If Islam is so accurate and transparent, then how could eight people of Bangladesh were tortured by the law enforcers of the Islamic paradise for the Muslims on earth called "Saudi Arabia?" Were the investigators, prosecutors, and judges of Saudi Arabia working under the influence of Satan? Did all of them go under the influence of Satan at the same time? Was there not a single Islamic voice like Mr. Hannan, who could point out the misjudgment on the case of eight human beings? It was not a trivial matter. There was a huge difference between the beheading and jail for the accused (subsequently convicted). The former punishment took their lives in a brutal manner while the latter punishment would allow them to remain alive. As it appears, there was not a single voice against the irregularities performed in the name of Islam. How could it happen? After all, the aforementioned people do not work for a Satanic Kingdom; they live in and work for an Islamic Kingdom.
Shabbir Ahmed
From: S A Hannan <sahannan@sonarbangladesh.com>
To: inquisitive_sisters@yahoogroups.com
Sent: Monday, October 24, 2011 7:22 AM
Subject: [mukto-mona] FW: Bichar Prokassho--article on Saudi Justice and my comments [1 Attachment]
To: inquisitive_sisters@yahoogroups.com
Sent: Monday, October 24, 2011 7:22 AM
Subject: [mukto-mona] FW: Bichar Prokassho--article on Saudi Justice and my comments [1 Attachment]
See the article below and comments on that.
From: Kazi Mustak Rahman [mailto:mustakmba@yahoo.com]
Sent: Saturday, October 22, 2011 9:39 PM
Sent: Saturday, October 22, 2011 9:39 PM
‡jL‡Ki A†bK K_vi mv‡_ Avwg GKgZ bB | †Kvb gymwjg g‡b K‡i bv †h g„Zy¨`Û Bmjvgx weavb bq? cÖkœ n‡"Q wePviwU mwVK n‡Z n‡e| cÎ-cwÎKvi wi‡cv‡U© Ges Zv‡`i AvZœxq-¯^Rb‡`i K_vq †`Lv hv‡"Q †h, Zv‡`i Dci AgvbweK wbh©vZb K‡i ¯^xKvi Dw³ Av`vq Kiv n‡q‡Q| myZivs Zv‡`i wePvi A‰ea n‡q hv‡"Q| hw` †Rvi c~e©K ¯^xKvi Dw³ Av`vq Kiv bv n‡Zv, Zvn‡j nq‡Zvev Zv‡`i g„Z¨y`Û bv n‡q †Rj n‡Zv|
Avgiv Rvwb Bmjvg ¯^"Q Ges Revew`wnZvq wek¦vl K‡i| Bmjvg wbf~©j| †h †Kvb †`‡ki wePvi cÖwµqvq AwePvi Ges f~j _vK‡Z cv‡i| Avgiv †hb Avjvn Ges ivm~j Qvov Kv‡ivi cÖwZ Avm³ bv nB| Avgv‡`i cÖavb weavb n‡"Q KziAvb Ges nv`xQ| myZivs †mwU Avgv‡`I AbyKibxq Ges Abymibxq|
‡gv: †gv¯—vwdRyi ingvb.
Top of Form
সার্চ
Bottom of Form
উপ-সম্পাদকীয় http://www.dailynayadiganta.com/details/6669
বিচার প্রকাশ্য
মুহম্মদ বিন আজিজ
বিচার চিরকালই প্রকাশ্য। কারণ বিচারক আল্লাহ এবং তাঁর বান্দাদের কাছে দায়বদ্ধ। পক্ষান্তরে অবিচার-অনাচার সব সময়ই অপ্রকাশ্য, গোপনীয়। কারণ অবিচার মুখ ঢেকে চলে, আল্লাহর বান্দাদের কাছ থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্য সে শুধু ব্যর্থ প্রয়াস পায়। মানুষ যাতে তার চালাকি ধরে না ফেলে সে জন্য সে বিভিন্ন বাহানার সৃষ্টি করে। শান্তি-সভ্যতার ললিত বাণী শোনায়।
২০১১ সালের ৯ অক্টোবর সৌদি আরবে আটজন বাংলাদেশী নাগরিককে খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় এবং প্রকাশ্য শিরশ্ছেদের মাধ্যমে আদালতের আদেশ কার্যকর করা হয়। বাংলাদেশের কিছু মানুষ এতে ক্ষুব্ধ হয় এবং এ কাজকে তারা 'বর্বরোচিত' বলে নিন্দা করে। তারা এ বিচারকে 'মধ্যযুগীয় বর্বরতা' বলে ঘোষণা করে।
অথচ এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট ব্যক্তির ব্যাখ্যায় যে বিষয়গুলো উঠে আসে সেগুলো নিম্নরূপ:
১. বিচার আল্লাহর আইন অনুযায়ী হয়েছে। এ আইনের ওপর মানুষের কোনো হাত নেই।
২. আল্লাহর জ্ঞান-বুদ্ধি মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধির চেয়ে বেশি। কাজেই এ বিচার নিয়ে অজ্ঞ মানুষের কথা বলা শোভা পায় না।
৩. নিহত ব্যক্তির পরিবার যদি হত্যাকারীদের ক্ষমা করত তা হলে এ শাস্তি কার্যকর হত না। সৌদি আরবে এ রকম ক্ষেত্রে বহুবার এমনো ঘটেছে যে, শাস্তি আরোপের ঠিক আগ মুহূর্তে নিহতের পরিবার হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেয়ায় শাস্তি আরোপিত হয়নি। কিন' এ আটজনের ক্ষেত্রে সে রকম ক্ষমা পাওয়া যায়নি বলে শাস্তি আরোপিত হয়েছে।
৪. নিহতের এবং নিহতের পরিবারের সুবিচার পাওয়ার জন্য মানবিক অধিকার আছে। নিহতের পরিবার ছাড়া অন্য কারো ক্ষমা করার কোনো অধিকার নেই। কিসাস বা মুক্তিপণ গ্রহণ করে হলেও নিহতের পরিবার ক্ষমা করতে পারত, কিন' তারা মুক্তিপণের প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
৫. একজনের হত্যার বিচারে শুধু আটজন কেন, যদি এক গ্রামের সব মানুষ জড়িত থাকে তবে সবারই শিরশ্ছেদ হবে।
৬. হত্যাকারীরা হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেছে। মোট ১১ জনের মধ্যে আটজনের স্বীকারোক্তি পাওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। অন্য তিনজনের সরাসরি সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদের অপরাধের গুরুত্বানুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তি হয়েছে।
৭. সৌদি আরবে নিজের নাগরিকেরাও একই শাস্তি ভোগ করে থাকে। ওই একই দিনে একজন সৌদি নাগরিকের শিরশ্ছেদ হয়েছে একজন আফগান নাগরিককে হত্যার দায়ে। এমনকি সৌদি রাজপরিবারের কোনো লোকও এরূপ শাস্তি থেকে রেহাই পায় না।
৮. আল্লাহর আইন কার্যকর করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না।
৯. ফাঁসিতে যে কষ্ট হয় তরবারির আঘাতে শিরশ্ছেদ হলে তার চেয়ে কষ্ট অনেক কম হয়।
১০. হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ২০০৭ সালে। অতঃপর দীর্ঘ দিন ধরে বিচার কার্য চলেছে। তথাকার বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে দোভাষী নিয়োগ করে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
১১. বিচারের মান যথাযথ; বরং অন্য আইনে সংঘটিত বিচারই যথাযথ নয়।
ওপরের বিষয়গুলো ভালোভাবে দেখলে অবশ্যই বিচার সুষ্ঠু হয়েছে। কিন' অন্তরে যাদের ব্যাধি রয়েছে, যারা ইসলামের নাম শুনলেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে, যারা সভ্যতা বলতেই মদ্যপ সংস্কৃতি বুঝে থাকে তারা এর ঘোর বিরোধী। প্রতিবাদী লোকজনের তালিকা দেখলেই তা বোঝা যায়। কথিত আধুনিক বিচারের অবিচার তারা প্রতিদিন দেখছে তথাপি আধুনিকতার মোহ কাটে না। ইসলামি বিচার দেখলেই মেজাজ বিগড়ে যায়। মধ্যযুগীয় বলে মনে হয়। এ ব্যাপারে বিশ্লেষণী বক্তব্য হলো:
১. মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলতে কখনো কোনো কিছু ছিল না। যারা বর্বর তারা আজো বর্বর। বর্বরতার কোনো যুগ থাকে না। ইসলামি ব্যবস'া বরং বর্বরতারই বিরুদ্ধ ব্যবস'া। কোনো ঘটনাকে তারা বর্বরতা বলবেন? আটজন মিলে একজনকে হত্যা করা বর্বরতা নাকি হত্যাকারীদের বিচার করাটা বর্বরতা?
২. মানবাধিকার সংস'া নাম দিলেই মানবাধিকারের প্রবক্তা হওয়া যায় না। মানবাধিকার জিনিসটা আগে বুঝতে হবে। আটজন মানুষ মিলে যখন একজন মানুষকে হত্যা করেছিল, কথিত মানবাধিকার কর্মীরা তখন কোথায় ছিলেন? নিহতের জন্য কোনো মানবাধিকার নেই? মানবাধিকার কি শুধু হত্যাকারীর জন্য?
৩. কথিত আধুনিক বিচারেও তো হত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ইসলামি বিচারে মৃত্যুদণ্ড হলে সমস্যাটা কোথায়? 'ইসলাম' শব্দটায়?
৪. এ বিশ্বে একজনের মৃত্যুর জন্য ৩৪ জনের পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড হয়েছে, আটজনের ক্ষেত্রে দোষ কোথায়?
৫. গোপনে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মধ্যে মানবিকতা কোথায়? মৃত্যুকালে সে তো কারো সাথে দু'টো কথাও বলতে পারে না, কোনো নিজস্ব লোক উপসি'ত থাকতেও পারে না। যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে চিরদিনের জন্য বিদায় নিয়ে যাচ্ছে তার প্রতি ওই গোপন ব্যাপারটাই বরং জঘন্য অন্যায়। অমানবিক। 'ট্রান্সপারেন্সি' নীতির পরিপন'ী। তা ছাড়া, দুনিয়ায় যত প্রকার মৃত্যুর ব্যবস'া আছে তন্মধ্যে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার নিমর্মতাই সবচেয়ে বেশি। এ কারণেই গলায় ফাঁস লাগানোর মৃত্যুতে মানুষের চোখ ঠিকরে বাইরে বেরিয়ে আসে এবং জিভ বেরিয়ে পড়ে, যা অসহনীয় কষ্টেরই পরিচয় বহন করে। কথিত 'আধুনিক' বিচারের এই দুষ্ট ব্যবস'াই তো বরং চরম বর্বরতা। আশ্চর্য! ওটাই ওনাদের ভালো লাগল।
৬. ইসলামি বিচারে ক্ষমার ব্যবস'া আছে, যেটা কথিত ওই 'আধুনিক বিচারে নেই। একমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গই ক্ষমা করতে পারে, অন্য কেউ ক্ষমা করার বিষয়টি আর এক জঘন্য অন্যায়। এরূপ ক্ষমা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির ওপর ক্ষমতাবান ব্যক্তির চাপিয়ে দেয়া অবিচার মাত্র। এটি বরং বিচারব্যবস'াকেই হত্যার শামিল। অনৈসলামি বিশ্ব এ রকম হত্যা প্রতিনিয়ত করছে। তারপরও ওটাই ওনাদের ভালো লাগল?
৭. প্রকাশ্য বিচারে আপামর জনসাধারণ সতর্ক হতে পারে। দৃষ্টান্ত দেখে অন্যায়-অপরাধ থেকে নিজেদের দূরে রাখার সুশিক্ষা নিতে পারে। এ দেশে সর্বদা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস'া করতে স্লোগান হয়।
৮. যারা প্রতিবাদ করেছে তারা কেউ কুরআন চর্চাও করে না, কুরআন বোঝেও না। আল্লাহ সম্পর্কেও তাদের কোনো ধারণাও নেই। তাদের প্রশ্নাবলির ধরন দেখেই বোঝা যায় যে, তাদের কোনো বিচারজ্ঞানও নেই। অবিচারই তাদের বিচারজ্ঞান। ওটাই বর্বরতা।
৯. যার সন্তান নিহত হয়েছে, যার পিতা নিহত হয়েছে, যার স্বামী নিহত হয়েছে সুবিচার পাওয়ার তার ১০০% অধিকার আছে। যে হত্যা করেছে মানবাধিকার তার একার নয়, ওটা তার পিতৃসম্পত্তিও নয়। কিসাস আদায় ব্যতিরেকে অথবা নিহতের পরিবারের ক্ষমার ভিত্তিতে সমাজে নতমস্তক না করে তাকে বাঁচিয়ে রাখলে খৃুনের নেশায় খুন করা তার নিত্যনৈমিত্তিক কাজে পরিণত হবে। তার জন্য ওটা বাহাদুরির ব্যাপার হবে, পেশা হওয়াটাও বিচিত্র নয়। আমাদের দেশটি এ কথার চমৎকার একটি উদাহরণ হয়ে আছে। 'পেশাদার খুনি' কথাটাও আমাদের ভাষায় বেশ চমৎকার মানিয়ে গেছে। মানবাধিকারের বিষয়টি যদি মানবাধিকারকর্মী নিজেই বুঝতে না পেরে সমাজে অমানবিকতার বীজ বপনে সাহায্য করেন তাহলে বিপর্যয় অনিবার্য।
১০. বাংলাদেশী লোক সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে বলে সেন্টিমেন্টাল হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে, এরূপ ধারণা বিবেক-বুদ্ধির পরিচয় বহন করে না। দেশের অভ্যন্তরেও কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটে গেলে মৃত্যুদণ্ডই হয়ে থাকে। ওই আটজন দেশে থেকে কোনো মিসরীয়কে হত্যা করলে আমাদের আদালতও তাদের মৃত্যুদণ্ডই দিতেন বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। যেহেতু আমাদের আইনেও হত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। বিষয়টা দুঃখজনক সন্দেহ নেই, কিন' কোনো আদালতের রায়ের ব্যাপারে সেন্টিমেন্টাল হওয়া ঠিক নয়। আমাদের আদালত যেমন আদালত, সৌদি আরবের আদালতও তেমনি আদালত, সেন্টিমেন্টের বশবর্তী হয়ে এটুকু ভুললে চলবে না। সেন্টিমেন্ট কোনো জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয়। বিদেশীদের ব্যাপারে কথা বলার সময়ও সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। বেফাঁস কথা বলা আমাদের রাষ্ট্রীয় নীতির পরিপন'ী।
২০১১ সালের ৯ অক্টোবর সৌদি আরবে আটজন বাংলাদেশী নাগরিককে খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় এবং প্রকাশ্য শিরশ্ছেদের মাধ্যমে আদালতের আদেশ কার্যকর করা হয়। বাংলাদেশের কিছু মানুষ এতে ক্ষুব্ধ হয় এবং এ কাজকে তারা 'বর্বরোচিত' বলে নিন্দা করে। তারা এ বিচারকে 'মধ্যযুগীয় বর্বরতা' বলে ঘোষণা করে।
অথচ এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট ব্যক্তির ব্যাখ্যায় যে বিষয়গুলো উঠে আসে সেগুলো নিম্নরূপ:
১. বিচার আল্লাহর আইন অনুযায়ী হয়েছে। এ আইনের ওপর মানুষের কোনো হাত নেই।
২. আল্লাহর জ্ঞান-বুদ্ধি মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধির চেয়ে বেশি। কাজেই এ বিচার নিয়ে অজ্ঞ মানুষের কথা বলা শোভা পায় না।
৩. নিহত ব্যক্তির পরিবার যদি হত্যাকারীদের ক্ষমা করত তা হলে এ শাস্তি কার্যকর হত না। সৌদি আরবে এ রকম ক্ষেত্রে বহুবার এমনো ঘটেছে যে, শাস্তি আরোপের ঠিক আগ মুহূর্তে নিহতের পরিবার হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেয়ায় শাস্তি আরোপিত হয়নি। কিন' এ আটজনের ক্ষেত্রে সে রকম ক্ষমা পাওয়া যায়নি বলে শাস্তি আরোপিত হয়েছে।
৪. নিহতের এবং নিহতের পরিবারের সুবিচার পাওয়ার জন্য মানবিক অধিকার আছে। নিহতের পরিবার ছাড়া অন্য কারো ক্ষমা করার কোনো অধিকার নেই। কিসাস বা মুক্তিপণ গ্রহণ করে হলেও নিহতের পরিবার ক্ষমা করতে পারত, কিন' তারা মুক্তিপণের প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
৫. একজনের হত্যার বিচারে শুধু আটজন কেন, যদি এক গ্রামের সব মানুষ জড়িত থাকে তবে সবারই শিরশ্ছেদ হবে।
৬. হত্যাকারীরা হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেছে। মোট ১১ জনের মধ্যে আটজনের স্বীকারোক্তি পাওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। অন্য তিনজনের সরাসরি সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদের অপরাধের গুরুত্বানুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তি হয়েছে।
৭. সৌদি আরবে নিজের নাগরিকেরাও একই শাস্তি ভোগ করে থাকে। ওই একই দিনে একজন সৌদি নাগরিকের শিরশ্ছেদ হয়েছে একজন আফগান নাগরিককে হত্যার দায়ে। এমনকি সৌদি রাজপরিবারের কোনো লোকও এরূপ শাস্তি থেকে রেহাই পায় না।
৮. আল্লাহর আইন কার্যকর করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না।
৯. ফাঁসিতে যে কষ্ট হয় তরবারির আঘাতে শিরশ্ছেদ হলে তার চেয়ে কষ্ট অনেক কম হয়।
১০. হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ২০০৭ সালে। অতঃপর দীর্ঘ দিন ধরে বিচার কার্য চলেছে। তথাকার বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে দোভাষী নিয়োগ করে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
১১. বিচারের মান যথাযথ; বরং অন্য আইনে সংঘটিত বিচারই যথাযথ নয়।
ওপরের বিষয়গুলো ভালোভাবে দেখলে অবশ্যই বিচার সুষ্ঠু হয়েছে। কিন' অন্তরে যাদের ব্যাধি রয়েছে, যারা ইসলামের নাম শুনলেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে, যারা সভ্যতা বলতেই মদ্যপ সংস্কৃতি বুঝে থাকে তারা এর ঘোর বিরোধী। প্রতিবাদী লোকজনের তালিকা দেখলেই তা বোঝা যায়। কথিত আধুনিক বিচারের অবিচার তারা প্রতিদিন দেখছে তথাপি আধুনিকতার মোহ কাটে না। ইসলামি বিচার দেখলেই মেজাজ বিগড়ে যায়। মধ্যযুগীয় বলে মনে হয়। এ ব্যাপারে বিশ্লেষণী বক্তব্য হলো:
১. মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলতে কখনো কোনো কিছু ছিল না। যারা বর্বর তারা আজো বর্বর। বর্বরতার কোনো যুগ থাকে না। ইসলামি ব্যবস'া বরং বর্বরতারই বিরুদ্ধ ব্যবস'া। কোনো ঘটনাকে তারা বর্বরতা বলবেন? আটজন মিলে একজনকে হত্যা করা বর্বরতা নাকি হত্যাকারীদের বিচার করাটা বর্বরতা?
২. মানবাধিকার সংস'া নাম দিলেই মানবাধিকারের প্রবক্তা হওয়া যায় না। মানবাধিকার জিনিসটা আগে বুঝতে হবে। আটজন মানুষ মিলে যখন একজন মানুষকে হত্যা করেছিল, কথিত মানবাধিকার কর্মীরা তখন কোথায় ছিলেন? নিহতের জন্য কোনো মানবাধিকার নেই? মানবাধিকার কি শুধু হত্যাকারীর জন্য?
৩. কথিত আধুনিক বিচারেও তো হত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ইসলামি বিচারে মৃত্যুদণ্ড হলে সমস্যাটা কোথায়? 'ইসলাম' শব্দটায়?
৪. এ বিশ্বে একজনের মৃত্যুর জন্য ৩৪ জনের পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড হয়েছে, আটজনের ক্ষেত্রে দোষ কোথায়?
৫. গোপনে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মধ্যে মানবিকতা কোথায়? মৃত্যুকালে সে তো কারো সাথে দু'টো কথাও বলতে পারে না, কোনো নিজস্ব লোক উপসি'ত থাকতেও পারে না। যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে চিরদিনের জন্য বিদায় নিয়ে যাচ্ছে তার প্রতি ওই গোপন ব্যাপারটাই বরং জঘন্য অন্যায়। অমানবিক। 'ট্রান্সপারেন্সি' নীতির পরিপন'ী। তা ছাড়া, দুনিয়ায় যত প্রকার মৃত্যুর ব্যবস'া আছে তন্মধ্যে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার নিমর্মতাই সবচেয়ে বেশি। এ কারণেই গলায় ফাঁস লাগানোর মৃত্যুতে মানুষের চোখ ঠিকরে বাইরে বেরিয়ে আসে এবং জিভ বেরিয়ে পড়ে, যা অসহনীয় কষ্টেরই পরিচয় বহন করে। কথিত 'আধুনিক' বিচারের এই দুষ্ট ব্যবস'াই তো বরং চরম বর্বরতা। আশ্চর্য! ওটাই ওনাদের ভালো লাগল।
৬. ইসলামি বিচারে ক্ষমার ব্যবস'া আছে, যেটা কথিত ওই 'আধুনিক বিচারে নেই। একমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গই ক্ষমা করতে পারে, অন্য কেউ ক্ষমা করার বিষয়টি আর এক জঘন্য অন্যায়। এরূপ ক্ষমা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির ওপর ক্ষমতাবান ব্যক্তির চাপিয়ে দেয়া অবিচার মাত্র। এটি বরং বিচারব্যবস'াকেই হত্যার শামিল। অনৈসলামি বিশ্ব এ রকম হত্যা প্রতিনিয়ত করছে। তারপরও ওটাই ওনাদের ভালো লাগল?
৭. প্রকাশ্য বিচারে আপামর জনসাধারণ সতর্ক হতে পারে। দৃষ্টান্ত দেখে অন্যায়-অপরাধ থেকে নিজেদের দূরে রাখার সুশিক্ষা নিতে পারে। এ দেশে সর্বদা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস'া করতে স্লোগান হয়।
৮. যারা প্রতিবাদ করেছে তারা কেউ কুরআন চর্চাও করে না, কুরআন বোঝেও না। আল্লাহ সম্পর্কেও তাদের কোনো ধারণাও নেই। তাদের প্রশ্নাবলির ধরন দেখেই বোঝা যায় যে, তাদের কোনো বিচারজ্ঞানও নেই। অবিচারই তাদের বিচারজ্ঞান। ওটাই বর্বরতা।
৯. যার সন্তান নিহত হয়েছে, যার পিতা নিহত হয়েছে, যার স্বামী নিহত হয়েছে সুবিচার পাওয়ার তার ১০০% অধিকার আছে। যে হত্যা করেছে মানবাধিকার তার একার নয়, ওটা তার পিতৃসম্পত্তিও নয়। কিসাস আদায় ব্যতিরেকে অথবা নিহতের পরিবারের ক্ষমার ভিত্তিতে সমাজে নতমস্তক না করে তাকে বাঁচিয়ে রাখলে খৃুনের নেশায় খুন করা তার নিত্যনৈমিত্তিক কাজে পরিণত হবে। তার জন্য ওটা বাহাদুরির ব্যাপার হবে, পেশা হওয়াটাও বিচিত্র নয়। আমাদের দেশটি এ কথার চমৎকার একটি উদাহরণ হয়ে আছে। 'পেশাদার খুনি' কথাটাও আমাদের ভাষায় বেশ চমৎকার মানিয়ে গেছে। মানবাধিকারের বিষয়টি যদি মানবাধিকারকর্মী নিজেই বুঝতে না পেরে সমাজে অমানবিকতার বীজ বপনে সাহায্য করেন তাহলে বিপর্যয় অনিবার্য।
১০. বাংলাদেশী লোক সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে বলে সেন্টিমেন্টাল হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে, এরূপ ধারণা বিবেক-বুদ্ধির পরিচয় বহন করে না। দেশের অভ্যন্তরেও কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটে গেলে মৃত্যুদণ্ডই হয়ে থাকে। ওই আটজন দেশে থেকে কোনো মিসরীয়কে হত্যা করলে আমাদের আদালতও তাদের মৃত্যুদণ্ডই দিতেন বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। যেহেতু আমাদের আইনেও হত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। বিষয়টা দুঃখজনক সন্দেহ নেই, কিন' কোনো আদালতের রায়ের ব্যাপারে সেন্টিমেন্টাল হওয়া ঠিক নয়। আমাদের আদালত যেমন আদালত, সৌদি আরবের আদালতও তেমনি আদালত, সেন্টিমেন্টের বশবর্তী হয়ে এটুকু ভুললে চলবে না। সেন্টিমেন্ট কোনো জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয়। বিদেশীদের ব্যাপারে কথা বলার সময়ও সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। বেফাঁস কথা বলা আমাদের রাষ্ট্রীয় নীতির পরিপন'ী।
__._,_.___