Banner Advertiser

Sunday, February 10, 2013

[mukto-mona] | The Daily Sangram---ব্লগার্সের মুখোশে শাহবাগ মঞ্চে ছাত্রলীগ যুবলীগ ও বামপন্থীরা--Asif Arsalan's column



http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=108717

 

 

 

অবগুণ্ঠন উন্মোচন -আসিফ আরসালান

ব্লগার্সের মুখোশে শাহবাগ মঞ্চে ছাত্রলীগ যুবলীগ বামপন্থীরা

শাহবাগ চত্বরে গত কয়েকদিন ধরে আসলে কি ঘটছে? প্রথমে বলা হলো যে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায়ে তারা হতাশ এবং নাখোশ। তাই জনাব মোল্লার মৃত্যুদন্ড দাবি করে তারা সমাবেশ করছে। একটি করে দিন যায় আর একটি করে দাবির ফর্দ বাড়তে থাকে। তাদের সবগুলো দাবি আমরা এক এক করে আলোচনা করবো। তবে গত শুক্রবার 'আমাদের সময়.কমে' তাদের যে সব নতুন দাবি উঠেছে সেগুলো জানার পর এই আন্দোলনের মোটিভ এবং কারা এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে সেটি বুঝতে আর কারও কষ্ট হয় না। সম্পর্কে আলোচনা এগিয়ে নেয়ার পূর্বে আমরা 'আমাদের সময়.কমের' সংবাদটি নিচে হুবহু ছাপিয়ে দিলাম

সংবাদটির শিরোনাম, ''শাহবাগে 'নয়া দিগন্ত' 'সংগ্রামে' আগুন'' সংবাদে বলা হয়, '' কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে সকাল থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছে শাহবাগ। জামায়াতকে সব জায়গা থেকে অবাঞ্ছিত করার জন্য দলটির পত্রিকা 'নয়া দিগন্ত' 'সংগ্রামে' সকালে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। শুধু সংগ্রামই নয়, দেশবিরোধীদের সহযোগিতা করার জন্য পাশাপাশি 'দিগন্ত টিভি' 'ইসলামিক টিভিকেও' তারা ধিক্কার দেয়। আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেয়, 'দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভিসংগ্রাম, সব রাজাকার, সব রাজাকার' সকাল থেকেই শাহবাগে প্রায় সব টিভি চ্যানেল পত্রিকার একাধিক প্রতিনিধিকে দেখা গেলেও ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টিভি সংগ্রাম পত্রিকার কোনো প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। আন্দোলনকারীদের পক্ষে জামায়াতের মিডিয়াসহ অন্যান্য সংস্থা যেমন ইসলামী ব্যাংক, হাসপাতালসহ সব কিছু জনগণকে বয়কট করার আহবান জানানো হয়। তারা দাবি করেন, জামায়াত এসব সংস্থার মাধ্যমে মেধা কিনে তার অপব্যবহার করে। সুতরাং সব জায়গা থেকে এদের উচ্ছেদ করতে হবে

স্থান সংকুলান হলে আমরা সমগ্র বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। 'আমাদের সময়.কমে' যে সব কথা বলা হয়েছে প্রথমে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক। প্রসঙ্গত বলে রাখতে চাই যে, শুক্রবার বিকেলে আমি যখন এই লেখাটি লিখছি তখন শাহবাগ চত্বরে তাদের মহাসমাবেশ চলছে। আমি টেলিভিশনে এই মহাসমাবেশের কার্যবিবরণী দেখছি। সম্ভব হলে সেগুলো নিয়েও আলোচনা করবো। এখন 'আমাদের সময়.কমে' প্রকাশিত খবর নিয়ে দুটি কথা

\ দুই \

শাহবাগ স্কয়ারের সমাবেশের উদ্যোক্তারা শুধুমাত্র কাদের মোল্লা নয়, সমস্ত অভিযুক্তের ফাঁসি চান। সেই ফাঁসির রায় না নিয়ে তারা ঘরে ফিরবেন না। প্রথমে কাদের মোল্লার কথা। ট্রাইব্যুনাল তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে। এখন তার মৃত্যুদন্ড দেবে কে? ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে। তারা তো আর দ্বিতীয় বার অন্য কোনো আদেশ দিতে পারে না। এখন এই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করবে বাদী এবং বিবাদী উভয় পক্ষই। বিবাদী পক্ষ আপিল করবে। এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। তাদের মতে যেটা হয়েছে সেটা হলো গুরুদন্ড। তারা কাদের মোল্লার বেকসুর খালাশ চান। পক্ষান্তরে রাষ্ট্রপক্ষ সাধারণভাবে উচ্চতর আদালতে আপীল করতে পারেন না। তবে ট্রাইব্যুনাল যদি আসামীকে সমস্ত অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাশ দেয় তাহলে সেই খালাশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ উচ্চতর আদালতে আপীল করতে পারবে। ট্রাইব্যুনাল সবগুলো অভিযোগ নয়, একটি অভিযোগ থেকেও যদি খালাশ দেয় তাহলেও সেই খালাশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ উচ্চতর আদালতে আপিল করতে পারবে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, কাদের মোল্লা সাজা বাতিল করে বেকসুর খালাশের জন্য অথবা সাজা কমানোর জন্য আপিল করতে পারবেন। সাজা বাতিল বা হ্রাস করা না করার এখতিয়ার উচ্চ আদালতের

কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে উত্থাপিত ৬টি অভিযোগের মধ্যে একটি অভিযোগ থেকে ট্রাইব্যুনাল তাকে বেকসুর খালাশ দিয়েছে। এই খালাশ বা অব্যাহতির বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ আপিল করতে পারবে। তবে সেই আপিলে সরকার পক্ষ নতুন করে কোনো সাক্ষী সাবুদ বা ডকুমেন্ট পেশ করতে পারবে না। যে সব সাক্ষী সাবুদ বা ডকুমেন্টের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল তাকে অব্যাহতি দিয়েছে এসব কাগজপত্র পর্যালোচনার মধ্যেই উচ্চ আদালতকে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। আইন-কানুন সম্পর্কে যাদের সাধারণ জ্ঞান আছে তারা খুব দৃঢ়তার সাথে একটি কথা বলছেন। সেটি হলো এই যে কথিত অপরাধ থেকে ট্রাইব্যুনাল যেখানে মোল্লাকে বেকসুর খালাশ দিয়েছে সেখানে উচ্চতর আদালত যদি শাস্তিও দেয়, তাহলে একেবারে সরাসরি মৃত্যুদন্ড দেবে, সেটি অকল্পনীয়। তাহলে শাহবাগ স্কয়ার থেকে কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়ার যে দাবি উঠেছে সেই দাবি কার্যকর হবে কিভাবে ?

এই সমাবেশে শপ করা হয়, ''আমরা জামায়াত-শিবিরসহ সকল ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে সদা সোচ্চার থাকবো'' শপথে আরও বলা হয়, ''জামায়াত-শিবিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেমন ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা, ফোকাস, রেটিনা অন্যান্য কোচিং সেন্টার এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধের দাবিতে সোচ্চার থাকবো। যুদ্ধাপরাধীদের মালিকানাধীন গণমাধ্যম যেমন, দিগন্ত টিভি, নয়া দিগন্ত, আমার-দেশ, সংগ্রাম, সোনার বাংলা ব্লগ সর্বাত্মকভাবে বয়কট করবো। অফিসে কিংবা বাসায় তাদের কোনো পত্রিকা রাখবো না''

\ তিন \

শাহবাগের সমাবেশের উদ্যোক্তারা দাবি করেছেন যে শুধু মাত্র কাদের মোল্লা নন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যারা বিচারাধীন রয়েছেন তাদের সকলের বিচার করতে হবে। তারা মাওলানা নিজামী থেকে শুরু করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পর্যন্ত প্রত্যেকের নাম ধরে ধরে তাদেরকে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানান। তাদের এসব দাবির প্রেক্ষিতে দেশের ধীমান মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দেশে এখন ১৩/১৪ জনের বিচার চলছে। এদের মধ্যে দুই জনের রায় ইতোমধ্যেই ঘোষিত হয়েছে। একজনের রায় যে কোনো দিন ঘোষিত হতে পারে। তিনি হলেন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। মাওলানা সাঈদীর বিচারে রায় কি হবে সেটা কেউ জানে না। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ কতটুকু প্রমাণিত হয়েছে আর কতটুকু হয় নাই, সেটি কারো জানার কথা নয়। তাহলে রায় বের হওয়ার আগেই ফাঁসির দাবি ওঠে কিভাবে? অন্যদের তো বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। তাদেরকে ফাঁসি দিতেই হবে, এমন দাবি মহা সমাবেশ থেকে ওঠে কিভাবে? তাহলে তো আর বিচার-আচারের কোনো প্রয়োজন নাই। ধরে ধরে গ্রেফতার করে চার্জশিট করে মৃত্যুদন্ড দিলেই তো হয়ে যায়। আপনি আদালত বসাবেন, বাদী বিবাদী উভয় পক্ষের সাওয়াল জবাব করবেন, সাক্ষী সাবুদ এবং দলিল দস্তবেজ পেশ করা হবে, তার পরেই তো রায়। কিন্তু এতো কিছু করার আগেই হাজার হাজার লোকের সভা ডেকে অভিযুক্তদের ফাঁসি দিতেই হবে, তেমন দাবি তোলা কি বিচার প্রক্রিয়া, আদালত এবং বিচারকদের ওপর সরাসরি চাপ প্রয়োগ করা নয়? তাহলে আর বাংলাদেশে আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার থাকলো কোথায়?

সমাবেশে অনেক বক্তা বললেন যে, যাদের বিচার করা হচ্ছে, বিদ্যমান আইনে যদি তাদেরকে ফাঁসি দেয়া সম্ভব না হয় তাহলে আইন এবং সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সংশোধন করে তাদেরকে ফাঁসি দিতে হবে। তাহলে ব্যাপারটি কি দাঁড়াচ্ছে? বিচার করার আগেই সিদ্ধান্ত করা হচ্ছে যে আসামীদের ফাঁসি দিতেই হবে। সেখানে তারা আসলেই অপরাধ করেছেন কি না, সে অপরাধ লঘু না গুরু, দেখার কোনো প্রয়োজন নাই। অথচ সরকার সব সময় বড় গলায় দাবি করছে যে এই বিচারে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করা হচ্ছে এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখা হচ্ছে। এটি নাকি কোনো প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসার বিচার হচ্ছে না। হচ্ছে ন্যায়বিচার। যদি ন্যায়বিচারই হবে তাহলে কি বিচার হওয়ার আগেই শাস্তি দেয়ার ব্যাবস্থা করা হয়?

ট্রাইব্যুনালে পান থেকে চুন খসলেই বিচারকরা আইনজীবীসহ অনেকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা আনেন এবং তাদেরকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে কৈফিয়ত দিতে বলেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার থেকে শাহবাগে যা কিছু ঘটছে, মৃত্যুদন্ড নিয়ে যা কিছু বলা হচ্ছে, সেগুলোর জন্য তো একজনের বিরুদ্ধেও আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করা হয় নাই। তারা যাতে আরাম আয়েশে, নির্ভয়ে ট্রাইব্যুনালকে চাপ দেয়ার মতো বক্তব্য দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছে পুলিশ তথা সরকার। গত মঙ্গলবার থেকেই একদিকে ৎস্য ভবন অন্য দিকে হোটেল রূপসী বাংলাসহ /৪বর্গ কিলোমিটার এলাকায় পুলিশ যান চলাচল নিষিদ্ধ করে। উদ্দেশ্য, উদ্যোক্তারা যাতে করে বিনা বাধায় রাস্তা বন্ধ করে মিটিং করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা

\ চার \

শাহবাগ চত্বরে গত শুক্রবার মহাসমাবেশ নামে যা কিছু ঘটলো, সেখান থেকে যা কিছু বলা হলো, শপথের নামে যা পড়া হলো, সেগুলো সব কিছু যে নেপথ্য থেকে আওয়ামী লীগ   করিয়েছে সেটি দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। গত শনিবার 'দৈনিক আমার দেশ'সহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয় যে, শাহবাগের মঞ্চ থেকে ফ্যাসিবাদের ভয়াল পদধ্বনি শোনা গেছে। ১৯৭৩ সালে প্রণীত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের মনমতো সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও আওয়ামী লীগের দলীয় স্বার্থ সিদ্ধি হচ্ছে না। তাই শাহবাগের মঞ্চ থেকে দাবি উঠেছে, আইন পুনরায় সংশোধন করা হোক। এমনভাবে সংশোধন করা হোক যার ফলে যুদ্ধাপরাধীদের পেছনের তারিখ থেকে মৃত্যুদন্ড দেয়া যায়। শুধু তাই নয়, ওরা দাবি করেছে, ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে, জামায়াত সমর্থকদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে, ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা হাসপাতাল, ইবনে সিনা ট্রাস্ট, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, রেটিনা কোচিং সেন্টার, ফোকাস কোচিং সেন্টারসহ জামায়াত সমর্থকদের সমস্ত ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রায়ত্ব করতে হবে

সভা থেকে যে সব বক্তব্য দেয়া হয়েছে এবং যে সব দাবি উত্থাপন করা হয়েছে সেগুলো শুনে সমাবেশ ফের অনেককে বলতে শোনা গেছে, ওরা যে সব দাবি করেছে সেগুলো কোনো দাবি নয়, যেন মামা বাড়ির আবদার। ওরা দেশটাকে মগের মুল্লুক বানাতে চায়। ওরা অরাজনীতির ভেক ধরেছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, ওরা ছিল সব আওয়ামী লীগের শিখন্ডী। যে ভদ্র লোক চরমপত্র পাঠ করেছেন তিনি আওয়ামী লীগের চিকিৎসক ফ্রন্ট স্বাচিপের (স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ) সক্রিয় কর্মী এবং কট্টর আওয়ামী লীগার। মঞ্চ থেকে যেসব স্লোগান তোলা হয় সেই সব স্লোগান '৭১ সালে আওয়ামী লীগের মঞ্চ থেকে তোলা হয়েছে। যতই দিন যাবে ততই দেশবাসীর কাছে এটি পরিষ্কার হয়ে যাবে যে ব্লগার্স এন্ড অন লাইন এ্যাকটিভিস্টের মুখোশ পরে আওয়ামী লীগ শাহবাগ মঞ্চে নাযিল হয়েছিল

email: asifarsalan15@ gmail.com

 



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___