এদের মুখে গালি অন্তরে ভালোবাসা, বাইরে বিরোধী ভেতরে ভারতপ্রীতি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত ও মিয়ানমারকে স্বীকার করতে হবে, সাগরে বাংলাদেশের অধিকার আছে। সাগরে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এরই মধ্যে ভারত ও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সাংসদ মো. শহীদুজ্জামান সরকারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। স্পিকার আবদুল হামিদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্রের অন্তত ৪৬০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপান এলাকা বাংলাদেশের। এর সম্পদও এ দেশের প্রাপ্য। এই বিস্তীর্ণ এলাকা বাংলাদেশের, তা ভারত ও মিয়ানমারকে স্বীকার করতে হবে।
সরকারের তিন বছরে পররাষ্ট্রনীতির সাফল্য সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের মধ্যে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হবে। ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ স্থায়ী সালিস ট্রাইব্যুনালে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মামলা দাখিল করেছে। ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ তার দাবি জমা দিয়েছে। আর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পাকিস্তানের সঙ্গে বিভিন্ন অমীমাংসিত ইস্যুতে আলোচনা অব্যাহত আছে।
ভারত অনেক কথা দিয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়ন করেনি
স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিম প্রশ্ন করেন, 'ভারত অনেক কথা দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন করেনি। সীমান্ত-সমস্যা, ছিটমহল, টিপাইমুখ বাঁধের কোনো সমাধান হয়নি।'
এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে সমস্যা সমাধানে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু ২৫ বছরের চুক্তি করেছিলেন। সেখানে এই বিষয়গুলো ছিল। বিভিন্ন সময়ে সরকারগুলো এই চুক্তিকে গোলামি চুক্তি বলেছে। আবার এখন এই চুক্তিই বাস্তবায়ন করতে বলছে। ওই সরকারগুলো কিছু করেনি। তিনি বলেন, 'ফেনী সীমান্তে বিরোধীদলীয় নেতার নির্বাচনী এলাকায় ৪৫ বিঘা জমি ভারত থেকে এনে দিয়েছি। উনি তো পারেননি।'
গঙ্গা ও তিস্তা চুক্তি
শেখ হাসিনা বলেন, ৪০ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল মাত্র ১১ বছর। বাকি ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা কেন ভারতের দাসত্ব করেছে। খালেদা জিয়া গঙ্গা পানির দাবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলেন। যারা ভারতকে গালি দেয়, তারাই দাবি তুলতে পর্যন্ত ভুলে যায়। আওয়ামী লীগ চুক্তি করেছে, দাবি আদায়ে কাজ করছে।
তিস্তার পানি চুক্তি না করায় বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সরকারের সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তাঁরা কেন করেননি। বিএনপি কেন করেনি। এদের মুখে গালি আর অন্তরে ভালোবাসা। বাইরে ভারতবিরোধী, ভেতরে ভারতপ্রীতি। ভারতের কাছ থেকে আদায় করলে আওয়ামী লীগ করেছে। ভবিষ্যতেও করবে।'
সবাইকে রেললাইন দেখানো হবে
নূর ই হাসনা লিলির প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় মেট্রোরেলের কাজ দ্রুতই শুরু হবে। দীর্ঘদিন রেললাইন সংস্কার না হওয়ায় এবং ইঞ্জিন ও কোচের তীব্র সংকট থাকায় চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে কাঙ্ক্ষিত যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হয় না।
পরে প্রধানমন্ত্রী রেলওয়ে সংস্কারে বর্তমান সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, নতুন মন্ত্রণালয় গঠনের পর ছয়টি নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
বজলুল হক হারুনের আরেক প্রশ্নে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সবাইকে রেললাইন দেখানো হবে।
সব গ্রাহক প্রি পেমেন্ট মিটারের আওতায় আসবে
হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, আগামী মার্চ থেকে বিদ্যুত্ সেক্টরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রি পেমেন্ট মিটার লাগানোর কাজ শুরু হবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সব গ্রাহককে প্রি পেমেন্ট মিটারের আওতায় আনা হবে।
সরকারি পদ আপ গ্রেডেশন
অপু উকিলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের পদ আপ গ্রেডেশনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
প্রক্রিয়াধীন কার্যক্রম সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশ সচিবালয়ের হিসাবরক্ষক, কোষাধ্যক্ষ ও সহকারী হিসাবরক্ষকের পদবি ও বেতন স্কেল উন্নীতকরণ। কারা অধিদপ্তরের ডিপ্লোমাধারী নার্সদের তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করা। খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক ও সমমানের এক হাজার ৬৬৭টি পদ দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জেসিও পদধারীদের তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করা।'
জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সাংসদ মো. শহীদুজ্জামান সরকারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। স্পিকার আবদুল হামিদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্রের অন্তত ৪৬০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপান এলাকা বাংলাদেশের। এর সম্পদও এ দেশের প্রাপ্য। এই বিস্তীর্ণ এলাকা বাংলাদেশের, তা ভারত ও মিয়ানমারকে স্বীকার করতে হবে।
সরকারের তিন বছরে পররাষ্ট্রনীতির সাফল্য সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের মধ্যে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হবে। ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ স্থায়ী সালিস ট্রাইব্যুনালে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মামলা দাখিল করেছে। ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ তার দাবি জমা দিয়েছে। আর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পাকিস্তানের সঙ্গে বিভিন্ন অমীমাংসিত ইস্যুতে আলোচনা অব্যাহত আছে।
ভারত অনেক কথা দিয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়ন করেনি
স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিম প্রশ্ন করেন, 'ভারত অনেক কথা দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন করেনি। সীমান্ত-সমস্যা, ছিটমহল, টিপাইমুখ বাঁধের কোনো সমাধান হয়নি।'
এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে সমস্যা সমাধানে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু ২৫ বছরের চুক্তি করেছিলেন। সেখানে এই বিষয়গুলো ছিল। বিভিন্ন সময়ে সরকারগুলো এই চুক্তিকে গোলামি চুক্তি বলেছে। আবার এখন এই চুক্তিই বাস্তবায়ন করতে বলছে। ওই সরকারগুলো কিছু করেনি। তিনি বলেন, 'ফেনী সীমান্তে বিরোধীদলীয় নেতার নির্বাচনী এলাকায় ৪৫ বিঘা জমি ভারত থেকে এনে দিয়েছি। উনি তো পারেননি।'
গঙ্গা ও তিস্তা চুক্তি
শেখ হাসিনা বলেন, ৪০ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল মাত্র ১১ বছর। বাকি ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা কেন ভারতের দাসত্ব করেছে। খালেদা জিয়া গঙ্গা পানির দাবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলেন। যারা ভারতকে গালি দেয়, তারাই দাবি তুলতে পর্যন্ত ভুলে যায়। আওয়ামী লীগ চুক্তি করেছে, দাবি আদায়ে কাজ করছে।
তিস্তার পানি চুক্তি না করায় বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সরকারের সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তাঁরা কেন করেননি। বিএনপি কেন করেনি। এদের মুখে গালি আর অন্তরে ভালোবাসা। বাইরে ভারতবিরোধী, ভেতরে ভারতপ্রীতি। ভারতের কাছ থেকে আদায় করলে আওয়ামী লীগ করেছে। ভবিষ্যতেও করবে।'
সবাইকে রেললাইন দেখানো হবে
নূর ই হাসনা লিলির প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় মেট্রোরেলের কাজ দ্রুতই শুরু হবে। দীর্ঘদিন রেললাইন সংস্কার না হওয়ায় এবং ইঞ্জিন ও কোচের তীব্র সংকট থাকায় চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে কাঙ্ক্ষিত যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হয় না।
পরে প্রধানমন্ত্রী রেলওয়ে সংস্কারে বর্তমান সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, নতুন মন্ত্রণালয় গঠনের পর ছয়টি নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
বজলুল হক হারুনের আরেক প্রশ্নে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সবাইকে রেললাইন দেখানো হবে।
সব গ্রাহক প্রি পেমেন্ট মিটারের আওতায় আসবে
হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, আগামী মার্চ থেকে বিদ্যুত্ সেক্টরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রি পেমেন্ট মিটার লাগানোর কাজ শুরু হবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সব গ্রাহককে প্রি পেমেন্ট মিটারের আওতায় আনা হবে।
সরকারি পদ আপ গ্রেডেশন
অপু উকিলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের পদ আপ গ্রেডেশনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
প্রক্রিয়াধীন কার্যক্রম সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশ সচিবালয়ের হিসাবরক্ষক, কোষাধ্যক্ষ ও সহকারী হিসাবরক্ষকের পদবি ও বেতন স্কেল উন্নীতকরণ। কারা অধিদপ্তরের ডিপ্লোমাধারী নার্সদের তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করা। খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক ও সমমানের এক হাজার ৬৬৭টি পদ দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জেসিও পদধারীদের তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করা।'
পাঠকের মন্তব্য
__._,_.___
সাইনইন