ফিদেল কাস্ত্রোর সৌজন্য বিনিময়ের সেই বিশেষ মুহূর্তটি। ছবি :টুইটার।
সালটা ১৯৮৩। সপ্তম জোট-নিরপেক্ষ সামিটে যোগদান করতে ভারতে এসেছিলেন কিউবা বিপ্লবের শীর্ষ নেতা এবং সে দেশের প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো। নিউ দিল্লির বিজ্ঞান ভবন তখন সরকারি আমলা, মন্ত্রী, সাংবাদিকে পরিপূর্ণ। সভা শেষে সৌজন্য বিনিময়ে কাস্ত্রোর দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। তা দেখেও দেখলেন না কাস্ত্রো। দ্বিতীয় বারের জন্য ফের একই ভাবে কাস্ত্রোর দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন তিনি। এ বারেও একই দৃশ্য দেখল ভিড়ে ঠাসা পোডিয়াম। ইন্দিরা গাঁধীকে হাত বাড়াতে দেখেও যেন কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই কাস্ত্রোর। উপরন্তু কাস্ত্রোর মুখে একটা স্মিত হাসি লেগে ছিল। কাস্ত্রোর সেই হাসির রহস্য ইন্দিরা নিজেও ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তৃতীয়বারের জন্যও একই ভাবে তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। এ বার কি কাস্ত্রো সৌজন্য রক্ষা করবেন? পোডিয়াম তখন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই উত্তরের অপেক্ষায়। ঠিক সেই সময়েই সকলকে চমকে দিয়ে ইন্দিরার হাত ধরে তাঁকে কাছে টেনে নেন কাস্ত্রো। 'বেয়ার হাগ' দেন ইন্দিরা গাঁধীকে। ফিদেলের এই ব্যবহারে অভিভূত হয়ে গিয়েছিল উপস্থিত সকলে। মুখ রাঙা হয়ে গিয়েছিল ইন্দিরা গাঁধীরও। ক্যামেরাবন্দি হয়ে যায় সেই মুহূর্তটি। সেই সঙ্গেই বন্দি হয়ে যায় গাঁধী পরিবারের সঙ্গে ফিদেলের ঘনিষ্ঠতার বার্তা।
শনিবার তাঁর মৃত্যুর পর সেই ঐতিহাসিক ছবিটিই ফের সামনে উঠে এল। ফের স্মৃতি উস্কে দিল সেই দিনটার।
সিঁড়ি ভাঙতে স্বপ্ন 'মেক ইন আমেরিকা'-ই
'তোমাকে ভুল বুঝেছিলাম!' ফিদেলকে লিখেছিলেন চে
সাম্রাজ্যবাদী হিংসার বিরুদ্ধে নীল আকাশের নাম
৬৩৪ বার খুন করার চেষ্টা হয়েছে ফিদেলকে?
আমেরিকার নাকের ডগায় ছোট্ট দ্বীপের স্পর্ধার নাম ফিদেল কাস্ত্রো
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি ফিদেলের ছিল গভীর শ্রদ্ধা
__._,_.___