Banner Advertiser

Thursday, April 21, 2016

[mukto-mona] জয়কে হত্যাচেষ্টার মূল নায়ক কে?



জয়কে হত্যাচেষ্টার মূল নায়ক কে?

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী১২:৫০, এপ্রিল ২১, ২০১৬


বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরীবলা হয় মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন নির্মম প্রকৃতির লোক। তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে সরিয়ে দিতে নিষ্ঠুর পথে অগ্রসর হতেন। তিনি যখন বিএনপি গঠন করে রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ হন,তখন সঠিকভাবে উপলব্ধি করেছিলেন যে তিনি যদি রাজনীতির ময়দানে আওয়ামী লীগের একক প্রতিদ্বন্দ্বী হতে না পারেন, তবে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পাওয়া তার পক্ষে মুশকিল হবে। তাই আওয়ামী লীগ বিরোধী একক শক্তি হতে প্রথমে আওয়ামী লীগ বিরোধী অপর শক্তি খন্দকার মোশতাককে ময়দান থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হয়েছিলেন তিনি।
জিয়া প্রথমে  খন্দকার মোশতাককে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি থাকার সময় কাপ-পিরিচ চুরির মামলায় গ্রেফতার করেন এবং ট্রাইবুনাল করে তার বিচার সম্পন্ন করেন। ট্রাইবুনাল তাকে তিন বছরের জেল দেন এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট করে যখন খন্দকার মোশতাক মুক্ত হন, তখন তিনি মোশতাককে প্রাণে বদ করার পরিকল্পনা করেন। ১৯৭৯ সালে মোশতাক জেল থেকে মুক্ত হয়ে যখন বায়তুল মোকাররমের সামনে জনসভা করতে উদ্যোগী হন, তখন গ্রেনেড হামলা করে অসংখ্য মানুষ হত্যা করা হয়। ১৯৭৯ সালে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটে জনসভার আয়োজন হলে খেলার মাঠের টিকেট ঘরের ছাদের উপর মঞ্চ তৈরি করা হতো। সেই মঞ্চে মোশতাকের দলের সব কেন্দ্রীয় নেতারা উপবিষ্ট ছিলেন। মঞ্চে যে গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিলো তা লক্ষ্য ভ্রষ্ট না হলে খন্দকার মোশতাক, অলি আহাদ, পীর দুদু মিঞা, শাহ মোয়াজ্জেমসহ সবাই মরে ভূত হয়ে যেতেন।
দ্বিতীয় এবং তৃতীয়বারও মোশতাকের  জনসভায় আক্রমণ করা হয়েছিল, যার কারণে মোশতাকের ডেমোক্রেটিক লীগ ক্ষীণমান হয়ে যায়। সেনানিবাসেও তিনি তার দালাল ঘেষা রাজনীতি করা যারা পছন্দ করতেন না, তাদেরকে নির্মমভাবে নির্মূল করেছিলেন। যে কর্ণেল তাহের তাকে ক্ষমতা গ্রহণে সাহায্য করেছিলেন তিনি তাকেই  প্রথম ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলিয়ে ছিলেন। অথচ কর্ণেল তাহের ছিলেন পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা। আতাউর রহমান খাঁন পঙ্গু মানুষকে ফাঁসি দেওয়া বিধি বহির্ভূত উল্লেখ করে কর্ণেল তাহেরের ফাঁসির আদেশ মওকুফ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সে কথা জিয়া শুনেননি। আমরা আশা করেছিলাম আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে সেনানিবাসে জিয়ার নির্মমতার একটা চিত্র দেশবাসী শ্বেতপত্র আকারে পাবেন কিন্তু এ কাজটা আওয়ামী লীগ করার কোনও উদ্যোগই নেয়নি।
জিয়া নির্মমতার পথ বেয়ে বিরুদ্ধবাদীদের নির্মূল করার যে শিক্ষা দিয়ে গিয়েছিলেন, বিএনপি বা তার পরিবার সে পথ থেকে একেবারেই সরে দাঁড়ায়নি। বিএনপি ২০০১ সালে যখন পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে এবং 'হাওয়া ভবন'র  আত্মপ্রকাশ ঘটে তখন আবার হত্যার রাজনীতি আরম্ভ করেছিলো। কিবরিয়া হত্যা, আহসানউল্ল্যাহ মাস্টারকে হত্যা, খুলনার এডভোকেট মমতাজ উদ্দীনকে হত্যা সে সময়ের ঘটনা। এসব হত্যাকান্ডে বিএনপি জড়িত ছিলো।
সর্বশেষ ২০০৪  সালে ২১শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগে ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। গ্রেনেড লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়ে নীচে পড়ে যাওয়ায় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা বেঁচে গিয়েছিলেন, না হয় সেদিন গ্রেনেড মঞ্চে পড়লে আওয়ামী লীগের বোশরভাগ কেন্দ্রীয়  নেতা মৃত্যুবরণ করতেন। এ হত্যাকান্ডে বেগম জিয়ার সরকার যা করেছেন এবং জজ মিঞাকে আসামি করে যেভাবে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছিলো, তা দেখে মনে হয় যে সেই ঘটনার সঙ্গে হাওয়া ভবন, সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলো।

পরবর্তী সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্দেশে পুনঃতদন্তে প্রকৃত সত্য উৎঘাটিত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে বারো বছর অতীত হতে চলেছে মামলাটার এখনও রায় হয়নি। অথচ গত সাত বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। আমাদের জীবদ্দশায় রায় দেখব কিনা জানিনা। আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি না হলে ষড়যন্ত্রতো বার বার হবেই। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ আমেরিকায় পররাষ্ট্র দফতরের যে আড়াই লাখ গোপনীয় তারবার্তা হ্যাক করে তার ওয়েবসাইট উইকিলিকসে নিয়ে আসে, তার সবটাই এখন সর্ব সাধারণের কাছে উন্মুক্ত। এসব তারবার্তায় বাংলাদেশে নিযুক্ত আমরিকার রাষ্ট্রদূতের পাঠানো তারবার্তাও রয়েছে। ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০০৪ সালের এক তারবার্তায় রাষ্ট্রদূত ওয়াশিংটনকে অবহিত করেছিলেন যে, হামলার জন্য তারা আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করছে, গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথা বলছে এবং ভারতীয়দের দোষারোপ করছে, কিন্তু এসব অভিযোগের তারা কোনও স্বাক্ষ্য প্রমাণ দেখাতে পারছে না।

বিভিন্ন তারবার্তায় দেখা যায়, পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী বিদেশিদের নানা কৌশলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। অথচ বিভিন্ন তারবার্তা পাঠে দেখা যায় যে, বেগম জিয়া, তারেক জিয়া এবং হারিছ চৌধুরীসহ বিএনপির বেশিরভাগ নেতা সম্পর্কে আমেরিকানদের ধারণা খুবই খারাপ ছিলো। ১১মে ২০০৫ সালের এক তারবার্তায় দেখা যায়, রাষ্ট্রদূত তারেক জিয়া সম্পর্কে ওয়াশিংটনকে অবহিত করে তারবার্তায় বলেন, 'তারেক রহমান খালেদা জিয়ার কুখ্যাত জ্যৈষ্ঠপুত্র ও উত্তরসুরী। বলা হয় ৬০ সদস্যের মন্ত্রিসভায় এক তৃতীয়াংশ পদ তিনি বিক্রি করেছেন।'

হারিছ চৌধুরী সম্পর্কে একই তারবার্তায় রাষ্ট্রদূত বলেন,  'বিএনপির একজন যুবনেতা হিসেবে তার ইতিহাস, রূঢ় আচার-ব্যবহার এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণে তার সুবিদিত সংশ্লিষ্টতার কারণে ভয়ংকর গুন্ডা সন্ত্রাসী হিসাবে তার পরিচিতি ঘটেছে।' একই  তারবার্তায় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সম্পর্কে ওয়াশিংটনকে রাষ্ট্রদূত জানান, 'লোকে বলেন তিনি একগুয়ে, অনড়, অলস, অশিক্ষিত, প্রতিটি কানকথায় প্রভাবিত হন তবু স্পষ্টত সব ক্ষমতা তার হাতেই।'

শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে যারা জিয়ার জুব্বা পরেছেন তারা প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। ২০১১ সাল থেকে তারা শেখ হাসিনার ছেলে জয়কে টার্গেট করেছেন। জয় আমেরিকায় থাকেন। তাকে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যা করার যে প্রচেষ্টা চলেছিলো বিএনপি নেতা মামুনের ছেলে সিজারই আমেরিকায় তার মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। সিজার আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর এজেন্টদের মারফত প্রচেষ্টা চালান। এক পর্যায়ে এফবিআই ষড়যন্ত্রের প্লট উৎঘাটন করে এবং সিজার ও এজেন্টদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সে মামলায় সিজারের ৪২ মাস কারাদণ্ড হয়েছে, আদালতেই নাকি শফিক রেহমান এবং আমার দেশ-এর তথাকথিত সম্পাদক মাহামুদুর রহমানের কথা উঠে আসে। শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে শফিক রেহমান এফবিআই এজেন্টদের কাগজপত্রও নাকি প্রদান করেছেন এবং তার সঙ্গে আমেরিকায় যাদের কথা বার্তা হয়েছে তাদের বিষয়ে সব কিছু প্রকাশও করেছেন। শফিক রেহমান বাংলাদেশে  'ভালোবাসা দিবসটা' জনপ্রিয় করেছিলেন। লাল গোলাপ শুভেচ্ছার শফিকুর রেহমান হিসেবে তার পরিচয় অন্য পরিচয়কে ম্লান করে দিয়েছে। এমন লোকটা ৮২ বছর বয়সে নিজেকে সম্পৃক্ত করলেন একটা হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে। কি দ্বিমুখী চরিত্র তার! গোয়েন্দারা সঠিকভাবে তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে এ ষড়যন্ত্রের নাটের গুরু কে?

এফবিআই-এর এজেন্ট সিজার, শফিকুর রেহমান, মাহমুদুর রহমান এরা সহযোগী। আসল গুরু এরা নন। এদের সঠিক শাস্তির ব্যবস্থা করে যেন বাংলাদেশ থেকে হত্যার রাজনীতির মূল উৎপাদন করা হয়। আশা  করি সরকার সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এরই মাঝে স্যোশাল মিডিয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের ডা. ইমরান এইচ সরকার নিজেকে শফিক রেহমানের সাফাই স্বাক্ষী হিসেবে উপস্থিত করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তকারী অফিসার বলছেন, শফিক রেহমানের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে তার হাতে দালিলিক প্রমাণ রয়েছে, আর ইমরান বলছেন কোনও প্রমাণ নেই।পত্রিকার খবরে দেখলাম আওয়ামী লীগ যখন ইমরানের উপর বিরক্ত তখন তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। ডা. ইমরানের সঙ্গে তারেকের যোগাযোগ হলো নাকি? ইমরান এতো বিভ্রান্ত হলেন কেন?

 লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক

bakhtiaruddinchowdhury@gmail.com

 শুক্রবার ; এপ্রিল ২২, ২০১৬



Also read:

The US has confirmed to media they provided evidence of Shafik Rehman and BNP plot against me to our Government.
যুক্তরাষ্ট্র সংবাদমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছে যে আমার বিরুদ্ধে শফিক রেহমান এবং বিএনপির ষড়যন্ত্রের প্রমাণ তারা আমাদের সরকারকে দিয়েছে।
The United States provided assistance to Bangladesh in its investigation that unearthed the plot to abduct and kill Prime Minister Sheikh Hasina's son in the…






__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___