Banner Advertiser

Monday, August 21, 2017

[mukto-mona] Re: মুজিব পূজা - Desperate propaganda by the murderers



Khurshad Alam - খোরশেদ আলম

বাকশাল ছিল মেহনতি মানুষের একমাত্র মুক্তির সনদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজীবকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যার পর সকল মিডিয়া একযোগে অবিরাম এই মহান নেতার বিরুদ্ধে বিষোদগার অব্যাহত রাখে একুশ বৎসর। স্বাধীনতার ঘোষণা হতে মুক্তিযুদ্ধের সকল কাজই মেজর জিয়া করেছেন মর্মে ব্যাপক প্রচার করতে থাকে। বাকশালকে একটি কুৎসিত দৈত্যের সাথে তুলনা করে অবিরাম এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো অব্যাহত রেখে বঙ্গবন্ধুকেই ইতিহাসের কাঠগড়ায় বন্দী করে রাখা হয় সুদীর্ঘ দিন। প্রসঙ্গত, বাকশালের পূর্ণাঙ্গ অর্থ বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। এখানে আওয়ামী কথাটা জনতা অর্থে ব্যবহৃত।

যাই হোক, শেখ মুজীব সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি শিশু রাষ্ট্রে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করে বিশ্বের সকল পুঁজিপতি/শাসক শ্রেনীর রোষানলে পতিত হয়েছিলেন। বাকশাল তথা কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ ছিল গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার শক্ত প্ল্যাটফর্ম। যে ব্যক্তিই রাজনীতি করবে, তাকে বাকশালের সদস্যপদভূক্ত হয়ে রাজনীতিতে নামতে হবে। উৎপাদনের প্রধান ‍উপকরণগুলো বাকশালের মাধ্যমে রাষ্ট্রিয় মালিকানায় এনে বঙ্গবন্ধু সমাজতন্ত্রের প্রধান ভিতকে শক্তিশালী করেছিলেন। জমির ন্যায্য বন্টন ব্যবস্থার আওতায় এক ব্যক্তির নামে সর্বোচ্চ ৩৩ বিঘার বেশী জমি প্রদান না করার দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই নেওয়া সম্ভবপর হয়েছিল। মহল্লায় গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় কসকরের ন্যায্যমূল্যের দোকান স্থাপন করে সমাজতন্ত্রকে আরো এক ধাপ শক্ত করা হয়েছিল। প্রতি বিপ্লবীদের প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধু যখন পঞ্চদশতম সমাজতান্ত্রিক রাস্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রগতি ও সাম্যের ধারায় সামিল করেছিলেন তখনই দুর্নীতি পরায়ন ক্যাপিটালিস্ট (পুঁজিপতি) রাষ্ট্রসমূহ একত্রিত হয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নীল নকশা তৈরী করেছিল।

শ্রম শোষণ ও সম্পদ আহরণের জন্য কর্পোরেট ক্যাপিটালিস্টগণ গণতন্ত্র নামক একটি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করে রাষ্ট্র ক্ষমতা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজেদের হাতেই কুক্ষিগত রেখে আসছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতারোহণের জন্য রাজনৈতিক দল গঠন করে জনগণের ম্যান্ডেটের মাধ্যমে বার বার পুঁজিপতিগণই রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ নিয়ে হত দরিদ্র মেহনতি মানুষদের শোষক এবং শোষণ প্রক্রিয়াটিকে বৈধতার লেবাস পরিয়ে রাখে। ফলে কোন দেশেই নিরংকুশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভপর হয় না।

বাকশাল ছিল দ্রুত রাষ্ট্র উন্নয়নের একটি সাময়িক রাষ্ট্রদর্শন। তাই অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতো এরও একটি সংবিধান বা গঠনতন্ত্র রয়েছে। নিম্নে বাকশালের গঠনতন্ত্র থেকে কিছু স্যালিয়েন্ট ফিচার তুলে ধরা হলো।

১) সদস্য পদপ্রার্থীদের বয়স মিনিমাম ১৮ বছর হতে হবে।

২) '৭২ সালের রাজাকার এক্টের অধীনে অভিযুক্ত হলে কেউ বাকশালের সদস্য হতে পারবেন না।

৩) সরকারি কর্মচারিরা বাকশালের সদস্য হতে পারবেন। তবে দেওয়ানি আদালতের কর্মচারিরা কিংবা বিচারকরা বাকশালের সদস্য হতে পারবেন না।

৪) সদস্য-প্রার্থীর সর্বোচ্চ সম্পদ আইন অনুযায়ী লিমিটের মধ্যে থাকতে হবে।

৫) চেয়ারম্যান সরাসরি সদস্য সিলেক্ট করতে পারবেন।

৬) দলের প্রতিটি কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হবে।

৭) মিনিমাম ৫ জন সদস্য নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে 'প্রাইমারি কমিটি' গঠিত হবে।

৮) পাশাপাশিই চাইলে কারখানা, সমব্যয়, ব্যবসা, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক সংগঠনে 'প্রাইমারি কমিটি' গঠন করা যাবে।

৯) চেয়ারম্যানের অনুমোদন সাপেক্ষে সামরিক ও বেসামরিক অর্গানাইজেশনে 'প্রাইমারি কমিটি' গঠন করা যাবে। সে সকল প্রতিষ্ঠানের কার্য পরিচালনায় এবং প্রশাসনে বাকশালের নীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ প্রভাব প্রতিফলিত হতে হবে এবং আমলাতান্ত্রিক মনোভাবের অবসান ঘটতে হবে। অন্যথায় ঊর্দ্ধতণ কর্তৃপক্ষকে কিংবা চেয়ারম্যানকে সরাসরি জানানো যাবে।

১০) 'প্রাইমারি কমিটি'-র উপরে থাকবে থানা কমিটি। এগুলো থানা পর্যায়ে গঠন করা হবে।

১১) এর উপরে থাকবে জেলা কমিটি। জেলা কমিটিগুলো নিচের থানা কমিটির কাজ তদারক করবে।

১২) বিদ্যমান ১৭টি জেলার পাশাপাশি মহকুমাগুলোও বাকশালের কাছে জেলা হিসেবে পরিগণিত হবে। পরবর্তীতে সৃষ্ট প্রশাসনিক জেলাসমূহও বাকশালের কাছে একেকটি 'জেলা' হিসেবে পরিগণিত হবে। ১০) উচ্চতর কমিটিসমূহ নিচের কমিটিগুলোর মতামতের উপর গুরুত্ব দেবে।

১৩) সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতানুযায়ী সকল কমিটির সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। নিচের কমিটিগুলো উপরে রিপোর্ট দিবে এবং 
উপরের কমিটিগুলো নিচের কমিটিগুলোকে নির্দেশনা দেবে।

১৪) আলোচনার মাধ্যমে সকল সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে, পসিবল না হলে ভোট।

১৫) ৫ বছরে মিনিমাম ২টি কাউন্সিল (সম্মেলন) হবে।

১৬) ৫ বছরের জন্য কাউন্সিল থাকবে যার সদস্য হবেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যেরা, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা, চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত ৫০ জন, কোটা অনুযায়ী জেলা, প্রাইমারি ও অন্যান্য অঙ্গ-সংঘঠনের সদস্য যারা প্রত্যেকে একেকজন কাউন্সিলর।

১৭) কাউন্সিল থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হবে যা একই সাথে চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলের কাছে দায়ি থাকবে।

১৮) কেন্দ্রীয় কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হবে, বাকি এক-তৃতীয়াংশ সদস্য দেবেন চেয়ারম্যান।

১৯) চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্য থেকে সেক্রেটারি জেনারেল, সেক্রেটারি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সিলেক্ট করবেন।

২০) কাউন্সিল দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে পারবে।

২১) মাসে মিনিমাম ১বার কার্যনির্বাহী কমিটি মিটিঙে বসবে।

২২) সর্বোচ্চ ক্ষমতা কার্যনির্বাহী কমিটির হাতে থাকবে।

২৩) কার্যনির্বাহী কমিটি কাউন্সিলের কাছে রিপোর্ট পেশ করার আগে মিনিমাম ২ মাস এ সম্পর্কে প্রচার চালাবে।

২৪) এমপিরা কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন।

২৫) কার্যনির্বাহী কমিটি সকল কমিটির অর্গানোগ্রাম সেট করে দেবে।

২৬) কার্যনির্বাহী কমিটি চাইলে নিচের কমিটিকে বাতিল করতে পারবে।

২৭) কার্যনির্বাহী কমিটির অডিট করবে কেন্দ্রীয় কমিটি।

২৮) কার্যনির্বাহী কমিটি দলীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।

২৯) নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আদর্শিক কর্মী গড়ে তোলা হবে।

৩০) টানা ৬ মাস কাজ না করলে দলের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।

৩১) বাকশালে প্রধানত ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ, কৃষক লীগ আর শ্রমিক লীগ থাকবে। তবে চেয়ারম্যান চাইলে অন্য অঙ্গ-সংগঠন গঠন করতে পারবেন।

৩২) গঠনতন্ত্রে কোন বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকলে চেয়ারম্যান সে ব্যাপারে ডিসিশন দিতে পারবেন।

৩৩) দলের সকল স্তরে খোলাখুলি আলোচনা উৎসাহিত করা হবে।

৩৪) দলের ফোরামের বাইরে দলের সমালোচনা করা যাবে না।

৩৫) দলীয় শৃঙ্খলা কায়েমের জন্য 'নিয়ন্ত্রন কমিশন' গঠন করা যাবে।

৩৬) দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার্থে উপ-কমিটি থাকবে যারা সরাসরি অভিযোগ গ্রহণ করতে পারবে।

৩৭) এই কমিটি তদন্তসাপেক্ষে চেয়ারম্যানের কাছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করতে পারবে।

৩৮) এছাড়া কোন সদস্যের উপর অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা কমিটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে অনুমোদনের জন্য ফাইল শৃঙ্খলা উপ-কমিটিকে পাঠাবে। অনুমোদন হওয়ার আগ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

৩৯) জেলা কমিটি চাইলে স্বপ্রণদিত হয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। অনুমোদন হওয়ার আগ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

৪০) চেয়ারম্যানের কাছে শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে।

৪১) যে কোন শাস্তি প্রদান ও মওকুফ করার ক্ষমতা চেয়ারম্যানের থাকবে।

৪২) চেয়ারম্যান নিজে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

৪৩) বাকশালের ফান্ড আসবে এমপি, সদস্য-প্রার্থী, সরাসরি দান, সরকারি বাজেট, পুস্তিকা বিক্রয়লব্ধ অর্থ থেকে।

স্বাধীনতা বিরোধী বঙ্গবন্ধুর ঘাতকেরা আরও বলেন, বাকশাল নাকি একদলীয় শাসন। নিজেই দেখে নিন যে, সেই যুদ্ধোত্তর কালে, দেশ যখন শতধারায় বিভক্ত, দুর্ভিক্ষের ছোবলে হাজারে হাজারে মানুষ মরছে, তখন এই শক্তিশালী গঠনতন্ত্রবিশিষ্ট বাকশালের মাধ্যমে সামরিক-বেসামরিক-ছাত্র-কৃষক-শ্রমিককে এক ছাতার নীচে একত্রিত করা ছাড়া, অন্য কোন বিকল্প রাস্তা খোলা ছিল না।

প্রশ্ন আসতে পারে, বাকশাল কি স্বৈরাচারি শাসন ব্যবস্থা ছিল? মোটেই না। এটা ছিলো বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাংলার মানুষের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে জিতেছিলো আওয়ামী লীগ। সেই নির্বাচিত সংসদরাই মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং স্বাধীনতার পর স্বাধীন দেশের জাতীয় সংসদে বসেছেন, নতুন সংবিধান দিয়েছেন। এরপর ১৯৭৩ সালের নির্বাচনেও সংখ্যাগরিষ্ঠ সিট আওয়ামী লীগই পেয়েছে। একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য ন্যাপ মোজাফফরের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তখন বিরোধী দল বলতে ছিলো ন্যাপ ভাসানী, ন্যাপ মোজাফফর,বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং জাসদ। ভাসানী নির্বাচনে বিশ্বাস করতেন না। করলে জামানত হারাতেন নিঃসন্দেহে। সত্তোরে তিনি যেমন ভোটের আগে ভাত চেয়েছেন। স্বাধীনতার পর করলেন শুধু অনশন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য অনশন। মুসলিম বাংলা গঠনের জন্য অনশন। আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তার অনশন ছিলো অহরহ। আর জাসদ কি করতো তাতো বলা হয়েছে। আর মুক্তিযুদ্ধ শেষে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলো বলে মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলামী, পিডিপি ছিলো নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল।

তো, স্বনির্ভরতার দ্বিতীয় বিপ্লবে বঙ্গবন্ধু ডাক দিলেন জাতীয় ঐক্যের। ভাসানী ন্যাপ এবং জাসদ প্রত্যাখ্যান করলো তার ডাক। ভাসানী যদিও তার শিষ্য মুজিবকে ডেকে আশীর্বাদ করলেন। তবে দলীয়ভাবে এর বিরুদ্ধে থাকলেন। জাতীয় ঐক্যের ডাকে সাড়া দিলো মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের মিত্রশক্তি ন্যাপ মুজাফফর এবং সিপিবি। আওয়ামী লীগ, ন্যাপ মুজাফফর এবং সিপিবির সম্মিলিত রূপ ছিলো বাকশাল। চার বিরোধী দলের দুটো শাসনতন্ত্রে। আর দুটো বিরুদ্ধ অবস্থানে। তাহলে স্বৈরাচারি হলো কিভাবে!

বাকশালের মূল এসেন্স ছিলো ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণ। ছোট ছোট সেলে গোটা দেশকে ভাগ করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু তার এই পরিকল্পনায়। মানুষের শরীর যেমন বিভিন্ন কোষে তৈরি তেমনি বাকশালও। প্রতিটি সেলের মূল ক্ষমতায় কৃষক, শ্রমিক এবং সাধারণ জনতা। প্রশাসক হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব যাদের সহযোগী সেনাসদস্য এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। দেশের প্রতিটি জেলার জন্য একজন করে গভর্নর নির্বাচিত করা হলো। এবং এই গভর্নরদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হলো বাকশাল কর্মসূচী পরিচালনার জন্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেই গভর্নররাই শপথ নেওয়ার কথা ছিলো বঙ্গবন্ধুর কাছে। বাকশাল শুরু হতে পারেনি। বাস্তবায়নের আগেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাকশালকে অংকুরেই বিনষ্ট করে ষড়যন্ত্রকারী স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকেরা। আর যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাঙালি জাতি বঞ্চিত হলো বাকশাল রাষ্ট্র ব্যবস্থার সুফল থেকে।

পরিশেষে, এটুকু বলবো, ১৯৭২-৭৫ সালের সে সময়ে বাকশাল ছিল একটি আদর্শ সরকার ব্যবস্থা। যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন এবং এই ব্যবস্থা যদি আরো এক দশক সময় ধরে বহাল থাকতো তবে ২০০০ সালের আগেই হয়তোবা বাংলাদেশ একটি উন্নত-সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিত। মূলতঃ বাকশালই ছিল বাংলার মেহনতি মানুষের একমাত্র মুক্তির সনদ। বাকশাল ছিল বাঙালি জাতির দ্রুত ভাগ্য উন্নয়নের জন্য এবং সুদৃঢ় ও সুচারুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার একটি সাময়িক বা ক্ষণস্থায়ী সুকৌশল মাত্র।

লেখা ও সম্পাদনাঃ খোরশেদ আলম ও আলী হোসাইন 
@M.KhurshadAlam

 




From: Jalal Uddin Khan <jukhan@gmail.com>
Sent: Monday, August 21, 2017 1:36 PM
To: altafparvez@yahoo.com; asm_rob@hotmail.com; awamileague@yahoogroups.com; drtuhinmalik@hotmail.com; farhadmazhar@hotmail.com; goutamdas1958@hotmail.com; mhaq1@hotmail.com; selimcpb@yahoo.com; <noa@agni.com>; A Hye Sikder; A K M Rezaul Karim; A.H.M.Mainuddin Ahmed; A.N.M.Ehsanul Hoque Milan; Abdullah Ahsan; Alamgir Mohiuddin; ali shams; Ataur Rahman; AtiqurRahman Salu (; Badiuz Zaman; Bana Mali; Bangla Press; Barrister Muhammad Shahjahan Omar Bir Uttam Retd; Barrister Salam; Bilal Uddin; BNP -GERMANY MASUD REZA; BNP Canada; BNP Chairperson Office; Borakh Bash; Capt Hossain; Captain Chowdhury; Dr Abdul Latif Masum; Dr Hasanat Husain; Dr Md Saidul Islam (Associate Prof); Dr. Em Pannah; Dr. Nurun Nabi; Ershad Mazumder; Farida Hossain; Farida Majid; Farzana Ahmed; g9president@gmail.com; Golam Akhter; GT International; Hussain Suhrawardy; Imtiaz Ahmed; Isha Khan; jamilchowdhury13@yahoo.co.uk; Javed Helali; kazi muazzam; Kazi Nuru; Khalifa Malik; Khondkar Saleque; M Mahmudul Hasan; Mahmudul Hasan; Mainul Hosein; Masud Mazumder; Mina Farah; Minar Rashid; Mizanur Rahman Khan; Mohamed Nazir; Mohammad A. Auwal; Mohammad Aleem; Mohammad Ashrafi; Mohammad Auwal; MohammadGani; Mohammadmonno chowdhury; Mohammed Amirul Islam; Mohammed Shoaib; Muazzam Kazi; Muhammad Yunus; mujtoba khondker; N. E. AWAMI LEAGUE; nabdc group; Nafisa Noor; Nakib Uddin; Nazrul Islam (; New England Bnp; NewEngland Awami League; NewEngland Awami League; NOORIN; Nurul Kabir; osmanfarruk@yahoo.com; pfc; Post Card; qamruddin chowdhury; quayum@gmail.com; Quazi Haque; ranu51@hotmail.com; rashed Anam; Rezaul Karim; rezwansiddiqui@yahoo.com; Robaet Ferdous; S akhter; S M Asaduzzaman; sabihuddin ahmed; Saidul Islam; Sameer Syed; serajul7@gmail.com; Shabbir A Bashar; shabbir Forum; Shabbir Rahman; Shafik Rehman; Shafiqul Islam; Shah Deeelder; Shamsher M Chowdhury; Shamsher M. Chowdhury; shamsul wares; Shaukat Mahmood; syed haque; Syed Margoob; Syed Muhammad Ibrahim; Syed SerajulIslam; Taj Hashmi; Tanvir Nowaz; Tauhidul Islam; Ullah Mahfuz; Wahed Hossaini; zainul abedin; Zillur R. Khan; Zoglul Husain
Subject: Fwd: মুজিব পূজা
 

---------- Forwarded message ----------
From: Outlook Team <zoglul@hotmail.co.uk>
Date: 2017-08-21 11:34 GMT+04:00
Subject: মুজিব পূজা
To: Outlook Team <zoglul@hotmail.co.uk>


From: Zoglul Husain (zoglul@hotmail.co.uk


বাকশাল সরকার একটি দুর্বৃত্ত সরকার। খুনী, সন্ত্রাসী, লুটেরা ও তাদের সহযোগী এবং ভারতের সেবাদাসরাই বাকশাল করে থাকে। বাংলাদেশের জনগণ অবশ্যই তাদের পরাভূত করবেন। এই সরকারের পতন হলে বাংলাদেশ থেকে বাকশাল নিঃচিহ্ন হয়ে যাবে। কিভাবে তারা মুজিব পূজা করাচ্ছে দেখুনঃ 


টুঙ্গিপাড়ায় মুজিব পূজা





এবার ঢাকার স্কুলে বাধ্যতামূলক 'মুজিব পূজা' শুরু ! 



http://www.newsofbd.net/newsdetail/detail/41/329675

 

মুজিব 'বাঙালি যিশু' 




মসজিদে মুজিবের ছবি টানিয়ে শোক দিবস পালন



বাকশাল-১ এর মত বাকশাল-২ এর পতন অনিবার্য। 









__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___