Banner Advertiser

Monday, September 17, 2012

[mukto-mona] হরিলুটের তিনকাল : এনালগ থেকে ডিজিটাল



''বর্তমান সরকারের সময়ে সংঘটিত অনেকগুলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক কেলেঙ্কারির মধ্যে মাত্র একটি যদি এই ধরনের তথ্য-প্রমাণসহ ওই সরকারের সময়ে পাওয়া যেত, তাহলে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, সাংস্কৃতিক জগতসহ মিডিয়ার বড় অংশে সত্যিই 'কেয়ামত' শুরু হয়ে যেত''।---- দারুন একটা সত্যি কথা বলেছেন আপনি।

আবার এই সত্য কথাটি উপলব্ধি করেও মনে নিদারুন কষ্ট পাই যে, বর্তমানের বিরোধী দলের হাতে সরকারের দূর্নীতি, চুরি, চামারী, অব্যবস্থাপনা, অত্যাচার, গুম নির্যাতনের এত ভূরি ভূরি ইস্যু থাকার পরেও তারা কেন সরকারকে গদিচ্যুত করার একটি সফল আন্দোলনের জম্ম দিতে পারছেনা। আজ যদি বিরোধীদলে আম্লীগ থাকতো, তাহলে বি এনপি সরকারকে আরো অগেই নাকে খত দিয়ে ক্ষমতা হতে বিদায় নিতে হতো।

 

হরিলুটের তিনকাল : এনালগ থেকে ডিজিটাল

মিনার রশীদ

মিনার রশীদ, সিঙ্গাপুর থেকে : একজন প্রধানমন্ত্রীর ছেলের জন্য ব্যাংক ডাকাতির দরকার পড়ে না। এই যুক্তিটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় তুলে ধরেছেন আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। সত্য হোক মিথ্যা হোক, এই কথাটি অত্যন্ত সফলভাবে ছড়িয়েছিল তাদেরই বর্তমান মহাজোটের সঙ্গী বামপন্থি দলগুলো। রাষ্ট্রীয় লুটপাট ও বিশৃঙ্খলা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে জনগণ শাসকগোষ্ঠী বা শাসক পরিবার সম্পর্কে এই ধরনের যেকোনো কথাই তখন বিশ্বাস করে ফেলত।

সদ্য স্বাধীন দেশটিতে সবকিছু রাষ্ট্রীয়করণের নামে যে লুটপাট ও অরাজকতা শুরু হয়, তাতে দেশটিকে তলাবিহীন ঝুড়ি করতে বেশিদিন সময় লাগেনি। তখন সোনালী আঁশ নামে খ্যাত পাটের গুদামগুলো খালি করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একের পর এক পাটের গুদামে রহস্যজনক আগুন লাগতে থাকে। তলাবিহীন ঝুড়িটি হাতে নিয়ে অসহায় নেতার উক্তিটি ছিল, 'চাটার দল সব চেটে খেয়ে ফেলেছে।' তিনি তার চারপাশে দেখেছেন, 'সব চোর। ডাইনে চোর, বাঁয়ে চোর।' এমনকি তিনি নিজের কম্বলটি কোথায় গেল, সেই প্রশ্নও রেখেছিলেন। ইতিহাসের এই মহানায়কের দুর্বলতা একটাই। তিনি কোনো কঠিন অ্যাকশন নিতে পারেননি।

ফলে আসে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ। ১৯৭১ সালে ৯ মাসব্যাপী যুদ্ধের সময়টিতেও এ দেশের কৃষককুল জাতির খাদ্যনিরাপত্তাটি ধরে রেখেছিল। 'যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ' এই দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির পেছনের কারণ হলে তা হওয়ার কথা ছিল ১৯৭২ সালেই। কাজেই তখনকার শাসক দলটির চরম লুটপাট এবং সার্বিক অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনাই এই দুর্ভিক্ষ টেনে এনেছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

অতীতের এই সব ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আবার ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নেত্রী কান্নাকাটি করে জানিয়েছিলেন, 'আমার বাবা-মা-ভাই সবাইকে হারিয়েছি। কাজেই আমার চাওয়া-পাওয়ার আর কিছু নেই। দেশের মানুষের জন্য কাজ করাই এখন আমার একমাত্র ব্রত।' নেত্রীর এই আবেদনটি দেশের মানুষ ফেলে দিতে পারেনি। যদিও বিবিসির সিরাজুর রহমানের কাছে বলেছিলেন, পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতেই তিনি রাজনীতিতে এসেছেন।

কাজেই রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে টক্কর দেওয়ার মতো শক্তি এ দেশে নেই। কিন্তু সব সময় তাদের দুর্বল জায়গাটি হলো অর্থনীতি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই অর্থনীতি নামক কিশোরীটি যেন একধরনের ধর্ষণ-আতঙ্কে কাঁপতে থাকে। ১৯৯৬ সালে দেশের শেয়ারবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে যায়। স্পষ্ট হয়, লুটেরারা এই কর্মটিতে সরাসরি সরকারের সহযোগিতা পেয়েছে। লুটেরাদের সুযোগ করে দিতে সার্কিট ব্রেকার মেকানিজমটি তখন উঠিয়ে দেওয়া হয়। হাজার হাজার বিনিয়োগকারী নিমেষেই কপর্দকহীন হয়ে পড়ে।

জনগণ এর জবাব দেয় ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে। দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক দেখে বিদেশি মিডিয়ায় বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার ইমার্জিং টাইগার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তবে এটা বলতে দ্বিধা নেই যে পূর্ববর্তী বিএনপি সরকারগুলোর সুনাম এই জোট সরকার বজায় রাখতে পারেনি। তবে 'উপদেশ আর টাকার থলি' এই তিলগুলোর অনেকগুলোকে তাল বানিয়ে ফেলে। এই কথা লিখলে অনেকেই আমাকে অন্ধ বিএনপি-জামায়াতভক্ত ভাবতে পারেন। তাই কিছুটা সংশোধনী টেনে বলছি অনেক 'তেঁতুলের বিচি'কে তাল বানিয়ে ফেলেছিল। তখনকার সরকারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর অনেকই ছিল অস্পষ্ট, ধোঁয়াশে। উইপন অব মাস ডেস্ট্রাকশনের কথা বলে যেমন ইরাক আক্রমণের পটভূমি সৃষ্টি করা হয়, তেমনি 'করাপশন অব মাস ডেস্ট্রাকশন'-এর কথা বলে ওয়ান-ইলেভেনের পটভূমি সৃষ্টি করা হয়। বর্তমান সরকারের সময়ে সংঘটিত অনেকগুলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক কেলেঙ্কারির মধ্যে মাত্র একটি যদি এই ধরনের তথ্য-প্রমাণসহ ওই সরকারের সময়ে পাওয়া যেত, তাহলে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, সাংস্কৃতিক জগতসহ মিডিয়ার বড় অংশে সত্যিই 'কেয়ামত' শুরু হয়ে যেত।

কেয়ামত না হলেও 'লগি-বৈঠার' কারবালা শুরু হয়ে যায়। লগি-বৈঠা দিয়ে সাপের মতো মানুষ মারা দেখে বিশ্ববিবেক স্তব্ধ হয়ে পড়ে। তখন ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হলেন কিছু 'ফেরেশতা'। শুরু হলো ব্যাবিলনীয় সেই উপাখ্যান। মানুষের স্থলে ফেরেশতারা এসে নফসের আরও বড় খাদেমে পরিণত হলেন। সৎ পাত্রে কন্যা সমর্পণ করতে এসে ক্ষমতা নামক সুন্দরী কনেটির পাণি নিজেরাই গ্রহণ করে বসলেন। যারা এদের আন্দোলনের ফসল বলে মনে করেছিলেন, তারা উপলব্ধি করলেনÑ এটা তাদের আন্দোলনের পরিণাম। কাজেই অনেক খরচ করে বুঝতে পারলাম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধটি মূলত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নৈতিকতার যুগপৎ সংগ্রাম। এই চারটি সংগ্রামের সবগুলোকে একসঙ্গে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিতে হবে।

দুর্নীতিকে নির্মূল করতে হলে যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। জনগণ সঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতি থেকে 'বাজিকররা' ফিল্টারড হয়ে পড়তে বাধ্য। দারিদ্র্য একটা অভিশাপ, এই অভিশাপ দূর করতে না পারলে মানুষের অন্যান্য মানবিক গুণাবলির স্ফুরণ সম্ভব হবে না। লাগামহীন ভোগবাদ ও সুবিধাবাদকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রয়োজন নৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগ্রাম। তবে সার্বিক সামাজিক সচেতনতার মাত্রাটি বাড়াতে না পারলে অন্য তিনটি সংগ্রামও মুখ থুবড়ে পড়বে।

সমাজ ও রাজনীতির রোগগুলো সারাতে আমরা হাতুড়ে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়েছিলাম বা হতে বাধ্য হয়েছিলাম। সুশীলদের এই ওয়ান-ইলেভেন এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে জাতিকে অন্তত ২০টি বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সারা বছর ঘুমিয়ে থেকে হঠাৎ জেহাদি জোশ এ ক্ষেত্রে কখনোই কল্যাণ বয়ে আনবে না।

যে বাঘের পিঠে এই 'ফেরেশতারা' চড়ে বসেছিলেন, তা থেকে সহি-সালামতে নামানোর দায়িত্বটি পালন করেছিল আগেই এ ব্যাপারে ওয়াদাবদ্ধ আওয়ামী লীগ। মূলত ওয়ান-ইলেভেনের সামনের এবং পেছনের প্রবক্তাদের বিকল্প কিংবা গণতান্ত্রিক চয়েজটিই ছিল বর্তমান সরকার। হিলারির সেই বিখ্যাত টেলি-কথনে কিংবা হিলারি লিকসের মাধ্যমে সেই গোপন খবরের অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে। বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ইকোনমিস্টও 'উপদেশ ও টাকার থলি'র গল্পটি প্রকাশ করে হাটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছেন। নিজের রাডারের আওতার বাইরে ঢাকার চলে যাওয়াকে দিল্লি 'এফোর্ড' করতে পারে না। এ দেশে সম্ভাব্য সরকার পরিবর্তনের আশঙ্কায় দিল্লির বুক কেঁপে ওঠে। কাজেই উপদেশ আর টাকার থলের অপরিহার্যতাটুকুও দিন দিন স্পষ্ট হয়ে পড়েছে।

বর্তমান সময়ের আওয়ামী লীগ কেন তাদের আগের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে ফেলেছে, তা বুঝতে ওপরের প্রেক্ষাপটগুলো স্মরণে আনতে হবে। তারা ভালোভাবেই জানে যে জনগণ নয়, দিল্লি-লন্ডন-ওয়াশিংটনই তাদের আবারও ক্ষমতায় বসাবে। তাদের এবারকার লুটপাট এবং খাওয়া-খাওয়ির ধরন দেখে এবিএম মূসার মতো আওয়ামী সুহƒদ আঁতকে উঠেছেন, চেটে নয় বাবা, এটা যে একেবারে গোগ্রাসে খাওয়া। সরকারের লোক দেখামাত্রই তিনি 'তুই-চোর' বলতে পরামর্শ দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ বা দলের নেত্রীর সব জবাবই যেন প্রস্তুত থাকে। বিলম্ব না করে সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়েছেন, টিভি চ্যানেলের অনুমতি না পেয়েই এখন তার সরকারকে একজন 'চোর' বলছেন। আসলে তা ঠিক নয়, টিভি চ্যানেলের অনুমতি না পেয়েই তিনি 'চোর' বলেননি। না পাওয়ার সেই ক্ষোভ থেকে বলার হিম্মত বা তাগিদটি পেয়ে থাকতে পারেন। সরকারকে 'তুই চোর' বলতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে শেয়ারবাজারের পর কুইক রেন্টাল, কালোবিড়াল, পদ্মা সেতু ও হলমার্ক ইত্যাদি ঘটনাগুলো সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত।প্রধানমন্ত্রীর এই শাকটি দিয়ে মাছটি তেমন ঢাকা পড়ছে না। শুধু এটুকু জানা গেল যে টিভি চ্যানেলটির অনুমতি দিলে আরও একজন মানুষের মুখ প্রধানমন্ত্রী বন্ধ করে রাখতে পারতেন। কাজেই এর পরও যারা মুখটি বন্ধ করে রাখছেন, তাদের সম্পর্কে ধারণা করা যেতে পারে যে ভাইজান বা বুবুজান সরকারের কোনো না কোনো কাঁঠাল খেয়েছেন।

মহামান্য ভাইজান এবং বুবুজানরা ব্যাংক ডাকাতিকে এবার সত্যিই ডিজিটাল করে ফেলেছেন। এর সর্বশেষ নমুনাটি হলো হলমার্ক গ্র"প। হলমার্ক গ্র"পসহ আরও কয়েকটি কোম্পানি বিশেষ কৌশলে সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। এর মধ্যে হলমার্ক গ্র"প একাই নিয়েছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।

দেশের সহায়-সম্পদের জিম্মাদার অর্থমন্ত্রী বলেন, এই টাকা তেমন কিছুই নয়। ঠোঁট ও শরীর কাঁপিয়ে বলেন, পি-নাট। কাজেই হলমার্ক গ্র"প এই ডিজিটাল ডাকাতি করে জাতির আত্মা যতটুকু কাঁপিয়েছে, এর চেয়েও বড় কাঁপন কাঁপিয়েছে অর্থমন্ত্রী। ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র এই অর্থমন্ত্রীর কিছু প্রিয় শব্দ হলোÑ পি-নাট, রাবিশ, স্টুপিড। তার এই ফ্রিকোয়েন্সি ধরেই বলা যায়, ওহঃবষষরমবহপব যধং রঃং ষরসরঃ নঁঃ ংঃঁঢ়রফরঃু ফড়বং হড়ঃ.

সাংবাদিক শফিক রেহমান ইতিমধ্যে দেখিয়েছেন, এই টাকাগুলো দিয়ে কী কী কাজ করা যেত। অর্থমন্ত্রীর স্টুপিডিটির সাইজটি মাপা না গেলেও এই পি-নাটের সাইজটি হয়তো বা মাপা সম্ভব।

৫০০ টাকার নোট দিয়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বানাতে গেলে লাগবে ৮ কোটি সংখ্যক নোট। একটা ৫০০ টাকার নোটের গড়পরতা সাইজ ৬.১৪ ইঞ্চি ী ২.৬১ ইঞ্চি ী ০.০০৪৩ ইঞ্চি। তাহলে ৮ কোটি সংখ্যক ৫০০ টাকার নোটের সাইজ হবে ৫৫১২৭৩৭.৬ ঘন ইঞ্চি বা ৩১৯০.২ ঘনফুট। খোলা মাঠে রাখলে স্তূপটির আয়তন হবে ১৪.৭ ফুট ী ১৪.৭ ফুট ী ১৪.৭ ফুট। ১২০ ফুটি কন্টেইনারের ভেতরের আয়তন ১১৭২ ঘনফুট।

৫০০ টাকার নোট দিয়ে এ রকম ৪ হাজার কোটি টাকা ভরতে লাগবে ২.৭২টি অর্থাৎ প্রায় ৩নটি কন্টেইনার। ১০০ টাকার নোট হলে লাগবে ১২ থেকে ১৩টি কন্টেইনার। একজন গার্মেন্ট শ্রমিক সারা মাস পরিশ্রম করে পান এই ধরনের মাত্র ৬টি (৫০০ টাকার) নোট। কয়েক বছর আগের ৬ নোটের গার্মেন্টশ্রমিক তানভীর পুরো ২ কন্টেইনার ভর্তি ৫০০ টাকার নোট রাষ্ট্রীয় ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে গেছে।

সরকার থেকে পাহারাদার হিসেবে বসানো হয়েছিল ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, মহিলা লীগের এক নেত্রীসহ এই ঘরানার আরও কয়েকজনকে। ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় দেখে অন্তরাত্মা শুকিয়ে গেছে। বর্তমান সরকারের সবচেয়ে উপকার করা সাবেক প্রধান বিচারপতির ভাই। একদম কাকতালীয় ব্যাপার! দুই ভাইয়ের নামের অন্তে চমৎকার মিল রয়েছে। সরকারের কাঁঠালের আঠায় যেমন দুই ঠোঁট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অন্য কারণেও মানুষ বোবা হয়ে যেতে পারে। বোবা মুখ থেকে কিছু অনর্থক শব্দ বের হচ্ছে।

খায়রুল-মইনুল দুই ভাই

পথে পাইল মরা গাই

মইনুল কয়, খাইয়া যাই

খায়রুল কয়, নিয়া যাই।

দুই ভাইয়ের নামের মধ্যে এ রকম মিল দেখলে আমরা ছোটকালে এই ছড়াটি গেয়ে উঠতাম। এসব ছড়ার মধ্যে কোনো বিশেষ অর্থ থাকত না। আজ মনে হচ্ছে এই 'মরা গাই' হলো আমার অভাগা দেশ। আমার জš§ভূমি। সৈয়দ মুজতবা আলীর অমর সৃষ্টি সেই আব্দুর রহমানের 'ইনহাসত ওয়াতনাম'।

ই-মেইল : minarrashid@yahoo.com



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___