http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=57593
ন্যায় ও সুবিচার গুরুত্ব পেল জামায়াতের নতুন গঠনতন্ত্রে
নিজস্ব প্রতিবেদক
তারিখ: ৬ ডিসেম্বর, ২০১২
ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টিকে ল্য নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রে কয়েকটি সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধিত এ গঠনতন্ত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে দলটি। নির্বাচন কমিশন জামায়াতের গঠনতন্ত্রের কিছু ধারা আরপিও এবং দেশের সংবিধানের কিছু মূলনীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করার পরামর্শ দেয়ার পর এই সংশোধনীগুলো আনা হয়।
সংশোধনীর ধারা-৩ এ দলটির উদ্দেশ্য ল্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। ধারা-৫ এর ১ ও ২ উপধারা বহাল রেখে উপধারা ৩-এ সংশোধনী এনে বলা হয়েছে, সঙ্ঘবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সুবিচারপূর্ণ শাসন কায়েম করিয়া সমাজ হইতে সকল প্রকার জুলুম শোষণ দুর্নীতি ও অবিচারের অবসান ঘটানোর আহ্বান।
ধারা ৬-এ ১, ২ ও ৩ উপধারা বহাল রেখে ৪ উপধারায় সংশোধনী এনে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক পন্থায় সরকার পরিবর্তন এবং সমাজের সর্বস্তরে সৎ ও চরিত্রবান লোকের নেতৃত্ব কায়েমের চেষ্টা করা।
ধারা ৭-এর ১, ২, ও ৩ উপধারা বিলুপ্ত করে ৪ উপধারায় দলের সদস্য হওয়ার শর্তাবলির মধ্যে বলা হয়, ব্যক্তিগত জীবনে ফরজ ও ওয়াজিবগুলো আদায় করেন এবং কবিরা গুনাহ হতে বিরত থাকেন।
ধারা ১১-এ অমুসলিম নাগরিকদের জামায়াতে সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে সংশোধনীতে বলা হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচির সহিত একমত পোষণ করিলে বাংলাদেশের যেকোনো অমুসলিম নাগরিক ইহার সহযোগী সদস্য/সদস্যা হইতে পারিবেন।
নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রের এই ধারাগুলো সংশোধনের জন্য চিঠি প্রদান করে। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামী গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য দুই মাস সময় চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের প থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দেয়া হয়। জামায়াতে ইসলামীর আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকার গতকাল নয়া দিগন্তকে জানান, সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দেয়ার মধ্য দিয়ে আশা করি, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের আর কোনো অস্পষ্টতা থাকবে না এবং বিষয়টি চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। তিনি আরো জানান, নিবন্ধিত দল হিসেবে আরপিওর প্রতি সম্মান রেখে এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করার উদ্দেশ্যে দলের গঠনতন্ত্রে কিছু সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই একই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের প থেকে ২০১০ সালের প্রথম দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর ওই বছরের ৭ জুন তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা ও অন্যান্য কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জামায়াত নেতৃবৃন্দের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে। বৈঠকে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে জামায়াতের গঠনতন্ত্রের ওই সকল ধারার ব্যাখ্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিষয়টি তখন সুরাহা হয়ে যায় বলে আমরা মনে করেছিলাম।
__._,_.___