***মীর কাশেম আলী - এক ভয়ঙ্কর রক্তপিপাসু হায়েনার নাম***
যুদ্ধের শেষ দিককার একটি ঘটনা। বিবিসিতে প্রতিবেদন হলো মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়ে থাইল্যান্ড পালিয়েছেন পাকবাহিনীর জেনারেল টাইগার (!) নিয়াজী। রেগে আগুন হয়ে নিয়াজী এলেন তৎকালীন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। খুঁজে বেড়ালেন বিবিসির প্রতিনিধিকে, হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে করলেন এক সংবাদ সম্মেলন এবং অস্বীকার করলেন তিনি আত্মসমর্পণ করবেন না কোনভাবেই। (ভিডিওঃ http://bit.ly/MdJSo7) কিন্তু আজকের এই লেখাটির লক্ষ্য নিয়াজীর হিপোক্র্যাসী তুলে ধরা নয়, লেখাটির উদ্দেশ্য নিয়াজীর ঠিক পেছনের শাদা শার্ট, কাল চশমা পরিহিত মানুষটিকে নিয়ে। নাম তার মীর কাশেম আলী। পরিচয়, জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংঘের চট্টগ্রামের হর্তাকর্তা, আলবদরের প্রধান কমান্ডারদের একজন। আজও যার ভয়ঙ্কর পৈশাচিকতার স্বাক্ষী নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আন্দরকিল্লার ফরেস্ট গেটের ডালিম হোটেল।
ডাক নাম ছিল মিন্টু, চার ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। মূলত পিতার চাকরীর সুবাদেই চট্টগ্রাম আগমন এবং চট্টগ্রাম কলেজে পড়া অবস্থাতেই জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংঘের(বর্তমানে ছাত্র শিবির) সাথে তার জড়িত হওয়া। চাটুকারীতা এবং পাকিস্তানপন্থীদের পক্ষে দালালীর সুবাদে তাকে নিযুক্ত করা হয় চট্টগ্রামের ছাত্র সংঘের প্রধান হিসেবে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রথমে মীর কাশে আলী স্বেচ্ছায় চট্টগ্রাম আঞ্চলে রাজাকার বাহিনীর কমান্ড নিজ হাতে তুলে নেয়।
১৯৭১ সালের ২ আগস্ট চট্টগ্রাম মুসলিম ইন্সটিটিউটে তার নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধী সমাবেশ আয়োজন করা হয়। সভাপতি হিসেবে সে তার ভাষণে বলে গ্রামে গঞ্জে প্রতিটি এলাকায় খুঁজে খুঁজে পাকিস্তান বিরোধীদের শেষ চিহ্নটি মুছে ফেলতে হবে। এক সময় রাজাকার বাহিনী থেকে দক্ষদের উচ্চতর প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কুখ্যাত আলবদর বাহিনী গঠন করা হলে যথারীতি বেঈমান, নরপশু মীর কাশেম আলী নিজ থেকেই বুঝে নেয় আলবদর কমান্ডারের দায়িত্ব। নতুন দায়িত্ব পেয়ে আরো বেপোরোয়া ভাবে বাঙ্গালী হত্যায় মেতে ওঠে এই নরখাদক। ডালিম হোটেলে স্থাপন করে তার হেডকোয়ার্টার তথা বন্দিশালা যেখান থেকে ১৭ ডিসেম্বরসাড়ে তিনশ বন্দীকে প্রায় মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের বেশীরভাগই ছিল মুক্তিযোদ্ধা নয়ত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বুদ্ধিজীবি।
তার এই ধরনের নৃশংসতার ফলশ্রুতিতে পরিণত হয় পাকিস্তানী জেনারেল নিয়াজী, রাওফরমান আলীদের পোষা এবং বিশ্বস্ত কুকুরে। তাই ঢাকায় এসে পাকিস্তানী জেনারেলদের সাথে নিয়মিত বুদ্ধিজীবি হত্যার শালাপরামর্শে ব্যস্ত থাকতো এই নরপশু।
যুদ্ধ শেষে তারই মত আরেক কুলাঙ্গার মওলানা মঈনুদ্দীনের সাথে প্রথমে পালান বৃটেন, তারপর সৌদি আরবে। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর পুনরায় ফিরে আসেন দেশে এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তুলে আনেন বেশ মোটা অঙ্কের টাকা। একে একে গড়ে তুলেন সৌদী দাতব্য প্রতিষ্ঠান রাবেতা, ইসলামী ব্যাঙ্ক, ইবনে সিনা সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে জামায়াতী অর্থনীতিতে সার্কুলেট হচ্ছে হাজার কোটি টাকা। এখন তিনি জামায়াতের বড় নেতা, তাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
সম্প্রতি যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হবা মাত্র জামায়াতের পুরোনো প্রভু আমেরিকান সরকারের কাছে লবি করবার জন্য আড়াইশ কোটি টাকা ব্যয়ে নিয়োগ দেন Cassidy and Associates কে (প্রামাণ দেখুন আমেরিকান কংগ্রেসের সাইটে (http://on.fb.me/NB2IZs) । শুধু তাই নয়, এই বিচার ঠেকাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে একের পর এক বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক,সরকারী কর্মকর্তাকে কিনে নিচ্ছেন এই যুদ্ধাপরাধী।
এত কিছুর পরও আজ অবশেষে গ্রেফতার হলেন একাত্তরের এই খুনে রাজাকার মীর কাশেম আলী। অর্জিত হলো একাত্তরের নরপশুদের বিচারের আরেকটি মাইলফলক। এখন প্রত্যাশা একটাই, ফাঁসী চাই অতি দ্রুত।
আসুন সবাই কন্ঠ মিলিয়ে বলিঃ
ঘাতক, তুমি সরে দাঁড়াও সামনে থেকে এই সময়ে,
চতুর্দিকে আবার দেখো উঠছে শ্লোগান একাত্তরের
তাকিয়ে দেখো তরুন চোখে মশাল জ্বলে প্রতিবাদের
ভাঙবো আবার দম্ভ তোমার, ভাঙবো আবার স্বপ্ন তোমার,
ভাঙবো তোমার পদযুগল ভাঙবো আবার দুহাত তোমার।
ডাক নাম ছিল মিন্টু, চার ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। মূলত পিতার চাকরীর সুবাদেই চট্টগ্রাম আগমন এবং চট্টগ্রাম কলেজে পড়া অবস্থাতেই জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংঘের(বর্তমানে ছাত্র শিবির) সাথে তার জড়িত হওয়া। চাটুকারীতা এবং পাকিস্তানপন্থীদের পক্ষে দালালীর সুবাদে তাকে নিযুক্ত করা হয় চট্টগ্রামের ছাত্র সংঘের প্রধান হিসেবে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রথমে মীর কাশে আলী স্বেচ্ছায় চট্টগ্রাম আঞ্চলে রাজাকার বাহিনীর কমান্ড নিজ হাতে তুলে নেয়।
১৯৭১ সালের ২ আগস্ট চট্টগ্রাম মুসলিম ইন্সটিটিউটে তার নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধী সমাবেশ আয়োজন করা হয়। সভাপতি হিসেবে সে তার ভাষণে বলে গ্রামে গঞ্জে প্রতিটি এলাকায় খুঁজে খুঁজে পাকিস্তান বিরোধীদের শেষ চিহ্নটি মুছে ফেলতে হবে। এক সময় রাজাকার বাহিনী থেকে দক্ষদের উচ্চতর প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কুখ্যাত আলবদর বাহিনী গঠন করা হলে যথারীতি বেঈমান, নরপশু মীর কাশেম আলী নিজ থেকেই বুঝে নেয় আলবদর কমান্ডারের দায়িত্ব। নতুন দায়িত্ব পেয়ে আরো বেপোরোয়া ভাবে বাঙ্গালী হত্যায় মেতে ওঠে এই নরখাদক। ডালিম হোটেলে স্থাপন করে তার হেডকোয়ার্টার তথা বন্দিশালা যেখান থেকে ১৭ ডিসেম্বরসাড়ে তিনশ বন্দীকে প্রায় মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের বেশীরভাগই ছিল মুক্তিযোদ্ধা নয়ত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বুদ্ধিজীবি।
তার এই ধরনের নৃশংসতার ফলশ্রুতিতে পরিণত হয় পাকিস্তানী জেনারেল নিয়াজী, রাওফরমান আলীদের পোষা এবং বিশ্বস্ত কুকুরে। তাই ঢাকায় এসে পাকিস্তানী জেনারেলদের সাথে নিয়মিত বুদ্ধিজীবি হত্যার শালাপরামর্শে ব্যস্ত থাকতো এই নরপশু।
যুদ্ধ শেষে তারই মত আরেক কুলাঙ্গার মওলানা মঈনুদ্দীনের সাথে প্রথমে পালান বৃটেন, তারপর সৌদি আরবে। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর পুনরায় ফিরে আসেন দেশে এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তুলে আনেন বেশ মোটা অঙ্কের টাকা। একে একে গড়ে তুলেন সৌদী দাতব্য প্রতিষ্ঠান রাবেতা, ইসলামী ব্যাঙ্ক, ইবনে সিনা সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে জামায়াতী অর্থনীতিতে সার্কুলেট হচ্ছে হাজার কোটি টাকা। এখন তিনি জামায়াতের বড় নেতা, তাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
সম্প্রতি যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হবা মাত্র জামায়াতের পুরোনো প্রভু আমেরিকান সরকারের কাছে লবি করবার জন্য আড়াইশ কোটি টাকা ব্যয়ে নিয়োগ দেন Cassidy and Associates কে (প্রামাণ দেখুন আমেরিকান কংগ্রেসের সাইটে (http://on.fb.me/NB2IZs) । শুধু তাই নয়, এই বিচার ঠেকাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে একের পর এক বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক,সরকারী কর্মকর্তাকে কিনে নিচ্ছেন এই যুদ্ধাপরাধী।
এত কিছুর পরও আজ অবশেষে গ্রেফতার হলেন একাত্তরের এই খুনে রাজাকার মীর কাশেম আলী। অর্জিত হলো একাত্তরের নরপশুদের বিচারের আরেকটি মাইলফলক। এখন প্রত্যাশা একটাই, ফাঁসী চাই অতি দ্রুত।
আসুন সবাই কন্ঠ মিলিয়ে বলিঃ
ঘাতক, তুমি সরে দাঁড়াও সামনে থেকে এই সময়ে,
চতুর্দিকে আবার দেখো উঠছে শ্লোগান একাত্তরের
তাকিয়ে দেখো তরুন চোখে মশাল জ্বলে প্রতিবাদের
ভাঙবো আবার দম্ভ তোমার, ভাঙবো আবার স্বপ্ন তোমার,
ভাঙবো তোমার পদযুগল ভাঙবো আবার দুহাত তোমার।
__._,_.___