মেজর জিয়ার রোহিঙ্গা কানেকশন চাঞ্চল্যকর তথ্য!
ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টাঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা না করার অনুরোধ আইএসপিআরের
ফিরোজ মান্না ॥ ব্যর্থ অভ্যুত্থানের অন্যতম হোতা মেজর জিয়া সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ২০০৯ সালে তিনি পার্বত্য এলাকায় সেনা গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করতেন। তখন থেকেই রোহিঙ্গা জঙ্গীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তার। তিনি সরকারবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এই খবর জানার পর কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকায় বদলি করে আনে। মৌখিকভাবে তাকে এ ব্যাপারে সাবধানও করা হয়। কিন্তু 'চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। মেজর জিয়াউল হক জিয়া তার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। দীর্ঘদিন বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে সেনা অভ্যুত্থান ঘটানোর সব চক্রান্ত করে। কিন্তু চতুর এই কর্মকর্তার সমস্ত ষড়যন্ত্র এ সময় ফাঁস হয়ে যায়। এরপর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। সামরিক সূত্র এ খবর দিয়েছে।
এদিকে সেনাবাহিনীতে বিশৃক্সখলা সৃষ্টির অপচেষ্টার বিষয়টি তুলে ধরে গত ১৯ জানুয়ারি আইএসপিআরের সময়ে সেনাসদরের পক্ষ থেকে একটি প্রেস ব্রিফিং করা হয়। 'ওই ব্রিফিংয়ের পর থেকে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সেনাসদস্যদের নাম উল্লেখ করে বিভিন্ন ধরনের সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে সঠিক ও দ্রুত তদন্তের ¯^ার্থে সমীচীন নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের সূত্র হিসেবে সেনাসদরের উদ্ধৃতি দেয়া হচ্ছে। এটাও যুক্তিসঙ্গত নয়।'
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালকের পক্ষে গবেষণা কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন ¯স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। মহৎ পেশার এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সম্মানের বিষয়টি সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। সামরিক শৃক্সখলা রক্ষার স্বার্থে শৃক্সখলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের জন্য এখানে সেনা আইনে শান্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। গত ২৩ জানুয়ারি দুটি পত্রিকায় শৃক্সখলা ভঙ্গের কারণে একজন সেনা সদস্যের শাস্তি বিষয়টি ছবিসহ প্রকাশ করা হয়েছে। এ ধরনের সংবাদ কর্মরত সেনা সদস্যদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য সব সংবাদ মাধ্যমকে সেনাবাহিনী ও সেনাসদস্য সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশের ¶েত্রে অতীতের ন্যায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে অনুরোধ করা হলো।
এদিকে সেনা সূত্র থেকে জানা গেছে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের অন্যতম হোতা মেজর সৈয়দ জিয়াউল হককে গ্রেফতারের জন্য র্যাব, পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জিয়াকে গ্রেফতার করতে পারলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে। একটি সূত্র মতে, মেজর জিয়া একাধিক বিয়ে করেছেন। সম্প্রতি সাভারে তার এক শ্বশুর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। মেজর জিয়ার ভায়রা গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেনের বাসাও র্যাব পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেছে। কিন্ত তাকে পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রতিহত করে সরকার ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে। এরপর থেকে ৬ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে। এই কমিটি তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে ৪১ জন সেনাসদস্য ও সাতজন বেসামরিক ব্যক্তি জড়িত বলে জানা যায়। বেসামরিক ব্যক্তিদের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকের আইটি বিশেষজ্ঞ, বীমা কোম্পানি, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শি¶ক রয়েছেন। এসব ব্যক্তি হিযবুত তাহ্্রীর সঙ্গে জড়িত। এছাড়া বিশ্বের অন্যতম একটি প্রভাবশালী সম্প্রচার সংস্থা জড়িত রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত প্রবাসী ইশরাক হংকংয়ে থাকার কথা বলা হলেও এখন তিনি লন্ডনে রয়েছেন বলে খবর মিলেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেশের বৃহত্তর ¯^ার্থে সেনাবাহিনী সম্পর্কে কোন মহলের উস্কানি ও ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মতো চক্রান্ত থেকে বিরত থাকার জন্য সকল প্রতি আহŸান জানিয়েছে।
এদিকে ব্যর্থ অভ্যুত্থান রুখে দেয়া নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। সরকারী দল আওয়ামী লীগ ও এর সমমনা দলগুলো সেনাবাহিনীর দু'টি কাজকেই সাধুবাদ জানিয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতাও অভ্যুত্থান অপচেষ্টা নস্যাতের ঘটনায় খুশি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। দেশের প্রধান দুটি দল এ নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। দুটি দলের কোন বিষয়ে এ ধরনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া যেমন বিরল, তেমনি সেনা অভ্যন্তরের কোন ঘটনা সংবাদ সম্মেলন করে জানানোকে বিরল নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অপরদিকে ঢাবির এক শিক্ষকের উদ্বৃতি দিয়ে বাংলানিউজ-টুয়েন্টিফোরডটকম জানিয়েছে, দেশের নাগরিক হিসেবে সেনাবাহিনী যেভাবে একটি অভ্যুত্থানকে রুখে দিয়েছে তাকে অবশ্যই ¯^াগত জানাই। একটি ভাল কাজের প্রশংসা করতে হবে। আর এই প্রশংসা করা মানে এই নয় যে, আমি কারও পক্ষে চলে গেলাম। তবে এ বিষয়টি নিয়ে হোঁচট খেলাম যখন দেখলাম দা-কুমড়া সম্পর্ক থাকা আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে নয়, আমাদের বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ বিষয়টি ভালভাবে নিচ্ছেন না। রবিবার মধ্যরাতে একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুলের এমন বক্তব্য দিয়েছেন। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন সাবেক ডাকসু ভিপি ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বললেন, 'মান্না ভাই, একটি ক্যুর চেষ্টা হলো, অথচ একটি গুলি হলো না
এদিকে সেনাবাহিনীতে বিশৃক্সখলা সৃষ্টির অপচেষ্টার বিষয়টি তুলে ধরে গত ১৯ জানুয়ারি আইএসপিআরের সময়ে সেনাসদরের পক্ষ থেকে একটি প্রেস ব্রিফিং করা হয়। 'ওই ব্রিফিংয়ের পর থেকে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সেনাসদস্যদের নাম উল্লেখ করে বিভিন্ন ধরনের সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে সঠিক ও দ্রুত তদন্তের ¯^ার্থে সমীচীন নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের সূত্র হিসেবে সেনাসদরের উদ্ধৃতি দেয়া হচ্ছে। এটাও যুক্তিসঙ্গত নয়।'
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালকের পক্ষে গবেষণা কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন ¯স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। মহৎ পেশার এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সম্মানের বিষয়টি সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। সামরিক শৃক্সখলা রক্ষার স্বার্থে শৃক্সখলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের জন্য এখানে সেনা আইনে শান্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। গত ২৩ জানুয়ারি দুটি পত্রিকায় শৃক্সখলা ভঙ্গের কারণে একজন সেনা সদস্যের শাস্তি বিষয়টি ছবিসহ প্রকাশ করা হয়েছে। এ ধরনের সংবাদ কর্মরত সেনা সদস্যদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য সব সংবাদ মাধ্যমকে সেনাবাহিনী ও সেনাসদস্য সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশের ¶েত্রে অতীতের ন্যায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে অনুরোধ করা হলো।
এদিকে সেনা সূত্র থেকে জানা গেছে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের অন্যতম হোতা মেজর সৈয়দ জিয়াউল হককে গ্রেফতারের জন্য র্যাব, পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জিয়াকে গ্রেফতার করতে পারলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে। একটি সূত্র মতে, মেজর জিয়া একাধিক বিয়ে করেছেন। সম্প্রতি সাভারে তার এক শ্বশুর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। মেজর জিয়ার ভায়রা গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেনের বাসাও র্যাব পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেছে। কিন্ত তাকে পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রতিহত করে সরকার ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে। এরপর থেকে ৬ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে। এই কমিটি তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে ৪১ জন সেনাসদস্য ও সাতজন বেসামরিক ব্যক্তি জড়িত বলে জানা যায়। বেসামরিক ব্যক্তিদের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকের আইটি বিশেষজ্ঞ, বীমা কোম্পানি, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শি¶ক রয়েছেন। এসব ব্যক্তি হিযবুত তাহ্্রীর সঙ্গে জড়িত। এছাড়া বিশ্বের অন্যতম একটি প্রভাবশালী সম্প্রচার সংস্থা জড়িত রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত প্রবাসী ইশরাক হংকংয়ে থাকার কথা বলা হলেও এখন তিনি লন্ডনে রয়েছেন বলে খবর মিলেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেশের বৃহত্তর ¯^ার্থে সেনাবাহিনী সম্পর্কে কোন মহলের উস্কানি ও ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মতো চক্রান্ত থেকে বিরত থাকার জন্য সকল প্রতি আহŸান জানিয়েছে।
এদিকে ব্যর্থ অভ্যুত্থান রুখে দেয়া নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। সরকারী দল আওয়ামী লীগ ও এর সমমনা দলগুলো সেনাবাহিনীর দু'টি কাজকেই সাধুবাদ জানিয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতাও অভ্যুত্থান অপচেষ্টা নস্যাতের ঘটনায় খুশি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। দেশের প্রধান দুটি দল এ নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। দুটি দলের কোন বিষয়ে এ ধরনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া যেমন বিরল, তেমনি সেনা অভ্যন্তরের কোন ঘটনা সংবাদ সম্মেলন করে জানানোকে বিরল নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অপরদিকে ঢাবির এক শিক্ষকের উদ্বৃতি দিয়ে বাংলানিউজ-টুয়েন্টিফোরডটকম জানিয়েছে, দেশের নাগরিক হিসেবে সেনাবাহিনী যেভাবে একটি অভ্যুত্থানকে রুখে দিয়েছে তাকে অবশ্যই ¯^াগত জানাই। একটি ভাল কাজের প্রশংসা করতে হবে। আর এই প্রশংসা করা মানে এই নয় যে, আমি কারও পক্ষে চলে গেলাম। তবে এ বিষয়টি নিয়ে হোঁচট খেলাম যখন দেখলাম দা-কুমড়া সম্পর্ক থাকা আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে নয়, আমাদের বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ বিষয়টি ভালভাবে নিচ্ছেন না। রবিবার মধ্যরাতে একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুলের এমন বক্তব্য দিয়েছেন। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন সাবেক ডাকসু ভিপি ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বললেন, 'মান্না ভাই, একটি ক্যুর চেষ্টা হলো, অথচ একটি গুলি হলো না
__._,_.___