Banner Advertiser

Saturday, September 9, 2017

[mukto-mona] Re: {PFC-Friends} হিন্দু রোহিঙ্গারা কেন নিজ ঘরে আগুন দিচ্ছে ??



বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ছাগুরা যখন রোহিঙ্গাদের ওপর মায়ানমার জান্তার অমানবিক বর্বর নির্যাতনের সুযোগ নিয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মিথ্যের জাল বুনছে আর বাংলাদেশের নিজস্ব সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কথা বলছে এবং বলদগুলো সেটা গিলছে, এমনকি রোহিঙ্গাদের রীতিমত নাগরিক বানাতে চাইছে (তাদের নারীদের বিয়ে! ও করতে চাইছে) তখন রোহিঙ্গা বিষয়ে সুসাহিত্যিক ও প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ কথাশিল্পী Swakrito Noman ভাইয়ের বাস্তুব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ৬ পর্বে নিরপেক্ষ কিন্তু গভীর পর্যবেক্ষণ সত্যকে অনেকটাই নির্মোহ ভাবে এবং ঐতিহাসিক গভীরতা নিয়ে আমাদের সম্মুখে তুলে ধরে। গবেষণাধর্মী এই লেখাগুলোর পরতে পরতে সত্যানুসন্ধানীর জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত তথ্য। নোমান ভাইয়ের লেখা গুলো পড়ার পর এনিয়ে লেখার আর কিছু খুঁজে পাইনা। তাই তাঁর লেখাই শেয়ার করলাম।

স্বকৃত নোমান:
এ কথা ভাবার কোনো অবকাশ নেই যে সব রোহিঙ্গা শান্তিকামী। তাদের একটা অংশ স্বভাবতই উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির। মানবিক মূল্যবোধ কী জিনিস এই অংশটা তা জানে না। তাদের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খলতা, মানবিক মূল্যবোধহীনতা, অশিক্ষা, বর্বরতা, উগ্র ধার্মিকতা রাতারাতি গজায়নি। শত শত বছরের নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে তাদের মধ্যে এসব স্বভাব প্রবিষ্ট হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের কর্তব্য ছিল তাদেরকে পূর্ণ নাগরিক অধিকার দিয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল শাখায় পারদশী করে গড়ে তোলা। কিন্তু ঐতিহাসিক বিদ্বেষবশত তারা তা করেনি। ফলে একটা পর্যায়ে এসে এই 'একটা অংশ' রোহিঙ্গা তাদের জন্য বোঝা বা জঞ্জাল হয়ে দাঁড়ায়। এই অংশের দায়ভার পড়ে যায় গোটা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর। এই 'জঞ্জাল' সাফ করতে তারা শুরু করে গণহত্যা। এটা তাদের ঐতিহাসিক ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার কালিমা কোনোদিন তারা মুছতে পারবে না।
.
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোবেলজয়ী অং সান সুচির বিরুদ্ধে খিস্তি-খেউড় চলছে। তার নোবেল কেড়ে নেওয়ার দাবি তোলা হচ্ছে। যৌক্তিক দাবি। কিন্তু পাশাপাশি একথাও মাথায় রাখা দরকার, সুচি যত বড় গণতান্ত্রিক নেত্রীই হোন না কেন, মিয়ানমারের টাটমাডো বাহিনীর সিদ্ধান্তের বাইরে এক চুল নড়ার মতো কোনো ক্ষমতা তার নেই। মায়ানমারে যে গণতন্ত্র বিরাজমান তা কার্যত লোক দেখানো গণতন্ত্র। বলা যায় গণতন্ত্রের মুখোশ। ভেতরে ভেতরে আসলে টাটমাডো বা সামরিক শাসন চলছে। এই সামরিক বাহিনী পাশ্ববর্তী দেশ চীনের কথার বাইরে যায় না। চীনই তাদের সকল ক্ষমতার উৎস। সুচি যদি জাতীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ব্যক্তিগত কোনো মতামত দিতে যান, রোহিঙ্গাদের পক্ষে দাঁড়াতে যান, আবার তিনি কারা-অন্তরীণ হবেন। আবার তাকে ফিরে যেতে হবে বন্দিজীবনে। এবার যদি তিনি বন্দি হন, তাকে আরো পাঁচটা নোবেল পুরস্কার দিয়েও মুক্ত করা যাবে কিনা সন্দেহ। ১২ লাখ রোহিঙ্গার জন্য তিনি যদি কারা-অন্তরীণ হন, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তার দেশের বাকি জনগোষ্ঠী। আবার তারা প্রকাশ্য সামরিক শাসনের যাঁতাকলে নিক্ষিপ্ত হবে। মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে প্রচেষ্ঠা চলছে, তা ব্যাহত হবে। সুতরাং সুচিকে আমরা যতই গালি দেই, খিস্তি-খেউড় করি, তার দেশের স্বার্থে তিনি তা করতে পারেন না। তাই বলে কি নিন্দাবাদ বন্ধ করে দিতে হবে? না, মোটেই তা বলছি না। নিন্দাবাদ অব্যাহত থাকুক। তাতে সুচি ও মিয়ানমার সরকার একটা প্রেশারের মধ্যে থাকবে।
.
নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে গত অর্ধ শতক ধরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গরা। শুরুর দিকে কক্সবাজার অঞ্চলের স্থানীয় বাঙালিরা মানবতার স্বার্থে তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল। কিন্তু একটা সময় রোহিঙ্গাদের নানা অপকর্মে স্থানীয়রা অতীষ্ঠ হয়ে পড়ে। কক্সবাজার অঞ্চলে চুরি-ডাকাতি-খুনখারাবি-অপহরণ এবং ইয়াবা চোরাচালানসহ যত অপকর্ম আছে, তার বেশিরভাগই সংঘটিত হতে থাকে রোহিঙ্গাদের দ্বারা। ফলে একদিন যারা মানবতার খাতিরে রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল তারই একটা সময় 'রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটি' গঠন করে শুরু করে 'রোহিঙ্গা হটাও আন্দোলন'। ২০১১ সালে রোহিঙ্গা হটাও আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার সুযোগ হয় আমার। তাদের অভিমতগুলোর কিছু অংশ নিচে তুলে ধরছি। 
.
কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির তৎকালীন সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরীর মন্তব্য : 'মিয়ানমারের অনুপ্রবেশকারী প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা জেলার ২৩ লাখ মানুষের কাছে বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। এরা সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখল করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। এদের দেখাদেখি চোরাই পথে দলে দলে আরও অনেক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। এ অবস্থা এ দেশের জননিরাপত্তার জন্য হুমকি।' রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির তৎকালীন সভাপতি মোজাম্মেল হকের মন্তব্য : '১৯৯৫ সাল থেকে অবৈধভাবে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম চললেও সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন ওরা সংগঠিত হয়ে বাংলাদেশিদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। এদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ না নিলে এখানে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।' মুক্তিযোদ্ধা সুনীল বড়ুয়ার মন্তব্য : 'আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে রেখে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এতে নীরব সমর্থন দিয়ে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা বিদেশি সংস্থা থেকে নানা সুবিধা ভোগ করছে। এ অবস্থায় জেলার শ্রমবাজারও রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গেছে। এতে স্থানীয় দুই লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।' কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মার মন্তব্য : 'জেলার বিভিন্ন স্থানে ৪০ হাজার একরের বেশি সংরক্ষিত পাহাড় দখল করে রোহিঙ্গারা বসতি স্থাপন করলেও বন বিভাগ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অথচ জেলার উদ্বাস্তু তিন লাখ মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই হচ্ছে না।' জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি রমজান আলী বাহাদুরের মন্তব্য, 'এখনই ব্যবস্থা না নিলে এক সময় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কথা বলাও স্থানীয় ব্যক্তিদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।'
.
রোহিঙ্গা প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মন্তব্যগুলো ভালো করে খেয়াল করা দরকার। উদ্বাস্তু রোহিঙ্গারা কক্সবাজারবাসীকে কী সংকটের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, আমরা যারা কক্সবাজার অঞ্চলের বাইরের মানুষ, আমাদের পক্ষে তা সেভাবে বোঝা সম্ভব নয়। 'কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।' তবু আমরা সাম্প্রতিক পরিস্থিতে নতুন করে রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে ঢুকতে দিচ্ছি। কেন দিচ্ছি? দিতে আসলে আমরা বাধ্য হচ্ছি। আশ্রয় দেওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো গতি নেই। মানবতার এই অপমান দেখে উটপাখির মতো আমরা মাথাগুঁজে থাকতে পারি না। বাধ্য হয়ে আমরা মাথা তুলছি। লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছি। নিঃসন্দেহে এটা মানবিক কাজ। কিন্তু এই মানবিকতা প্রচলিত সেই গল্পের মতো : মসজিদের ইমামসাহেব তার মুসল্লিদের বললেন নামাজের সময় মাথায় পাগড়ি বাঁধা সুন্নত। হুজুরের কথামতো এক মুসল্লি পরনের লুঙ্গি খুলে মাথায় বেঁধে নামাজে দাঁড়িয়ে গেল। পাগড়ি বাঁধতে গিয়ে যে তার নিম্নাঙ্গ উদোম হয়ে পড়েছে সেকথা তার খেয়ালে নাই। আমাদের অবস্থাও হয়েছে তেমন। আমাদের নিজেদের সমস্যার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। আমরা এখনো পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার পুরোপুরি সমাধান করতে পারিনি। পাহাড়িদের ওপর চলছে আমাদের নিষ্ঠুর জুলুম। কারণে-অকারণে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরকে আমরা নির্যাতন করছি, ভিটেছাড়া করছি, দেশান্তরি করছি। আমরা এখনো বেকারত্ব ঘুচাতে পারিনি। দারিদ্রতা দূর করতে পারিনি। জঙ্গিবাদ সমস্যায় আমাদের নাকানি-চুবানি হাল। আমাদের পাহাড় পরিমাণ এই সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হলো রোহিঙ্গা সমস্যা।
.
কক্সবাজার জেলা তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি রমজান আলী বাহাদুরের মন্তব্যটি খেয়াল করুন। ২০১১ সালে তিনি বলেছিলেন, 'এখনই ব্যবস্থা না নিলে এক সময় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কথা বলাও স্থানীয় ব্যক্তিদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।' নিঃসন্দেহে এটি তাঁর দূরদর্শী মন্তব্য। তিনি যে আশঙ্কাটি করেছিলেন ইতোমধ্যেই তার বাস্তবরূপ আমরা দেখতে পাচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা দেখছি, কিছু লোক রোহিঙ্গা যুবতীদের বিয়ে করে ঘরে তোলার জন্য উস্কানি দিচ্ছে। কিছু লোক বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ ও পাপাড়ি জনগোষ্ঠীকে এদেশ থেকে খেদিয়ে রোহিঙ্গাদেরকে জায়গা করে দেওয়ার দাবি তুলছে। একটা সময় আসবে, এই 'কিছু' লোকের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে আমাদের দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষদের মাথার ওপর চড়ে বসবে। তারা যাতে চড়ে বসতে পারে, এজন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের ইন্ধনের কথা আগের পর্বে উল্লেখ করেছি। তখন শুধু কক্সবাজার নয়, তারা ঢুকে পড়বে সারা বাংলাদেশে। কেউ ঠেকাতে পারবে না। সরকার ঠেকাবে? পারবে না। সরকারি প্রশাসন দুর্নীতিগ্রস্থ। মাত্র পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশাসন যে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের ন্যাশনাল আইডি কার্ড দিয়েছে তার নজির রয়েছে। স্থানীয় একজন সংসদ সদস্য যে রোহিঙ্গাদেরকে দিয়ে ইয়াবা পাচার করাচ্ছেন, তা তো ওপেন সিক্রেট।
.
আগের পর্বে আমি রোহিঙ্গা জঙ্গিদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই, মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদী শক্তি, মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামি দেশগুলোর ইন্ধনে রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠনগুলো বাংলাদেশ বসেই তাদের তৎপরতা চালাচ্ছে। জেহাদের মধ্য দিয়ে রাখাইন রাজ্যকে স্বাধীন করতে চাচ্ছে। লেখা বাহুল্য, জেহাদি জোশ নিয়ে রাখাইন রাজ্য স্বাধীন করা তো দূরে থাক, তারা রাখাইনের সীমান্তেও পা রাখতে পারবে কিনা সন্দেহ। ইতিমধ্যেই মিয়ানমার বাহিনী সীমান্তে সীমান্তে ভূমি-মাইন পুঁতেছে, যাতে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে। রোহিঙ্গা জঙ্গিদের 'জেহাদ' যে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায় করতে পারবে না তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তারা যদি তাদের অধিকার আন্দোলন থেকে ধর্মকে এক পাশে সরিয়ে জাতিগত পরিচয়কে প্রধান করে সংগ্রামে নামে, তাহলে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন পাওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। কিন্তু তারা তা করবে না। কারণ তারা উগ্র ধার্মিক। জাতি পরিচয়ের চেয়ে মুসলিম পরিচয় তাদের কাছে বড়। আইএসআই ও তার দোসররা আরো বেশি উগ্র হতে তাদেরকে নানাভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ফলাফল? আবু মোর্শেদ চৌধুরীর যাকে বিষফোঁড়া বলেছেন, এই বিষফোঁড়ার যন্ত্রণা বাংলাদেশকেই ভোগ করতে হবে। 
.
খেয়াল রাখতে হবে, পাকিস্তান আমাদের চিরশত্রু। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। আইএসআই যে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতায় মদত দিচ্ছে, তা মিথ্যে নয়। ঢাকাস্থ পাকিস্তান দূতাবাস এখন কাশিমবাজার কুঠির ভূমিকায়। ঢাকাস্থ পাকিস্তানি হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) ফারিনা আরশাদের বিরুদ্ধে যে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছিল, তা মিথ্যে নয়। পাকিস্তান চায় না আমরা শান্তিতে থাকি। আইএসআই যে বাংলাদেশ আশ্রিত রোহিঙ্গা জঙ্গিদের নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে, তা আগের পর্বে লিখেছি। আইএসআইর ইন্ধনে রোহিঙ্গা জঙ্গিরা যদি কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু অংশ ও আরাকান নিয়ে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য জেহাদ শুরু করে দেয়, আমাদের পক্ষে তা সমাল দেওয়া কতটা সম্ভব হবে? রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠনগুলোর লক্ষ্যগুলোর মধ্যে এই লক্ষ্যটিও কিন্তু রয়েছে। এটিকে উড়িয়ে দেওয়া হবে বোকামি। আর, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের ইন্ধনে রোহিঙ্গারা যদি কক্সবাজার অঞ্চলে বসবাসরত বৌদ্ধদের উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে, তা কি থামানো সম্ভব? কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কয়েক বছর আগে রামুর বৌদ্ধবিহারগুলোতে হামলা কিন্তু থামানো যায়নি। রামু ট্রাজেডি বেশিদিন আগের কথা নয়। এই ট্র্র্যাজেডির নেপথ্যে যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিল না, স্থানীয়দের সঙ্গে রোহিঙ্গারাও জড়িত ছিল না, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
.
এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আসলে সম্পূর্ণ অসহায়। আমরা পরিস্থিতির শিকার। বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে ঘোর দুঃসময়। কিন্তু সরকারের কি কিছুই করণীয় নেই? অবশ্যই আছে। করণীয়গুলো কী, আমার চেয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, বোদ্ধামহল ও সরকারের কর্তাব্যক্তিরা ভালো জানেন, ভালো বোঝেন। তাদেরকে জ্ঞান দেওয়াটা হবে হাস্যকর। বহু জাতি-গোষ্ঠী অধ্যুষিত এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার স্বার্থে কী করণীয় তা করতে হবে দ্রুততার সঙ্গে। নইলে বঙ্গোপসাগরের তীর থেকে যে তুফান শুরু হবে, তা ছড়িয়ে পড়বে সমগ্র বাংলাদেশে। সেই ঝড় সামাল দেওয়াটা তখন সহজ হবে না।
.
ইতি
স্বকৃত নোমান 
রোহিঙ্গা সংকট ও সমাধান বিষয়ক প্রস্তাবনা―শেষ পর্ব
ঢাকা ০৯.০৯.৩২০১৭
.
পর্ব-১ লিংক : https://www.facebook.com/Sakrito/posts/1736079889756732
পর্ব-২ লিংক : https://www.facebook.com/Sakrito/posts/1736414566389931
পর্ব-৩ লিংক : https://www.facebook.com/Sakrito/posts/1736743366357051
পর্ব-৪ লিংক : https://www.facebook.com/Sakrito/posts/1736894916341896
পর্ব-৫ লিংক : https://www.facebook.com/Sakrito/posts/1737330592964995

Like
Comment




From: pfc-friends@googlegroups.com <pfc-friends@googlegroups.com> on behalf of Mohamed Nazir <nazir0101@gmail.com>
Sent: Saturday, September 9, 2017 5:38 AM
To: Sitangshu Guha; Shahadat Hussaini; shamsul wares; Nazmus Sakib; Suhas Barua; NewEngland Awami League; N.E. AWAMI LEAGUE; nabdc@googlegroups.com; New England Bnp; Nuran Nabi; pfc; Post Card; zainul abedin; Zoglul Husain
Subject: {PFC-Friends} হিন্দু রোহিঙ্গারা কেন নিজ ঘরে আগুন দিচ্ছে ??
 

হিন্দু রোহিঙ্গারা কেন নিজ ঘরে আগুন দিচ্ছে ??

অমি রহমান পিয়াল এর মত এক ছ্যাছরা অ্যাসাইলামবাদী প্রচার করছিলো রোহিঙ্গাদের অ্যাসাইলাম নেয়ার কারণ নাকি ভুয়া। এ জন্য কিছু ছবিও প্রচার করছে সে।
(http://bit.ly/2xjkRYl, http://archive.is/AltUU)।

তার ছবির উৎসে খুজে পেলাম Shariful Hassan নামক এক ব্যক্তিকে।
Shariful Hassan এর ভাষায়-"নিজ বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে বাংলাদেশে আসা এই রোহিঙ্গা মুমিন্সদের জন্য কয়টা লাইক হবে ফ্রান্স?" (http://bit.ly/2f9Clvj, http://archive.is/7Aatt)

যে লোকটাকে টার্গেট করে তারা মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এতকিছু ছড়াচ্ছে তার উৎস সন্ধানে নেমে গেলাম। ছবিতে ছোট্ট করে লেখা পেলাম Mizzima। সার্চ দিয়ে পেলাম মিয়ানমারের একটি ফেসবুক পেইজ, নাম Mizzima - News in Burmese ।
ফেসবুকে পেইজ গিয়ে ঠিকই খুজে পেলাম এই লিঙ্কে http://bit.ly/2jcjggJ আর্কাইভ- http://archive.is/G20oU । সূত্র অনুসারে গিয়ে কেঁচো খুড়তে বের হয়ে আসলো সাপ, এরা মুসলিম নয় হিন্দু ।

কিছুদিন আগে খবরে পেয়েছিলাম হিন্দু রোহিঙ্গারা নাকি নির্যাতিত হচ্ছে, এরা তাদেরই সদস্য। বাংলাদেশ ও ভারতের হিন্দুরা এদের ভিডিও বানিয়ে প্রচার করেছিলো- মুসলিম রোহিঙ্গারাই নাকি হিন্দু রোহিঙ্গাদের মারছে।
(http://bit.ly/2xbRMx9)

কিন্তু আমার কথা হলো, হিন্দু রোহিঙ্গারা কেন টুপি-হিজাব পরে ঘরে আগুন দিচ্ছে ?
আবার সেই ছবি স্পষ্ট ক্যামেরায় তুলে প্রচার করছে ?
বলছে- "মুসলিম রোহিঙ্গারা আসলে নির্যাতিত হয়নি, তাদের কথা মিথ্যা । এরা মিথ্যা বলে বাংলাদেশে আশ্রয় চাচ্ছে।"

রোহিঙ্গা মুসলমানরা মায়ানমারে কতটুকু নির্যাতিত হয়েছে তা আমরা মিডিয়াতে শুনেছি।
তারা কত কষ্ট করে নদীতে ভেসে জীবন হাতে নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তার কষ্টকর ছবিও আমরা দেখেছি।
তাদের মধ্যে কিছু অংশ বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়েছে শুধু বাংলাদেশীদের সহানুভূতিকে আশ্রয় করে।
কিন্তু একটা গোষ্ঠী সেই সহানুভূতিকে মিথ্যা প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে।

আপনাদের মনে থাকার কথা,
সিরিয়াতে যখন যুদ্ধ শুরু হলো, তখন জীবনটা হাতে নিয়ে কত কষ্ট করে সিরিয়ানরা সমুদ্র পার হয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশ করলো। সিরিয় শিশু আইলানের সমুদ্রে ভেসে আসা লাশের ছবি দেখে ইউরোপীয়ানদের মনে সহানুভূতির জেগে উঠলো, লক্ষ লক্ষ সিরিয় যায়গা পেলো ইউরোপে। কিন্তু এরপরই একটি মহল শরনার্থী সিরিয়দের নামে মিথ্যা কুৎসা রটনা শুরু করলো। প্রচার করলো- তারা নাকি ধর্ষণ করে, জুয়া খেলে, নারী নির্যাতন করে, চুরি করে, খুন করে। নানান মিথ্যা অপবাদ। ধিরে ধিরে ইউরোপীরা শরানার্থী মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠলো। তাদের ক্ষোভ এতটাই বৃদ্ধি পেলো যে, রাস্তায় রাস্তায় তারা শরনার্থী পেটানো শুরু করলো। এমনকি প্যারিস হামলার পর ক্ষোভের চোটে নিরীহ শরনার্থী শিবিরে আগুন দিয়েছিলো ফরাসীরা (http://bit.ly/2weCjZ2)।

যারা মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এ খবরগুলো ছড়াচ্ছে, আমি সেই ইউরোপের দৃশ্যই যেন আবার দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষ যে সহানুভূতি নিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়েছিলো, ঐ গোষ্ঠীটি এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, যেন ইউরোপিয়ানদের মত বাংলাদেশীরাও রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর ক্ষেপে যায় এবং রোহিঙ্গা মুসলমানদের কচুকাটা করে।

সোজা ভাষায় হিন্দুরা চাচ্ছে মুসলমান-মুসলমানের মধ্যে ফাটল ধরাতে। মুসলমান দিয়েই মুসলমান মারতে। হিন্দু কর্তৃক নিজ ঘরে আগুন লাগানোর ছবি তার প্রকৃত উদাহরণ।

See More

--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.


__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___