সম্প্রতি একটি সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। এবং পরবর্তীতে সে ঘটনা জনসাধারণকে জানানো হয়েছে সেনা সদর দফতর থেকে। সেনা সদর দফতর থেকে এ ঘটনা জানানোর পর সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দল বিএনপির সমর্থক বুদ্ধিজীবী ও অতীতে সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমন সেনা অফিসাররা বেশ একটা গালভরা কথা বলতে শুরু করেছেন। তাদের কথা হলো বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা এমন ঘটনা দেখিনি যে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার খবর সেনা সদর দফতর থেকে জানানো হবে। তাদের মতে, এ কাজ সেনাবাহিনী ও সরকারের জন্য একটি মহা অন্যায়। এ মহা অন্যায় সেনাবাহিনী ও সরকার করে ফেলেছে। তাদের যুক্তিও অকাট্য, যেহেতু বাংলাদেশের ইতিহাসে তারা এমন ঘটনা দেখেনি তাই এ ঘটনা ঘটতে পারবে না। এর থেকে বলা যায়, বাংলাদেশের ইতিহাসে তারা সব সময় যেটা দেখে আসছে সেটা ঘটলেই বলতেন, এ কাজটি ঠিক হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সব সময় কী দেখা যায়? বাংলাদেশের ইতিহাসে সব সময় দেখা যায়, একদল মেজর গিয়ে সরকারপ্রধানকে হত্যা করে বা তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত হতে বাধ্য করে। আরেক দল মেজর গিয়ে রেডিও এবং টেলিভিশন কেন্দ্র দখল করে অস্ত্রের মুখে ঘোষণা দেয়ায় যে, ক্ষমতাসীন সরকারকে উৎখাত করা হয়েছে। কারণ তারা স্বৈরাচার ছিল এবং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। এর পর সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কয়েকজন খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে এবং একজনকে খোলস পরিয়ে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান করা হয়। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসের পরিচিত ঘটনা এবং অতীতে সব সময় এটাই ঘটেছে। তাই সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দল বিএনপির সমর্থক যে সব বুদ্ধিজীবী বলছেন, তারা বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্তমানের এ ঘটনা আগে কখনও দেখেননি। অতএব এটা সঠিক হতে পারে না। তারা কি প্রকারান্তরে বলছেন না, অতীতে যেমন করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ক্ষমতা দখল করত সেটা ঘটলেই সঠিক হতো। কারণ তাদের যুক্তি অনুযায়ী এটা অতীতে ঘটেছে এবং ইতিহাসেও তার সাক্ষী আছে। তাদের এ কথার অর্থ অতি সহজ যে, সেনা অভ্যুত্থানটি ব্যর্থ হওয়ায় তারা খুশি হতে পারেনি। সেনা অভ্যুত্থানটি সফল হওয়া উচিত ছিল। কেন তাঁরা এ কথা বলছেন তাও অত্যন্ত সহজ। কারণ তারা যে রাজনীতিকে সমর্থন করে ওই জঙ্গীবাদী রাজনৈতিক দল অর্থাৎ জামায়াত, বিএনপি ও হিযবুত তাহ্রীর নেতৃত্বেই এ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা হয়েছিল। তাই বাস্তবে এ সেনা অভ্যুত্থানে তাদের সমর্থন ছিল এবং এসব বুদ্ধিজীবীর অনেকেই এনজিও করেন। তাঁরা এনজিওর মাধ্যমে টাকা এনেও এ সেনা অভ্যুত্থানের কাজে যোগান দিয়েছে। নারী, জৈব কৃষি এসব নিয়ে বড় বড় কথা বলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ফান্ড আনে এমন একটি এনজিও হিযবুত তাহ্রীর অর্থের যোগান দিয়েছে এ সামরিক অভ্যুত্থানের কাজে। এ প্রমাণও ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে। তাই সে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে '৭১-এর ঘাতক এক জামায়াত নেতার পত্রিকায় অনেক উদ্ভট যুক্তি হাজির করছেন ওই বুদ্ধিজীবী ও এনজিও মালিক।
এসব তথাকথিত বুদ্ধিজীবী যতই উদ্ভট যুক্তি দেখাক না কেন, সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত বা ওই অভ্যুত্থানের একজন সংগঠক ইশরাক ইকোনমিস্টের কাছে যে ¯^ীকারোক্তি করেছে তাতে বিষয়টি স্পষ্ট, জামায়াত, হিযবুত তাহ্রীর ও বিএনপি এর সঙ্গে জড়িত। অন্যান্য বিদেশী পত্রিকার খবরে এটা আরও স্পষ্ট যে, বিএনপি নেতা তারেক রহমানও এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিএনপি ও জামায়াত যে হিযবুত তাহ্রীর মাধ্যমে এ কাজে জড়িত তার প্রমাণ বেগম জিয়া নিজেও রেখেছেন। তিনি চট্টগ্রাম জনসভায় যে বক্তব্য রেখেছিলেন সেটা বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। তিনি সেনাবাহিনীতে উস্কানি ছড়ানোর জন্য বলেছিলেন, সেনাসদস্যদের গুম করা হচ্ছে। এছাড়া সেনা অভ্যুত্থানকারীদের এক ধরনের অভয় দেবার জন্য এটাও বলেছিলেন, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে তিনি চাকরিচ্যুত সেনা অফিসারদের চাকরিতে পুনর্বহাল করবেন। বেগম জিয়ার এ বক্তব্য ছিল পুরোপুরি সেনা অভ্যুত্থানকে সাহস যোগানোর একটি বক্তব্য এবং এখন বিষয়টি আরও স্পষ্ট হচ্ছে, কেন সেদিন ৬৫ কোটির বেশি টাকা খরচ করে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে সারাক্ষণ কাজে লাগিয়ে সারাদেশ থেকে লোক নিয়ে চট্টগ্রামের সমাবেশকে বিশাল করার চেষ্টা হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য যে অভ্যুত্থানকারীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য এ নিয়ে এখন আর কারও কোন সন্দেহ নেই। বেগম জিয়া এখন বলছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যেমন এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল তাঁর দল তেমনিভাবে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতচ্যুত করার নীতিতে বিশ্বাস করে। বেগম জিয়া কি এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়ও গণঅভ্যুত্থানে বিশ্বাস করতেন? এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় '৮৬ সালে কি বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে অনুষ্ঠিত জনসভায় তিনি কি বলেননি, 'সেপাই জাগো'? তিনি কি সেপাইদের এরশাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরার জন্য জনসভায় দাঁড়িয়ে আহান জানাননি? ইতিহাসের এ সত্য কি বেগম জিয়া অস্বীকার করতে পারবেন? তা হলে তিনি কবে গণঅভ্যুত্থানে বিশ্বাস করতেন? '৮৬-এর বায়তুল মোকাররমের জনসভার বক্তব্য ও ২০১২-এর চট্টগ্রাম জনসভার বক্তব্য প্রমাণ করে বেগম জিয়া সব সময়ই সেনা অভ্যুত্থানে বিশ্বাসী।
একদিকে বেগম জিয়া যেমন সেনা অভ্যুত্থানে বিশ্বাসী, অন্যদিকে তিনি প্রায় ছয় মাস যাবত একাত্তরের সাধারণ মানুষ, নারী, শিশু, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী এবং নারী ধর্ষক যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে আন্দোলন করছেন। তিনি এ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সরকার উৎখাতের আন্দোলন করছেন। প্রকাশ্যে প্রতিটি জনসভায় তিনি যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দাবি করছেন। তা হলে যে নেত্রী মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করেন, তাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার উৎখাত করতে চান তিনি কোন্ যুক্তিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী হবেন?
বেগম জিয়া যে গণতান্ত্রিক নেত্রী নন এটা এখন প্রমাণিত। কিন্তু এ কথা সত্য, গণতন্ত্রের নামে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করছেন। এর আগে ক্ষমতা থাকার সময় তিনি এ দেশে সশস্ত্র জঙ্গীবাদীদের বেড়ে ওঠার সব ধরনের সুযোগ দিয়েছিলেন। তাঁর আমলে দেশের সংবিধান পরিবর্তন করে মধ্যযুগীয় সংবিধান বাস্তবায়নের নামে বিচারকদের ওপর হামলা হয়েছে; বিচারক নিহত হয়েছেন। স্বাধীন মতামত রুদ্ধ করার জন্য মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবির প্রমুখ বুদ্ধিজীবীকে মিথ্যা অজুহাতে গ্রেফতার করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁর সরকারের প্রশ্রয়ে বেড়ে ওঠা জঙ্গীরা কিবরিয়া, মমতাজ উদ্দিন আহমদ, মনজুরে আলম, আহসানউল্লাহ মাস্টার প্রমুখকে হত্যা করে। এখানেই শেষ নয়, পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সহযোগিতায় ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফা নেতা পরেশ বড়–য়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরচালানীর রুট তৈরি করা হয়েছিল এই বাংলাদেশকে। ওই অস্ত্র চোরচালানের কাজে বেগম জিয়া তাঁর সরকারের পুরো প্রশাসন ব্যবহার করেন। সরকারের পুরো প্রশাসন ব্যবহার করে এ ধরনের অস্ত্র চালান, মাদক চালানের কাজ বেগম জিয়ার সরকার ছাড়া পৃথিবীতে আর যে সরকারটি করেছে সেটা পানামার নরিয়েগা সরকার। সরকারী প্রশাসনকে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক এ অস্ত্র চোরাচালানীর কাজ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার নরিয়েগাকে আন্তর্জাতিক আইনে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে এবং তার বিচার করেছে। বাংলাদেশেও ওই আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালানীর (যা দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা নামে পরিচিত) ঘটনার বিচার শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকারকে এ মামলার কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে যেমন তেমনি এখানে খতিয়ে দেখতে হবে এ আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালানের সার্বিক দিক। কারণ এটা মনে রাখতে হবে এ আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালান কিন্তু শুধুমাত্র বাংলাদেশের সমস্যা নয়। ওই দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার সঙ্গে কেবল বাংলাদেশের নিরাপত্তা জড়িত নয়। ওই অস্ত্র মামলা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সম্পন্ন করার সঙ্গে গোটা বিশ্বের নিরাপত্তা জড়িত। কারণ বর্তমান বিশ্বে যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে এটা কিন্তু সব থেকে বড় সমস্যা নয়। কারণ এখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুব কঠিন নয়। কিন্তু গোটা বিশ্বে এ মুহূর্তে যে জঙ্গী সন্ত্রাসবাদ চলছে এখান থেকে পৃথিবীকে বের করে আনা খুবই কঠিন। জঙ্গীরা আজ শুধু যে গোটা বিশ্বকে আতঙ্কিত করেছে তা নয়, দেশে দেশে অর্থনৈতিক ও মানুষের যোগাযোগকে করে তুলেছে কঠিন। অন্যদিকে এ জঙ্গীবাদ আফগানিস্তানের মতো যেসব দেশে ঘাঁটি গেড়েছে সেখান থেকে সহজে সেটা উৎখাত করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশে বেগম জিয়ার সরকারের আনুক‚ল্যে যে জঙ্গীবাদ ঘাঁটি গেড়েছিল তা বাস্তবে বাংলাদেশকে একটি অগ্নিকুণ্ডে পরিণত করে। এ অগ্নিকুণ্ডের ওপর বসে একের পর এক অগ্নির হল্কা ঠেকিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হচ্ছে শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনার এ রাষ্ট্র পরিচালনা শুধু যে বাংলাদেশকে জঙ্গীমুক্ত করছে তা নয়, গোটা বিশ্বকেও অনেকখানি জঙ্গীমুক্ত রাখতে সাহায্য করছে। আজ যদি বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী, হিযবুত তাহ্রীর, তালেবান মুফতি আমিনী এদের নিয়ে বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকত তা হলে আজ আফগান থেকে, পাকিস্তান থেকে জঙ্গীরা এসে ঘাঁটি গাড়ত এই বাংলাদেশে। তাতে যে শুধু বাংলাদেশ একটি জঙ্গী রাষ্ট্র হতো তা নয়। এ রাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা জঙ্গীরা ভারত থেকে শুরু করে ব্রিটেন, আমেরিকা সব দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াত। পরেশ বড়–য়ারা বেগম জিয়ার সরকারের ছায়ায় বসে দেশটিকে পানামার থেকেও বড়মাপের অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানীর দেশে পরিণত করত।
সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার অবশ্য বাংলাদেশের এ ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে উলফার জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, উলফা অভ‚যত্থনে চেষ্টাকারীদের টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েক বিখ্যাত সাংবাদিক আমাকে বলেছেন, তাঁদের কাছে প্রমাণ আছে ২০০১ এবং ২০০৮-এর নির্বাচনে উলফা বিএনপি- জামায়াতকে টাকা দিয়েছিল। শুধু এ নয়, পরেশ বড়–য়ার পক্ষ থেকে এখনও বিএনপি-জামায়াতকে অর্থ যোগান দেয়া হচ্ছে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার জন্য।
এসব তথ্য ও বাস্তব ঘটনা থেকে এটাই প্রমাণিত হয়, বেগম জিয়া ও তাঁর দল ওপরে যাই করুক না কেন, তারা মৌলবাদী জঙ্গী সংগঠনের মাধ্যমে সামরিক অভ্যুত্থান, আন্তর্জাতিক জঙ্গীদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ রক্ষা, তাদের বেড়ে ওঠার সুযোগ দেয়া, বিশ্ব নিরাপত্তার হুমকি মৌলবাদী জঙ্গী গড়ে তোলা; সর্বোপরি, পানামার নরিয়েগার মতো আন্তর্জাতিক অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানীর রক্ষক। তাই শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানুষের বা আদালতের বিচারে নয়, আন্তর্জাতিক আদালতেও বেগম জিয়ার নেতৃত্ব পানামার নরিয়েগার নেতৃত্বের সঙ্গেই তুলনা হবে। কোন গণতান্ত্রিক নেতার সঙ্গে তাঁর নেতৃত্ব তুলনা হবার কোন সুযোগ নেই। সুযোগ নেই তাঁকে গণতান্ত্রিক নেত্রী বলার।
এ কারণে বর্তমান সরকার ও বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের ভেবে দেখতে হবে, গণতন্ত্রের নামে বেগম জিয়া দেশে যে আন্দোলন করতে চাচ্ছেন এটা বাস্তবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন, না নৈরাজ্য? তিনি বাস্তবে এ নৈরাজ্যে সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্ব নিরাপত্তার হুমকি জঙ্গীদের আবার বাংলাদেশে পুনর্বাসন করতে চাচ্ছেন কিনা সেটাও ভেবে দেখতে হবে। তাঁর বর্তমানের প্রতিটি পদক্ষেপ ও তাঁর কাজের সপক্ষে যেসব প্রমাণ পাওয়া যায় তাতে এটা প্রমাণিত হয় যে, বাংলাদেশকে আবার প্রতিবেশী ও বিশ্ব নিরাপত্তার হুমকি একটি দেশে পরিণত করার কাজ করছেন তিনি? তাই আন্তর্জাতিক জঙ্গীবাদ দমনে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা বেগম জিয়ার এ কার্যক্রম কতটা চালাতে দেবেন দেশের ভেতর।
swadeshroy@gmail.com