মুয়াজ্জিনের জবানবন্দি
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শিশু হত্যা
মো. হানিফ মোল্লা, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েই সুমাইয়া আক্তার (৮) নামে এক শিশুকে হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে লাশ পানিতে ফেলে দেয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের এমন ঘটনাই সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতারকৃত মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ জহিরুল ইসলাম।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, জবানবন্দিতে মুয়াজ্জিন হাফেজ জহিরুল ইসলাম ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েই হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে শিশু সুমাইয়া আক্তারকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয় বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
শনিবার সকালে রূপগঞ্জের সুতালরা জামে মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে শিশু সুমাইয়া আক্তারের মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে দুপুর ১২টার দিকে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। শিশুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের আলামত পাওয়া যায়। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সুতালরা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হাফেজ জহিরুল ইসলাম চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার রাগদুল এলাকার মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে। তিনি সুতালরা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। নিহত শিশু সুমাইয়া আক্তার নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর থানার সিংগার চারগোপাড়া এলাকার ওয়াজিদ মিয়ার মেয়ে। ওয়াজিদ মিয়া পরিবার নিয়ে সুতালরা এলাকার হাফেজ সিকদারের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে আরবি পড়ার উদ্দেশ্যে সহপাঠিদের সঙ্গে সুতালরা জামে মসজিদে যায় শিশু সুমাইয়া আক্তার। এরপর সকল শিশুকে ছুটি দিয়ে দিলেও সুমাইয়া আক্তারকে ছুটি দেয়নি মসজিদের মুয়াজ্জিন। তাকে মসজিদ ঝাঁড়– দেয়ার নাম করে রেখে দেয়। পরে শিশু সুমাইয়া আক্তারকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় মুয়াজ্জিন হাফেজ জহিরুল ইসলাম। এক পর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ওই শিশুকে হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে পাশের পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। পরিবারের লোকজন শিশু সুমাইয়া আক্তারকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। এছাড়া মুয়াজ্জিন পানিতে ফেলে হত্যার ঘটনা ঘটিয়ে ফের মসজিদের মাইকে শিশুকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ঘোষণাও দিয়েছিলেন। হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুর পিতা ওয়াজিদ মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় হত্যার পর গুম করার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মানবকণ্ঠ/এনআই
- See more at: http://www.manobkantha.com/2016/05/23/128311.php#sthash.mdbcHdv3.dpufরূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, জবানবন্দিতে মুয়াজ্জিন হাফেজ জহিরুল ইসলাম ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েই হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে শিশু সুমাইয়া আক্তারকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয় বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
শনিবার সকালে রূপগঞ্জের সুতালরা জামে মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে শিশু সুমাইয়া আক্তারের মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে দুপুর ১২টার দিকে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। শিশুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের আলামত পাওয়া যায়। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সুতালরা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হাফেজ জহিরুল ইসলাম চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার রাগদুল এলাকার মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে। তিনি সুতালরা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। নিহত শিশু সুমাইয়া আক্তার নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর থানার সিংগার চারগোপাড়া এলাকার ওয়াজিদ মিয়ার মেয়ে। ওয়াজিদ মিয়া পরিবার নিয়ে সুতালরা এলাকার হাফেজ সিকদারের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে আরবি পড়ার উদ্দেশ্যে সহপাঠিদের সঙ্গে সুতালরা জামে মসজিদে যায় শিশু সুমাইয়া আক্তার। এরপর সকল শিশুকে ছুটি দিয়ে দিলেও সুমাইয়া আক্তারকে ছুটি দেয়নি মসজিদের মুয়াজ্জিন। তাকে মসজিদ ঝাঁড়– দেয়ার নাম করে রেখে দেয়। পরে শিশু সুমাইয়া আক্তারকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় মুয়াজ্জিন হাফেজ জহিরুল ইসলাম। এক পর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ওই শিশুকে হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে পাশের পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। পরিবারের লোকজন শিশু সুমাইয়া আক্তারকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। এছাড়া মুয়াজ্জিন পানিতে ফেলে হত্যার ঘটনা ঘটিয়ে ফের মসজিদের মাইকে শিশুকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ঘোষণাও দিয়েছিলেন। হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুর পিতা ওয়াজিদ মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় হত্যার পর গুম করার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মানবকণ্ঠ/এনআই
http://www.manobkantha.com/2016/05/23/128311.php
মার খাওয়ার ভয়ে শিশুটিকে মেরে ফেললেন মুয়াজ্জিন
পাঠকের মন্তব্য
__._,_.___