Banner Advertiser

Thursday, August 23, 2012

[mukto-mona] Fw: এরশাদের পর এবার ভারত সফরে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>
Sent: Wednesday, August 22, 2012 8:20 PM
Subject: এরশাদের পর এবার ভারত সফরে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া


বৃহস্পতিবার, ২৩ আগষ্ট ২০১২, ৮ ভাদ্র ১৪১৯
এরশাদের পর এবার ভারত সফরে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
রাজনৈতিক ইস্যুতে আলোচনায় আগ্রহী দিল্লী
কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ এরশাদের পর এবার বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইস্যুতে আলোচনায় আগ্রহী ভারত। খুব শীঘ্রই ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দিল্লী যেতে পারেন খালেদা জিয়া। বিএনপি ও ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে এ বিষয়ে আভাস পাওয়া গেছে। আর বিরোধীদলীয় নেতার এই হাই প্রোফাইল ভিজিট নিয়ে ইতোমধ্যে ঢাকায় রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ শুরু হয়ে গেছে। 
জানা গেছে, ভারতের আমন্ত্রণে গত বছরের শেষদিকে খালেদা জিয়ার নয়াদিল্লী সফরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের কারণে দিল্লীতে খালেদা জিয়ার সফরের সময়সূচীতে পরিবর্তন আনা হয়। তাছাড়া ওই সময়ে মনমোহন ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে খালেদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা সেরে ফেলায় দিল্লীতে ইস্যুভিত্তিক আলোচনার আর প্রয়োজন ছিল না। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বাগড়ায় তিস্তা চুক্তি ভেস্তে যাওয়ায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ওই সময়ে বিব্রতও ছিল। ফলে বাংলাদেশ ইস্যুতে যে কোন আলোচনায় কিছুটা সময় নিতে চেয়েছে ভারত। তাই চলতি বছর আবার নতুন করে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দিল্লীতে আলোচনার সময়সূচী নির্ধারণ করার প্রস্ততি নিচ্ছে ভারত। খুব শীঘ্রই এ সফর অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এ বিষয়ে বিএনপির এক নেতা বুধবার জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, গত বছরই বিরোধীদলীয় নেতার ভারত সফরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে ভারতের কারণেই সফরের সময় পিছিয়ে গেছে। এখন ভারত আবার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নতুন করে কথাবার্তা চলছে। হয়তো খুব শীঘ্রই সময়সূচী চূড়ান্ত হবে। তিনি জানান, খুব স্বাভাবিকভাবে এ সফরে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হবে দশম জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে। 
ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বুধবার জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, নয়াদিল্লী থেকে চূড়ান্ত বার্তা আসার পর সফর নিয়ে গণমাধ্যমে তথ্য প্রকাশ করা হবে। এর আগে কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি ওই কর্মকর্তা। 
এদিকে রাজনৈতিক মহলের মতে, এরশাদের সফরের পর খালেদার নয়াদিল্লী সফর দেশের রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র এক বছর সাড়ে চার মাস বাকি। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ছোট দেশ হলেও ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেশী বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় জড়িত থাকে। তাই নিজেদের তাগিদেই বাংলাদেশের কোন নির্দিষ্ট দলের প্রতি দুর্বলতা দেখাতে আগ্রহী নয় ভারত। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী দমনে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক সহায়তা দেয়ায় নিরাপত্তাজনিত দিক দিয়ে ভারত অনেক লাভবান হয়েছে। এরপরও দল নিরপেক্ষ প্রমাণ দিতে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের শরিক দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে দিল্লীতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ভারত এবার প্রধান বিরোধী দল বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। এরশাদের সঙ্গে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সেসব বিষয়েই খালেদার সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন ভারতের নয়া রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী ও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
গত শুক্রবার নয়াদিল্লীতে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ৩০ মিনিট তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। সাক্ষাতের পর এরশাদ সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইস্যুতেই আলোচনা হয়েছে। ভারত বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। ভারত আশা করে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো আগামীদিনে আরও শক্তিশালী হবে। 
এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এছাড়া টিপাইমুখ বাঁধ ও চুয়াত্তরের সীমান্ত প্রটোকল বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। 
গত ১৩ আগস্ট পাঁচদিনের সফরে দিল্লী যান এরশাদ। সে সময় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শংকর মেনন এবং পররাষ্ট্র সচিব রঞ্জন মাথাইয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন। 
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গেও একই বিষয়ে আলোচনা হবে। বিএনপি এ সফরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতেই আলোচনা বেশি করবে। বড় প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালে বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর ভারতকে চাপ প্রয়োগেরও অনুরোধ জানাতে পারে। পাশাপাশি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে দেশের প্রতি দায়িত্ব পালনের অবস্থান থেকে গতানুগতিক কিছু ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে। এর মধ্যে থাকতে পারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর আপত্তিতে ঝুলে যাওয়া তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের অবস্থান, যৌথ নদ-নদীর পানি বন্টন, টিপাইমুখ প্রকল্পের যৌথ সমীক্ষা, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, ছিটমহল বিনিময়, সীমান্ত চুক্তি ও প্রটোকল অনুমোদন, এক বিলিয়ন ডলারের ভারতীয় ঋণে নেয়া বিভিন্ন প্রকল্প এবং ভারতের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের অবাধ প্রবেশাধিকারসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় অমীমাংসিত ইস্যু।

প্রণবের আমন্ত্রণ!
মাহফুজুর রহমান নিউইয়র্ক থেকে জানান, 'বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ঢাকা সফরের সময়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী নয়, আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন, আর আজকের ভারতের রাষ্ট্রপতি ও সেদিনের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জীও বাংলাদেশের জনগণের নাড়ির স্পন্দন বুঝেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ করেছেন'- নিউইয়র্কে এক সমাবেশে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যুগ্ম সম্পাদক আমানউল্যা আমান। মঙ্গলবার জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্টুরেন্টে বৃহত্তর ঢাকা জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র-কন্যারা আমেরিকা ও কানাডা থেকে পদ্মা সেতুর দেশীয় বিনিয়োগকৃত অর্থ লুটপাট করে প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় দুর্নীতিবাজ থেকে বিশ্ব দুর্নীতিবাজের উপাধিতে ভূষিত করেছেন। আর যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে মহাজোট সরকার মহাদুর্নীতিবাজ সরকার। রেলের কালো বিড়াল সুরঞ্জিতের অর্থ কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে। বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আমানউল্যা আমান আরও বলেন, ড. ইউনূসকে অপমানিত করে হাসিনা সরকার বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে খাটো করেছে, তাই বিএনপি ক্ষমতায় এলে ড. ইউনূসকে সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত করা হবে।
বৃহত্তর ঢাকা জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি আজহারুল মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম ও কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যকরী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক সদস্যের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় আমানউল্যা আমান খালেদা জিয়ার সংবর্ধনা উপলক্ষে গত বছর ড. মুজিব-জিল্লুর নেতৃত্বে গঠিত সংবর্ধনা কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেন্দ্র থেকে নতুন কমিটি না দেয়া পর্যন্ত দেশনেত্রী মনোনীত ওই কমিটির মাধ্যমে সকল প্রকার কার্যক্রম পরিচালনা করে তার নির্দেশ পালন করা প্রবাসের প্রতিটি জিয়া সৈনিকের দায়িত্ব।

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-08-23&ni=106716
বৃহস্পতিবার, ২৩ আগষ্ট ২০১২, ৮ ভাদ্র ১৪১৯