Banner Advertiser

Friday, October 19, 2012

[mukto-mona] উগ্র মৌলবাদীদের আস্তানা হয়েছে নর্থ সাউথ!!!!!!!



উগ্র মৌলবাদীদের আস্তানা হয়েছে নর্থ সাউথ
পাঠচক্রের আড়ালে শিবির ও হিযবুতের বৈঠক
বিভাষ বাড়ৈ ॥ যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিসের গ্রেফতারের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে পুরো শিক্ষাঙ্গনে। উচ্চ শিক্ষাঙ্গন বিশেষত দেশের নামী বেসরকারী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে খ্যাত নর্থসাউথে রীতিমতো কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে পড়ার দশা। এতদিন ইমেজ নষ্ট হওয়ার ভয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন হিজবুত তাহরীর ও ছাত্রশিবিরের বেপরোয়া কর্মকা- গোপন রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। এমনকি জঙ্গীবাদী কর্মকা-ের দায়ে এক শিক্ষক ও চার ছাত্রের আটকের পর পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু নাফিজের গ্রেফতারে কর্তৃপক্ষ আর লুকিয়ে রাখতে পারলেন না। সরকারের একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন এমনকি প্রতিষ্ঠানের প্রগতিশীল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ট্রাস্টি বোর্ডের দুই সদস্য ও ৫ শিক্ষককের প্রত্যক্ষ মদদে উগ্র মৌলবাদীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে নর্থসাউথ। হিজবুত তাহরীর ও শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি সক্রিয় থাকা একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ও এটি। যেখানে পাঠচক্রের আড়ালে হচ্ছে শিবির ও হিযবুত তাহরীরের ঐক্যবদ্ধ বৈঠক।
সর্বশেষ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন নর্থসাউথ কর্তৃপক্ষ। নাফিজের আটকের পরই বৃহস্পতিবার বৈঠক করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তথ্য নেয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে ট্রাস্টি বোর্ড। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনসহ কোন উগ্রবাদী গোষ্ঠীর কর্মকা-কে উড়িয়ে দিলেন না ট্রাস্টি বোর্ডের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান ও বর্তমান সদস্য মোঃ শাহজাহান জনকণ্ঠকে বলেন, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু এত মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য আমাদের পক্ষে যাছাই করা কঠিন। আমি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা ছাত্র-শিক্ষকদের পরিচয়, রাজনৈতিক আদর্শ খতিয়ে দেখুন। তথ্য যাচাই করে অভিযুক্ত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে দেশের আইন অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তিনি জানান, ইতোমধ্যেই উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের বলেছি, তথ্য যাচাই বাছাই করে যেনে বুঝে নিয়োগ দিতে হবে। এদিকে ট্রাস্টি বোর্ডের একাধিক সদস্য জানিয়েয়েছেন, জঙ্গীবাদী কর্মকা-ের দায়ে এ পর্যন্ত এখানে এক শিক্ষক আটক ও চার শিক্ষক বহিষ্কার হয়েছেন। চার ছাত্রের আটক ছাড়াও বহিষ্কার করা হয়েছে ১৪ জন ছাত্র। যাদের বিরুদ্ধে জঙ্গীবাদী কর্মকা-ের প্রত্যক্ষ অভিযোগ ওঠায় বহিষ্কার করা হলেও বলা হয়েছে, পরীক্ষা না দেয়া, খারাপ ফলসহ নানা দুর্বলতার কথা। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, উচ্চবিত্তের কাছে বাইরে থেকে একটা ভাল ইমেজ তৈরি হলেও দিনের পর দিন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ট্রাস্টি বোর্ডের দুই সদস্য ও ৫ শিক্ষককের প্রত্যক্ষ মদদে উগ্র মৌলবাদীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে পাঠচক্রের আড়ালে হচ্ছে শিবির ও হিযবুত তাহরীরের ঐক্যবন্ধ বৈঠক। এর পেছনে শক্তি হিসেবে কাজ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন শিক্ষক-পরিচালনা পরিষদ কর্মকর্তা। জানা গেছে, হিযবুত তাহরীর নামে জঙ্গীবাদের বিস্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে পাঁচ শিক্ষককে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে হিযবুত তাহরীরের বীজ ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। ১৯৯২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর উত্থান ঘটতে থাকে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা ভিসি ছিলেন ডান পন্থী ও বিএনপির মতাদর্শী এক অধ্যাপক। উদ্যোক্তা হিসেবে আরও ছিলেন যাঁরা তাঁদের প্রত্যেকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে এ ক্ষেত্রে জামায়াতের এক নীতিনির্ধারক শুরু থেকেই ট্রাস্টি বোর্ডের প্রভাবশালী সদস্য হয়ে জঙ্গীবাদী কর্মকা-কে লালন করছেন। কেবল তাই নয়, এখন অন্য সদস্যরাই অভিযোগ করছেন, সদস্য হিসেবে কোটায় তিনি যেসব ছাত্রকে এখানে ভর্তি করিয়েছেন তাঁরা এখন প্রতিষ্ঠানের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। এসব ছাত্রের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো এই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাবেক এক উপাচার্য ছিলেন রাজনৈতিকভাবে জামায়াত মতাদর্শে বিশ্বাসী। তার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী একজনকে খ-কালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। পরিচালনা পরিষদের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে হিযবুত তাহরীরের কর্মকা-ে জড়িত থাকার বিষয়টি সুস্পষ্ট বলে জানা গেছে। এর মধ্যে জামায়াতের অন্যতম নীতিনির্ধারক হিসেবে পরিচিত একজন নিয়ন্ত্রণ করছেন পুরো উগ্রবাদী চক্রটিকে। এদিকে জানা গেছে, নর্থসাউথে শিবিরের কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত সাথী শাখা আছে, যারা নানা উপায়ে কাজ করে, কর্মী সংখ্যা ১০০ জনের বেশি। দাওয়াতী কাজে তাহরীর নিজস্ব নামে কাজ করে না। কিছুদিন আগে র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির চার শিক্ষকের নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়। এই চার শিক্ষক ঐ ইউনিভার্সিটিতে 'পাঠসভা'র নামে ঐ ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রদের মধ্যে হিযবুত তাহরীরের প্রচার চালান। এ বিষয়ে তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. হাফিজ জিএ সিদ্দিক বলেছিলেন, ইউনিভার্সিটির শিক্ষকরা হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িত- বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে কোন শিক্ষক এ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তা রিপোর্ট দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুক্রবার তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ এসেছে অনেকের বিষয়েই। তবে সব কিছু তো প্রমাণ করা যায়না। অন্যদিকে হিজবুত তাহরিরের কেন্দ্রীয় কর্মকা- সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থার সর্বশেষ তথ্য হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আটক মহিউদ্দিনের জায়গায় যুগ্ম সমন্বয়কারী কাজী মোরশেদুল হক সক্রিয় তৎপরতা চালাচ্ছেন। সংগঠনের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম মাওলা। নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক শেখ তৌফিক হিযবুত তাহরীরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___