[Attachment(s) from Shah Deeldar shahdeeldar@yahoo.com [mukto-mona] included below]
Why blame poor minority Hindus? What power do they have in Bangladesh when many BNP cadres love to see them to be gone from their motherland? Do Awamis need Hindu votes to rule Bangladesh? How can poor Hindus make these illiterate imbeciles more slavish to (E)ndians than they have been to holy Arabs and peyara Pakis? Stop barking on wrong trees! Obviously, Awamis got bigger dicks than you do.
---------- Original Message ----------
Return-Path: guhasb@gmail.com
for <anis.ahmed@netzero.net> (sender <guhasb@gmail.com>);
Tue, 8 Aug 2017 18:41:11 -0700 (PDT)
--
__._,_.___
On Wednesday, August 9, 2017 5:57 PM, "'Anis Ahmed' anis.ahmed@netzero.net [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:
তার পরেও বাংলাদেশের গুহ-দার মত অনেক সংখ্যা লঘুরা ভারত ও আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট করে কারণ তারা মুসলিম বিদ্বেষী এবং বাংলাদেশকে ভারতের দাশ বানাতে চায়.....
---------- Original Message ----------
Return-Path: guhasb@gmail.com
for <anis.ahmed@netzero.net> (sender <guhasb@gmail.com>);
Tue, 8 Aug 2017 18:41:11 -0700 (PDT)
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার রায় এবং সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল নিয়ে আলোড়িত দেশ
হাইকোর্ট বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার দিয়েছেন। দুই জনের ফাঁসী, বারো জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। চার জন বেকসুর খালাস। এরআগে নিন্ম আদালত ৮জনকে ফাঁসী এবং ১৩জনের যাবৎজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছিলো। রায়ে মানুষ অখুশি। খুশি হবার কারণও নেই? যেই নির্মমতায় বিশ্বজিৎ খুন হয়েছে রায়ে এর প্রতিফলন ঘটেনি। বরং লোকে বলছে, নিন্ম আদালতের রায় ভালো ছিলো। এতো সাধারণ মানুষের কথা। মানুষের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীর দন্ড কমে যাবৎজ্জীবন বা অন্যকিছু হতে পারে, একেবারে খালাস হয় কি করে? ঘাপলাটা কোথায়? নিন্ম-আদালত, উচ্চ-আদালত, ময়না তদন্ত, প্রসিকিউটর, পুলিশ না অন্যকিছু? একজন বিচারপতি নিয়ে কথা উঠেছে। মিডিয়ার ভাষ্য যদি সত্য হয়, তাহলে বুঝতে হবে বিচারক নিয়োগ পদ্ধতিতে সমস্যা আছে। কারা, কিভাবে বিচারক নিয়োগ দেন, সেই পদ্ধতি খতিয়ে দেখা দরকার। এটাও মনে রাখতে হবে, দেশের মানুষ অসৎ হলে বিচারকদের মধ্যেও অসৎ থাকবেন, কারণ তাঁরা ভিন্ন উপগ্রহ থেকে আসেন না, এই সমাজেরই মানুষ।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট নিয়েও কথা উঠেছে। রিপোর্টে নাকি বিশ্বজিতের শরীরে মাত্র একটি আঘাতের কথা বলা হয়েছে? রিপোর্টের সাথে ভিডিও ফুটেজের কোন মিল নেই? তদন্তকারী ডাক্তার নাকি লাপাত্তা হয়ে গেছেন। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি'র হরতাল-অবরোধ চলাকালে বিশ্বজিতকে বাহাদুর শাহ পার্কার কাছে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার ওপর কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো। মিডিয়া ব্যাপকভাবে এ সংবাদ প্রকাশিত হলে পরদিন আদালত স্ব-প্রনোদিত হয়ে পুলিশকে অপরাধীদের তদন্ত ও গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। প্রশ্ন উঠেছে, কেইস কি ঠিকভাবে সাঁজানো হয়নি? ময়না তদন্তের রিপোর্ট কি সঠিক? হাইকোর্টের রায়ের পর বিশ্বজিতের পরিবার হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এই রায়ে বিশ্বজিতের পরিবার আর একবার কেঁদেছেন। বাবা বলেছে, 'আমরা দু:খ পেয়েছি'। মা বলেছেন, 'রায় কেমন করে বদলালো'? মিলিয়ন ডলার প্রশ্নটি হলো, 'ভিডিও-তে দেশ দেখলো কারা বিশ্বজিতকে কোপাচ্ছে, তারা ছাড়া পায় কি করে'? বিজ্ঞ আদালত অবশ্য ভিডিও দেখে রায় দেননা, কেইসের রেফারেন্স, ময়না তদন্ত, মেরিট ও সাক্ষ্য-প্রমান, দেখে রায় দেন, ভিডিও এরমধ্যে একটি এক্সিবিট মাত্র।
সাধারণ মানুষ আইন জানেনা, তারা রায়ে জনমতের প্রতিফলন দেখতে চায়; সেটি না হলে দু:খ পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু আইন তো এর নিজের পথেই চলবে, এবং চলা উচিত? ছাত্রলীগ কর্মীদের কাছে বিশ্বজিৎ 'আমি হিন্দু' বলে বোঝাতে চেয়েছিলো যে তিনি বিএনপি নন, সাধারণ একজন দর্জি, তাতেও তার প্রাণরক্ষা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচার বিভাগকে তুলোধুনো করা হচ্ছে। দোষ কি শুধু বিচার বিভাগের? ময়না তদন্তে ঘাপলা থাকলে পুনরায় ময়না তদন্ত করা কি অসম্ভব? পুন্:বিচার কি সম্ভব? বেচারা বিশ্বজিৎ, মরেও শান্তি নাই? টানাহেঁচড়া চলছে, আরো চলবে। সামাজিক মিডিয়ায় একজন লিখেছেন, বিশ্বজিৎ হিন্দু, তায় আবার দর্জি; বিচার হয়েছে এই তো বেশি? টিভি ফুটেজ-টুটেজ না থাকলে যেটুকু হয়েছে তাও হতোনা। কথাটা হয়তো সত্যি। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে অনেক বুদ্দিজীবী অনেক কথা বলেছেন, বিশ্বজিৎ হত্যার রায় নিয়ে তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসেছেন কেন? বেচারা বিশ্বজিৎ, বেঘোরে প্রাণ হারালো, কিন্তু শহীদ হতে পারলো না, কারণ ও দর্জি, নেতা নয়?
এমনিতে বিচার বিভাগ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে কিছুকাল ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো। নুতন করে যুক্ত হয়েছে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার রায়। দু'টোই আরো কিছুকাল চলবে। ষোড়শ সংশোধনী রায় নিয়ে সরকার এবং বিচার বিভাগের মধ্যে কিছুটা 'টাগ অফ ওয়ার' স্পষ্ট। এটা গণতন্ত্রের জন্যে ভালো। সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক বলে আদালত ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করতেই পারেন। এতে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়নি। সরকারের হাতে সংসদ আছে, সরকার একটু এদিক-ওদিক করে আবার সংশোধনী আনতে পারেন। অর্থমন্ত্রী এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বটে। এই রায়ের পর মন্ত্রী-এমপিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। করতেই পারেন, এটা স্বাভাবিক। তবে খুশির বিষয় হচ্ছে তারা রায় মেনে নিয়েছেন। এটা ভালো দৃষ্টান্ত। রায়ের কিছু শব্দ বাদ দেয়ার উদ্যোগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি যথার্থ। নির্বাহী বিভাগ, সংসদ বা আইন মন্ত্রণালয় রাজনৈতিকভাবে সবকিছু মোকাবেলা করবেন সেটাই কাম্য। গাঁয়ের জোরে নয়? সরকারের দুটি অঙ্গে এখন যা হচ্ছে তা সংসদীয় রাজনীতি বা গণতন্ত্রে সম্ভব। রাজনীতি হউক। একতরফা হলেই সমস্যা।
যুক্তরাষ্ট্রে আদালত বারবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিল বাতিল করে দিয়েছে, তাতে কি ট্রাম্প সরকার পরে গেছে? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিয়োগকৃত এটর্নী জেনারেল এখন প্রেসিডেন্টের কথা শুনছেন না, প্রেসিডেন্ট কি পারছেন তাকে ফেলে দিতে? ডেমোক্রেটরা ট্রাম্পকে এক মুহূর্তের জন্যে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছেনা, এতে কি ট্রাম্প কান্নাকাটি করছেন? বাংলাদেশে সরকার শক্ত হোক। বিচার বিভাগ শক্ত ভিত্তির ওপর সোঁজা হয়ে দাঁড়াক। বাংলাদেশে এখন যে সমস্যা এর মুলে রয়েছে বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনের যথেষ্ট স্বাধীনতা না থাকা। মিডিয়াও। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বিচার বিভাগ বুঝিয়ে দিতে চেষ্টা করছে যে তারা স্বাধীন থাকতে চায়, নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ চায় না। নির্বাচন কমিশন যদি স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করতেন তাহলে দেশের অর্ধেক সমস্যা এমনিতে সমাধান হয়ে যেতো। সরকার কিন্তু বারবার বলছে, নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগ স্বাধীন। জাতি সত্যিকার অর্থেই একটি অবাধ, স্বাধীন, নিরপেক্ষ, শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দেখতে চায়! স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরে জাতির এ চাওয়া কি খুব বেশি?
দেশের চতুর্থ স্তম্ভ মিডিয়ার কথা আর নাই-বা বললাম। কারণ থুথু ওপর দিকে ছিটালে নিজের গায়েও পড়ে। মিডিয়া মোঘলরা যখন বুড়া বয়সে 'গায়ক' হয়ে যান, তখন বুঝতে হবে 'সমস্যা' আছে? পুলিশের হাতে বন্দুক আছে, সাংবাদিকের হাতে আছে কলম। পুলিশ এখন ধর্মের অবমাননা, বঙ্গবন্ধুর অসম্মান এবং ৫৭ ধারা পেলে সরকারকে খুশি করার জন্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অন্যদিকে সাংবাদিক ভয়ে চুপসে যায়। কলম নাকি বন্দুকের চেয়ে শক্তিশালী? আমাদের দেশেও? অজানা ভয়ে আমাদের কলম এখন অনেকটা সংযত। উন্নত বিশ্বে আদালত, নির্বাচন কমিশন, এবং মিডিয়া অবাধ ও স্বাধীন এবং তাই এরা উন্নত। বাংলাদেশকে উন্নত হতে হলে একই রাস্তায় এগুতে হবে। বিকল্প কোন রাস্তা নাই? মুখে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের লম্বা ডায়লগ দেবেন আর অন্যদের টুঁটি চেপে ধরবেন, তা আর কতকাল? বিশ্বজিৎ এবং ষোড়শ সংশোধনীর চাপে যেন ধর্ষণের কেইস চাপা পরে না যায়? তুফান ও রুমকীর কালবৈশাখী বন্ধ হওয়াটা দরকার। সিদ্দিকুল্লাহরা অকারণে চোখ হারাক জাতি তা চায়না। ধর্ষণ বন্ধ হোক। হত্যা, গুম, ক্রসফায়ার নয়, মান-অভিমান, রাগ-ক্ষোভ থাকলেও স্বাধীন-অবাধ বিচার বিভাগই হোক জাতির শেষ আশ্রয়স্থল।
শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক।
নিউইয়র্ক। ৭ আগষ্ট ২০১৭।
On Mon, Aug 7, 2017 at 5:35 PM, 'zainul abedin' via PFC-Friends <pfc-friends@googlegroups.com> wrote:
This message is eligible for Automatic Cleanup! (pfc-friends@googlegroups.com) Add cleanup rule | More info
Salam and thank you for sharing with us."অভিযুক্তরা সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট থাকায় এ সংশয় প্রবল ছিল যে, আইনের ফাঁকফোকরে তারা ছাড় পেয়ে যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হতে চলেছে। সত্যিই কী আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের সদস্য বলে এমনটা হলো? তাহলে 'ন্যায়বিচার' কোথায় থাকলো? কোথায় থাকলো সাংবিধানিক ঘোষণা: আইনের চোখে সকলে সমান? সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বিচারের নামে এই প্রহসনের জবাব কি দেবেন?"Verdicts may vary from court to court. Here, judges and their God know the best.Zainul AbedinOn Monday, August 7, 2017 10:06 AM, Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net> wrote:
মামলার রায়ে ক্ষুব্ধ-বিস্মিত বিশ্বজিতের ভাই উত্তম দাস। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার পরপরই এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, 'এটা কেমন রায় হলো! এমনটা তো আমরা চাইনি। এটা বিচার না খেলা? আগের আদালত আট জনকে ফাঁসি দিলো। আর এখন দিলো মাত্র দুই জনকে। তাহলে আগের বিচারক কী দেখে রায় দিলেন?' এটা শুধু উত্তম দাসেরই প্রতিক্রিয়া নয়, দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সব মানুষেরই প্রতিক্রিয়া!
নিম্ন আদালতের সঙ্গে উচ্চ আদালতের রায়ের পার্থক্য তুলে ধরে দেশের অধিকাংশ মানুষের মতো বিস্ময় প্রকাশ করে উত্তম দাস যথার্থই বলেছেন, 'দুই রায়ে এত পার্থক্য হয় কিভাবে! এখন দেখি চারজনকে খালাসও দেওয়া হয়েছে। তার মানে এই চারজন জড়িত ছিল না।' সেদিনের সেই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, 'এখানে তো লুকোচুরি করার কিছু নাই। সাক্ষী-প্রমাণ বানানো বা সাজানোও নয়। সব চোখের দেখা, বাস্তবের মতো। ভিডিও ফুটেজ আছে, ছবি আছে। তারপরও দুই রায়ে এত বেশ কম!'
বিষয়টি সত্যি আমাদের ব্যথিত, ক্ষুব্ধ ও হতাশ করেছে। এ কেমন রায়? ন্যায়বিচার পাওয়া দেশের প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু বিশ্বজিতের পরিবার কি ন্যায় বিচার পেয়েছেন? যদি না পেয়ে থাকেন, তবে এর জন্য দায়ী কে? দায়ীরা কি কোনও দিন চিহ্নিত হবে? শাস্তি ভোগ করবে? নাকি সুষ্ঠু বিচার না-পাওয়ায় হতাশায় নিমজ্জিত বিশ্বজিতের বাবা-মার চোখের জলই কেবল সার হবে?
এমনিতেই বিশ্বজিৎ হত্যার ঘটনায় আট ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর ফাঁসির রায়ের ওপর আপিলের শুনানি চার বছর ধরে ঝুলে ছিল। ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পান বাকি ১৩ জন। আশা করা হয়েছিল, এই পৈশাচিক খুনের জন্য নিম্ন আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত এই ২১ জনকে যারা ডেকে এনেছিল, যারা নির্দেশ দিয়েছিল, যেসব পুলিশ সদস্য কর্তব্য পালন না করে দাঁড়িয়ে এই নির্মম হত্যা-উৎসব উপভোগ করেছিল, আদালত তাদেরকেও দোষী সাব্যস্ত করবে। তাদেরও শাস্তির আওতায় আনবে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা তো গ্রহণ করা হলোই না, উল্টো বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত অনেকের সাজা কমিয়ে দেওয়া হলো। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া দুজনকে খালাস দেওয়া হলো। মাত্র দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে, চারজনের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন। এই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন পলাতক। তার মানে এত নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরও কারোরই ফাঁসি হচ্ছে না? আর যারা ভেতরে আছে, কিছুদিন পরে তারাও যদি রাষ্ট্রপতির করুণা-ভিক্ষা জুটিয়ে বের হয়ে আসে, তাতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না!
অভিযুক্তরা সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট থাকায় এ সংশয় প্রবল ছিল যে, আইনের ফাঁকফোকরে তারা ছাড় পেয়ে যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হতে চলেছে। সত্যিই কী আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের সদস্য বলে এমনটা হলো? তাহলে 'ন্যায়বিচার' কোথায় থাকলো? কোথায় থাকলো সাংবিধানিক ঘোষণা: আইনের চোখে সকলে সমান? সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বিচারের নামে এই প্রহসনের জবাব কি দেবেন?২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর পুরনো ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার পরদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। কিন্তু শুরু থেকেই পুলিশি তৎপরতায় গাফিলতি লক্ষ করা যায়। তারা মাত্র সাত অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে। এরপর তদন্ত প্রতিবিদেন নিয়ে শুরু হয় টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ। স্বাভাবিক নিয়মে এই হত্যাকাণ্ডের যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা, সেটা দিতে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত দেশের উচ্চ আদালতকে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে, পুলিশকে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অবশেষে আদালতের নির্দেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২১ জন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশ। কিন্তু ফাঁক-ফোঁকরগুলো রয়েই যায়। এই মামলাটির ক্ষেত্রে সরকারি চিকিৎসক, আইন কর্মকর্তা, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলে এক ধরনের দায়িত্বহীন খামখেয়ালী আচরণ করেছেন। আলামত সংগ্রহ, সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির এবং অভিযোগনামা তৈরিতে চরম গাফিলতি লক্ষ করা গেছে।একথা ঠিক বিজ্ঞ আদালতের বিচারকগণ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দেন। মামলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে দালিলিক তথ্য-প্রমাণ না থাকলে এবং ফাঁক-ফোঁকর থাকলে বিচারকগণের তেমন কিছু করার থাকে না। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অত্যন্ত দক্ষতা ও সতর্কতার সঙ্গে মামলাটি পরিচালনা করা উচিত ছিল। এর দায় কি সরকার ও সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এড়াতে পারবেন?আদালতও রায়ে বলেছে, "এটা পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড না হলেও আসামিদের সম্মিলিত হামলার ফলেই বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে 'গাফিলতির' কারণে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা হাই কোর্টে এসে কমে গেছে। সুরতহাল ও ময়নাতদন্তে আঘাতের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে আসামিদের জবানবন্দি ও সাক্ষীদের বর্ণনার মিল পায়নি আদালত।বিশ্বজিতের লাশের সুরতহাল করার ক্ষেত্রে সূত্রাপুর থানার এসআই জাহিদুল হকের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কি না- তা তদন্ত করে আইজিপিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর ময়নাতদন্ত করার ক্ষেত্রে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা. মাহফুজুর রহমানের কোনও গাফিলতি ছিল কি না- তা তদন্ত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ডেন্টাল কাউন্সিলকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাই কোর্ট।''তার মানে আদালতও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাই সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা তদন্ত করে দেখার কথা বলেছেন। এখন সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, আসামিদের জবানবন্দি ও সাক্ষীদের বর্ণনার যে গড়মিল, যার কারণে উচ্চ আদালতে রায় পাল্টে গেল, তার দায় কে নেবে? এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেই কি ব্যবস্থা নেয়া হবে? কে নেবে ব্যবস্থা? নাকি ক্ষমতার ভেল্কিতে পার পেয়ে যাবে সবাই?মনে রাখা দরকার যে, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড আমাদের দেশের রাজনীতিতে প্রচলিত চরম বর্বরতার এক দৃষ্টান্ত। কুপিয়ে কুপিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড দেখে স্তব্ধ হয়েছে গোটা জাতি। তাকে হত্যা করা হয়েছে প্রকাশ্য দিবালোকে। হত্যা শুধু বিশ্বজিৎকে করা হয়নি। হত্যা করা হয়েছে এদেশের শুভ বুদ্ধি বিবেক ও সুস্থ রাজনীতির ধারাকে। এমন মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড অনেক প্রশ্নের সৃষ্টি করে সুস্থ-স্বাভাবিক প্রতিটি মানুষের মনে। ওই হতভাগ্য তরুণের অপরাধ ছিল, কয়েকটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের ডাকা অবরোধের দিনে শাঁখারীবাজারের কর্মস্থলে রওনা হওয়া। সে সময় বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী তাকেই এ জন্য দায়ী করে প্রবল রোষ ও ক্ষোভে পৈশাচিক উপায়ে আঘাত করতে থাকে। জীবন বাঁচাতে বিশ্বজিৎ দাসের কাকুতি-মিনতি সন্ত্রাসীদের মন গলাতে পারেনি। সে সময়ের বিভিন্ন সংবাদপত্রের খবরে প্রকাশ, সন্ত্রাসীদের নিবৃত্ত করা দূরের কথা, মৃতপ্রায় অবস্থায় তাকে হাসপাতালে প্রেরণের মতো মানবিকতাও উপস্থিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দেখাননি। এ নিয়ে পুলিশ সদর দফতর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও হদিস মেলেনি সেই প্রতিবেদনের। বিশ্বজিৎ দাসকে এক রিকসাচালক মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়।বিশ্বজিতের দুর্ভাগ্য, সে খুন হয়েছে সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ নামধারী কিছু সন্ত্রাসীর হাতে। সংবাদমাধ্যমে এই খুনের ভিডিও ও স্থিরচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। কারা বিশ্বজিৎকে ধাওয়া করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে, সবাই চিহ্নিত। এরপরও নানাভাবে অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে। বিচারিক আদালতের রায় যেটুকু আশার সঞ্চার করেছিল, উচ্চ আদালতের রায় চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে।একথা ভুলে গেলে চলবে না যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব প্রাথমিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আর সার্বিকভাবে সরকারের। কিন্তু বিশ্বজিৎকে সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের গুন্ডারা প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার খুব কাছাকাছি থাকা পুলিশ বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে পারেনি, সেই ব্যর্থতা ঢাকার বড় উপায় ছিল এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণ। কিন্তু সরকারি চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলে তা করতে ক্ষমাহীন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।এখনও সব কিছু শেষ হয়ে যায়নি। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ আছে। যে ফাঁক-ফোঁকরের কারণে অভিযুক্ত খুনিরা সুযোগ নিয়েছেন, সেসব ফাঁক-ফোঁকর বন্ধ করার দায় রাষ্ট্রপক্ষকেই নিতে হবে।বিশ্বজিতের পরিবার কোনও দিনই আর ছেলেকে ফিরে পাবে না, সেই শোক ও কষ্ট তাদের সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে। কিন্তু খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করে এই পরিবারকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেওয়ার দায় সরকার ও রাষ্ট্রের। আর সরকার ও রাষ্ট্র যদি খুনিদেরই বেশি আপন মনে করে তাদের রেহাই দেওয়ার পণ করে তাহলে অবশ্য বলার কিছুই নেই। কেবল কান্না, হতাশা আর বিস্ময়! 'বিচারের নামে খেলা'ই দেখে যেতে হবে। অন্তত এই মামলায়!লেখক: কলামিস্ট
______________________________ ______________________________
Study Reveals What Just A Single Diet Soda Does To You
Nucific
http://thirdpartyoffers. netzero.net/TGL3242/ 598881cc701081cc0827st04duc--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@ googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/ optout.
Sitanggshu Guha
__._,_.___
Attachment(s) from Shah Deeldar shahdeeldar@yahoo.com [mukto-mona] | View attachments on the web
1 of 1 File(s)
Posted by: Shah Deeldar <shahdeeldar@yahoo.com>
****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:
http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585
****************************************************
VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/
****************************************************
"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190