আল কায়দা নিষিদ্ধ করা গেলে জামায়াত কেন নয় ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি (বিডিএনএন২৪) :- জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলটিকে নিষিদ্ধ করলে তাদের গোপন তৎপরতায় দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া যে শঙ্কা অনেকে প্রকাশ করেছেন, তাও অমূলক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এক সভায় সেলিম বলেছেন, অনেকে বলে থাকেন, রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে জামায়াত গোপনে আরো নাশকতা চালাবে। একথা আমলে নেয়ার কোনো কারণ নেই। আমেরিকা আল কায়দা, জার্মানি নাৎসি পার্টি নিষিদ্ধ করেছিল না। এদেশেও জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের প্রথম রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছে, জামায়াতে ইসলামী একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল। গত ২১ জানুয়ারি ওই রায়ে জামায়াতের সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাতকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতের শীর্ষনেতারাও বিচারের মুখোমুখি। আটক নেতাদের মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ থেকে গত সোমবার ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাংচুর চালায় জামায়াত এবং তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। একই ধরনের কাণ্ড আগেও ঘটিয়েছিল তারা।
মতিঝিলে সোমবার পুলিশের ওপর হামলায় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীরা। জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে গত মাসে হরতাল আহ্বানকারী সিপিবির সভাপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা সবাই জানে। গত বছরের নভেম্বরে তারা দেশব্যাপী পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। শুধু সোমবারের কর্মকাণ্ডের জন্যই দেশে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। জামায়াতেকে কোনঠাসা করতে একাত্তরের মতো ঘরে ঘরে মুক্তিযুদ্ধের বার্তা পৌঁছে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, তা নাহলে দেশি-বিদেশি শক্তির মদদপুষ্ট জামায়াতকে মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পড়বে। মুক্তিভবনে প্রয়াত সাংবাদিক পথিক সাহার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি তোলেন সেলিম। পথিক সাহা স্মৃতি সংসদ আয়োজিত এই সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননও জামায়াতের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান।
জামায়াতের পক্ষাবলম্বনকারীদের সমালোচনা করে ক্ষমতাসীন জোটের এই নেতা বলেন, টক শোতে অনেক বুদ্ধিজীবী খুব নিরপেক্ষ ভাব নিয়ে জামায়াত ও শিবিরের কর্মকাণ্ডকে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তাদের কর্মকাণ্ডের নিন্দা পর্যন্ত জানান না। পথিক সাহা স্মরণে তিনি বলেন, দেশে দেখি, অনেকেরই তারুণ্যে বিপ্লবী আবেগ থাকে, কর্মজীবনে তা হারিয়ে যায়। তবে পথিক সাহা সত্য ও সংগ্রামের পথ বেছে নিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহউল আলম লেলিন, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন ভূইয়া সভায় বক্তব্য রাখেন। |