উত্তরটা অনেকেই গুছিয়ে বলতে পারে না -- তাই ধর্ম-ব্যাবসায়ীদের রমরমা ব্যবসা।
উত্তরটা আসলে সহজ-সরল।
ধর্ম হলো সর্বজনীন -- কোন একটি গ্রুপের বাপের সম্পত্তি নয়।
God does not belong to any political party!
Now, read this disgusting piece of sophistry by Firoz Kamal :
১৯৭০'য়ের জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ; স্থানটি ছিল পুরোন পল্টনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসের দো'তালায়। [.. .] কেউ কেউ তার সাথে বাসায় একান্ত সাক্ষাতের জন্য সময় চাইছেন। সামনে নির্বাচন, ফলে শেখ মুজিবের সাথে তাদের আলোচনার মূল বিষয়গুলো ছিল নির্বাচনী বিষয়াদি।এক ব্যক্তি শেখ মুজিবের বাঁ পাশে দাঁড়িয়ে তাকে খবর দিলেন, জামায়াতে ইসলামীর লোকেরা মফস্বল থেকে ঢাকায় লোক জড়ো করছে। সম্ভবতঃ সে ব্যক্তি ১৮ই জানুয়ারি পল্টনে অনুষ্টিতব্য জামায়াতের জনসভায় লোক সংগ্রেহর দিকে ইঙ্গিত করছিলেন।সে খবর শুনে শেখ মুজিব বেশ উত্তেজিত হলেন এবং যা বল্লেন সেটি কোন সভ্য ও গণতান্ত্রিক চেতনা-সম্পন্ন মানুষের কথা মনে হয়নি। মুখের পাইপ থেকে তামাকের সাদা ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে রাগতঃ স্বরে বল্লেন, "লাহোর-করাচীর ব্যবসায়ীদের টাকা নিয়ে মওদূদী বাঙ্গালী কিনতে আসছে। দেখে নিব কি করে মিটিং করে।" উল্লেখ্য,১৯৭০'য়ের ১৮ই জানুয়ারি পল্টন ময়দানে ছিল জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী জনসভা।এবং সে মিটিংযে জামায়াত নেতা মাওলানা মওদূদীর বক্তৃতা দেয়ার কথা ছিল।
শেখ মুজিবের কথা শুনে আমি তো অবাক। তিনি বলছেন, মওদূদী বাঙ্গালী কিনতে আসছেন। তা হলে প্রশ্ন হলো, বাঙ্গালী কি তবে গরু-ছাগলের ন্যায় বিক্রয়যোগ্য পণ্য? মুজিবের চোখে এটিই কি বাঙালীর মূল্যায়ন? তাছাড়া তিনি কি করে বলেন, "দেখে নিব কি করে মিটিং করে?" এটি কি গণতন্ত্রের ভাষা? মাওলানা মওদূদী পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক দলের নেতা।দেশের যে কোন স্থানে জনসভা করার অধিকারটি তাঁর নাগরিক অধিকার।সে অধিকারকে খর্ব করার কোন অধিকার শেখ মুজিবের ছিল না। সেটি তো শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ। . . . >>> একাত্তরের ইতিহাস
অধ্যায় আঠাশ
শেখ মুজিবের অপরাধনামা
(বইটি প্রকাশনার পথে, পেতে ইচ্ছুক হলে ইমেল যোগে জানাবেন)
http://www.drfirozmahboobkamal.com/.../1152-chapter-28...
__._,_.___