Banner Advertiser

Wednesday, October 31, 2012

[mukto-mona] বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভারত বিজয়ের’ কাহিনী !!!!!!!



বেগম খালেদা জিয়ার 'ভারত বিজয়ের' কাহিনী
রাহাত খান
ঈদের পর জনকণ্ঠে আমার প্রথম লেখা। শুরুতেই পত্রিকাটির পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের ঈদের প্রীতি শুভেচ্ছা জানাই। হালের টাটকা খবর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভারত সফর। বেগম জিয়া বাংলাদেশ পার্লামেন্টের বিরোধী দলের নেতা। নিহায়ত সদস্য পদ এবং আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বহাল রাখার জন্য ৯০ দিনে একবার পার্লামেন্টে যান। তবে পার্লামেন্টে তাঁকে ও তাঁর সংসদীয় দল-জোটকে অনুপস্থিত পার্লামেন্ট নেতা ও সদস্য বলাই সঙ্গত।
হালে বেগম জিয়া চীন সফরেও গিয়েছিলেন। ব্যাপক কূটনৈতিক শিষ্টাচার দেখাতে ভুল হয়নি চীনের পক্ষ থেকে। খালেদা জিয়া যে দেশের জন্য পারেন সেই কৃতিত্ব দেশবাসীকে বুঝাবার জন্য দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের পাকাপাকি প্রতিশ্রুতিও চীনের কাছ থেকে আদায় করে তবে ছেড়েছেন। দেশবাসী তো অভিভূত। কিন্তু কাজটা রসভঙ্গের মতই করলেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। হ্যাঁ, দেশবাসীকেই তিনিই জানিয়ে দিলেন যে তিন মাস আগে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের লিখিত প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে চীনের তরফ থেকে!
একটা সহজ ধাঁধা খুব প্রচলিত ছিল পঞ্চাশের দশকের দিকে, আমাদের কৈশোরে। ধাঁধাটা হলো : ইফ যদি ইজ হয়, বাট কিন্তু হোয়াট কি? বেগম খালেদা জিয়ার 'বিশাল গুরুত্বপূর্ণ' চীন সফরে তাহলে বাংলাদেশের নিট প্রাপ্তিটা কি থাকল? যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের 'রস-ভঙ্গ'জনিত উক্তিতেই বোধকরি এই 'ধাঁধা'র উত্তরটা পাওয়া যাবে!
যাক, বেগম খালেদা জিয়ার হাইপ্রোফাইল চীন সফরের প্রসঙ্গ। এবার বাংলাদেশের বিরোধী নেতা খালেদা জিয়ার 'লো প্রোফাইল' এবং 'ভেরি ভেরি ইম্পর্টেন্ট' ভারত সফর নিয়ে খোদ ভারত সরকার এবং ভারতের মিডিয়া যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখাচ্ছে, তাতে তো মনে হয় এবার খালেদা জিয়ার 'ভারত বিজয়' একেবারে সুনিশ্চিত। তাঁকে ভারতে প্রায় একজন সরকার প্রধানের কূটনৈতিক শিষ্টাচার দেখানো হচ্ছে। ভারতীয় পার্লামেন্টে বিরোধীদলীয় নেতা, বিজেপির সুষমা স্বরাজ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশীদ এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে ইতোমধ্যে আমাদের বেগম খালেদা জিয়ার সাক্ষাত এবং আলাপ-আলোচনা হয়ে গেছে। ক্রমে ক্রমে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, এমনকি সম্ভবত কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও সাক্ষাত করবেন এবং বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে বিএনপির দৃঢ়প্রত্যয় এবং প্রতিশ্রুতিও ঘোষণা করবেন। বিএনপি নেত্রী এবং সংসদে অনুপস্থিত বাংলাদেশের সংসদীয় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ভারত সফরে ভারতীয় নেতা ও মিডিয়াকে আরও কি কি বলবেন, তা একমাত্র আল্লাহ করিম এবং বেগম খালেদা জিয়াই জানেন। তবু না জানলেও বিএনপি-জামায়াতের অতীত ও বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান সামনে রেখে অনুমান করতে তো কিছু অসুবিধা নেই। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়টি তো আছেই। এ ছাড়া বেগম জিয়া যা করবেন বলে অনুমিত হয় তা হচ্ছে, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে ভারতকে সর্বোচ্চ প্রতিশ্রুতি দেয়া, দশ ট্রাক অস্ত্র ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে পৌঁছে দেয়ার মতো ঘটনা যে খোদার কসম, (ভারতীয় ভাষায় ঈশ্বরের দোহাই) আর ঘটবে না। প্রায় 'হাত-কান' খুলে সেই প্রতিশ্রুতি দেয়া, দুই দেশের যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। হ্যাঁ ক্ষমতায় যেতে পারলে বিএনপি ভারতকে ট্রানজিট এবং ট্রান-শিপমেন্টের সুবিধাও দেবে! দেবে না কেন?
দেবে না কেন তো অবশ্যই। তবে ২০০১-২০০৬ সময়-পর্বে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে কিন্তু এসবের কিছুই দেয়নি। অথচ ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে ঢাকায় আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়ার বিপক্ষে যে টুইসডে ক্লাব নামে একটি কূটনৈতিক-ক্লাব সংগঠিত হয়েছিল। সেই ক্লাবের অন্যতম সদস্য ছিল ভারতও। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ইত্যকার দেশ তো ছিলই। ওই সময়ের কিছুটা সময় আগে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন বেশ হাইপ্রোফাইল একটা টিম নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। বিল ক্লিনটন বিনয়ী, ভদ্র মানুষ। তিনি তো জানতেন বাংলাদেশে গ্যাস ও অন্যান্য খনিজ সম্পদের বিশাল মজুদ রয়েছে, যা এখনও অনাবিষ্কৃত। বিষয়টা বাংলাদেশ নাও জানতে পারে। গরিব দেশ। তথ্যপ্রযুক্তির দিক দিয়ে বহু পিছিয়ে। তদুপরি নেতৃত্বের কারণে হিংস্র ও বিদ্বেষপরায়ণ রাজনীতিতে লিপ্ত দেশটা। সত্যি কথা বলতে গেলে হিংসাত্মক আর প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতিই অপরিমেয় সম্ভাবনার এই দেশটাকে ডুবিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের কাছে সবিনয়ে জানতে চেয়েছিলেন সামর্থের অভাব না থাকলে বাংলাদেশ বিদেশে গ্যাস রফতানি করতে রাজি থাকবে কি-না? আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব বিল ক্লিনটনকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাহাকে বলে এসব কিছু জানার পরোয়া করেনি বলেই মনে হয়। গ্যাস-রফতানি প্রশ্নের জবাবে তারা চরম কূটনৈতিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিল। অথচ তখনকার বিরোধী দল বিএনপি রীতিমতো হোমওয়ার্ক করে প্রতিশ্রুতির বিশাল এক ফর্দ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। ক্ষমতায় গেলে তারা কোনটা করবে, কোনটা করবে না, সেটা ভিন্ন প্যারায় আলোচনা করব। তবে সত্যের খাতিরে বলতেই হয়, বিল ক্লিনটনের সঙ্গে সেদিনকার সাক্ষাতকারে কূটনৈতিক শিষ্টাচার প্রদর্শন এবং প্রতিশ্রুতি দেয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছিল তারা। বিএনপির নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাতে মহাসন্তুষ্ট প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং তার সঙ্গে থাকা উপদেষ্টাবৃন্দ।
আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট সন্তুষ্ট হওয়া মানে তো গোটা পাশ্চাত্যেরই সন্তুষ্ট হওয়া। ভারত সেবার আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে প্রত্যাশা থাকা সত্ত্বেও বলার মতো তেমন কিছু পায়নি। কাজেই বিএনপির দেয়া প্রতিশ্রুতির ওপর জুয়ার দান ফেলে তারাও যোগ দিয়েছিল ষড়যন্ত্র আঁটা ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ার টুইসডে ক্লাবে। আর ষড়যন্ত্রের জোর ধরে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে কি ঘটেছিল তা সবারই জানা। নির্বাচনের ঠিক আগে সারাদেশে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা ও কর্মীদের ওপর সেনাবাহিনী লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল। ব্যবস্থা করা হয়েছিল নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় যাতে স্থানীয় নেতৃত্ব যুক্ত থাকতে না পারে। এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল তাদের। বহু ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের কোন এজেন্টকে থাকতে দেয়া হয়নি। শতভাগ জেতা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ শোচনীয়ভাবে হেরে গিয়েছিল।
নির্বাচন জিতে ক্ষমতায় গিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে বিএনপি যেসব অঙ্গীকার করেছিল, যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেসবের একটাও রক্ষা করেনি। ২০০১ সালে নির্বাচন জয়ের সঙ্গে সঙ্গে, অনেকটা তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান নানা কারণে কলঙ্কিত বিচারপতি লতিফুর রহমানের সৌজন্যে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর জঘন্য ও নৃশংস হত্যাকা-, নারী নির্যাতন, লুটপাট সংঘটিত হয়েছিল। এসব নৃশংসতা ও বর্বরতার পেছনে যে ছিল জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপি তা নিঃসংশয়েই বলা যায়।
ভারতের তখন প্রতিক্রিয়াটা কি হয়েছিল ভাবতে ইচ্ছে করে। ভারতের কাছে দেয়া বিএনপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি ছিল বাংলাদেশে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এবং ভারতবিরোধী জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের কোন রকম প্রশ্রয়-পৃষ্ঠপোষকতা না দেয়া। ২০০১ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর বিএনপি-জামায়াত তাদের দেয়া এই আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির উল্টো কাজগুলোই করেছে। ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোর জন্য বিএনপি-জামায়াত শাসিত বাংলাদেশ শুধু যে নিরাপদ আশ্রয় ও অভয়ারণ্য হয়ে ওঠেছিল তাই নয়, ১০ ট্রাক ভয়াবহ সব আগ্নেয়াস্ত্র চালানের মতো একাধিক ঘটনা প্রমাণ করে যে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে সরাসরি অস্ত্র তুলে দেয়ার কাজেই লিপ্ত ছিল। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানে বিএনপির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং হাওয়া ভবন ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল, এটা তো প্রমাণসিদ্ধ বিষয়।
ভারতবিরোধী জঙ্গী ও সন্ত্রাসী উত্থান, তাদের লালন-পালনের ভূমিকাও একান্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। বিএনপি-জামায়াতের 'ঘরের ছেলে' হুজি, জেএমবি, হিযবুত তাহ্রীর তো বহাল তবিয়তে প্রায় প্রকাশ্যে অবস্থান করছিল রক্ত বীজের বংশের মতো। তাদের ক্রমবিকাশে সম্ভাব্য সব রকমের সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছিল জোট সরকার। অন্যদিকে পাকিস্তান ও ভারতভিত্তিক ভারতবিরোধী জয়সে মোহাম্মাদ, লস্করে তৈয়বা প্রভৃতি জঙ্গী-সন্ত্রাসী সংগঠন যাতে বাংলাদেশে নিজেদের শেকড় গড়ে তুলতে পারে, সংগঠন শক্তিশালী করে তুলতে পারে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে সেখানে ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালাতে পারে, সেই ব্যাপারেও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার যা কিছু করা সম্ভব, তার সবই করেছে।
২০০১ সালে নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা পাশ্চাত্য বিশ্ব, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিক দেশকে এবং ভারতকে দেয়া প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসের কোনটাই বাস্তবায়ন করেনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। বরং দেয়া প্রতিশ্রুতির ঠিক উল্টো কাজগুলো তারা করেছিল। কেবল বাংলাদেশ নামটা বজায় রেখে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় পাকিস্তানে পরিণত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টাই তারা চালিয়ে গিয়েছিল।
বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠী এবারও ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের চিরাচরিত আশ্বাস প্রতিশ্রুতির অভিযানে অবতীর্ণ হয়েছে। ভারত সফরে গিয়ে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভারতীয় নেতৃবৃন্দ ও মিডিয়ার কাছে সেইসব পুরনো প্রতিশ্রুতিই উচ্চারণ করে যাচ্ছেন। রাজনীতিতে জামায়াত যাদের সহোদর ভাই, সেই বিএনপির রক্তেও তো বইছে তীব্র, আক্রমণাত্মক ভারতবিরোধিতা। কয়েকদিনের ভারত সফরে গিয়ে ইতিবাচক সব আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি উচ্চারণ করে খালেদা জিয়া তাঁদের রাজনীতির আসল রূপটি কি আড়াল দিতে পারবেন? পারবেন বার বার ধোঁকাবাজির খেলায় জিতে যেতে?
ভারত কোন অপরিপক্ব রাজনীতির দেশ নয়। বিএনপি-জামায়াতের আসল রূপটি কি তাও তাদের অজানা থাকার কথা নয়। খালেদা জিয়ার ভারত সফরের সাফল্য বা কৃতিত্ব আসলে কতটা, ব্যর্থতাই বা কতখানি সময়েই তা জানা যাবে।
বেশির ভাগ মিডিয়া যতটা না বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক, তার চেয়ে বেশি আওয়ামী লীগবিরোধী। এজন্য মিডিয়াকে দায়ী করা বৃথা। এজন্য বরং দায়ী করাই যায় আওয়ামী লীগের অতি দুর্বল মিডিয়া ব্যবস্থাপনাকে। দায়ী করা যায়, অন্তত কতকাংশে, তাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে। তারা প্রায় বিনা কারণে মিত্রকে শত্রুতে পরিণত করতে খুবই পারদর্শী। আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থাকার যে কি উপযোগিতা আছে তাও বোঝা দুষ্কর। শুধু শুধু বিদেশ ভ্রমণ তো কূটনৈতিক সাফল্যের মাত্রা নির্ধারণ করে না। আমার বিবেচনায়, দেশ শাসনে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকারের সাফল্য বিশাল। বিশ্বজুড়ে বিরাজমান মহামন্দাজনিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল সূচকের সব কয়টি ইতিবাচক। ভারতসহ প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যথেষ্ট কম। এ ছাড়া নিরাপদ খাদ্য-নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বিশাল উন্নয়ন, প্রায় ধসে পড়া জ্বালানি পরিস্থিতি প্রায় সহনীয় পর্যায়ে তুলে আনতে পারা এসব সাফল্যও তো মহাজোট সরকারের পক্ষেই যায়।
এরপরও বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৪ সালের নির্বাচন জিতবেই এমনটা ভাবার কারণ দেখি না। এই মুহূর্তে মহাজোট সরকারের জন্য যা অপরিহার্য তা হচ্ছে মিডিয়াবান্ধব হওয়া। এই ক্ষেত্রে মহাজোট সরকারের কোন কোন শক্তিধর মিত্র দেশ তাদের কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকারকে কার্যকর সহায়তা দিতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই বাস্তবতা কতটা বোঝে সেটাই মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের একটি প্রশ্ন!

লেখক : প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___