Banner Advertiser

Monday, January 11, 2010

Re: [mukto-mona] My writing for Muktomona blog




পুরোটা পড়ে তারপরে মন্তব্য করলেই ভাল হবে।
তবে, সূচনাতে কেমন যেন "ধরি মাছ, না ছুঁই পানি" বোধ হল........
Thanks & Regards,
Taif
+8803930010013
+8801717819489


--- On Thu, 31/12/09, I <i@shamim.be> wrote:

From: I <i@shamim.be>
Subject: [mukto-mona] My writing for Muktomona blog [1 Attachment]
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Cc: mukto-mona-owner@yahoogroups.com
Date: Thursday, 31 December, 2009, 6:49 AM

 

সংস্কৃতি হিসাবে ইসলাম

Shamim Ahmed

 

ইসলামকে আমি অভ্রান্ত মনে করিনা। করার দরকারও পরেনা। কারন ইসলাম আমার কাছে একটা স্বংস্কৃতি(Culture)। ইসলামের স্বপক্ষে কোন যুক্তি পেলে আমি আনন্দিত হই কিন্তু বিপক্ষের যুক্তিতে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরেনা; কিছুটা কষ্ট পাই কিন্তু মেনে নেই। সেই অর্থে আমি ধার্মিক নই আবার নাস্তিকও নই। আবারো বলছি ইসলাম আমার কাছে একটা সংস্কৃতি এবং তাই মুসলিম আমার আরো একটা পরিচয় যেমনি বাঙ্গালী বা বাংলাদেশী আমার অন্য একটা পরিচয়। আমি বাঙ্গালীদের সাথে আমার ভাষা ও সংস্কৃতি শেয়ার করে যেমন গর্বিত আবার মুসলিম নামক কোটি কোটি মানুষের দর্শন আচার ইত্যাদি শেয়ার করেও গর্বিত। একটা সংস্কৃতিতে ভাল মন্দ সবই থাকে এবং সময়ের সাথে এর বিবর্তন ঘটে। বাংলা সংস্কৃতির যেমন সবকিছুভালো নয় এর মধ্যেও যেমন একসময় কু-সংস্কার ও অনাচার ছিল কিন্তু যুগের দাবীর কারনে আস্তে আস্তে এগুলো দুরিভূত হচ্ছে তেমনি মুসলিম সভ্যতাও বিবর্তিত হচ্ছে বা আমি অন্তত চাই বিবর্তিত হোক এবং যুগের দাবীকে (সেগুলো কি তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে) মেনে নিক। কেউ মেনে নিক আর না নিক ১৪০০ বছর আগের মুসলিম সমাজ আর আজকের মুসলিম সমাজ কিন্তু এক নয়। মুসলিম সমাজ থেকে দাস প্রথা বিদায় নিয়েছে, বহুগামিতা বিদায়ের পথে। যে কোন বিকাশমান মতবাদের মত মুসলিম সমাজও বিভিন্ন ধারা উপধারায় বিভক্ত হয়েছে এবং এদের মধ্যে আচার ব্যাবহারে যথেষ্ঠ পার্থক্যও লক্ষ করা যাচ্ছে যাকে আমি পজেটিভ হিসাবেই দেখি।

প্রতিটি মতবাদ মানব সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করেছে তেমনি আমি ইসলামের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করি। উক্ত সময়ে ও উক্ত প্রেক্ষাপটে ইসলাম ছিল প্রগতিশীল ধারার একটি কালক্রমে এবং স্বাভাবিক ভাবেই এতে জড়তা প্রবেশ করেছে এবং বিকাশ মন্থর বা রুদ্ধ হয়ে গেছে। আমার মতে এতে করে ইসলাম 'ধর্ম' থেকে একটি সংস্কৃতিতে পরিনত হয়েছে। সংস্কৃতি হিসাবে এর চর্চাকে আমি দোষনীয় মনে করিনা। ইসলামের প্রভাবে ভিন্ন এক স্থাপত্য, সাহিত্য ও শিল্পের যে বিকাশ হয়েছে তার উত্তারাধিকারী হয়ে নিজেকে আমি কোন ভাবেই ছোট মনে করিনা। ইসলাম আমার জন্মভূমিতে জন্ম নেয়নি বটে হয়তো সাম্রাজ্যবাদীদের তলোয়ারের ডগায় চড়ে (কিংবা কোন সুফি সাধকের সাধনার ফলে) ইসলাম আমার এলাকায় প্রবেশ করেছে তার জন্য আমি লজ্জিত (বা গর্বিত) কিন্তু যে পরিবর্তনের পরশ সে এখানে বুলিয়েগেছে তাকে কিভাবে অস্বীকার করি? পশ্চিমারা যদি তাদের জুডিয়-খৃষ্টান (যা মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত) ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করতে পারে (মানা বা না মানার ব্যাপার নয়) তবে মুসলিম হিসাবে আমার অতীতকে ঘৃনা করার কারন দেখিনা।

 আমার মতে ইসলামের সবচেয়ে বড় আবেদন এর একেশ্বরবাদ। আমি প্যাগান নই এবং তার অনুপ্রেরনা পেয়েছি ইসলাম থেকে। আমি বিশ্বাস করি অগ্নি, সুর্য, চন্দ্র এবং এই বিশ্ব জগতের কেউ আমার পূজনীয় হতে পারেনা কারন আমি তাদের চেয়ে কোন অংশে কম নই। যে সব আদিম কনিকা বা শক্তির বিক্রিয়াতে ঐ সববস্তু সৃষ্টি তা আমাতেউ আছে। আমি ঐ সবকে আমার 'সহোদর' ভাই/বোন মনে করি। তবে আমি মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীবও মনে করিনা। যে ঘটনা বা দুর্ঘটনার কারনে স্বতস্ফুর্ত বা ব্লু-প্রিন্টের কারনে সুর্য, চন্দ্র সৃষ্টি তারই ধারাবাহিকতায় মানুষও একটি উৎপন্ন বস্তু/জীব মাত্র। মানব সৃষ্টিই চুড়ান্ত অধ্যায় নয়। বিশ্ব বিবর্তনের চলমান ধারায় মানুষ কোন ক্ষনিক মধ্যবর্তি উপজাত মাত্র এবং বিবর্তনের প্রয়োজনে একদিন মানুষের বর্তমান রূপ একদিন বিলিন হয়ে যাবে। আমি ধর্মগুলোর 'বিশ্ব দৃষ্টি' মানি আবার মানিনা। আইনষ্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ব যেমন ভিন্ন ভিন্ন রেফারেন্স পয়েন্টের ইঙ্গিত দেয় এবং ভিন্ন ভিন্ন রেফারেন্স পয়েন্টে যেমন ভৌত ধর্মগুলোর পরিমাপ আলাদা হয় কিংবা অধুনা কালের প্যারালাল ইউনিভার্সের ধারনা যেমন নির্দেশ করে যে প্রতিটা প্যারালাল ইউনিভার্সে ভৌতধর্মগুলো এক নাও হতে পারে (যেমন আমাদের জগতে গ্র্যাভিটি হচ্ছে কিং অন্য জগতে গ্র্যাভিটির ভূমিকা হয়তো সীমিত বা অনুপস্থিত)  তদ্রুপ সীমিত অর্থে আমাদের ইউনিভার্সে ও সীমিত সময়ের পরিধিতে ইসলামের 'বিশ্ব দৃষ্টি' একদম অমুলক নয়। ছোট বেলায় বিজ্ঞান বইতে পড়েছিঃ আলো সরল পথে চলে কিন্তু বড় হয়ে জানতে পারলাম আলো সরল পথে চলেনা। আলোর তরঙ্গ ধর্মের কারনে আলো তিখন ধার যুক্ত বস্তুর জ্যামিতিক ছায়া অঞ্চলে প্রবেশ করে। তাহলে ছোট বেলায় বিজ্ঞান বইতে ভূল শিখানো হয়েছে? আসলে এখানেই সাধারন সত্য ও বিশেষ সত্যের মধ্য পার্থক্য। সাধারন সত্য হচ্ছে আলো সরল পথে চলে কিন্তু বিশেষ সত্য হলো আলো বক্র পথেউ চলতে পারে।

আমি মনে করি ইসলামের অনেক সত্যই সাধারন সত্য এবং সাধারন মানুষ বিশেষতঃ তৎকালীন আরবের মানুষের এর চেয়ে বেশী জানার প্রয়োজন ছিলনা ( প্রসঙ্গত বলে রাখি শুনেছি আল্লাহ জিব্রাইলের মাধ্যমে দুই প্রকার ওহী নাযিল করতেন এক প্রকার ওহী ছিল সাধারন বা পাবলিক ওহী যা কোরআনে লিপিবদ্ধ করা হয় আরেক প্রকার ওহী ছিল বিশেষ বা প্রাইভেট ওহী যা প্রকাশ করা নিষিদ্ধ ছিল) সুতরাং সীমিত পরিসরে ঐ আমলে ইসলাম যে বিশ্ব দর্শন দিয়েছিল তা একেবারে খারাপ ছিলনা। তবে বর্তমান যুগে তার কোন উপযোগিতা আছে কি? আপাত দৃষ্টিতে হয়তো তার উপযোগিতা খুবই কম। তবে ঐ দর্শন একেবারে ফেলে দেয়া ঠিক নয়। এটি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ এবং অহংকার। তাছাড়া সাবধানতা বশতঃ একটু সংশয়বাদী হওয়া ভালো। বর্তমান বিজ্ঞান আমাদের কতটুকু নির্ভূল তথ্য দিচ্ছে তা নিয়ে একটু সন্দেহ থাকা ভালো। আমরা বারবার অতীতের জ্ঞান প্রবাহ থেকে অহমিকা ও অজ্ঞতা বশতঃ নিজেদের বিচ্ছিন্ন করেছি। মায়া সভ্যতা হাজার বছর আগে জৌতিষ বিদ্যায় উৎকর্ষ লাভ করেছিল তার সমমান আমরা সবেমাত্র অর্জন করেছি। আগ্রাসী স্প্যানিশরা যদি মায়া সভ্যতাকে চুর্ন না করত তা হলে হয়ত আমাদের আবার শুরু থেকে শুরু করতে হতোনা। আমরা যে জ্ঞান বিজ্ঞানের উৎকর্ষ নিয়ে বড়াই করে তাদের আদিম অর্বাচিন ও অজ্ঞ মনে করছি প্রাচিন অনেক সভ্যতার যেটুকু উদ্ধার হয়েছে তাতে লজ্জায় আমার মাথা হেট হয়ে আসে, নিজেকে বর্বর মনে হয়।

আমি বিশ্ব বা জগত সৃষ্টির পিছনে একটা ব্লু-প্রিন্ট দেখতে পাই। অনেকে মনে করেন জগত স্বতস্ফুর্ত ভাবে সৃষ্টি হয়েছে। আমি মনে করে স্বতস্ফুর্ত আর পরিকল্পিত আসলে একই কথার ভিন্ন রূপ। স্বতঃ মানে (নিজের) খেয়াল অনুসার। অর্থাৎ খেয়ালকে অনুসরন করে মানে কোন কিছুকে অনুসরন করে মানে খেয়াল হচ্ছে লক্ষ তাকে অনুসরন করে। বিশ্বের যেমন কোন সরল রেখাই যেমন সরল নয় (কারন বিশেষ সঙ্গা মতে সরল রেখা হচ্ছে এমন একটি বক্র রেখা যার ব্যাসার্ধ অসীম) তেমনি কোন র‌্যান্ডম নাম্বারই সত্যিকার ভাবে র‌্যান্ডম নয়। সব র‌্যান্ডম নাম্বার জেনারেটরই প্রকৃত পক্ষে পিরিয়ডিক। ভালো র‌্যান্ডম নাম্বারের বৈশিষ্ঠ হচ্ছে এই পিরিয়ডকে যথাসম্ভব লম্বা করা। আদর্শ র‌্যান্ডম নাম্বার জেনারেটরের পিরিয়ড অসীম লম্বা আর অসীম হচ্ছে এমন এক ইভেন্ট হরাইজন যার বাইরে মানুষের জ্ঞান অসহায় হয়ে পড়ে। তাই আপাত দৃষ্টিতে সমস্তকিছু অসংলগ্ন মনে হলেউ জগতের সমস্ত আয়োজন আসলে আমার মতে একই ব্লু-প্রিন্টের বাস্তবায়ন। আর এই ব্লু-প্রিন্টই আমার ইশ্বর বা আল্লাহ। (চলবে)



The INTERNET now has a personality. YOURS! See your Yahoo! Homepage.

__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___