Banner Advertiser

Thursday, April 14, 2016

[mukto-mona] বিশ্ব ঈর্ষায় বাংলাদেশ



বিশ্ব ঈর্ষায় বাংলাদেশ


আমাদের সময়.কম
14.04.2016

bangladesh-human-flag-horizontal-large-gallery-400x225এম কবির : নানারকম নেতিবাচক খবর প্রতিদিন। তবু এর মাঝেও রয়েছে আশা জাগানিয়া খবর। ঘুরে দাঁড়ানোর খবর। আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর মতো খবর। এমন অসংখ্য প্রতিবেদন পত্রিকার পাতা জুড়ে থাকে। কখনো তা আমাদের দৃষ্টিতে পড়ে। কখনো দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। এধরনের খবরের সংকলগুলো থেকে বাছাই করা কয়েকটি প্রতিবেদন স্মরণ করা যেতে পারে পহেলা বৈশাখের এই দিনে, পুরোনোকে হারিয়ে নতুন দিগন্তকে স্পর্শ করার প্রত্যাশায়।
এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ২০১৫ সালের ১৫ জুন।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বিশ্ব অর্থনৈতিক সূচকের তথ্য উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৪ ধাপ এগিয়ে গেছে।
সেই অনুযায়ী সূচকে এখন বাংলাদেশের অবস্থান ৪৪তম। সংস্থা দুটির হিসাব বলছে, অর্থনীতিতে আমাদের অবস্থান আশাব্যঞ্জক। আমাদের জিডিপির পরিমাণ বেড়ে ২০৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। আর ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে ২০১৫ সালে আমাদের জিডিপির পরিমাণ ৫৭২ দশমিক ৪০ ডলার।
যা ২০১৩ সালে ছিল ৪৬১ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থনীতির ক্ষেত্রে শীর্ষ দুই সংস্থা থেকে প্রকাশিত 'বিশ্ব উন্নয়ন সূচক'-এ সম্প্রতি এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে। সহযোগী দৈনিকে এই তথ্য উদ্ধৃত করে আরো বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে 'বিশ্ব উন্নয়ন সূচক' এ বাংলাদেশের অবস্থান ৫৮তম। বর্তমানে তা ১৪ ধাপ এগিয়েছে। আর শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
রফতানি আয় ৩০ বিলিয়ন ডলার। নি¤œœবিত্ত অবস্থান থেকে গত ৬ বছরে ৫ কোটি মানুষ উঠে এসেছে মধ্যবিত্তে। ২০০০ সালে যেখানে আমাদের দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ বর্তমানে তা নেমে এসেছে ২৪ শতাংশে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতেও বাংলাদেশ সামনে এগিয়েছে তিন ধাপ। ২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩৬তম। ২০১৫ সালে উঠে আসে ৩৩তম স্থানে।
২.বিশ্বের জ্বালানি সূচকে জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ১০ ধাপ এগিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ) এই সূচক প্রকাশ করেছে।
জেনেভা ভিত্তিক ডাব্লিউইএফ তাদের প্রকাশিত 'এনার্জি আর্কিটেকচার পারফরমেন্স ইনডেক্স (ইএপিআই)২০১৬' সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৬-এ। ২০১৫ সালের ইএপিআই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১১৬। ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল এটি প্রকাশিত হয়।
সূচকের এই অগ্রগতির পাশাপাশি উন্নত জ্বালানি ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন, পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষমতা এবং জ্বালানি সুবিধা ও নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
এ বছর ০-১ স্কেলে বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ০.৫০। গত বছরের স্কোর ছিল ০.৪৫। প্রধান তিনটি ক্ষেত্রেই অগ্রগতি হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে স্কোর ০.৫২ থেকে ০.৬৩, পরিবেশগত সক্ষমতায় স্কোর ০.৩৯ থেকে ০.৪৪ এবং জ্বালানি সুবিধা ও নিরাপত্তায় স্কোর দাঁড়িয়েছে ০.৪৪ থেকে ০.৪৫ ।
সুইজারল্যান্ড ০.৭৯ স্কোর নিয়ে সূচকে শীর্ষে রয়েছে। ০.৭৮ স্কোর নিয়ে নরওয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সুইডেন (০.৭৬) ফ্রান্স(০.৭৬) এবং ডেনমার্ক (০.৭৬) শীর্ষ পাঁচটি অবস্থান ধরে রেখেছে।
শুরু থেকেই ইএপিআই জ্বালানি ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি ইস্যু তুলে ধরছে এবং জ্বালানি সরবরাহ আরো কার্যকর করে তুলতে দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছে। এ বছর ১২৬টি দেশের তথ্যের ভিত্তিতে ১৮টি সূচকের মাধ্যমে জ্বালানি ব্যবস্থাপনার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
৩.৭৩ ভাগ নাগরিকের মতে দেশ সঠিক পথে
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটরের (আইআরআই) সেন্টার ফর ইনসাইটইস ইন সার্ভে রিসার্চের এক জরিপে একথা বলা হয়েছে।
আইআরআইয়ের এই জরিপটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় ৩১ মার্চ ২০১৬।
জরিপে বলা হয়, দেশ সঠিক পথেই এগুচ্ছে এমন ধারণা পোষণকারী বাংলাদেশির সংখ্যা গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় ৯ শতাংশ বেড়েছে।
সার্বিকভাবে জরিপে অংশগ্রহণকারী ৮৩ শতাংশ বাংলাদেশি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই ভালো অথবা ভালো। এছাড়া ৭৭ শতাংশ মনে করেন, দেশ রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে।
জরিপের ফলে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন দেশ সঠিক দিকেই যাচ্ছেন। জরিপ থেকে দেখা গেছে, ২০১৫ সালের নভেম্বরের জরিপ থেকে এই সংখ্যা নয় শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই বছরে এ ধারণা পোষণকারীদের সংখ্যা ৩৮ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
সামগ্রিকভাবে, জরিপে অংশ নেওয়া উত্তরদাতাদের ৮৩ শতাংশই মনে করেন, বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুব ভালো বা কিছুটা ভালো। ৭৭ শতাংশ বলেছেন, তারা মনে করেন দেশের রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে।
জরিপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ উত্তরদাতা দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী। ৭২ শতাংশ বিশ্বাস করেন, তাদের ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক অবস্থা বা পরিস্থিতি আগামী বছরের মধ্যে উন্নত হবে এবং ৬৫ শতাংশের বিশ্বাস, বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে আরও স্থিতিশীল হয়ে উঠছে।
তবে ২০১৫ সালের নভেম্বরের চেয়ে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ শতাংশ। আর ২১ শতাংশ মনে করেন, এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে সমস্যাটি মোকাবিলা করছে তা হলো অর্থনীতি।
জরিপে অংশ নেওয়া শতকরা ৯ জন মানুষ মনে করেন বাংলাদেশ এখন দুর্নীতির সমস্যা মোকাবিলা করছে। তবে ২০১৫ সালে নভেম্বরে এ সংখ্যা ছিল ১৮ শতাংশ। অর্থাৎ ওই সময়ে ১৮ জন মনে করতেন বাংলাদেশ দুর্নীতির সমস্যা মোকাবিলা করছে।
দুর্নীতির উদাহরণ দিতে গিয়ে জরিপে অংশ নেওয়া ৪৫ শতাংশ বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে তাদের ঘুষ দিতে হয়েছে।
রপ্তানিতে নতুন আশা সাইকেল
এক দশক আগেও চাহিদা মেটাতে আমদানি করতে হলেও সেই চিত্র বদলে এখন ইউরোপের বাজারে সাইকেল রপ্তানিতে শীর্ষ পাঁচটি দেশের একটি বাংলাদেশ।

পরিবেশবান্ধব বলে ইউরোপসহ উন্নত বিশ্বে সাইকেল জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় দুই চাকার এই বাহন রপ্তানি আশা দেখাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের।

অর্থনৈতিক মন্দা পুরোপুরি কেটে গেলে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের সাইকেল রপ্তানি আরও বাড়বে বলে আশায় আছেন তারা।

চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাইসাইকেল রপ্তানি থেকে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা (১২ কোটি ১৫ লাখ ডলার) আসবে বলে লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে সরকার।

এর মধ্যে আট মাসে অর্থাৎ জুলাই-ফেব্র"য়ারি সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৮ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের (প্রায় ৭০০ কোটি টাকা) সাইকেল, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০০ সাল থেকে বাইসাইকেল রপ্তানি শুরু হয়। প্রথম দিকে এ খাত থেকে তেমন আয় না হলেও ২০০৮ সাল থেকে বাড়তে শুরু করে রপ্তানি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমাদের রপ্তানি পণ্য যে বহুমুখীকরণ হচ্ছে, বাইসাইকেল রপ্তানি বৃদ্ধি তারই প্রমাণ।"

রপ্তানিকারকরা বলছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে তৈরি পোশাকের মতো গোটা ইউরোপের বাজারও দখল করে নেবে বাংলাদেশের সাইকেল।

ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি খাতে বাংলাদেশের আয় হয়েছে দুই হাজার ৩১ কোটি (২০ দশমিক ৩১ বিলিয়ন) ডলার, যার ৮১ শতাংশ এনেছে তৈরি পোশাক।
বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া বাইসাইকেলের ৮০ শতাংশই যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে। বাকিটা যায় ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশে।
সামাজিক সূচকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

সামাজিক অগ্রগতি সূচকে ভারতকে পেছনে ফেলে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দসোশ্যাল প্রোগ্রেস ইমপারেটিভদ নামে একটি অলাভজনক সংস্থা ১৩৩টি দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে এই সূচক তৈরি করেছে। সূচকটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল।

এ সূচকে ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের এক ধাপ পেছনে ১০১তম স্থানে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ১০০তম। অথচ ভারতের জিডিপি মাথাপিছু পাঁচ হাজার ২৩৮ ডলার এবং বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি দুই হাজার ৮৫৩ ডলার।

এই সূচকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রীলঙ্কা এবং নেপালও। তবে এবারো ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ এক ধাপ করে পিছিয়েছে। গত বছর (২০১৪) সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৯। তবে ভারতের অবস্থান এক ধাপ এগিয়েছে। গত বছর ভারতের অবস্থান ছিল ২০২ এবং এবার ১০১।

সূচক প্রণয়নকারীদের মতে, একটি দেশের অর্থনীতি মাপকাঠি জিডিপি হলেও তা যে দেশটির সমগ্র চিত্র প্রদর্শন করে না, সামাজিক অগ্রগতি সূচকই তার প্রমাণ।

অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, ডগলাস নর্থ ও জোসেফ স্টিগলিজ তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে এ সূচক তৈরি করে আসছে সংস্থাটি। সংস্থাটি জানিয়েছে, মৌলিক মানবিক চাহিদা, সুযোগ প্রদান ও উন্নতির ভিত্তি- এই তিনটি শ্রেণিতে (ক্যাটাগরি) দেশগুলোর সামাজিক অগ্রগতির র্যাংকিং নির্ধারণ করা হয়েছে। এই তিনটি শ্রেণির প্রতিটিতে কয়েকটি শাখা রয়েছে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সূচকের সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৌলিক চাহিদার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুষ্টি ও মৌলিক চিকিৎসা সেবায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় ক্যাটাগরি- সুযোগ লাভের ক্ষেত্রে জীবনধারণের উপজীব্য শাখায় এ দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। তৃতীয় ক্যাটাগরি- উন্নয়নের ভিত্তি রচনায় বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্কোর করেছে মৌলিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগেদ (এক্সেস টু বেসিক এডুকেশন)। কিন্তু তথ্য ও যোগাযোগ উপাদানে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এ দেশ দব্যক্তি অধিকারেদ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের রয়েছে উচ্চশিক্ষায় উন্নতির সমূহ সুযোগ।

মৌলিক মানবিক চাহিদা, সুযোগ ও উন্নতির ভিত্তি রচনা- এই তিন ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের র্যাংকিং যথাক্রমে ৯৭, ১১৫ ও ৯৫। এই তিনটিতে ভারতের অবস্থান যথাক্রমে ১০১, ৯১ ও ১১৩ এবং সামগ্রিকভাবে বিশ্বে ভারতের অবস্থান ১০১। এই তিন ক্যাটাগরিতে পাকিস্তানের অবস্থান যথাক্রমে ১০৪, ১২৪ ও ১২৫ এবং সামগ্রিকভাবে সামাজিক অগ্রগতি সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান ১২২।

সামাজিক অগ্রগতিতে শীর্ষ ১০টি দেশ হলো নরওয়ে (১), সুইডেন (২), সুইজারল্যান্ড (৩), আইসল্যান্ড (৪), নিউজিল্যান্ড (৫), কানাডা (৬), ফিনল্যান্ড (৭), ডেনমার্ক (৮), নেদারল্যান্ডস (৯) ও অস্ট্রেলিয়া (১০)।
খুবই নিম্ন সামাজিক অগ্রগতির আট দেশ : ইথিওপিয়া (১২৬), নাইজার (১২৭), ইয়েমেন (১২৮), অ্যাঙ্গোলা (১২৯), গিনি (১৩০), আফগানিস্তান (১৩১), শাদ (১৩২) ও মধ্য আফ্রিকা (১৩৩)
ক্ষুধা ও দারিদ্র্য নির্মূলে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন

'ক্ষুধা ও দারিদ্র্য নির্মূলে' প্রশংসনীয় অগ্রগতি সাধন করেছে বাংলাদেশ। সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) অন্যতম হলো দারিদ্র্য নিরসন। এমডিজি অর্জনের নির্ধারিত সময়ের তিন বছর আগেই এ লক্ষ্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। একইসাথে এমডিজির সামাজিক ও মানব উন্নয়ন সূচকে অসামাণ্য সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ।

২০০০ সাল থেকে গড়ে প্রতিবছর দেশে দারিদ্র্য কমেছে ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ হারে। এরই ধারবাহিকতায় এমডিজির মেয়াদের শেষ বছর ২০১৫ সালে এসে দেশের দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশে। এই হারে যদি দারিদ্র্য কমতে থাকে, তাহলে ২০৩০ সালের আগেই দেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে বলে সরকারের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

এমডিজি অর্জন নিয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ সব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় ২০১০৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর।

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ধারাবাহিকভাবে গত কয়েক বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি হওয়ায় তা দারিদ্র্য বিমোচনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। এমডিজিতে বার্ষিক দারিদ্র্য বিমোচনের হার ১ দশমিক ২০ শতাংশ মানে রাখার লক্ষ্য ছিল। বাংলাদেশ ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বছরে গড়ে ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ মানে দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে। বলা হয়েছে, দারিদ্র্য বিমোচনে এখনো বাংলাদেশের সামনে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ চ্যালেঞ্জগুলো হলো প্রত্যন্ত ও চরাঞ্চলে বিদ্যমান দারিদ্র্য পকেট; আয়বৈষম্য দূর করা এবং নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে তুলনামূলক কম অংশগ্রহণ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুমৃত্যুর হার, মাতৃমৃত্যুর হার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অর্জন বেশ ভালো। নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগেই শিশুমৃত্যু হ্রাসে এমডিজির লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। ১৯৯০ সালে প্রতি এক হাজার শিশু জন্ম নেওয়ার পর বয়স পাঁচ বছর হওয়ার আগেই ১৫১ জন শিশু মারা যেত। ২০১৩ সালেই এভাবে শিশুমৃত্যুর হার কমে ৪১ হয়েছে। ১৯৯০ সালে প্রতি এক হাজার নবজাতকের মধ্যে ৯৪ জন মারা যেত। ২০১৩ সালে তা ৩২ জনে নেমে এসেছে। টিকাদান কর্মসূচি সাফল্য, পানিবাহিত রোগ হ্রাসসহ বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির ফলে নবজাতক ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে।

মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য এমডিজিতে যে লক্ষ্য রয়েছে, তাতেও বাংলাদেশ সফল হয়েছে। জিইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সালে প্রতি এক লাখ সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে ৫৭৪ জন মা মারা যান। ২০১৩ সালে প্রতি এক লাখ সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে ১৭০ জন মা মারা যান। এমডিজির মেয়াদকালে প্রতিবছর গড়ে ৩ শতাংশ হারে মাতৃমৃত্যু কমানোর লক্ষ্য রয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ হারে কমিয়েছে। গর্ভধারণ থেকে নবজাতক জন্মের পর ২৮ দিন পর্যন্ত গর্ভধারণ-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে মায়ের মৃত্যুকেই এখানে মাতৃমৃত্যু হিসেবে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশে এইডস বা এইচআইভি রোগ ছড়ানোর হার শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। এটা মহামারি আকার ধারণ করার সীমার নিচে। এটা এমডিজির এ সূচকে বাংলাদেশের সাফল্য। এ ছাড়া ২০১৪ সালে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি এক লাখ লোকের মধ্যে ৪৩৪ জন, ২০০৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৭৭৭।

তবে টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। জিইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ বনভূমি বা বৃক্ষরাজিতে ভরপুর। ২০১৫ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ বনভূমি বা বৃক্ষরাজিতে পরিপূর্ণ থাকার লক্ষ্য ছিল।

সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষায় বাংলাদেশ যথেষ্ট উন্নতি করেছে। লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ ভালো করেছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যায়ে মেয়েদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান জাতীয় সংসদে ২০ শতাংশ প্রতিনিধি নারী, যাঁরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন।

অন্যদিকে এমডিজি অর্জনে দাতাদের কাছ থেকে প্রতিবছর ৩০০ কোটি ডলার উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) পাওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিবছর গড়ে ১৭৪ কোটি ডলার পেয়েছে।

উল্লেখ্য,চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়া জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মূল আলোচ্য বিষয় এমডিজি পরবর্তী উন্নয়ন আলোচনা। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল অংশ নেবে
শিক্ষাক্ষেত্রে স্বপ্নপূরণের অভিযাত্রা

২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের বিস্ময়কর ফলাফল জতীয় ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীচক্রের বিচারকার্য, সন্ত্রাস ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এই প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা সত্যিকার অর্থেই নেতৃত্বের অনন্যতারই পরিচায়ক। যোগ্য সহযোগিদের নিয়ে সরকার পরিচালনার সাফল্যগাঁথা বহুবিধ; এর মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তিতে উন্নয়ন এবং এই উন্নয়নই দেশকে স্বপ্নপূরণের অভিযাত্রায় দু:সাহসী করে তুলেছে। দেশের শিক্ষার্থীদের কষ্ট ও হয়রানি দূর করার লক্ষ্যে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪০০টি কলেজ ও সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক ও চাকরির পরীক্ষাতেও এ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে।

'জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০' প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষার অগ্রগতি সাধনে সরকারের সক্রিয় কার্যক্রম বেশ প্রশংসিত। এ শিক্ষানীতির আলোকে শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় উৎসাহিত করার জন্য উপবৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে বই বিতরণ, স্নাতক পর্যন্ত মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষার কার্যক্রম গ্রহণ, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষকদের মর্যাদা ও বেতন ভাতা বৃদ্ধি, প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিও ক্ষেত্রে লটারি চালুকরণ, নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন, শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ, গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি, উপবৃত্তি প্রদান, শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ও উচ্চশিক্ষায় সুযোগদানের জন্য নতুন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। ২০২১ সালের মধ্যেই প্রাথমিক পর্যায়ে ঝরে পড়ার হার শূন্যে নিয়ে আসা ও শতভাগ সাক্ষরতার হার নিশ্চিত করার লক্ষ্যেও কাজ চলছে জোরেশোরে। এ ক্ষেত্রে ফল অত্যন্ত ইতিবাচক।

দেশে নিরক্ষরতা দূর করে সাক্ষরতার হার শতভাগ অর্জনে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৭ সালের মধ্যে। এ লক্ষ্যে যুগোপযোগী শিক্ষানীতি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের জনশক্তিকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে সমৃদ্ধ মানব পুঁজি হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে আইসিটি মাস্টারপ্লান (২০১২-২০২১) বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
মানব উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তান-নেপালের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার (ইউএনডিপি) বার্ষিক মানব উন্নয়ন সূচকে বিশ্বের ১৮৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তার অবস্থান ধরে রেখেছে। এ বছরও বাংলাদেশের অবস্থান ১৪২তম। আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলনকক্ষে ইউএনডিপি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) যৌথভাবে প্রকাশিত মানব উন্নয়ন সূচক ২০১৫ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয় ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর।

এ সময় ইআরডি সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দীন এবং ইউএনডিপির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এই সূচকে নেপাল ও পাকিস্তানের অবস্থান যথাক্রমে ১৪৫ ও ১৪৭। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই দশক ধরে মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। অন্যদিকে পাকিস্তান খারাপ করছে এবং ভারতের অবস্থান বেড়ে ১৩০তম হয়েছে। যেখানে গত বছর ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান ছিল যথাক্রমে ১৩৫ ও ১৪৬।

এ সময় মেজবাহ উদ্দীন বলেন, এটা আমাদের অনেক বড় অর্জন। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। দেশে শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, অতি দারিদ্র্যতা নিরসন হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশ বিভিন্ন খাতে প্রতি বছর ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে উন্নতি করেছে। মানুষের মৌলিক চাহিদাসহ সার্বিক গুরুত্বপূর্ণ খাতের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

১১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ
'
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পলিসি সামিট-২০১৬'তে ১১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ।
রাজধানীর একটি হোটেলে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান আয়োজকরা। এর আগে সমাপনী অনুষ্ঠানে, বাংলাদেশে বিদেশিদের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রতিটি সূচক ঊর্ধ্বমূখী।

সম্মেলনে অংশ নেয়া বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, বাংলাদেশকে স্বল্পমূল্যে পণ্য তৈরির স্বর্গ হিসেবে অভিহিত করেন।

আদানি ও রিল্যায়েন্স গ্রুপের মতো বড় শিল্পগোষ্ঠীর বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এদের অনুসরণ করে কমপক্ষে আরও দশটি বড় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা পর্যবেক্ষণ করছে। এসবই দু'দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের বড় প্রাপ্তি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

দেশের শীর্ষ উদ্যোক্তা, অর্থনীতিবিদ এবং সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলেন, বড় বড় প্রতিষ্ঠান যখন কোনো দেশে বিনিয়োগ নিয়ে যায়, তখন বিশ্বের অন্যান্য বিনিয়োগকারীরাও সে পথ অনুসরণ করে থাকেন। এটাই বিনিয়োগের সর্বজনীন নিয়ম। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এ ধরনের ঘটনা ঘটবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। গত ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি ঢাকা র‌্যাডিসন হোটেলে এই বিনিয়োগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশের দুই ধাপ অগ্রগতি

ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ সূচকে বিশ্বের ১৪০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৭। এর আগের বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৯। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা প্রতিবেদনে (২০১৫-১৬) এ সূচক প্রকাশ করা হয়। এ প্রতিবেদনে ২০১৪ সালের ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা সক্ষমতার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো, শ্রমবাজারের দক্ষতা, বাজারের আকার ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে কিছুটা এগোনোর কারণে বাংলাদেশের সার্বিকভাবে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠান, আর্থিক বাজারের উৎকর্ষ, প্রযুক্তিগত অগ্রগতিসহ সার্বিকভাবে দক্ষতা ও উৎকর্ষের দিক থেকে বাংলাদেশ এগোতে পারেনি। কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে অবস্থা আগের মতোই আছে। ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।

মানব উন্নয়ন, নারী-পুরুষ সাম্যে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে এগিয়ে—–অমর্ত্য সেন

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন বলেছেন, মানব উন্নয়নের প্রতিটি সূচকেই বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে এগিয়ে আছে। মানব উন্নয়ন সূচকে লৈঙ্গিক সমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৩ সালের ৭ জানূয়ারি ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই-এ জিএল মেহতা মেমোরিয়াল বক্তৃতায় অর্মত্য সেন একথা বলেন। অর্মত্য সেন আরো বলেন, কিছুুদিন আগেও বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন সূচকে ভারতের পেছনে ছিল। অথচ অল্প সময়ে এ চিত্র পাল্টে গেছে। বাংলাদেশ এখন একমাত্র দেশ যেখানে স্কুলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশের গড় আয়ু বেড়েছে। মৃত্যুহার কমেছে এবং কর্মক্ষেত্রসহ সর্বত্র নারীর অংশগ্রহণ বেশি। বাংলাদেশের রাজনীতিতেও লৈঙ্গিক সমতার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে।

http://www.amadershomoys.com/unicode/2016/04/14/97771.htm#.Vw9ZotQrJSM




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___