Banner Advertiser

Monday, August 22, 2011

Re: [ALOCHONA] Vague War Criminal Trial



It seems working on this issue is not a priority. If it was a genuine concern of people in power, they would have done better home work on it. Now this is heading for a gridlock and it seems no one (Other than political opponents) will ever see any persecution for crimes committed during 71.


How sad...



-----Original Message-----
From: Banglar Bhuiyan <banglar_12_bhuiyan@yahoo.com>
To: alochona <alochona@yahoogroups.com>; alapon <alapon@yahoogroups.com>; khabor <khabor@yahoogroups.com>; chottala <chottala@yahoogroups.com>
Sent: Sun, Aug 21, 2011 1:44 pm
Subject: [ALOCHONA] Vague War Criminal Trial

 
যুদ্ধাপরাধের বিচার বিষয়ে রোম স্টাটিউটের বিধান
অভিযোগ উঠলে নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউ বিচারকাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না
সামছুল আরেফীন : ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিজামুল হক নাসিমের বিরুদ্ধে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি (ঘাদানিক) গঠিত  জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। যেই গণআদালত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে মাঠে ময়দানে সোচ্চার ছিল, দুই দফা তালিকা করে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল, সেই আদালতের সাথে যুক্ত ব্যক্তিই এখন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান। এই অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডস এর সদস্য, ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লর্ড এভিবেরি। নিজামুল হক নাসিম যে গণআদালতের সাথে যুক্ত ছিলেন তা বর্তমানে ঘাদানিক সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সম্পাদিত বই-এ উল্লেখ রয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি অনুযায়ী, কোন বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে, তা নিত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি আর বিচারকার্যের সাথে যুক্ত থাকতে পারেন না। নিজামুল হক নাসিম শুধু গণআদালতের সাথেই যুক্ত ছিলেন না, তিনি ছাত্রজীবনে মুজিববাদী ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথেও যুক্ত ছিলেন। ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যানই নয়, চিফ প্রসিকিউটরসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধেও রয়েছে একই অভিযোগ। আজকে যাদের ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে, গণআদালতে তাদের বিরুদ্ধেই ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) এর রোম স্ট্যাটিউট অংশীদার। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই এর অনুমোদন করেছে। তাই আইসিসি এর অপরাধের উপাদান, আইসিসি'র কার্যপ্রণালি, মামলার দলিল বাংলাদেশের নাগরিকদের ব্যাপারেও প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনট্যান্ট অন সিভিল এন্ড পলিটিক্যাল রাইট্স (আইসিসিপিআর)সহ বহু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি, কনভেনশন এর অনুসমর্থন দিয়েছে।
রোম স্ট্যাটিউট অনুযায়ী, কোন বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে তা নিত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি আর বিচারকার্যে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। রোম স্ট্যাটিউট এর আর্টিক্যাল-৪১ এর ২(এ) তে বলা হয়েছে, A judge not participate in any case in which his or her impartiality might reasonably be doubted on any ground. A judge shall be disqualified from a case in accordance with this paragraph. if, inter alia, that judge has previously been involved in any capacity in that case before the Court or in a related criminal case at the national level involving the person being investigated or prosecuted. A judge shall also be disqualified on such other grounds as may be provided for in the Rules of Procedure and Evidence.
এ ছাড়া আইসিজে স্ট্যাটিটিউ এর আর্টিক্যাল ১৭(২) এবং ৩ অনুযায়ী কোন বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে তা নিত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারক বিচারকার্য থেকে বিরত থাকবেন। আইসিটিওয়াই (যুগোশ্লাভিয়ার ট্রাইব্যুনাল)-এর রুল ১৫(এ) অনুযায়ী, কোন বিচারকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আসলেই তাকে সংশ্লিষ্ট মামলার কাজ থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
লর্ড এভিবেরির অভিযোগ
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক আহমদের সাথে বৈঠককালে যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডস এর সদস্য, ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লর্ড এভিবেরি বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে ২০টি সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল, ট্রাইব্যুনালের সদস্যরা ১৯৯০ সালে গণতদন্ত কমিশন (গণআদালত)-এর সদস্য ছিলেন, যেখানে-এর বিচার হয়েছিল। সেখানে অভিযুক্তদের শাস্তি দেয়া হয়েছিল, মৃত্যুদন্ডও দেয়া হয়েছিল। এখন সেই অভিযুক্তদেরই বিচারের সম্মুখিন করা হচ্ছে। আর যারা সে সময় বিচারের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, তারাই এখন ট্রাইব্যুনালের সাথে যুক্ত।
বৃটিশ আইন বিশেষজ্ঞের অভিযোগ
বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী বিচারের নামে রাজনৈতিক উদ্দেশে বড় ধরনের প্রহসনের আয়োজন করা হয়েছে বলে মনে করেন বিশিষ্ট বৃটিশ আইন বিশেষজ্ঞ জন কামেগ। ওয়াশিংটনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গঠন এবং কিছুসংখ্যক বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদকে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য অভিযুক্ত করে তাদের বিচারের নামে বড় ধরনের প্রহসনের আয়োজন করেছে। এ বিচার সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং যাদেরকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের অনেকেই ইতিপূর্বে 'গণআদালত' গঠন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রায় প্রদানের সাথে জড়িত ছিলেন।
গণআদালতের সেক্রেটারিয়েট সদস্য নাসিম
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি  (ঘাদানিক)  গঠিত  জাতীয়  গণতদন্ত কমিশনের সেক্রেটারিয়েট এর সদস্য ছিলেন। এ তদন্ত কমিশন বর্তমানে কারাবন্দি ছয় নেতৃবৃন্দসহ  মোট ১৬ জনকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করে দুই দফা তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করে ১৯৯৪ এবং ১৯৯৫ সালে। গণতদন্ত কমিশনের সেক্রেটারিয়েট এর কাজ ছিল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজে কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা করা। 
বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম গণতদন্ত কমিশনের সাথে সম্পৃক্ত থাকা ছাড়াও ১৯৯২ সালে গণআদালতের রায় বাস্তাবায়নের দাবিতে তখন সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত গণআদালতের ধারাবাহিকতায় ১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও  ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করে জাতীয় গণতদন্ত কমিশন। কবি সুফিয়া কামালকে করা হয় এর চেয়ারম্যান। কমিশন ১৬ জনের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে যুদ্ধপারাধের অভিযোগ তদন্ত করে।
যে তদন্ত কমিশন বর্তমানে আটক নেতৃবৃন্দকে আগেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে সেই কমিশনের সাথে সম্পৃক্ত হাইকোর্টের তৎকালীন এডভোকেট (বর্তমানে বিচারপতি) নিজামুল হক নাসিমকে করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমও তখন গণতদন্ত কমিশনের সেক্রেটারিয়েট সদস্য ছিলেন। ট্রাইব্যুনালের চিফ
প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু গণআদালতের রায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে জাহানারা ইমামের সাথে ঢাকা, রাজশাহীসহ সারাদেশে অসংখ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম শুধু যে গণতদন্ত কমিশনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তাই নয় বরং জাহানরা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত গণআদালত ১৯৯২ সালে জামায়াতের তৎকালীন আমীর প্রফেসর গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যে ফাঁসির রায় দিয়েছিল সেই রায় বাস্তবায়নেরও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। গণআদালতের রায়ের প্রতি আইনানুগ ব্যবস্থা  গ্রহণের দাবি জানিয়ে ১৯৯২ সালের ১০ এপ্রিল শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের একটি সভা হয়। এ সভায় অংশগ্রহণ করেন বর্তমানে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক। এ বিষয়ে ১৯৯২ সালে ১১ এপ্রিল দৈনিক সংবাদে পরিবেশিত প্রতিবেদনে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের নাম রয়েছে।
তাছাড়া গণআদালতের কারণে জাহানারা ইমামসহ যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে তখন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছিল সেই মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের সাথে তখন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমও আইনী সহায়তা প্রদান করেন। যুদ্ধাপরাধ তদন্তে কবি সুফিয়া কামালকে চেয়ারম্যান করে যে  জাতীয় গণতদন্ত কমিশন গঠন করা হয় সেই কমিশনকে তাদের কাজে সহায়তা করার জন্য গঠন করা হয় তদন্তকমিশন সেক্রেটারিয়েট। আইনজীবী, সাংবাদিক এবং লেখকদের সমন্বয়ে মোট ৪০ জন সদস্য ছিলেন সেক্রেটারিয়েটে।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম যে ঘাদানিক ও গণতদন্ত কমিশনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তার প্রমাণ গণতদন্ত কমিশনের প্রথম ও দ্বিতীয় রিপোর্ট, শাহরিয়ার কবির সম্পাদিত এবং লিখিত দুটি বই যথাক্রমে 'একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার', 'গণ আদালতের পটভূমি'  এবং বিবিসি সাংবাদিক সাবির মুস্তাফা অনূদিত গণতদন্ত কমিশনের ইংরেজি ভার্সনসহ  (রিপোর্ট অন দি ফাইন্ডিংস অব দি পিপলস ইনকোয়ারি কমিশন..) সর্বত্র নিজামুল হক নাসিমের  নাম উল্লেখ রয়েছে সেক্রেটারিয়েট সদস্য হিসেবে।
বর্তমানে কারাবন্দি মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আব্দুল কাদের মোল্লাসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের তদন্তে জাতীয় গণতদন্ত কমিশন গঠন করা হয় ১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল সমন্বয় কমিটি এ  কমিশন গঠন করেন। শাহরিয়ার কবির সম্পাদিত এ বিষয়ক বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত গণআদালত গোলাম আজমের যে প্রতীকী ফাঁসির রায় দিয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত এবং তাদের বিচারের দাবিতে জনমত তৈরির লক্ষ্যে গঠিত হয় গণতদন্ত কমিশন।
১৯৯৪ সালের ২৬ মার্চ প্রথম দফায় কমিশন আটজনকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরা হলেন আববাস আলী খান, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আব্দুল আলীম (বর্তমানে জামিনে মুক্ত) মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মাওলানা আব্দুল মান্নান, আনোয়ার জাহিদ এবং আব্দুল কাদের মোল্লা।
১৯৯৫ সালের ২৬ মার্চ কমিশন তাদের দ্বিতীয় প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এখানে যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করা হয়  তারা হলেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মাওলানা এ কে এম ইউসুফ, মাওলানা আব্দুস সোবহান, এ এস এম সোলায়মান, মোহাম্মদ আয়েন উদ্দিন, এবিএম খালেক মজুমদার এবং ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন।
নিজামুল হক নাসিমের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা
বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে অধ্যয়নকালে এস এম হলের একজন ছাত্র ছিলেন। তিনি এস এম হল শাখার জাসদ ছাত্র লীগের জিএস নির্বাচিত হন। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ১৯৬৭ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে ভর্তি হন। এর আগে পটুয়াখালি সরকারি কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে অধ্যয়নকালে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ছাত্রলীগের (আওয়ামী লীগ) একজন সাধারণ মানের কর্মী/সমর্থক ছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন তার কলেজ জীবনের পরিচিতরা।


__._,_.___


[Disclaimer: ALOCHONA Management is not liable for information contained in this message. The author takes full responsibility.]
To unsubscribe/subscribe, send request to alochona-owner@egroups.com




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___