ইসলামই থাকছে রাষ্ট্রধর্ম
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ১৪:৪৭, মার্চ ২৮, ২০১৬
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চ্যালেঞ্জ করে ২৮ বছর আগে করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নাঈমা হায়দার, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয় আবেদনকারীদের আবেদনের অধিকার (লোকাস স্টান্ডি) নাই।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জগলুল হায়দার আফ্রিক ও সুব্রত চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
১৯৮৮ সালে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধানে ২ (ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে। তখন স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে রাষ্ট্রধর্মের ওই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন দেশের ১৫ জন বরেণ্য ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে ১০ জন মারা গেছেন। তাঁরা হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, বিচারপতি কে এম সোবহান, কবি সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, শিল্পী কলিম শরাফী, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন ও সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ।
আবেদনকারীদের মধ্যে এখন জীবিত পাঁচজন হলেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত, বদরুদ্দীন উমর, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর ও অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
রিট আবেদনের ২৩ বছর পর ২০১১ সালের ৮ জুন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন। ওই দিনই অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ১৪ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন ড. এম জহির ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম মারা গেছেন। বাকি ১২ জন হলেন টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, রফিক-উল হক, এম আমীর-উল ইসলাম, এ এফ হাসান আরিফ, রোকনউদ্দিন মাহমুদ, আখতার ইমাম, ফিদা এম কামাল, আজমালুল হোসেন কিউসি, আবদুল মতিন খসরু, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও আফম মেজবাহ উদ্দিন।
রুল জারির প্রায় পাঁচ বছর পর চলতি বছরের ৮ মার্চ এই রুল শুনানির জন্য আদালতে ওঠে। ওই দিন আদালত অ্যামিকাস কিউরিদের বাদ দিয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/812485/ ইসলামই-থাকছে-রাষ্ট্রধর্ম
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল থাকলো
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের পরিণাম শুভ হবে না : শিবির
ঢাকা : সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা বরাবর দেয়া এক স্মারকলিপিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ফজলু রহমান কাসেমীর নেতৃত্বে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২ এর (ক) অনুযায়ী, প্রজাতন্ত্রে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। তবে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানসহ অন্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমযার্দা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবে। যা দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত সংবিধানে সন্নিবেশিত রয়েছে।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণের চিন্তা-চেতনা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন। এটি সংবিধানে একটি প্রতিষ্ঠিত বিষয়। একে চ্যালেঞ্জ করে রিট করায় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আবেগ অনুভূতির সঙ্গে জড়িত। একে বাতিলের কোনো উদ্যোগ এদেশের জনগণ কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না। এ ধরনের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপ নেয়া হলে তা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতেরই সামিল হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতির দায় তৌহিদী জনতা নেবে না বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
http://banglamail24.com/index.php/news/142010