রণদা প্রসাদ ও তার ছেলে অপহরণ মামলার তদন্ত শুরু
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা রবিসহ নিরীহ মানুষদের মুক্তিযুদ্ধের সময় অপহরণের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
রোববার তদন্ত সংস্থার সদস্য ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতাউর রহমান কুমুদিনী হাসপাতাল, মির্জাপুর গ্রাম ও বাজার পরিদর্শন করে সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তার সঙ্গে তদন্তকারী দলের সহকারী মো. লিটন মিয়া ও রুপল চন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।
কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা, পরিচালক ভাষা সৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দী, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. দুলাল চন্দ্র পোদ্দার, কুমুদিনী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল হালিম, ভারতেশ্বরী হোমসের অধ্যক্ষ প্রতিভা হালদার উপস্থিত থেকে সার্বিক সহায়তা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে ধরে নিয়ে যায়। পরে আর তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ৭১ সালের ৮ ও ৯ মে নিজের বাসায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় থাকায় পোষ্টকামুরী গ্রামের মাজম আলী শিকদার ও মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের বৃদ্ধ পিতা জয়নাল সরকারসহ আন্ধরা ও বাইমহাটী গ্রামের নিরীহ মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে গুলি ও পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা হয়েছে। আজই প্রথম মামলার তদন্ত করার জন্য আমরা এখানে এসেছি। তিনি আরও জানান, ২০১৬- এর ১৮ এপ্রিল এ মামলাটি হয়।
১৯৭১ সালের ৭ মে রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনী রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে নারায়ণগঞ্জের খানপুর এলাকার সিরাজউদ্দৌলা রোডের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাদের আর কোনো খোঁজ মেলেনি। রণদা প্রসাদ সাহা কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গলের প্রতিষ্ঠাতা।
মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক মাহবুব আলম ফিরোজ ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাজহারুল ইসলাম শিপলু ও জানান, তার চাচা আবুল হোসেন মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং দাদা জয়নাল সরকারের লাইসেন্স করা একটি বন্ধুক ছিলো। সেই বন্ধুক নিয়ে বড় নাতী মো. শামছুল আলম মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। নাতীর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ এবং ছেলে আওয়ামী লীগের সম্পাদক থাকার খবর পাকিস্তানিরা জানার পর তার দাদা জয়নাল সরকারকে গুলি করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে গণহত্যা করে বলে তারা জানান।
মানবকণ্ঠ/এসএমএ/জেডএইচ
- See more at: http://www.manobkantha.com/2016/06/05/131465.php#sthash.nMvxpgtU.dpufরোববার তদন্ত সংস্থার সদস্য ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতাউর রহমান কুমুদিনী হাসপাতাল, মির্জাপুর গ্রাম ও বাজার পরিদর্শন করে সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তার সঙ্গে তদন্তকারী দলের সহকারী মো. লিটন মিয়া ও রুপল চন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।
কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা, পরিচালক ভাষা সৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দী, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. দুলাল চন্দ্র পোদ্দার, কুমুদিনী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল হালিম, ভারতেশ্বরী হোমসের অধ্যক্ষ প্রতিভা হালদার উপস্থিত থেকে সার্বিক সহায়তা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে ধরে নিয়ে যায়। পরে আর তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ৭১ সালের ৮ ও ৯ মে নিজের বাসায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় থাকায় পোষ্টকামুরী গ্রামের মাজম আলী শিকদার ও মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের বৃদ্ধ পিতা জয়নাল সরকারসহ আন্ধরা ও বাইমহাটী গ্রামের নিরীহ মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে গুলি ও পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা হয়েছে। আজই প্রথম মামলার তদন্ত করার জন্য আমরা এখানে এসেছি। তিনি আরও জানান, ২০১৬- এর ১৮ এপ্রিল এ মামলাটি হয়।
১৯৭১ সালের ৭ মে রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনী রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে নারায়ণগঞ্জের খানপুর এলাকার সিরাজউদ্দৌলা রোডের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাদের আর কোনো খোঁজ মেলেনি। রণদা প্রসাদ সাহা কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গলের প্রতিষ্ঠাতা।
মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক মাহবুব আলম ফিরোজ ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাজহারুল ইসলাম শিপলু ও জানান, তার চাচা আবুল হোসেন মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং দাদা জয়নাল সরকারের লাইসেন্স করা একটি বন্ধুক ছিলো। সেই বন্ধুক নিয়ে বড় নাতী মো. শামছুল আলম মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। নাতীর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ এবং ছেলে আওয়ামী লীগের সম্পাদক থাকার খবর পাকিস্তানিরা জানার পর তার দাদা জয়নাল সরকারকে গুলি করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে গণহত্যা করে বলে তারা জানান।
মানবকণ্ঠ/এসএমএ/জেডএইচ
প্রকাশ : ০৫ জুন, ২০১৬ ২০:১৬:৫২আপডেট : ০৫ জুন, ২০১৬ ২০:২০:১২ |
রণদা প্রসাদ ও তার ছেলে অপহরণে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত শুরু
জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর প্রতিনিধি
- See more at: http://www.dhakatimes24.com/2016/06/05/115395#sthash.A745FTCb.dpufদানবীর রণদা ও তার ছেলে অপহরণের তদন্ত শুরুযাযাদি রিপোর্ট http://www.jjdin.com/?view=details&type=single&pub_no=1547&cat_id=1&menu_id=14&news_type_id=1&index=2&archiev=yes&arch_date=15-05-2016
__._,_.___