বাদাবনের জারী
ওরে হিমালয় থে এয়েচে নেমে গঙ্গাজলের ধারা
দেশ দেশ হতে তীর্থযাত্রী প্রনমি আত্মহারা।
সেই সে গঙ্গা তীর্থে এয়েচে কোন পবিত্র ধাম
বিশ্বধামের রাণী সে যে বঙ্গভূমি নাম।
গঙ্গা নদী বঙ্গে এসে করিলা সৃজন
ভয়ঙ্কর সুন্দর করিয়া অভয় সুন্দরবন।
গাজীপীর আর বনবিবির আশীর্বাদ সম্বরি
চরণধূলি লইয়া গাইনু বাদাবনের জারী।
হিম হিম হিম হিমেল হাওয়া হিমালয় তারে রুখে
হারিকেন সেও হার মানিতেছে সোঁদরবনের বুকে।
মার আঁচলে মুখটি লুকোয় শিশুটি ভয় পেলে
বাদাবনে বঙ্গজননী তাঁর আঁচল দেছে মেলে।।
বাদাবন মায়ের আঁচল অভয় রে
নিওনা কাড়িয়া নিরদয়।।
বাইন গাছের খুঁটির পরে গরাণ গাছের আড়া
গোলপাতার শীতল ছানি হেঁতাল গুঁড়ির বেড়া।
দক্ষিণে তার জানলা কাটা বোস রে একবার
এসি-ফ্যানের নাম করবানা, এই জনমে আর।।
বাদাবন মায়ের আঁচল অভয় রে
নিওনা কাড়িয়া নিরদয়।।
গাঙের জলে কামোট-কুমির বন্ধু হুঁশিয়ার
একটা ক্ষাপণ জাল ফেলিবা তাতেই কাম সাবার।
পারশে মাছের সাথে হবে ক্যাওড়া টকের ঝোল
জম্মের শোধ বন্ধ হবে গো, ও মুখে ফুটবে না আর বোল।।
বাদাবন মায়ের আঁচল অভয় রে
নিওনা কাড়িয়া নিরদয়।।
ভেটকি-ভাঙান-তোপসে-পারশে-বেলে-গুলে মাছ
লাগলি ক্ষিধে অঢেল পাবা গোল ফলের শ্বাস।
জুয়েল আইচ, পি সি সরকার বঙ্গদেশের যাদু,
জিভের ডগায় ঠেকাই দেকো গো বাদাবনের মধু।।
বাদাবন মায়ের আঁচল অভয় রে
নিওনা কাড়িয়া নিরদয়।।
এই জঙ্গল মৌয়াল-বাওয়াল কতো জেলের প্রাণ
এতেই কাপড়, এতেই ভাত, এতেই গলার গান।
সাত সমুদ্দুর তেরো নদী পার হইয়া আজতক
হৃদয়জ্বালা জুড়াইতেছে কতো পর্যটক।
বাঘ-হরিণ-শুয়োর-বান্দর-গোখরো-গুলবাহার
গাজী পীরের দোয়ায় সুখে করছে চরাচর।
আইলা-সিডর-ঘূর্ণি-বান আর মহাজলোচ্ছ্বাস
খোদা কি শান সুন্দরবন আছে বারোমাস।
এই বলিয়া জারী আমার করলাম হেথা শেষ
শ্যামল বাংলা শ্যামল থাকলি তাতেই সোনার দেশ।
মাভৈঃ মাভৈঃ রবে বলি মাভৈঃ গানের দল
সুন্দরবন সুন্দর রাখবই, মাভৈঃ মাভৈঃ বল।
বাদাবন মায়ের আঁচল অভয় রে
নিওনা কাড়িয়া নিরদয়।।
মুসা কলিম নামটি আমার নিবাস সাতক্ষীরা
এসো বন্ধু খাতি দেবো চিংড়ে মাছের বড়া।
কারেন দেবার নাম করিয়া মুসা বেয়াক্কেলে
কয়লা পোড়ায় কালি ওড়ায় গো, মায়ের আঁচলে।।
https://www.youtube.com/watch?v=uChbdRPly1s&app=desktop
www.youtube.com |
__._,_.___