যুক্তরাষ্ট্রে 'উদ্বাস্তু আগমন আইনের আওতায় জঙ্গিদের আগমন বন্ধ করো' খসড়া আইনটিতে যে ৩২টি দেশকে 'অতিঝুঁকিপূর্ণ' বলা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যের সব মুসলিমপ্রধান দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ১৬কোটি মানুষের মধ্যে একটি বিরাট অংশ যাদের মধ্যে অতি নিম্নবিত্ত, অশিক্ষিত থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষিত, উচ্চবিত্ত লোক উদ্যমী, পরিশ্রমী, উদ্যোগী, কষ্ট সহিষ্ণু, ধৈর্য্যশীল, ন্যায় পরায়ন, ধার্মিক, সৎ। তাদের জন্যই বাংলাদেশ আজ সকল প্রকার খাদ্য উৎপাদন(সকল কৃষিজাত, মৎস্য, পোল্ট্রি, ডেয়ারী, ফল, ইত্যাদি, ইত্যাদি), রেমিট্যান্স, গার্মেন্টস, ইত্যাদিতে বিগত বছর সমুহে বাংলাদেশ অনেক অনেক এগিয়ে গেছে।
কিন্তু তার বিপরীতে অস্বাভাবিক অতিরিক্ত মানুষের দেশের জনসংখ্যার আরেকটি বড় অংশ অলস, অকর্মন্য। এদের বিরাট অংশ মাদকাসক্ত, বেকারত্বের কারনে নানা সামাজিক অপরাধে যথা চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষন, মাস্তানী, রাজনৈতিক চ্যালাগিরি, ইত্যাদিতে জড়িত।
বাংলাদেশে জেএমবিসহ অনুরূপ কিছু জঙ্গী, মৌলবাদী, উগ্রপন্থীর প্রকৃত সংখ্যা কত তা সঠিক কেহই বলতে পারবেনা, বিশাল জনগোষ্ঠির মধ্যে মিশে থাকায় অনুমান করাও কঠিন। তবে এদের প্রকৃত নেতৃত্বে যে একশ' জনও নহে, ইহা নিশ্চিত বলা যায়। এ একশ' জনের(যদি একশ' জন নেতা হয়ে থাকে) প্ররোচনায়, উদ্বুদ্ধকরনে অবশিষ্ট লোকগুলো জঙ্গী, মৌলবাদ, উগ্রপন্থা অবলম্বন করে।
অর্থাৎ ১৬কোটি মানুষের মাত্র সর্বোচ্চ একশ' লোক দেশে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। উদ্যমী, পরিশ্রমী, উদ্যোগী, কষ্ট সহিষ্ণু, ধৈর্য্যশীল-এর অধিকারী লোকগুলো ডিঙ্গি নৌকায়, ক্ষুদ্র জলযানে, সাগর মহাসাগর পাড়ি দিয়ে, উষ্ণ মরুভূমিতে পায়ে হেঁটে, কাভার্ডভ্যানে চড়ে, পাহাড় জঙ্গল পেরিয়ে দেশের জন্য পরিবারের জন্য যখন ইউরোপ আমেরিকা গিয়ে পৌঁছে, তখন অনেকের সকল কষ্টের পর আরও কষ্ট অপেক্ষা করে, 'অতিঝুঁকিপূর্ণ' দেশের মানুষ। যেহেতু 'অতিঝুঁকিপূর্ণ' দেশের মানুষ, তাই তাকে আশ্রয় দেয়া যাবেনা, দিলেও ভাল কাজ, ভাল বেতন দেয়া যাবেনা। সিংহভাগ ক্ষেত্রে সকল কষ্ট, অর্থ ব্যয়করন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ফলাফল-আবার দেশে ফেরৎ অথবা জেল জরিমানা।
Please visit www.corruptionwatchbd.com
__._,_.___