ঢাকা, জুলাই ১৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আল বদর ও আল শামসের মতো বাহিনীগুলোর নেতৃত্বে ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম।
গোলাম আযমের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের দ্বিতীয় সাক্ষী মাহবুব উদ্দিন আহমেদ রোববার জবানবন্দিতে এ কথা জানিয়েছেন।
একাত্তরে পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুবকে ক্যাপটেন পদমর্যাদা দেন মুক্তিযুদ্ধে ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার আবু ওসমান চৌধুরী।
মুক্তিযুদ্ধে ৮ নম্বর সেক্টরের একটি উপ-সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব পালনকারী মাহবুব স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে গার্ড অব অনার দেন।
পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বীর বিক্রম উপাধিতেও ভূষিত হন তিনি।
সাক্ষ্যে মাহবুব বলেন, ১৯৭১ সালে রাজাকার, আল বদর ও আল শামসসহ পাকিস্তানি সেনাদের পক্ষে বাঙালি নিধনে জড়িত সংগঠনের অনেকের কাছে তিনি জানতে পারেন বাঙালিদের স্বাধীনতা লাভের প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করতে সত্তরের নির্বাচনে পরাজিত জামায়াতে ইসলামী ও মুসলিম লীগের মতো দলগুলো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে কাজ করছে।
জামায়াতে ইসলামীর পূর্ব পাকিস্তান শাখার প্রধান গোলাম আযম ও তার সহযোগীরা পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনাবাহিনীর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব দেন।
তার ওই জবানবন্দি দেওয়ার সময় প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন জেয়াদ আল-মালুম।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র, উস্কানি, পাকিস্তানি সেনাদের সাহায্য করা এবং হত্যা-নির্যাতনে বাধা না দেওয়ার পাঁচ ধরনের অভিযোগে গত ১৩ মে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এদিকে রোববার অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য দলটির সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদের আবেদন খারিজ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
একই ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দিও গ্রহণ করা হয়।
একাত্তরে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের ছাত্র সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট হামিদুল হক তার সাক্ষ্যে বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বৃহত্তর ময়মনসিংহে আল বদর বাহিনীর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন কামারুজ্জামান এবং ওই অঞ্চলে বাঙালির ওপর নির্যাতন, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ছিলেন তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/টিএ/এএইচ/এএল/১৯২৪ ঘ.
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=199460&cid=3
`Ghulam Azam led anti-liberation forces`
একাত্তরে গোলাম আযমের বিবৃতি
থেমে থাকেনি গোলাম আযমের চক্রান্ত: "... বাংলাদেশ রাষ্ট্র উচ্ছেদ করে আবারও পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত করতে গঠন করেন 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি'। জামায়াতে ইসলামীর এ সাবেক আমির ২০০২ সালে প্রকাশিত তার নিজ জীবনী 'জীবনে যা দেখলাম' বইয়েও তা অকপটে স্বীকার করেছেন । ......." "...১৯৭২ সালের জানুয়ারি গোলাম আযম যুক্তরাজ্যের লন্ডনে গঠন করেন 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি'। ..." Related: রাজাকার-আলবদর বাহিনী গড়ার হোতা গোলাম আযম: ১৯৭২ সালে গোলাম আযম লন্ডনে 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি' গঠন করেন এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র উচ্ছেদ করে আবার এই ভূখন্ডকে পাকিস্তানের অংশে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করেন।
আলবদর বাহিনী প্রধানত জামায়াতের কর্মী দ্বারাই গঠিত হয়েছিল ইসলামী ছাত্র সংঘ' নাম পাল্টিয়ে 'বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির' নামে যাত্রা শুরু করে: শিবিরের আমলনামা ১ 'ছাত্র সংঘ' থেকে 'ছাত্র শিবির'
শিবিরের আমলনামা ২খুনের আগে তবারকের মুখে প্রস্রাব করে শিবিরকর্মীরা
শিবিরের আমলনামা ৩ইতিহাসের ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড |