Dear All,
Read the article below to know about a rtd. bureaucrat !! He is active in this forum.
Regards,
Muhammad Ali Manik, M.D.
» বিস্তারিত
শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১১, ২৫ অগ্রহায়ন ১৪১৮
প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দী
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ
প্রতিবছরই ডিসেম্বর আসে। ২০০৮ সালের কথা। দেশ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিজয়ের মাসকে সামনে রেখে একজন রাজনীতিক এবং একজন সাবেক আমলা যেসব কথা বলেছিলেন, তা রাজনীতিসুলভও নয়, আমলা মনোবৃত্তির পরিচায়কও নয়। দেশের নাগরিক সমাজ সত্মম্ভিতই শুধু হয়নি, সকলের কথাবার্তাতেই সীমাহীন ঘৃণার বহিপ্রকাশ ঘটেছিল। সেই সঙ্গে সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছিল, এঁদের খুঁটির জোর কোথায়? এ ঔদ্ধত্যের আশ্রয়দাতা কে বা কারা ?
ঐ রাজনীতিককে অপরাজনীতিক বলাই ভাল। তিনি বলেছিলেন, দেশে নাকি যুদ্ধাপরাধীর কোন অসত্মিত্বই নেই। ১৯৫ যুদ্ধাপরাধী ছিল, বঙ্গবন্ধু তাদের মাফ করে দেয়ায় তারা দেশত্যাগ করে। এখন আর যুদ্ধাপরাধী বিচারের কোন সুযোগ নেই। বচন শুনে এক কবিয়াল ভাই গানের ধুন তুলেছেন, "আহা বেশ বেশ ! গরু মাইর্যা জুতা দিল, কেমন সোন্দর দেখা গেল। রাজাকারে সাফাই গাইলো, কি চমৎকার শোনা গেল। আহা বেশ বেশ !" যুদ্ধাপরাধী অর্থ সন্ত্রাসী। এখন যেহেতু সন্ত্রাস দমন প্রক্রিয়ায় আমরা সাফল্য অর্জন করছি, অতএব এ মাহেন্দ্রক্ষণেই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী নামক সন্ত্রাসীরা কে কোন ছদ্মাবরণে লুকিয়ে আছে। কেউ রাজনীতির আবরণে, কেউ জেহাদীর আবরণে, কেউ ধর্মের আবরণে। আবরণটি সরিয়ে দিয়ে আভরণটি খুলে ফেলতে পারলেই আসল চেহারাটি পরিস্ফুট হয়ে উঠবে।
ঐ রাজনীতিকের কুর্সীনামা ও কুষ্ঠিনামা একটুখানি বিশ্লেষণ করা যাক। এদের রাজনীতিক গোষ্ঠীটির পূর্ব প্রজন্ম ছিল একটি সর্বভারতীয় দল। ইংরেজ আমলে এরা ছিল অখণ্ড ভারতের দাবিদার। যখন উপমহাদেশের মুসলমানরা নিজেদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে সোচ্চার, তখন এইসব 'ইসলামপন্থীরা' পাকিস্তান সৃষ্টির বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু পাকিস্তান সৃষ্টির পর তারা পাকিস্তানীদের চেয়েও গোঁড়া পাকিস্তানপন্থী বনে গেল। এই দলটি সব সময়ই ট্রেন ফেল করে_ তারপর ট্রেনটিকেই আক্রমণ করে বসে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর এ দলটির হাল ধরলেন আবুল আলা মওদুদী। তিনি এবার পাকিসত্মানেই অনত্মর্ঘাত শুরম্ন করলেন। পঞ্চাশের দশকে লাহোরে ধর্মের নামে এক বীভৎস দাঙ্গা বাধিয়ে দিলেন। শত শত লোক মারা গেল। হিংস্রতা এতই ছড়িয়ে পড়ল যে, জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী তলব করতে হয়েছিল। জেনারেল আজম খানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী কঠোরহসত্মে সন্ত্রাস দমন করেছিল। মওদুদী গ্রেফতার হলেন। আইনী বিচারে তার ফাঁসির হুকুম হলো নরহত্যার দায়ে। সৌদি বাদশার বিশেষ অনুরোধের ঢেঁকি গিলতে গিয়ে সরকার তার ফাঁসির হুকুম রদ করল। কিন্তু কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যখন আপামর জনগণ পাকিসত্মানীদের বিরম্নদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত, তখন এই দলটি শুধু পাকিসত্মানের পক্ষ অবলম্বন করেই ক্ষানত্ম থাকল না, বরং পাকিসত্মানীদের সহযোগী সন্ত্রাসী সেজে বসল। রাজাকার, আলবদর, আলশামস প্রভৃতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সৃষ্টি করে সশস্ত্র সন্ত্রাসে লিপ্ত হলো। কখনও তারা নিজেরাই হত্যা করত, আবার কখনও ধরে নিয়ে পাকিসত্মানীদের হাতে দিয়ে আসত। হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, দখলসহ কত রকম অত্যাচার যে তারা করত তার লেখাজোখা নেই। বিজয় দিবসের মাত্র দু'দিন আগে, বাংলাদেশের বিশিষ্টজনদের কারা হত্যা করল ? পাকিসত্মানী সেনাবাহিনী, নাকি এদেশীয় সহযোগীরা ? সেইসব সন্ত্রাসীরা কোথায়? আজ সন্ত্রাস দমনের মাহেন্দ্রক্ষণে ওদের খুঁজে বের করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। বিচার সম্পন্ন ও রায় বাসত্মবায়ন করতে হবে।
এ তো গেল রাজনীতিকের কথার ওপর কথা। এখন আসা যাক আমলার মামলায়। এ আমলাটি স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আমলাপদ সচিবের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি সরস কণ্ঠে বয়ান করলেন, 'একাত্তরে তো মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই_ওটা ছিল গৃহযুদ্ধ।' গৃহযুদ্ধ সারা গৃহেই ছড়িয়ে থাকে। একাত্তরে গৃহের পূর্ব অংশে গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে যুদ্ধ হলো_অথচ গৃহের পশ্চিম অংশে একটি গুলিও ছোড়া হলো না। এ কেমন গৃহযুদ্ধ ! তাছাড়া গৃহযুদ্ধ শেষ হলে সারাদেশ আবার মিলেমিশে চলে। কিন্তু একাত্তরের যুদ্ধে তো পাকিসত্মানী পক্ষ আত্মসমর্পণ করল বাংলাদেশের যৌথবাহিনীর কাছে এবং তাদের পরাজয়ের ফলশ্রম্নতিতে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করল। গৃহ তো ভেঙ্গেই গেল। তাহলে গৃহযুদ্ধ হয় কিভাবে ? আমেরিকার ইতিহাসে জর্জ ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে যুদ্ধে ইংরেজদের হটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা অর্জন করে_ তাই এটা তাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ। পরবতর্ীতে আব্রাহাম লিঙ্কনের সময় অভ্যনত্মরীণ যুদ্ধের পর শিথিল হওয়া অঞ্চলসমূহ একত্রিত হয়_এ ধরনের অভ্যনত্মরীণ যুদ্ধকে গৃহযুদ্ধ বলা যায়। তবে গৃহযুদ্ধের ফলে দেশ বিভক্ত হয় না_বরং শিথিল দেশ একত্রিত হয়।
আমলা ভদ্রলোকের এসব কথা জানা। তবু কেন বললেন। কারণ শিষ্টাচার বোধকরি সবার সহ্য হয় না। তাঁকে অর্থ-সচিবের গুরম্ন দায়িত্বে বসানো হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সরকার পরিচালনাকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালে, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। সে সময়ের একটি ঘটনা মনে পড়ছে। 'একজন ছদ্মবেশী দেশবিরোধীকে কেন অর্থ সচিবের দায়িত্বে নিয়োগ দেয়া হলো'_একজন সাংবাদিকের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বলেছিলেন, "জানি, সবই জানি। খোঁজখবর নিয়ে দেখলাম যে, ভদ্রলোক আওয়ামী লীগ পছন্দ করেন না। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এও জানলাম যে, ভদ্রলোক আর্থিকভাবে সৎ_সার্ভিসে সিনিয়র এবং সার্ভিস-রেকর্ড পরিষ্কার। তাই তাকে বঞ্চিত করা সমীচীন মনে করছি না। আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম। দেখি তিনি বিশ্বাস ভঙ্গ করেন কিনা।"
সরকার তাকে সৎ ভেবেছিলেন। শুধু ঘুষ না খাওয়াই কি সততা ? মুক্তিযুদ্ধকে গৃহযুদ্ধ বলা কি সততার পরিচায়ক ? এটা কি দেশদ্রোহিতা নয় ? শিষ্টের জন্য শিষ্টাচার কাম্য। কিন্তু দুষ্টের জন্যও কি ? কোন্ অদৃশ্য শক্তির মুখপাত্র এরা ? মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার শুরম্ন হয়েছে। ওই রাজনীতিক এখন যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচারের সম্মুখীন। আমলা ভদ্রলোকের সাড়াশব্দ নেই। পর্দার অনত্মরালে নিভৃতে রয়েছেন। থাকুন। জাতীয় বিভক্তির ষড়যন্ত্রে ইন্ধন না জোগালেই ভাল। শানত্মির জন্য জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য।
লেখক: অর্থনীতিবিদ ও কলামিস্ট
ঐ রাজনীতিককে অপরাজনীতিক বলাই ভাল। তিনি বলেছিলেন, দেশে নাকি যুদ্ধাপরাধীর কোন অসত্মিত্বই নেই। ১৯৫ যুদ্ধাপরাধী ছিল, বঙ্গবন্ধু তাদের মাফ করে দেয়ায় তারা দেশত্যাগ করে। এখন আর যুদ্ধাপরাধী বিচারের কোন সুযোগ নেই। বচন শুনে এক কবিয়াল ভাই গানের ধুন তুলেছেন, "আহা বেশ বেশ ! গরু মাইর্যা জুতা দিল, কেমন সোন্দর দেখা গেল। রাজাকারে সাফাই গাইলো, কি চমৎকার শোনা গেল। আহা বেশ বেশ !" যুদ্ধাপরাধী অর্থ সন্ত্রাসী। এখন যেহেতু সন্ত্রাস দমন প্রক্রিয়ায় আমরা সাফল্য অর্জন করছি, অতএব এ মাহেন্দ্রক্ষণেই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী নামক সন্ত্রাসীরা কে কোন ছদ্মাবরণে লুকিয়ে আছে। কেউ রাজনীতির আবরণে, কেউ জেহাদীর আবরণে, কেউ ধর্মের আবরণে। আবরণটি সরিয়ে দিয়ে আভরণটি খুলে ফেলতে পারলেই আসল চেহারাটি পরিস্ফুট হয়ে উঠবে।
ঐ রাজনীতিকের কুর্সীনামা ও কুষ্ঠিনামা একটুখানি বিশ্লেষণ করা যাক। এদের রাজনীতিক গোষ্ঠীটির পূর্ব প্রজন্ম ছিল একটি সর্বভারতীয় দল। ইংরেজ আমলে এরা ছিল অখণ্ড ভারতের দাবিদার। যখন উপমহাদেশের মুসলমানরা নিজেদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে সোচ্চার, তখন এইসব 'ইসলামপন্থীরা' পাকিস্তান সৃষ্টির বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু পাকিস্তান সৃষ্টির পর তারা পাকিস্তানীদের চেয়েও গোঁড়া পাকিস্তানপন্থী বনে গেল। এই দলটি সব সময়ই ট্রেন ফেল করে_ তারপর ট্রেনটিকেই আক্রমণ করে বসে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর এ দলটির হাল ধরলেন আবুল আলা মওদুদী। তিনি এবার পাকিসত্মানেই অনত্মর্ঘাত শুরম্ন করলেন। পঞ্চাশের দশকে লাহোরে ধর্মের নামে এক বীভৎস দাঙ্গা বাধিয়ে দিলেন। শত শত লোক মারা গেল। হিংস্রতা এতই ছড়িয়ে পড়ল যে, জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী তলব করতে হয়েছিল। জেনারেল আজম খানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী কঠোরহসত্মে সন্ত্রাস দমন করেছিল। মওদুদী গ্রেফতার হলেন। আইনী বিচারে তার ফাঁসির হুকুম হলো নরহত্যার দায়ে। সৌদি বাদশার বিশেষ অনুরোধের ঢেঁকি গিলতে গিয়ে সরকার তার ফাঁসির হুকুম রদ করল। কিন্তু কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যখন আপামর জনগণ পাকিসত্মানীদের বিরম্নদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত, তখন এই দলটি শুধু পাকিসত্মানের পক্ষ অবলম্বন করেই ক্ষানত্ম থাকল না, বরং পাকিসত্মানীদের সহযোগী সন্ত্রাসী সেজে বসল। রাজাকার, আলবদর, আলশামস প্রভৃতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সৃষ্টি করে সশস্ত্র সন্ত্রাসে লিপ্ত হলো। কখনও তারা নিজেরাই হত্যা করত, আবার কখনও ধরে নিয়ে পাকিসত্মানীদের হাতে দিয়ে আসত। হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, দখলসহ কত রকম অত্যাচার যে তারা করত তার লেখাজোখা নেই। বিজয় দিবসের মাত্র দু'দিন আগে, বাংলাদেশের বিশিষ্টজনদের কারা হত্যা করল ? পাকিসত্মানী সেনাবাহিনী, নাকি এদেশীয় সহযোগীরা ? সেইসব সন্ত্রাসীরা কোথায়? আজ সন্ত্রাস দমনের মাহেন্দ্রক্ষণে ওদের খুঁজে বের করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। বিচার সম্পন্ন ও রায় বাসত্মবায়ন করতে হবে।
এ তো গেল রাজনীতিকের কথার ওপর কথা। এখন আসা যাক আমলার মামলায়। এ আমলাটি স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আমলাপদ সচিবের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি সরস কণ্ঠে বয়ান করলেন, 'একাত্তরে তো মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই_ওটা ছিল গৃহযুদ্ধ।' গৃহযুদ্ধ সারা গৃহেই ছড়িয়ে থাকে। একাত্তরে গৃহের পূর্ব অংশে গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে যুদ্ধ হলো_অথচ গৃহের পশ্চিম অংশে একটি গুলিও ছোড়া হলো না। এ কেমন গৃহযুদ্ধ ! তাছাড়া গৃহযুদ্ধ শেষ হলে সারাদেশ আবার মিলেমিশে চলে। কিন্তু একাত্তরের যুদ্ধে তো পাকিসত্মানী পক্ষ আত্মসমর্পণ করল বাংলাদেশের যৌথবাহিনীর কাছে এবং তাদের পরাজয়ের ফলশ্রম্নতিতে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করল। গৃহ তো ভেঙ্গেই গেল। তাহলে গৃহযুদ্ধ হয় কিভাবে ? আমেরিকার ইতিহাসে জর্জ ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে যুদ্ধে ইংরেজদের হটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা অর্জন করে_ তাই এটা তাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ। পরবতর্ীতে আব্রাহাম লিঙ্কনের সময় অভ্যনত্মরীণ যুদ্ধের পর শিথিল হওয়া অঞ্চলসমূহ একত্রিত হয়_এ ধরনের অভ্যনত্মরীণ যুদ্ধকে গৃহযুদ্ধ বলা যায়। তবে গৃহযুদ্ধের ফলে দেশ বিভক্ত হয় না_বরং শিথিল দেশ একত্রিত হয়।
আমলা ভদ্রলোকের এসব কথা জানা। তবু কেন বললেন। কারণ শিষ্টাচার বোধকরি সবার সহ্য হয় না। তাঁকে অর্থ-সচিবের গুরম্ন দায়িত্বে বসানো হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সরকার পরিচালনাকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালে, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। সে সময়ের একটি ঘটনা মনে পড়ছে। 'একজন ছদ্মবেশী দেশবিরোধীকে কেন অর্থ সচিবের দায়িত্বে নিয়োগ দেয়া হলো'_একজন সাংবাদিকের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বলেছিলেন, "জানি, সবই জানি। খোঁজখবর নিয়ে দেখলাম যে, ভদ্রলোক আওয়ামী লীগ পছন্দ করেন না। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এও জানলাম যে, ভদ্রলোক আর্থিকভাবে সৎ_সার্ভিসে সিনিয়র এবং সার্ভিস-রেকর্ড পরিষ্কার। তাই তাকে বঞ্চিত করা সমীচীন মনে করছি না। আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম। দেখি তিনি বিশ্বাস ভঙ্গ করেন কিনা।"
সরকার তাকে সৎ ভেবেছিলেন। শুধু ঘুষ না খাওয়াই কি সততা ? মুক্তিযুদ্ধকে গৃহযুদ্ধ বলা কি সততার পরিচায়ক ? এটা কি দেশদ্রোহিতা নয় ? শিষ্টের জন্য শিষ্টাচার কাম্য। কিন্তু দুষ্টের জন্যও কি ? কোন্ অদৃশ্য শক্তির মুখপাত্র এরা ? মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার শুরম্ন হয়েছে। ওই রাজনীতিক এখন যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচারের সম্মুখীন। আমলা ভদ্রলোকের সাড়াশব্দ নেই। পর্দার অনত্মরালে নিভৃতে রয়েছেন। থাকুন। জাতীয় বিভক্তির ষড়যন্ত্রে ইন্ধন না জোগালেই ভাল। শানত্মির জন্য জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য।
লেখক: অর্থনীতিবিদ ও কলামিস্ট
__._,_.___