----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>
Sent: Saturday, July 14, 2012 10:17 PM
Subject: বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত প্রতিবেদন এ মাসেই
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>
Sent: Saturday, July 14, 2012 10:17 PM
Subject: বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত প্রতিবেদন এ মাসেই
১২ অভিযোগে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত প্রতিবেদন এ মাসেইজেসমিন পাঁপড়ি, স্টাফ করেসপন্ডেন্টবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর থেকে পলাতক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন চলতি মাসেই জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা নূর হোসেন। আর এ প্রতিবেদন জমা পড়লেই বাচ্চু রাজাকারের অনুপস্থিতিতে শুরু হবে তার বিচার প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা নূর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ''আসামি আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করছি, এ মাসেই প্রতিবেদনটি জমা দেবো। তদন্ত কাজে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলাসহ ভারতের কলকাতা সফরের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ''তদন্তের জন্য ঘটনা সংশ্লিষ্ট অনেক জায়গা পরিদর্শন করতে হয়েছে। সেসব জায়গায় আমরা বাচ্চু রাজাকারের বিভিন্ন অপরাধের প্রমাণ পেয়েছি। অনেক সাক্ষী পাওয়া গেছে। তবে অনেকে মারাও গেছেন।'' তিনি আরো বলেন, মামলার কাজে সাত দিনের সফরে কলকাতায় গিয়েছিলাম আমরা। সেখানে এমন চারজন সাক্ষী পেয়েছি, যারা একাত্তর সালে বাচ্চু রাজাকারের সংঘটিত অপরাধসমূহসহ একই অভিযোগে অভিযুক্ত আরেক জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের করা বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রত্যক্ষদর্শী। এজন্য এসব সাক্ষী মামলার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জবানবন্দী নিয়ে এসেছি। মামলার প্রয়োজনে হয়তো সরকারিভাবে তাদের আনার ব্যবস্থা করা হবে।'' জানা গেছে, বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রায় ১২টি ঘটনার প্রেক্ষিতে গণহত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্মান্তরিত করা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। যেভাবে পালালেন বাচ্চু রাজাকার গত ২৫ মার্চ আবুল কালাম আজাদের বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। ওই দিন তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ২ এপ্রিলের মধ্যে প্রদান করার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিন বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে আবেদন জানান প্রসিকিউশন। ২ এপ্রিল বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ডেপুটি রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়। ওই দিনই শুনানি শেষে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশের জন্য ৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন চেয়ারম্যান এটিএম ফজলে কবিরের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২। গত ৩ এপ্রিল মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আদেশ পাওয়ার পরে যতো দ্রুত সম্ভব এ আদেশ কার্যকর করার জন্য ডিএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্যও বলা হয়। এ আদেশ পেয়ে ওই দিনই রাজধানীর উত্তরায় বাচ্চু রাজাকারের অফিস এবং উত্তরখানের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানতে পারে, বাচ্চু রাজাকার ভারতে পালিয়ে গেছেন। সেখান থেকে তার পাকিস্তান চলে যাবার কথা। তার খোঁজ জানতে গ্রেফতার করা হয় তার দুই ছেলে শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল আজাদ (৩৬), আবুল কাশেম মুহাম্মদ মুশফিক বিল্লাহ জিহাদ (৩৪) এবং শ্যালক কাজী এহতেশামুল হক লিটনকে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ৯ এপ্রিল র্যাব জানায়, গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যেও আবুল কালাম আজাদ হুলিয়া মাথায় নিয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য ভারতে পালিয়েছেন। এর পর ২ মে সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগর সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারের ই/৫৫ নম্বরের বাসা থেকে বাচ্চু রাজাকারকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ইউসুফকে (৪১) গ্রেফতার করে র্যাব। র্যাব জানায়, ''ইউসুফ উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে বাচ্চু রাজাকার পরিচালিত এনজিও প্রতিষ্ঠান মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি অ্যান্ড অ্যাডভ্যান্সমেন্টে ২০০৬ সাল থেকে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু রাজাকার ওই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান।'' ৠাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত আবু ইউসুফ পিসল্যান্ড কোম্পানির মাইক্রোবাসে করেই বাচ্চু রাজাকারকে পালাতে সহযোগিতা করেছিলেন। সে সময় ওই গাড়িতে ছিলেন বাচ্চু রাজাকোরের ছেলে মুহাম্মদ মুশফিক বিল্লাহ জিহাদ, আবু ইউসুফ এবং বাচ্চু রাজাকার।'' ৠাব জানায়, আজাদ গত ৩০ মার্চ বাচ্চু ঢাকা ছাড়েন এবং ২ এপ্রিল উত্তরাঞ্চলের হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। আর তাকে গাড়িতে করে হিলি সীমান্তে নিয়ে যান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ইউসুফ। হুমকি দিচ্ছিলেন বাচ্চু রাজাকার প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম জানিয়েছেন, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের ৫টি এনজিও তার নিজের স্বার্থে পরিচালিত হয়। প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক ও প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি এসবের জোরে সাক্ষীদের হুমকি দেন। এসব হুমকির বিষয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় সাক্ষীরা জিডিও করেছেন। তদন্তের স্বার্থে তাকে গ্রেফতারের আদেশ দেওয়ার আবেদন জানানো হলে ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে আরেক প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, ''আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বেশ কিছু অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাচ্চু রাজাকার ফরিদপুরের বোয়ালমারী, সালথাসহ আরো বেশ কিছু এলাকায় হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠণ, ধর্ষণ প্রভৃতি অপরাধ সংঘটিত করেছেন বলে আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।'' তিনিও বলেন, ''মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু রাজাকার এখন খুবই প্রভাবশালী। তিনি ধর্মের নামে ব্যবসা ও ৫টি এনজিও স্থাপনের মাধ্যমে প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। এসবের জোরে তিনি সাক্ষীদের হুমকি দেন।'' সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, ''ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী এলাকার রণজিৎ দেবনাথ তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ কারণে বাচ্চু রাজাকারের সহযোগীরা তাকে হুমকি দেন। এ ব্যাপারে রণজিৎ দেবনাথ স্থানীয় থানায় জিডিও করেছেন।'' তিনি দাবি করেন, ''সম্প্রতি একই এলাকার মলয় চেয়ারম্যান নামের একজনকে হত্যা করেছে বাচ্চু রাজাকারের সহযোগীরা। এই মলয় চেয়ারম্যান ছিলেন একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভিকটিম এবং এই মামলায় বাচ্চুর বিরুদ্ধে একজন সাক্ষী। তাকে হত্যা করায় আশেপাশের সাক্ষীরাও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। তারা সাক্ষ্য দিতে ভয় পাচ্ছেন।'' বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সৈয়দ হায়দার আলী আরো বলেন, ''ফরিদপুর শহরে ১২০০ বধ্যভূমিতে যে হাজার হাজার মানুষ শায়িত আছেন, তাদের হত্যার নির্দেশদাতা এবং নিজেও সরাসরি হত্যাকারী আবুল কালাম আজাদ। তিনি নিজে গুলি করে অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছেন। হত্যা করে ফরিদপুর স্টেডিয়ামে মাটিচাপা দিয়েছেন, নদীতে ফেলে দিয়েছেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে মাটিচাপা দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন স্থান থেকে নিজে লোকজনকে ধরে আনতেন আবার অন্যদের দিয়েও ধরিয়ে আনতেন।'' হায়দার বলেন, ''তিনি জামায়াতের আরেক শীর্ষ নেতা মুজাহিদের সঙ্গে যোগ দিয়ে এসব হত্যাকাণ্ড চালান।'' তিনি বলেন, ''আবুল কালাম আজাদ সে সময় মাদ্রাসায় পড়তেন। আর তাই উর্দু ভাষায় তার দক্ষতা ছিল। তিনি পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে দেখা করে ওই এলাকায় রাজাকার বাহিনী গঠন করেন। স্টেডিয়াম ও সার্কিট হাউসে অবস্থানরত পাকবাহিনীর সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তোলেন।'' প্রসিকিউটর হায়দার আলী বলেন, ''ফরিদপুর শহর, বোয়ালমারী, নগরকান্দাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাতেন 'বাচ্চু রাজাকার'। মুক্তিকামী মানুষ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের ধরে এনে গুলি করতেন। ১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল তিনি ফরিদপুর পুলিশলাইনে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেন। ফরিদপুর শহরের জসীম উদদীন রোডে রাজাকার ক্যাম্প ও নির্যাতন সেল স্থাপন করেন।'' আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে করা দুটি মামলার নথি থেকেও জানা গেছে, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের নতিবদিয়া গ্রামের শোভা রানী বিশ্বাস একাত্তরে এই রাজাকারের কাছে সম্ভ্রম হারান। একই গ্রামের নগেন বিশ্বাসের স্ত্রী দেবী বিশ্বাসেরও সম্ভ্রমহানি হয় তার হাতে। আরও অভিযোগ রয়েছে, বাচ্চুর রাইফেলের গুলিতে মর্মান্তিকভাবে শহীদ হন ফরিদপুরের ফুলবাড়িয়ার চিত্তরঞ্জন দাস। স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের কারণে মামলা না করলেও ২০০৯ সালের ৩ মে বাচ্চু রাজাকার ও তার শ্যালক মোহাম্মদ কাজীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চিত্তরঞ্জন দাসের স্ত্রী নগরকান্দা উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের জ্যোৎস্না রানী দাস মামলা দায়ের করেন। এজাহারেও হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে। বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১২ জেপি/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=eb255f6047d9828c4f137e349cde4677&nttl=20120715123343126427 মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু রাজাকার
|