[An unpublished excerpt from my article that was published in 2010 with the title মার্শাল ‘ল এবং একটি মামুুল মামলা ]
!! আইনের চোখে পঞ্চম সংশোধনী
কোন “সংশোধনীই” নয় !!
Farida Majid
১৫ই আগষ্ট, ১৯৭৫ থেকে এপ্রিল ১৯৭৯ পর্যন্ত প্রণীত সকল প্রক্লেমেশন, মার্শাল ল অর্ডার এবং রেগুলেশন সমূহ ছিল বে-আইনী এবং বাতিলযোগ্য।
সে সব দিন এমন গিয়েছে যখন অবাধে এই সরল সত্যকথা বলার বাকস্বাধীনতাও যেন হারিয়ে গিয়েছিলো। একটার পর একটা সামরিক শাসন ঘাড়ের ওপর চাপানো হলো, তাদের অবসানে বেশ কয়েকটা দস্তরমাফিক নির্বাচন হয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রাতিক সরকার গঠন হলো। সমৃদ্ধি ও সার্বিক উন্নয়নের পথে অগ্রসর হলো বটে বাংলাদেশ কিন্তু তা বড্ড মন্থর গতিতে।
পক্ষান্তরে দিনকে দিন অধঃপাতে গিয়েছে দেশের রাজনৈতিক সংস্কার-চর্চার যথাযোগ্য মর্য্যাদাপূর্ণ অবস্থান। আয়তনে ছোট, অথচ বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে মানুষের চোখের সামনেই রাজনীতির সঙ্গে অপরাধ ও সন্ত্রাসের কদর্য যোগসূত্র সৃষ্টি হয়েছে। আইন-শৃক্সখলার চরম অবনতির মাঝে মানুষের হাবুডুবু খাওয়া মানে আইনের আশ্রয় পাওয়ার মৌলিক ভরসার অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া। জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে ভুগতে মানুষের স্বাভাবিক বিবেক-বিবেচনাতে নেমে এসেছে এক ধরনের স্থবিরতা। সমাজের নৈতিকতা এমন শিথিল যে কোন কিছুতেই যেন ন্যূনতম শুচিবোধ প্রয়োগের তাগিদ নেই। তাই বুঝি চিরচেনা সামাজিক হার্দিক বন্ধনগুলিও ঝরে পড়ছে শীর্ণ পত্রের মত। মোট কথা মানুষের স্বত:স্ফুর্ত ধর্মবোধ ও সেই সাথে মানবতাবোধ ভোঁতা হয়ে গেছে।
অনেককেই বলতে শুনি, সংবিধান কি জিনিস তাই বোঝে না লোকে, সেটার আবার সংশোধনী, তার আবার ভালো-খারাপ, অত বুঝবে কি করে? কেউ বুঝুক না বুঝুক, উপরোক্ত বাস্তব চিত্র থেকে এটুকু প্রমানিত হয় যে, সংবিধানের উপর মারাত্মক কুঠারাঘাতে গণতান্ত্রিক নিয়মানুবর্তীতার চলৎশক্তি খোঁড়া করে দিলে তার কুফল কেমন করে আমাদের জাতিসত্তায় ও প্রাত্যহিক জীবনযাপনের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। আইনের শাসন গণতন্ত্রের প্রাণ। কিন্তু সে আইনকে হতে হবে মানবকল্যাণকর আইন। যখনই আইনের উদ্ভাবন হয়েছে জনগণের স্বার্থবিরোধী কোন শোষনকারীর ক্ষমতালোলুপ কলকব্জা দ্বারা তখনই জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। . . .>>
__._,_.___