Banner Advertiser

Wednesday, March 21, 2012

[mukto-mona] Fw: [KHABOR] ‘ভাবিতে উচিত ছিল প্রতিজ্ঞা যখন’ by শাহীন রেজা নূর


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>
Sent: Wednesday, March 21, 2012 3:54 PM
Subject: [KHABOR] 'ভাবিতে উচিত ছিল প্রতিজ্ঞা যখন' by শাহীন রেজা নূর

 

'ভাবিতে উচিত ছিল প্রতিজ্ঞা যখন'
শাহীন রেজা নূর
অবশেষে বিএনপির থলের বিড়ালটি তড়াক করে লাফিয়ে বেরিয়ে পড়ল। এ বিড়াল যে একদিন না একদিন বেরিয়ে যাবেই এতে কোন সন্দেহই ছিল না। শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল মাত্র। বিড়ালটি যিনি বের করে দিলেন তিনি আর কেউই নন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা বা আইএসআইর খোদ সাবেক প্রধান লে. জেনারেল আসাদ দুররানী। পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইফতেখারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের একটি বেঞ্চের সামনে সম্প্রতি তলব করে তাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হয়েছে। ভারতের ইন্ডিয়া টুডে ও ব্রিটেনের ডেইলি মেইলসহ বিভিন্ন পত্রিকায় এই খবরটি বেশ ফলাও করে ছাপা হয়েছে। এই মাত্র ক'দিন আগে আবুধাবি থেকে প্রকাশিত স্বনামধন্য দৈনিক খালিজ টাইমস অবশ্য খবরটি প্রথম পরিবেশন করেছিল। যাই হোক, আমাদের জন্য এই খবরটির তাৎপর্য সমধিক এ কারণে যে, আসাদ দুররানী সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জেতার তথা 'ভারতপন্থী' আওয়ামী লীগকে ঘায়েলের জন্য আইএসআই বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ৫০ কোটি রুপী দিয়েছিল। খালিজ টাইমসে যখন খবরটি প্রথম প্রকাশ পায় তাতে অবশ্য সম্ভবত প্রমাদ বশত টাকার অঙ্ক ৫ কোটি রুপী বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এক্ষণে, জানা যাচ্ছে যে, প্রকৃতপক্ষে ওই অঙ্ক হচ্ছে ৫০ কোটি রুপী। ১৯৯১ সালের টাকার মূল্যমান অনুযায়ী এই অর্থের পরিমাণ যে বিপুল এতে আর সন্দেহ কী! বিএনপির মাউথপিস মির্জা ফখরুল ইসলাম অবশ্য খালিজ টাইমসের সংবাদটিকে 'ভিত্তিহীন-বানোয়াট' ইত্যাকার নানান শব্দবন্দী করে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। এমনকি, খালিজ টাইমসে এই 'বানোয়াট' সংবাদটি ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকার 'বিশেষ ব্যবস্থায়' ছাপিয়েছে এমন ইঙ্গিত করতেও কিন্তু বিজ্ঞ মির্জা সাহেব ভোলেননি। তিনি যেটি ভুলে গেছেন তা এই যে, খবরটি খালিজ টাইমসের কোন নিজস্ব প্রতিবেদন ছিল না। পাকিস্তানের আদালতে প্রদত্ত হলফনামায় লে. জেনারেল দুররানী বেগম জিয়াকে ওই অর্থ প্রদানের যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন খালিজ টাইমস সেই খবরটুকুই ছেপেছে মাত্র নিজেরা মনগড়া কিছু পরিবেশন করেনি। সুতরাং, আদালতে হলফনামায় প্রদত্ত বক্তব্যকে মির্জা ফখরুল ইসলাম গং বেমালুম চেপে গিয়ে এ সংবাদের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দোষারোপের যে কৌশল অবলম্বন করেছেন, এক কথায় তা তাদের বালখিল্যতা এবং গোয়েবলসীয় মনোবৃত্তিকেই মেলে ধরে মাত্র!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইএসআইর কাছে থেকে টাকা নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতিকে কলুষিত করার এ হেন কর্মকাণ্ডের জন্য যখন বিএনপির তুখোড় সমালোচনা করেন তখন বিএনপি নেতৃবৃন্দ কূট তর্কের মাধ্যমে তার জবাব দেবার ব্যর্থ প্রয়াস চালান। একাত্তরে বাঙালীদের বীর্যবত্তার কাছে পর্যুদস্ত হলেও পাক সেনা শাসকরা ও আইএসআই সে পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। তাই বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই তারা তাদের এ দেশীয় দোসরদের মাধ্যমে আমাদের অগ্রগতি রুখতে নানান শাঠ্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যেতে শুরু করে। এই চল্লিশ বছরে তারা এই কাজে নতুন নতুন দেশী এজেন্ট তৈরিতেও সক্ষম হয়। লোকে বলে, বিএনপির বেগম জিয়া এবং তার দুই গুণধর পুত্ররতœও এই আইএসআইর এজেন্সিশিপ নিয়ে বসে আছেন বলে এখন প্রতীয়মান হচ্ছে। লে. জেনারেল দুররানী '৯১ সালে ৫০ কোটি রুপী বেগম জিয়াকে প্রদানের যে তথ্য প্রকাশ করে দিলেন সে প্রসঙ্গে মির্জা সাহেবরা এখন কি বলবেন? অবশ্য কথায় বলে, 'খলের ছলের অভাব হয় না'। সুতরাং, কোন না কোন মিথ্যার আবরণে সত্যকে ঢেকে রাখার সেই সনাতনী পন্থাই হয়তো তিনি অবলম্বন করবেন। আমাদের খুব স্পষ্টভাবে বোঝা দরকার যে, এ দেশে আইএসআইর উদ্দেশ্যটা কি? এর উত্তর পেতে হলে খুব একটা মাথা ঘামাবার প্রয়োজন পড়ে না নিশ্চয়ই। কমনসেন্সই বলে দিচ্ছে যে, তারা এ দেশে অস্থিতিশীলতা চায়। বাংলাদেশ যাতে কোনক্রমেই দাঁড়াতে না পারে সে জন্যই তারা সচেষ্ট। কেননা, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করলে তাকেও পাকিস্তানের জন্য এক ধরনের পরাজয়রূপে জ্ঞান করে তারা। কেননা, পাকিস্তান রাষ্ট্রটি ৬৫ বছরেও কোন প্রকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হলো না আর বাংলাদেশ পাকিস্তানীদের থাবা থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে গেলে পাকিস্তানী রাজনৈতিক ধারার অসারতাই প্রমাণ হয়ে পড়বে; সুতরাং যে করেই হোক বাংলাদেশকেও ব্যর্থ করে দেয়া তাদের একমাত্র দুরভিসন্ধি। এ ক্ষেত্রে সাবেক মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলামী, জামায়াতে ইসলামীসহ সব ধরনের পাকিস্তানবাদী সংগঠন-সংস্থা-ব্যক্তি ইত্যাদি একত্রে জড়ো হয়েছে আইএসআইর এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে সহায়তা করতে। ভারত-বিদ্বেষের বুলি আউড়িয়ে সেই সনাতনী পন্থায় আওয়ামী লীগ ও দেশের প্রগতিবাদী অংশকে ভারতীয় চর আখ্যা দিয়ে চলেছে এরা। এদেরই পূর্বসূরীরা শেরেবাংলা, শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু সকলকেই ভারতের চর বলে অভিহিত করেছে বরাবর। এই মহান নেতৃবৃন্দ বাংলা ও বাঙালীর সভ্যতা-ভাষা-সাহিত্য-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি-ইতিহাস রক্ষার জন্য সর্বদাই সোচ্চার ছিলেন আর এ জন্যই তাদেরকে 'হিন্দু সংস্কৃতির ধারক-বাহক' বলে চিত্রিত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়। আমাদের ভাষা-সংস্কৃতি-সাহিত্য-সভ্যতা যে বহু শতাব্দীর বহমান স্রোতধারারূপে আপন বৈশিষ্ট্যে সদা সমুজ্জ্বল এই সত্যটিকে মেনে নেবার মতো শিক্ষা জ্ঞান এবং ঔদার্য ওদের নেইÑকেননা ওরা নিজেদের হীন জাগতিক স্বার্থোদ্ধারের জন্য সর্বদাই মতলবাজ ও চক্রান্তকারীদের চর হিসেবে বেঁচে থাকার মধ্যে জীবনের অর্থ খুঁজে বেড়ায়, তাই ওরা স্বজাতির সঙ্গে পৌনঃপুনিক বিশ্বাসঘাতকতা করে চলে।
বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন এবং রাজনীতির নামে তাদের কর্মকা-ের দিকে নজর বুলালেই এদের উদ্দেশ্যটি পরিষ্কার বোঝা যায়। এদের রাজনৈতিক দর্শনের সঙ্গে পাকিস্তানবাদী বস্তাপচা দর্শনের কোনই অমিল নেই। এরা এখনও বাংলাদেশকে পাকিস্তানেরই একটি অঙ্গ ভাবতে অধিক আগ্রহী। ভৌগোলিক বা ভূখ-গতভাবে সম্ভব না হলেও অন্তত মনস্তাত্ত্বিকভাবে হলেও পাকিস্তানী ভাবধারার সঙ্গে একাত্ম থাকাটাই এদের একমাত্র উপজীব্য। লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান এক সময় ওই আইএসআইর একজন প্রশিক্ষিত সেনা কর্মকর্তা থাকার সুবাদে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, এ দেশের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র গড়ে তোলা এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার ঠিক বিপরীতে তিনি অবস্থান নিয়েছিলেন ক্ষমতায় আসীন হবার পর পরই। মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, এ দেশ সৃষ্টিতে সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাসকে খর্ব ও বিকৃত করা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা বানচাল ইত্যাকার নানা দুরভিসন্ধি অত্যন্ত সুকৌশলে চরিতার্থ করেছিলেন তিনি পাকিস্তানী এজেন্টদের সহায়তায়। তাই রাজাকার আলবদরদের মুক্তিদান ও পুনর্বাসন, রাজাকারদের নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রক্ষা, কর্নেল তাহেরসহ অগণিত মুক্তিযোদ্ধা সেনানীকে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে হত্যা ইত্যাদি নানান অঘটন ঘটাতে পেরেছিলেন তিনি অনায়াসে। তার নিষ্ঠুরতা এবং ক্ষমতালিপ্সা যে কত জঘন্য পর্যায়ের ছিল তা বিলম্বে হলেও এখন ধীরে ধীরে জানতে পারছে সবাই। বিএনপির সর্বাপেক্ষা বড় মিত্র এখন ধর্ম ব্যবসায়ীদের দল জামায়াতে ইসলামী। এই দলটির উদ্দেশ্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে দেশে ইসলামের নামে ওয়াহাবি ধাঁচের শাসন ব্যবস্থা কার্যকর করা, আর এ ক্ষেত্রে তারা বিএনপিকে পেয়েছে তাদের গন্তব্যে পৌঁছার বাহন হিসেবে। বিএনপি ক্ষমতার লোভে জামায়াতকে তারেক জিয়ার ভাষায় : 'আমরা একই পরিবারের সদস্য' হিসেবে বরণ করে নিলেও জামায়াতীদের রাহুগ্রাসে আজ বিএনপির জীর্ণ-দীর্ণ দশা নিশ্চয়ই কারও চোখ এড়ায় না। 
যাক সেসব। আইএসআইর টাকা নেয়া প্রসঙ্গে ফিরে যাই। কাগজে দেখলাম, মির্জা ফখরুল তার স্বভাবসিদ্ধ নিয়মে বেগম জিয়ার এই অর্থপ্রাপ্তিকে বানোয়াট বলে অভিহিত করে আওয়ামী লীগ ২০০৮-এর নির্বাচনে ভারতের কাছ থেকে 'ব্যাগভর্তি' টাকা নিয়েছে এবং ১৯৯৬ সালে আইএসআইর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। মির্জা সাহেব অবশ্য এ ব্যাপারে ইতোপূর্বে লন্ডনের দি ইকোনমিস্ট সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনকেই ভিত্তি করে এ সব অভিযোগ করেছেন। আইএসআই প্রধান সে দেশের সুপ্রীম কোর্টে প্রদত্ত হলফনামায় যে কথা বলেছেন মির্জা সাহেব তাকে বানোয়াট বলে উড়িয়ে দেয়ার জন্য যতই গলাবাজি করুন না কেন কোর্ট-কাচারিতে উত্থাপিত ও পেশকৃত তথ্যকে হালকাভাবে যে দেখার কোন উপায় নেইÑএ কথা তার অজানা নেই নিশ্চয়ই! তথাপি তিনি তা করছেন, কেননা মিথ্যা দিয়ে সত্য ঢাকার মধ্যেই তিনি ও তার দলের লোকেরা রাজনীতির সার্থকতা খুঁজে বেড়ান! চোখ-কান খোলা রেখে বিএনপি রাজনীতির গতি-প্রকৃতির ওপর নজর রাখলেই তাদের আইএসআই কানেকশন একেবারেই পানির মতো স্বচ্ছ হয়ে পড়ে। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে আরও বলা হয়েছে যে, শুনানিকালে জেনারেল দুররানী বলেছেন, বাংলাদেশে বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে আইএসআইর জন্য সেখানে তাদের লক্ষ্য পূরণ সহজতর হয়। তিনি আরও বলেছেন যে, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে আইএসআই ভারতে, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গোলযোগ সৃষ্টিতে বাংলাদেশের ভূখ- ও সরকারকে মনের মতো ব্যবহার করতে পারে। আজ দুররানী সাহেব যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন তা থেকে স্পষ্ট হলো যে, আইএসআই এবং তার এ দেশীয় দোসররা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সেই শুরু থেকেই কি ভয়ঙ্করভাবে সচেষ্ট রয়েছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে তাদের যে পরাজয় তাকে তারা ভারতীয়দের 'চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের' পরিণতি বলে মনে করে আর তাই এ পরাজয়কে কিছুতেই পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী মেনে নিতে পারছে না। এ অবস্থায় বাংলাদেশকে ব্যর্থ করে দিতে পারলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাস্নাত একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে প্রতিক্রিয়াশীল পাকিস্তানী ধারায় আনতে পারলে পাকিস্তানী শাষকগোষ্ঠী একে ভারতীয়দের একাত্তরের ভূমিকার সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে মনে করে। এ পরাজয়ের গ্লানি থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে আইএসআই ও তাদের দোসররা তাই বাংলাদেশে এত চক্র-চক্রান্তের ফাঁদ পেতে রেখেছে। সুতরাং, বাংলাদেশকে সম্মুখপানে এগিয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে বিএনপি ও তার স্যাঙ্গাতরা সেই পুরনো কায়দায় ভারত বিদ্বেষের বুলি কপচিয়ে ফেরে আর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় উলফা, জঈশে মোহাম্মদী, লস্করে তৈয়বা, হিযবুত তাহরীর, জেএমবি, হুজি প্রভৃতি জঙ্গি সংগঠনকে অপতৎপরতা চালাতে সহায়তা করে। 
চট্টগ্রামে আটক দশ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র মামলার শুনানির মধ্য দিয়ে তাদের এই দুরভিসন্ধির বিষয়গুলোই আরও পরিষ্কার হয়ে উঠছে। আর আইএসআই কর্তা জেনারেল দুররানীর হলফনামায় বেগম জিয়াকে অর্থ প্রদানের তথ্য বিএনপি-জামায়াত ও আইএসআইর মধ্যকার 'আনহোলি আঁতাতকে' সর্বসম্মুখে আজ সুস্পষ্ট করে মেলে ধরেছে। আশা করি, পাঠকদের মনে এখন থেকে বাংলাদেশের এই জামায়াত-বিএনপি আঁতাত এবং আইএসআইর উদ্দেশ্য সম্পর্কে আর কোন সন্দেহ থাকবে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেশী-বিদেশী কুচক্রীরা এই ঘৃণ্য উপায়ে রাষ্ট্রের মৌল চরিত্র ও মৌল দর্শন বিষয়ে এক কৃত্রিম বিভাজন তৈরি করে রেখেছে নিজেদের ইতর লোভ চরিতার্থ করার স্বার্থে। আর এ ক্ষেত্রে ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যন্ত সুকৌশলে। সুতরাং এই বিষয়টি সম্পর্কে জনগণের যত শীঘ্র সম্যক উপলব্ধি ঘটবে ততই মঙ্গল। এখন থেকেই তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ এবং সংগঠনকে এই অপকর্মের গোঁসাইদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো শিখতে হবে। বিএনপি নেত্রী আইএসআইর নিকট থেকে অর্থ গ্রহণ না করলে আজ নিশ্চয়ই তাকে বা তার দলকে জনগণের কাছে এত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো না। তাই আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে হারানোর জন্য বিদেশী অর্থ গ্রহণ করাটা তার দলের গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকারকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বৈ-কি! আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার জন্য বিএনপির প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ায় কোন অন্যায় নেই, কিন্তু এ জন্য বিদেশী টাকা গ্রহণ করাটা নিশ্চয়ই অন্যায়! তাই বলি 'ভাবিতে উচিৎ ছিল প্রতিজ্ঞা যখন'।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2012-03-22&ni=90647