Banner Advertiser

Friday, May 18, 2012

[mukto-mona] মিলিটারি জিয়ার চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে দিয়েছিল শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন !!!!!!



মিলিটারি জিয়ার চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে দিয়েছিল
শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন
মুহম্মদ শফিকুর রহমান
এ লেখা লিখছি ১৭ মে ২০১২ বাংলাদেশের ৭৭ ভাগ (গ্যালাপ পুল) মানুষের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার ৩২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দিনটিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এ মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তাঁকে সংবর্ধনা জানাচ্ছে। এই সংবর্ধনায় আরও একটি ব্যাপার যোগ করেছে ছাত্ররা তা হলো 'সমুদ্র বিজয়।' একাত্তরের মতো না হলেও এটিও একটি বড় বিজয়। এক লাখ ১১ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চল এবং এর বাইরেও মহীসোপানের পরে গভীর সমুদ্রে আমাদের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ কেবল পানি নয়, এর মধ্যে রয়েছে তেল, গ্যাস এবং মাছসহ সবার সম্পদরাজি।
মাঝে মধ্যে ভাবি ৩১ বছর আগে ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা যদি দেশে না ফিরতেন তাহলে কি হতো? কিংবা কি হতো না! যে সমুদ্র বিজয় নিয়ে গোটা জাতি এত উল্লাস করছে তা কি হতে পারত? দীর্ঘদিন মিলিটারি জিয়া, মিলিটারি এরশাদ বা পত্নী-মিলিটারি জিয়া দেশ শাসন করেছেন, কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রবিরোধী নিষ্পত্তিতে আইনী লড়াইয়েও অবতীর্ণ হননি। শেখ হাসিনাকেই তাঁর চৌকস পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে দায়িত্ব দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হলো।

জাতির জনকের হত্যার পর দেশ কোন্ পথে চলছিল
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। তাঁরা শেখ হাসিনার স্বামী প্রখ্যাত অণুবিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন) জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে দেশটাকে আবার পাকিস্তান ধারায় নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করে প্রথমেই বেতার টেলিভিশনে 'জয় বাংলা' সোগান প্রচার বন্ধ করে পাকিস্তান জিন্দাবাদের' আদলে 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' বলানো শুরু হয়। 'বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্র সেই পাকি আদলে 'রেডিও বাংলাদেশ' করা হয়। সংবিধান থেকে ৪ মূলনীতি বিকৃত করা হয়। পবিত্র ইসলামের নাম করে একাত্তরের মতো একদিকে সংবিধানে 'বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহিম' স্থাপন করা হয়, পাশাপাশি মিলিটারি জিয়া বঙ্গবন্ধু কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত মদ-জুয়া হাউজি পুনরায় চালু করেছেন। সংবিধানের জাতীয়তাবাদ এবং সমাজতন্ত্রকেও বিকৃত করা হয়। বাঙালী জাতীয়তাবাদকে একই পাকি আদলে 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ' করা হয়। ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থাৎ সকল ধর্মের স্বাধীনতা অর্থাৎ যে যার ধর্ম নিশ্চিন্তে স্বাধীনভাবে পালন করবে বঙ্গবন্ধুর এই নীতির বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে 'ধর্মহীনতা।'
একই সঙ্গে মিলিটারি জিয়া বঙ্গবন্ধু কর্তৃক নিষিদ্ধ রাজকার যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতসহ মৌলবাদী দলগুলোকে আবার রাজনীতি করার অধিকার দেয় ও এই সুযোগে গোলাম আযমের মতো কুখ্যাত রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধীদের নেতাকে বাংলাদেশে এসে বসবাস করার ও রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়া হয়। এই গোলাম যে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে পাকি-সামরিক জান্তার গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, লুট, জ্বালাও-পোড়াওয়ের সহযোগী ছিলেন কেবল তাই নয়। স্বাধীনতার পরও ৩০ লাখ শহীদ ও পৌনে তিন লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম এবং জীবনহানির বিনিময় অর্জিত স্বাধীনতার বিরুদ্ধে তার চক্রান্ত অব্যাহত রাখে। পাকি-পাসপোর্ট নিয়ে এই গোলাম পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি করে গোটা মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে ঘুরে একদিকে অর্থ ভিক্ষা করেছে, পাশাপাশি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়ার ওকালতি করেছে। তখন আব্বাস আলী খানকে বলা হতো জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির। অর্থাৎ পাকি-পাসপোর্টধারী গোলাম ছিলেন জামায়াতের আমির। মিলিটারি প্রেসিডেন্ট জিয়া গোলাম আযমের মতোই পরোক্ষভাবে তার 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটিতে জয়েন করে বাংলাদেশকে আবার পাকি ধারায় নিয়ে যাওয়ার যা যা করা দরকার সবই করেছেন।
অথচ আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় গোলাম আযমের বাংলাদেশবিরোধী যে চিত্র বেরিয়ে এসেছে তা সাংবাদিক জুলফিকার আলী মানিক এবং রিজানুজ্জামান লস্কর 'ডেইলি স্টার' ১৪ মে, ২০১২তে Anti Bangladesh before after 1971 শিরোনামে এভাবে বর্ণনা করেছেন (ট্রাইব্যুনালে চার্জ গঠনের সূত্র ধরে) যে, Gulam Agam's crusade to thwart emergence of Bangladesh had continued ever after the nine month long blood spattered Liberation war in 1971, as he tried to revive East pakistan and spread Propaganda against Bangladesh for Several Years. Just when pakistan was one the verge of losing the war, Gulam Azam went to pakistan on November 22. 1971, He formad East Pakistan Retrieval committee' in Pakistan and Compaignsed untile 1973 to build Public opinion against Bangladesh and its recognistion in the Islamic world.... gulam Azam went to London in 1973 and Set-up on office of East Pakistan Retrieval Committee' there. He Published a weekly ÔSonar Bangla' in London which war used as a Propaganda tool against Bangladesh. Bangladesh Government Cancelled his citigenship on april 18, 1973 Gulam Azam Letter visited Saudi Arabia in March 1975. He met king Faisal and told him that Hindus have Captured East Pakistan. The holy Quran has been burnt Mosques have been destroyad and Couverted into temples, and Muslims were Killed…. He collcted founds from the middile East for rebuilding Mosques and Madrassas.
এই গোলাম আযমকে বাংলাদেশে আনার অর্থ কি? তাও পাকিস্তানী পাসপোর্টে। এর অর্থ কি জিয়া নিজেও বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চাননি? এ প্রশ্ন কি খুব জটিল কিছু? না। বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে গেল যখন পত্নী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে গোলামের দুই সহযোগী বর্তমানে বিচারাধীন মতি নিজামী আর আলী মুজাহিদের গাড়িতে শহীদের রক্তরঞ্জিত পতাকা তুলে দিলেন।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন জিয়ার চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে দেয়
বঙ্গবন্ধু হত্যার (১৯৭৫) পর শেখ হাসিনা নিরাপত্তার স্বার্থে স্বামী-সন্তান ও ছোটবোন রেহানাকে নিয়ে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের পরম আত্মীয় বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু পরিবারের আপনজন শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর তত্ত্বাবধানে দিল্লীতে চলে আসেন।
প্রায় সাড়ে ৬ বছর দিল্লীতে অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করেন। জিয়া তাঁকে দেশে আসতে দেননি, এমনকি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তন প্রতিরোধ কমিটি' নামে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। ১৯৮১ সালের ঢাকার হোটেল ইডেনে আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হবার পর শেখ হাসিনা দেশে ফিরে অসেন ১৭ মে ১৯৮১। মিলিটারি জিয়ার সকল চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে সেদিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে গোটা বাংলাদেশের শহর-বন্দর-গ্রাম থেকে আগত মানুষের ঢল নেমেছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে এক নজর দেখার জন্য সেদিন রাস্তার দু'ধারে এবং মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ জড়ো হয়েছিল। এমনি আরেকটি দৃশ্য জাতি দেখেছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যেদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারের ফাঁসির মঞ্চ থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন-দিল্লী হয়ে তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন বাংলার মাটিতে পা রেখেছিলেন।
যে দিন ফিরে এলেন

বিমানবন্দর থেকে দলীয় নেতৃবৃন্দ তাঁকে একটি ট্রাকে করে মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে নিয়ে আসেন। দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্টার হিসেবে আমার সুযোগ হয়েছিল ট্রাকে করে মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে সভামঞ্চের কাছে আসার। মনে পড়ে পুরো সময়টা বৃষ্টি হচ্ছিল এবং জনতার ভিড়ের কবলে ট্রাক এগোতে পারছিল না সাড়ে ৪ ঘণ্টা লেগেছিল মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে আসতে। শেখ হাসিনা সংক্ষিপ্ত যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন।
'মা-বাবা-ভাই-ভাবি সবাইকে হারিয়ে ৬ বছর পর আপনাদের কাছে ফিরে আসতে পেরেছি, আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ, এখন আপনারাই, অর্থাৎ বাংলার মানুষই আমার আপনজন। আমি বাবার মতোই আপনাদের নিয়ে তাঁর স্বপ্নের শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলব। জাতির পিতার জীবনের লক্ষ্য স্বাধীনতার চেতনায় ুগরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই এবং লক্ষ্য অর্জনে আমি আপনাদের বাংলার মানুষের সহযোগিতা চাই।
'আমি আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কোনরকম প্রতিহিংসা নয়, বরং গণতন্ত্র, শোষণমুক্ত সমাজ, গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতির জনকসহ ১৫ আগস্টের বর্বর হত্যাকা- এবং ৩ নবেম্বর জাতীয় ৪ নেতার হত্যার প্রতিশোধ নেব।'
মনে পড়ে বক্তৃতা শেষে যখন অফিসের দিকে যাচ্ছিলাম অনেকেই বলাবলি করছিলেন, 'এ তো দেখি বাপের বেটি, অল্প কথায় সব বলে দিলেন।' মনে মনে ভাবছিলাম শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা, পুরো পরিবারের পরিবেশটাই ছিল একটি রাজনৈতিক দলের মতো, ছেলেবেলা থেকেই জাতীয় নেতা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা নেতা এবং সর্বোপরি দিল্লীতে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সাহচর্য পেয়েছেন। নিজেও ছাত্র রাজনীতি করেছেন ইডেনে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাবা-মা-ভাই-ভাবি সব হারিয়েছেন, নিজের শিশুপুত্র-কন্যা ও কিশোরী ছোট বোনকে বিদেশের মাটিতে রেখে বঙ্গবন্ধুহীন বাংলার মানুষের সেবা করতে এসেছেন। এত বড় আত্মত্যাগ যিনি করতে পারেন তিনি কত বড় মাপের মানুষ কত বড় মানবতাবাদী তা বিশ্লেষণ করে বলার প্রয়োজন আছে কি?
একটু পেছনে তাকালে দেখতে পাব জাতির পিতা ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলে স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করেছিল। মাত্র সাড়ে ৩ মাসে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সচল করে মাত্র ৯ মাসে গণতান্ত্রিক সংবিধান, নির্বাচন তথা দেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন। সর্বোপরি যে কথাটি তার শত্রুও স্বীকার করবেন বঙ্গবন্ধু ফিরে এসেছিলেন বলেই আড়াই মাসের মধ্যে মিত্রবাহিনী তথা ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশ ত্যাগ করে তাদের দেশে চলে গিয়েছিল। ঠিক তেমনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই বাংলাদেশ দুষ্টক্ষত সামরিক শাসন থেকে সংসদীয় গণতন্ত্রে উত্তরণ ঘটেছিল, পাকিস্তানীকরণের হীন চক্রান্ত থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে এসেছিল, মিলিটারাইজেশন থেকে সিভিল প্রশাসন গড়ে উঠেছিল, আজ দেশে ৩ কোটি টন খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়নসহ শিক্ষা, খাদ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, অর্থাৎ সাধারণ জনগণের খাতগুলোতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি, গ্রামীণ সামাজিক খাতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা এভাবে দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে সর্বক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের পথে রয়েছে বাংলাদেশ। গভীর রাতের টিভি চ্যানেলের যেসব গলাজীবী বা যে সকল মিডিয়া বিদ্যুত নিয়ে চিৎকার করেন তারা ভুলে যান ২০০১-২০০৬-এর অবস্থা আমি সে সব বলতে চাই না, বরং একটি প্রশ্ন করতে চাই যারা এই চিৎকার করেন তাদের বাড়িতে তো বিদ্যুত যায় না, বরং আইপিএসের মাধ্যমে বিদ্যুত জমিয়ে রেখে অফ সময়ে বিদ্যুত খাচ্ছেন, এমনকি অনেকে ঠাণ্ডা খাবার এয়ারকুলার বা টিভিতে পর্যন্ত আইপিএসের কানেকশন দিয়ে রেখেছেন। তাছাড়া যে বাড়িতে ৫/১০ বছর আগেও ২/৩টি পরিবার বাস করতেন প্রমোটারদের সুবাদে এখন সেখানে শত, কয়েক শ' পরিবার বাস করছেন। তাছাড়া ৫ কোটি সেলফোন, মতান্তরে ৯ কোটি, ইজিবাইকের ব্যাটারি, এসবের জন্যও শুনেছি দৈনিক ৫০০ মেগাওয়াট খরচ হয়। সাড়ে ৪ হাজার টাকার খাম্বা ১৫/১৬ হাজার টাকায় বিক্রি বা এখনও যেগুলো লাশের মতো বহু স্থানে রাস্তার পাশে শুয়ে আছে, শেখ হাসিনার সরকার গত ৩ বছর ৪ মাসে ৩০০০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুত উৎপাদন এবং বিতরণ করেও চাহিদা মেটাতে পারছেন না। খালেদা জিয়ার ৫ বছর এবং ফখরুদ্দীন-মঈনউদ্দিনের ২ বছর এই ৭ বছর তো উৎপাদনই হয়নি। তাছাড়া বিদ্যুত, খাদ্যশস্য নয় যে সঙ্কট দেখা দিলে রাতারাতি বিদেশ থেকে আমদানি করে সমাধান করা যাবে। বিদ্যুত উৎপাদনে সময় লাগে ৬ মাস (কুইক রেন্টাল) থেকে ২ বছর।

জীবনের ঝুঁকি
শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো জিয়া-এরশাদের সামরিকতন্ত্র ও সামরিক শাসন এবং মিলিটারি পত্নী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে প্রশাসন গঠনের বিপরীতে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা সিভিল প্রশাসনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে দেশের অগ্রগতি সাধন। এই সেই সঙ্গে জাতির জনকের হত্যাকারীদের বিচারের সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। এ জন্য তার জীবনের ওপর আঘাত এসেছে বার বার। মুশতাক-জিয়ার চক্রান্তে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়, আর জিয়া পরিবারও হাওয়া ভবনের চক্রান্তে শেখ হাসিনার ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করা হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে সিরিজ গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে আইভী রহমানসহ ২৩ জন ঘটনাস্থলে নিহত এবং প্রায় তিন শ' নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ গ্রেনেডের স্পিøন্টারবিদ্ধ হন এবং এখনও অনেকে স্পিøøন্টার শরীরে বহন করে বেঁচে আছেন। শেখ হাসিনারও একটি কানের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এভাবে তাঁর ওপর বহুবার হামলা হয়। কিন্তু আল্লাহ্ তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। হয়ত মানুষের দোয়া ও আল্লাহ্্র রহমত তাঁর সঙ্গে আছে।

খালেদা জিয়ার বক্তব্য ও গ্যালাপ পুল
বিএনপি ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন সরকার পতনের আন্দোলন করছেন। ঘুমন্ত গাড়িচালককে পর্যন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে গণতান্ত্রিক অধিকারের মানে হরতাল করতে গিয়ে। গাড়ি ভাঙ্গা হচ্ছে, আগুন দেয়া হচ্ছে।
ক'দিন আগে বললেন, আগামী ৪২ বছরেও আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। অতীতেও ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বা বদরুদ্দোজা চৌধুরীরা বলেছিলেন ১০০ বছরেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কিন্তু এসেছে এবং জাতির জন্য এত সাফল্য, অর্জন এনেছেন যে খালেদা তাঁর ফেইট বুঝে ফেলেছেন। তার চেয়ে বড় কথা হলো বিশ্বখ্যাত জনমত জরিপ সংস্থা 'গ্যালাপ' তাদের সাম্প্রতিক জরিপে দেখিয়েছেন এখনও রাষ্ট্র পরিচালনার নেতৃত্বে ৭৭ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেন। এবং এশিয়ার ২১ দেশের সফল রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে শেখ হাসিনার অবস্থান ৭ম।

ঢাকা-১৮ মে ২০১২
লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___