Banner Advertiser

Thursday, April 12, 2012

[mukto-mona] Fw: সেই রাজাকার’ সিরিজের ২৯ প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন : সাঈদীর বিরুদ্ধে আলামত


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>; chottala@yahoogroups.com
Sent: Wednesday, April 11, 2012 6:51 PM
Subject: সেই রাজাকার' সিরিজের ২৯ প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন : সাঈদীর বিরুদ্ধে আলামত

সেই রাজাকার' সিরিজের ২৯ প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন
সাঈদীর বিরুদ্ধে আলামত
স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আলামত হিসেবে তদন্তকারী কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে দৈনিক জনকণ্ঠে ২০০১ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত 'সেই রাজাকার' প্রকাশিত সিরিজের ২৯টি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেছেন। এ ছাড়া সাঈদীর আলিম পরীক্ষার সার্টিফিকেটসহ নির্বাচনের সময় হলফনামাও ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়। বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিমের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ এগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। 
এদিকে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আইনজীবীগণ মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে ট্রাইব্যুনাল থেকে বেরিয়ে গেলেও বুধবার আবার তারা ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি হেলাল উদ্দিন চতুর্থ দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে তার জবানবন্দী প্রদান করেন। আজও তিনি ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দী প্রদান করবেন। বুধবার তিনি জবানবন্দীতে বলেন, '২০০৮ সালে পিরোজপুর-১ আসনে সংসদ নির্বাচনে সাঈদীর দাখিল করা মনোনয়নপত্র এবং সংযুক্ত কপি সংগ্রহ করি। তাতে সাঈদী ১৯৫৭ সালে দেয়া দাখিল এবং ১৯৬০ সালে দেয়া আলিম পরীক্ষার সার্টিফিকেট দেখতে পাই। আলিম পরীক্ষার সনদপত্রে লেখা আবু নাঈম মোহাম্মদ নামটি কেটে দিয়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নামটি লেখা রয়েছে। সেখানে তার জন্মতারিখ দেয়া ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ সাল।'
এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনী হলফনামায় সাঈদী তার পেশা 'লেখক' হিসেবে উল্লেখ করেছেন সাঈদী। এ ছাড়া এ হলফনামায় সাঈদী তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তির বিবরণ দিয়েছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান। তদন্তকারী বলেন, '২০১০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সাঈদীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছারছিনা দারুস সুন্নাহ আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ১৯২৮ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনকৃত কাগজপত্র জব্দ করা হয়।' এর আগে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী দৈনিক জনকণ্ঠের ১০টি প্রতিবেদনের ২২ পৃষ্ঠা আসামি পক্ষকে সরববরাহ করেছেন বলে আদালতকে জানান।
মঙ্গলবার সাঈদীর আইনজীবীরা আদালত বর্জন করলেও বুধবার তারা আদালতের কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। এরপর শুনানি শেষে তার বিরুদ্ধে গত ১৪ জুলাই আনা অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।৩ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়। গত ১৯ নবেম্বর থেকে সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। তদন্তকারী হেলালউদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চতুর্থ দিনের সাক্ষ্য শেষে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল ।
গত ৮ এপ্রিল থেকে সাঈদীর বিরুদ্ধে তার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলালউদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে ২৭ জন সাক্ষী তাঁদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এঁরা হলেনÑ এ পর্যন্ত যাঁরা সাক্ষী দিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, মাহাবুব উদ্দিন হাওলাদার, রুহুল আমীন নবীন, মিজানুর রহমান তালুকদার, সুলতান আহমেদ হাওলাদার, মাহতাব উদ্দিন হাওলাদার, মানিক পশারী, মফিজ উদ্দিন পশারী, মফিজ উদ্দিন পশারী, মোঃ মোস্তফা হাওলাদার, মোঃ আলতাফ হোসেন হাওলাদার, বাসুদেব মিস্ত্রি, আব্দুল জলিল শেখ, আব্দুল আওয়াল এমপি (বর্তমান), গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাহা, আব্দুল হালিম বাবুল, মোঃ সেলিম খান, জুলফিকার আলী মোঃ রবিউল আলম খান। পিআইবির ক্যাটালগার, এস এম আমিরুল ইসলাম। পিআইবির চতুর্থ শ্রেণীর বুক সার্টার, ফাতেমা বেগম, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের গাইড কাম কম্পিউটার অপারেটর, মোঃ নেছার, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের গাইড, ইজাবউদ্দিন মিয়া, বাংলা একাডেমীর গ্রন্থাগারিক, মাসুম উল কবির, গ্রন্থাগারিক ডিস্ট্রবিউটর, মধুসূদন ঘরামী, মোঃ হোসেন আলী, মোঃ মোবারক হোসেন, সাংবাদিক আবেদ খান ও সাইফ হাফিজুর রহমান।
এ ছাড়া ট্রাইব্যুনাল যে ১৫ জন প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দী সাক্ষী হিসেবে গ্রহণ করেছেন তাঁরা হলেন উষারানী মালাকার (৭৮), সুখরঞ্জন বালি (৫৭), আশীষ কুমার ম-ল (৫৫), সুমতি রানী ম-ল (৫৮), সমর মিস্ত্রী (৫৭), সুরেশ চন্দ্র ম-ল (৭০), গণেশ চন্দ্র সাহা (৪৫), শহিদুল ইসলাম খান সেলিম (৫৫), মোঃ মোস্তফা (৫০), আব্দুল লতিফ হাওলাদার (৬২), আইয়ুব আলী হাওলাদার (৬২), সেতারা বেগম (৭৫), অনিল চন্দ্র ম-ল (৭৬), রানী বেগম (৫২) ও অজিত কুমার শীল (৭৫)। 
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর দায়ের করা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মামলায় গত বছরের ২৯ জুন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে তার রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-04-12&ni=93056

অভিযোগপত্র ২ ॥ সিরাজউদ্দিন হোসেনকে ধরে নিয়ে যায় মুজাহিদ নিয়ন্ত্রিত অস্ত্রধারীরা
যুদ্ধাপরাধী বিচার

Related:

মুজাহিদের বিরুদ্ধে ৩৪ অভিযোগ:

সেই রাজাকার' সিরিজের ২৯ প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন
সাঈদীর বিরুদ্ধে আলামত