----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>
Sent: Tuesday, July 3, 2012 7:32 AM
Subject: কাদের মোল্লার গণহত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন প্রথম সাক্ষী মুজাফফর
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>
Sent: Tuesday, July 3, 2012 7:32 AM
Subject: কাদের মোল্লার গণহত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন প্রথম সাক্ষী মুজাফফর
কাদের মোল্লার গণহত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন প্রথম সাক্ষী মুজাফফরজেসমিন পাঁপড়ি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ঢাকা: কাদের মোল্লার নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও রাজাকার বাহিনীর হাতে একাত্তরের ২৫ নভেম্বর কেরানীগঞ্জের শহীদনগর গ্রামের ভাওয়াল খান বাড়ি ও ঘাটারচরসহ পাশের আরো দু'টি গ্রামের অসংখ্য বাঙালিকে হত্যার ঘটনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে-২ তুলে ধরেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাফফর আহমেদ খান। এ গণহত্যার শিকারদের অন্যতম ছিলেন দুই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা ও ওসমান গনি। জামায়াতের বর্তমান সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধকালে ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা ছিলেন। রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার এই কাদের মোল্লা একাত্তরে তার নৃশংসতার জন্য 'মিরপুরের জল্লাদ বা কসাই' হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মঙ্গলবার মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দানকালে ওই গণহত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দেন মুজাফফর। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালে তৎকালীন কেরানীগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনিই মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফাকে হত্যার অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর কাদের মোল্লাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছিলেন। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মঙ্গলবার মুজাফফর আহমেদ খানের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সকাল দশটা ৪১ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সাক্ষ্য দানকালে মুজাফফর কাদের মোল্লার উপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে গণহত্যা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিকামী বাঙালিদের ওপর হত্যা, নির্যাতন, বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী তাকে সাক্ষ্য প্রদানে সহায়তা করেন। মুজাফফর তার সাক্ষ্যে আরো বলেন, ''ঘাটারচরের গণহত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে একদিন ছদ্মবেশে ঢাকার মোহাম্মদপুরে মামার বাড়ি যাই। সেখান থেকে ফেরার সময় মোহাম্মদপুর শারীরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রের সামনে কাদের মোল্লাকে কয়েকজন সঙ্গীসহ অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি।'' ''মোহাম্মদপুর শারীরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র দখল করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর বাহিনীর সদস্যরা নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতো, সেটা আমি জানতাম'' উল্লেখ করে মুজাফফর আরো জানান, ''কাদের মোল্লা সেখানে ধরে আনা মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা-নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।'' বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাফফর অনেক দিন ধরেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা গণআন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। এ প্রসঙ্গে তিনি সাক্ষ্য দানকালে বলেন, ''শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ও কর্নেল নূরুজ্জামানের সঙ্গে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কাজ করেছি। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চেয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছি।'' কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, ''২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাদের মোল্লাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হত্যার বিষয়ে সিআর মামলা দায়ের করি (মামলা নং: ১৭/২০০৭)। পরবর্তী সময়ে সেটি জিআর মামলায় রূপান্তরিত হয় (মামলা নং: ৩৪(১২)/২০০৭)।'' ''ওই মামলার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কাদের মোল্লার বিচার চাই'' উল্লেখ করেন মুজাফফর। সবশেষে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী সাক্ষীকে আসামি শনাক্ত করতে বললে আবদুল কাদের মোল্লাকে শনাক্ত করেন মুজাফফর আহমেদ খান। ট্রাইব্যুনাল আগামী ৮ জুলাই প্রথম সাক্ষী মুজাফফর আহমেদ খানকে আসামিপক্ষের জেরার দিন ধার্য করেছেন। বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘন্টা, জুলাই ০৩, ২০১২ জেপি/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর;জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটরjewel_mazhar@yahoo.com http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=ad115d278a754a326c128440687f843e&nttl=20120703034052123841 Related: http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=20c49e8eff7126c35d47388281e4f5c9&nttl=123801 Deposition against Quader Molla underway: |