আইন মন্ত্রীর গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় আটলান্টায় বাংলাদেশীদের প্রতিবাদ।। জামাত-শিবিরকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবী
আটলান্টা, ১৪ নভেম্বর ২০১২ (বিডিএনএন২৪) :- যুদ্ধপরাধীদের বিচারকে নস্যাৎ করতে গত তিনদিনের বাংলাদেশে জামাত-শিবিরেরে ন্যাকারজনক সন্ত্রাসী তৎপরতাসহ আইনমন্ত্রীর গাড়িতে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আটলান্টার বাংলাদেশী কমিউনিটির মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতিক কর্মী-নেতা, সাংবাদিক, কবি,লেখক ও সংস্কৃতি কর্মীগন। এক যুক্ত বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, "স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের দোসর ,রাষ্ট্রদ্রোহী স্বাধীনতার চির শত্রু বদর, রাজাকারের দল জামাতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আইন প্রণয়ন করেছিলেন, অথচ দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, পচাত্তুরের বঙ্গবন্ধু হত্যার নৃশংস ঘটনার পর জাতির জনকের প্রতি আস্থা জ্ঞাপনকারী তৎকালীন সেনা অফিসার মেজর জিয়া বেতারে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে ইতিহাস তৈরি করলেও পরবর্তীকালে দেশের সেনা শাসক হয়ে জাতি ও বঙ্গবন্ধুর সাথে বেঈমানি করে জামাতের রাজনীতিকে পুনরায় বৈধতা দিয়ে সেইসব স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসিত করে কলঙ্কময় আরও এক নতুন ইতিহাস তৈরি করে পঙ্কিলতার গহ্বরে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন।
জিয়ার উত্তরাধিকারী বিএনপির পরম বন্ধু সেইসব স্বাধীনতার শত্রু জামাত শিবির আজ দেশে প্রয়াত জিয়ার আশীর্বাদে অরাজকতার এমনএক বীভৎস সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে যে, যুদ্ধপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকেও নস্যাৎ করতে শেষমেশ মরিয়া হয়ে সারা দেশে রাষ্ট্রদ্রোহী অশুভ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি জোটের অন্যতম মানিক-রতন এই ধর্ম ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী দলটি ধর্মের বাণী দিয়ে ধর্মপ্রাণ নিরীহ মানুষদের বিপথে চালিত করে নৈরাজ্যের সর্বশেষ জঘন্য ও ঘৃণ্যতম অংশ হিসেবে আইন মন্ত্রীর গাড়িতেও হামলা চালাতে দ্বিধা বোধ করেনি। বিএনপির ভালবাসা ও আস্কারা পেয়ে এই জামাত এক সময় পুরস্কার হিসেবে রাষ্ট্রীয় সিংহাসনে বসেও জাতিকে কলঙ্কিত করেছিলো। তারা আজও দেশকে গ্রাস করার দিবা স্বপ্ন দেখছে প্রতিনিয়ত। কাজেই দেশবাসী আর এই নৈরাজ্যকে বরদাস্ত করতে পারে না। বিএনপির আদরে,সোহাগে দুধ দিয়ে বেড়ে উঠা জামাত-রূপি এই কাল সাপ যেভাবে আজ ফনা বিস্তার করেছে, তার বিষদাঁত নিশ্চিহ্ন করে দিতে দেশের মুক্তিযুদ্ধের সকল মানুষকে এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে"।
বিবৃতি প্রদানকারীগন বর্তমান সরকারকে অনতিবিলম্বে সংসদে বিল উপস্থাপনের মাধ্যমে জামাত শিবিরের রাজনীতিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবী জানান। বিবৃতিপ্রদানকারী ব্যক্তিরা হলেনঃ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ডাঃ মুহম্মদ আলী মানিক, জর্জিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে এম মওলা দিলু ও মাহমুদ রহমান, জর্জিয়া আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির আহবায়ক মুহম্মদ আলী হোসেন, জর্জিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে দিদারুল আলম গাজী ও হুমায়ুন কবির কাউসার, জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতির সাবেক সভাপতি যথাক্রমে মিন্টু রহমান ও নাদিরা রহমান, জর্জিয়া বাংলদেশ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে শাহীন হুসেইন ও আরেফিন বাবুল, জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মাহমুদ আব্বাস মিঠু ও নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ও সংস্কৃতি কর্মী রুমী কবির, সংস্কৃতি কর্মী মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া, সংস্কৃতি কর্মী শামীমুল ইসলাম শামীম, মানচিত্র ডট কমের সম্পাদক এ এইচ রাসেল, কবি গোলাম রহমান, সংগঠক ফজলুল হক সুরুজ, সংগঠক সৈয়দ মুরাদ, সংগঠক রমেশ সাহা, ডেমক্র্যাটিক পার্টির বাংলাদেশী সংগঠক আহমাদুর রহমান পারভেজ, সংগঠক খন্দকার আসাদ রহমান, সংগঠক মশিউর রহমান চৌধুরী, সংগঠক আরিফ আহমেদ, সংগঠক শেখ জামাল প্রমুখ।
__._,_.___