়।রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদকে যেভাবে হত্যা করা হল, তা ভারতের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতেই হয়েছে বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে। এমনকি অবৈধ সরকারের কেউ কেউ এই হত্যাকাণ্ডে তারা নিজেরা অনিরাপদ হয়ে পড়বে এবং দেশে মানুষ জঙ্গিবাদের দিকে ঝুকে পড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করলেও ভারতের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিপ্রায় থাকা সত্বেও কোন পদক্ষেপ নিয়ে বিচারিক হত্যাকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়।ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা বিশ্লেষকগণ আশংকা প্রকাশ করেছেন যে যেভাবে দেশপ্রেমিক শক্তিকে ভারতীয় নীলনকশা মোতাবেক হত্যা করা হল ধারাবাহিকভাবে এতে বিক্ষুব্ধ জাতির একটি অংশ নিজেদের মুক্তির জন্য জঙ্গিবাদের দিকে ঝুকে পড়তে পারে। সেটি হলে তা হবে উপমহাদেশের জন্য ভয়ংকর এক ভবিষ্যৎ। এতে পুরো জাতি অনিরাপদ হয়ে পড়বে এবং হাজার হাজার ভারতীয় পক্ষের মানুষ আচমকাই টার্গেটে পরিনত হতে পারেন বলে আশংকা করা হচ্ছে।
__._,_.___