Banner Advertiser

Thursday, April 5, 2012

[mukto-mona] Fw: যুদ্ধাপরাধী বিচার : অভিযোগপত্র - সাংবাদিক আবু তালেবসহ হাজার হাজার বাঙালীকে ধরে এনে হত্যা করে মিরপুরের কসাই

BUTCHER KADER MOLLAH SHOULD BE BEHEADED IN FRONT OF JAM-PACKED MIRPUR STADIUM !!

----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>
Sent: Thursday, April 5, 2012 3:33 PM
Subject: যুদ্ধাপরাধী বিচার : অভিযোগপত্র - সাংবাদিক আবু তালেবসহ হাজার হাজার বাঙালীকে ধরে এনে হত্যা করে মিরপুরের কসাই


অভিযোগপত্র শেষ ॥ সাংবাদিক আবু তালেবসহ হাজার হাজার বাঙালীকে ধরে এনে হত্যা করে মিরপুরের কসাই
যুদ্ধাপরাধী বিচার
বিকাশ দত্ত ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা আল বদর ও অবাঙালীদের নিয়ে মিরপুরে স্বাধীনতাকামী বাঙালীদের ধরে এনে গুলি করে হত্যা করত। সে কারণে মিরপুরবাসীর কাছে কাদের মোল্লা জল্লাদ বা কসাই নামে পরিচিত। এরপর তাদের লাশ মিরপুরের শিয়ালবাড়ি, রূপনগর ও বালুরমাঠ প্রভৃতি স্থানে বধ্যভূমিতে মাটিচাপা দিত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটরদের অভিযোগপত্র থেকে এ তথ্য রেরিয়ে এসেছে। জানা যায়, আসামি আব্দুল কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার সহযোগী আল বদর বাহিনীর সদস্য ও বিহারীদের নিয়ে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে ঢাকার মনিপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া এবং মিরপুর-১২ নং সেকশনে বসবাসকারী হাজার হাজার বাঙালীকে ধরে এনে হত্যা করা হয়, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ১৯৭৩-এর ৩(২) (এ) (সি) / ৪ (১) ধারায় অপরাধ সঙ্ঘটন করেছে।
আসামি আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তাবৃন্দ দীর্ঘ সময় তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কিছু তথ্যসমৃদ্ধ ঘটনা তুলে ধরেছে। এর মধ্যে মিরপুরে ১২ নং সেকশনে কলেজছাত্র পল্লব হত্যাকা-, মিরপুর ৬ নং সেকশনে মহিলা কবি মেহেরুন্নেছা হত্যাকা-, শিয়ালবাড়ির রূপনগর-বালুরমাঠে হাজার হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়া, কল্যাণপুর-মোহাম্মদপুর-মিরপুরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব হত্যা, কেরানীগঞ্জে ১১ জনকে হত্যা, মিরপুর আলন্দীতে ৩৪৪ জনকে গুলি করে হত্যা, মিরপুর ১২ নং সেকশনের কালাপানির ৫ নং লাইনের ২১ নং বাড়িতে একই পরিবারের ৫ জনকে হত্যা করা হয়। 
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অপরাধ বিষয়ে সাত ধরনের ৪৪ পৃষ্ঠার অভিযোগ উপস্থাপন করা হয় ট্রাইব্যুনালে। ১৯৭১ সালে আব্দুল কাদের মোল্লা ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মদপুরে হাজার হাজার মানুষকে ধরে এনে জবাই করে হত্যা করে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মিরপুর, মোহাম্মদপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নারীদের ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে। ২০১০ সালের ১৩ জুলাই তাকে গ্র্রেফতার করা হয়। আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে গত ১ নবেম্বর জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। ২৮ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনীর সহযোগী বাহিনী হিসেবে আল বদর বাহিনী কাজ করে। মিরপুরে এই আলবদর বাহিনীর স্থানীয় নেতা ছিলেন আসামি আব্দুল কাদের মোল্লা পাক বাহিনীর দোসর আল বদর বাহিনীর নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা তার সহযোগী আল বদর বাহিনীর ও বিহারীদের নিয়ে ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর এবং ঢাকা জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করে ও সঙ্গে থেকে নিজে এবং তারা গুলি করে ও জবাই করে অনেক নিরস্ত্র লোকদের হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে ও শারীরিক নির্যাতন করে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ। 
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, একাত্তরের ১৯ মার্চ আবার শেখ মুজিব ও ইয়াহিয়ার মধ্যে একটি বৈঠক হয়। শেখ মুজিবের পক্ষে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও ড. কামাল হোসেন। কিন্তু কোন আলোচনাতেই পজিটিভ রেজাল্ট না আসায় সাধারণ মানুষের মনে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভের বহির্প্রকাশ ঘটে। অন্যদিকে ১৯ মার্চ ঢাকার অদূরে জয়দেবপুরে সাধারণ মানুষ ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। জনগণ সংবাদ পায় যে, বাঙালী সেনাসদস্যদের নিরস্ত্র করা হচ্ছে এবং ব্রিগেড কমান্ডার জাহানজেব আরবার জয়দেবপুর থেকে ঢাকার দিকে আসার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুল্লা, শ্রমিক নেতা আব্দুল মোতালেব এবং আওয়ামী লীগের নেতা আকম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করেন। তারা সামরিক মালামালবাহী ট্রেনও আটকে দেয়। সামরিকবাহিনী জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করলে বেশ কয়েক আন্দোলনরত মানুষ নিহত হয়। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ঢাকাসহ পূর্ব বাংলার সব মানুষ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং অফিস-আদালত থেকে শুরু করে সর্বত্র রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে সামরিকজান্তার সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। 
২১ মার্চ প্রেসিডেন্ট ভবনে ইয়াহিয়া খান ও শেখ মুজিবের মধ্যে একটি অনির্ধারিত বৈঠক হয়। দেড় ঘণ্টা স্থায়ী আলোচনায় কোন ফল আসেনি। তখন ২২ মার্চ শেখ মুজিব ইয়াহিয়া-ভুট্টোর মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। কিন্তু ভুট্টোর অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক দাবি ও বক্তব্যের কারণে এই বৈঠকটিও কোন প্রকার পজিটিভ রেজাল্ট ছাড়াই শেষ হয়। ১০ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার গঠন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, তাঁর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে সরকার গঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৭, এপ্রিল ১৯৭১ কুষ্টিয়াতে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে উক্ত সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ অনুষ্ঠিত হয়। তাজউদ্দীন আহমদকে নির্দেশে কয়েকজন গণপরিষদ সদস্যকে নিয়ে তৎকালীন হুইপ ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামসহ গণপরিষদের সদস্যগণ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র তৈরি করেন এবং অধ্যাপক ইউসুফ আলী স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ও সরকারের সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান। এই সরকার মুজিবনগর সরকার হিসেবে অভিহিত। প্রবাসী সরকারের মধ্যে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী এম মুনসুর আলী, অর্থমন্ত্রী- এএইচএম কামারুজ্জামান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী- খন্দকার মোশতাক আহম্মেদ, সেনাবাহিনী প্রধান কর্নেল (অব.) আতাউল গনি ওসমানী। 
বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বাঙালী জাতি এই মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের জীবনবাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহর থেকে ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডের নিকট পাকিস্তানী সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণের পূর্ব পর্যন্ত নয় মাস এই মজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে ও পরিচালনায় এবং বঙ্গবন্ধুর নামে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে এবং বাঙালী জাতি বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে জায়গা করে নিতে পেরেছে।

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-04-06&ni=92330

Related:
অভিযোগপত্র ১ ॥ মিরপুরে জল্লাদ বা কসাই নামে পরিচিত ছিল কাদের মোল্লা
যুদ্ধাপরাধী বিচার

অভিযোগপত্র ২ ॥ মোল্লার নির্দেশে লস্করকে গুলি, স্ত্রী দুই মেয়েকে জবাই ও ছেলেকে আছড়িয়ে হত্যা করা হয়
যুদ্ধাপরাধী বিচার

অভিযোগপত্র ৩ ॥ কাদের মোল্লা কেরানীগঞ্জেও তার সহযোগী ও পাকি সৈন্যদের নিয়ে হত্যাকা- ঘটিয়েছে:
যুদ্ধাপরাধী বিচার দ্রুত করতে আরও ট্রাইব্যুনাল ॥ আইনমন্ত্রী



অভিযোগপত্র ৪ ॥ কবি মেহেরুন্নেছাকে হত্যা করে মোল্লা, দৃশ্য দেখে মানসিক ভারসাম্য হারায় সিরাজ