Banner Advertiser

Wednesday, February 13, 2013

[mukto-mona] ০ জামায়াত নেতার স্ত্রীর সংহতি প্রকাশ / প্রজন্ম চত্বরে অবস্থানের ৯ দিনে ॥ জাগল নারী বহ্নিশিখা



মানুষ মানুষের জন্য
শোক সংবাদ
পুরাতন সংখ্যা
বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ২ ফাল্গুন ১৪১৯
প্রজন্ম চত্বরে অবস্থানের ৯ দিনে ॥ জাগল নারী বহ্নিশিখা
০ ত্রিশটি সংগঠনের ব্যানারে ২৫ হাজার নারীর একযোগে একাত্মতা ঘোষণা 
০ বার বার ফিরে আসছেন জাহানারা ইমাম 
০ অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের
০ জামায়াত নেতার স্ত্রীর সংহতি প্রকাশ
রাজন ভট্টাচার্য ॥ প্রতিবাদ, প্রতিরোধ আর সংগ্রামী চেতনার আহ্বানে যাত্রা শুরু করল ঋতুরাজ বসন্ত। এবার বসন্তের প্রথম দিনে ফাগুনের আগুনে রাজাকার নিধনের প্রত্যয় জানাল দেশের কোটি-কোটি মানুষ। রক্ত শিমুল, তপ্ত পলাশে অগ্নিঝড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকেও। নবম দিনে ফাগুনের তাপে দ্রোহের আগুনে জ্বলেছে হাজারো মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠে। দিনভর কাঠফাঁটা রোদে রাজাকারদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা আর সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবি জানাল সর্বস্তরের মানুষ। প্রজন্ম চত্বর যেন দেশমাতৃকা ও স্বাধীনতা রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হয়ে জেগে উঠেছে। যেখানে প্রতিদিনই শামিল হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার মুক্তিকামী জনতা। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বুধবার শাহবাগের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন এক জামায়াত নেতার স্ত্রী। সন্ধ্যায় শাহবাগে উদ্বোধন করা হয়েছে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ক্যানভাস। 
সন্ধ্যায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে ২৫ হাজার প্রতিবাদী নারী যোগ দেন শাহবাগে ত্রিশটি সংগঠনের ব্যানারে ২৫ হাজার প্রতিবাদী নারী একযোগে প্রজন্ম চত্বরের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। 
বেলা তিনটায় প্রতিবাদী গান আর কবিতায় শুরু হয় দুই দিনের নতুন কর্মসূচী। প্রথম দিনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, আবৃত্তিকারসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এতে অংশ নেয়। আয় রে আয়-ডাক দিয়েছে মায়/ একুশের অমোঘ বাণী, রক্ত দিয়ে সূর্য আনি এমন আরও অসংখ্য রণসংগীত পরিবেশনে শিল্পীরা মাতিয়ে রাখেন আন্দোলনকারীদের। আজ একাত্তরের বীর শহীদদের স্মরণে সন্ধ্যা ৭টা দেশব্যাপী মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচী পালন করা হবে। এছাড়া বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস ও রাজাকার কবর দিবস উদযাপনের আহ্বান জানানো হয় শাহবাগের ঘোষণা মঞ্চ থেকে। এদিকে শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে তৃতীয়বারের মতো গান লিখেছেন কবীর সুমন। বুধবার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, সংগঠন প্রজন্ম চত্বরে এসে সংহতি প্রকাশ করেন। পহেলা ফাল্গুনে রাজাকারদের প্রতি তীব্র ঘৃণা জানাতে কালো কাপড় পরে শাহবাগে আসেন অনেকে। যাঁরা ফাগুনের বাসন্তি রঙের শাড়ি পরে এসেছিলেন তাঁদের হাজারো প্রতিবাদী কণ্ঠে প্রকম্পিত হয়েছে রাজপথ। 
জামায়াত নেতার স্ত্রীর সংহতি প্রকাশ ॥ স্বামী জামায়াতের নেতা। স্বাধীনতার বিরুদ্ধে তাঁর পথ চলা। কঠোর অবস্থান। পাকিস্তানপ্রেমী মানুষ। তাকে কি। স্ত্রী দেশপ্রেমিক। বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ। স্বাধীনতা। একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি তাঁর বিনম্র শ্রদ্ধা ছোট বেলা থেকেই। কিন্তু বিধি বাম। জীবনের কোন এক সময়ে তাঁর বিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী এক ব্যক্তির সঙ্গে। তাই পারিবারিক জীবনে দেশপ্রেমিক নাগরিকের পরিচয় দিতে পারেননি তিনি। যতবার চেষ্টা চালিয়েছেন ততবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। স্বামীর পক্ষ থেকে হুমকি দেয়া হয়েছে তালাকের। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে এবার ফুঁসে উঠেছে জাতি। তরুণ প্রজন্মের বিদ্রোহে যোগ দিচ্ছেন দেশের আপমর জনতা। তাই স্বামীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে বুধবার যোগ দেন জামায়াত নেতার স্ত্রী। তবে তিনি নাম প্রকাশ করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। চিরকুট লিখে পাঠান জাগরণ মঞ্চে। মঞ্চ থেকে দেশপ্রেমিক এই গৃহিণীর সংহতি প্রকাশের বিষয়টি ঘোষণার পর হাজারো মানুষ করতালি দিয়ে স্বাগত জানান। 
দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ চলছে ॥ নোয়াখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজি মোবারক আলী। গণজাগরণ চত্বরে এসেছিলেন ভালবাসার টানে। দেশের প্রয়োজনে হাজারো তরুণের প্রতিবাদী কণ্ঠে আবেগাপ্লুত তিনি। বললেন-বাবা এটি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। তোমাদের মুক্তিযুদ্ধ। তরুণ প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধ। তোমরা এগিয়ে যাও। সফলতা আসবেই। বাংলার আকাশ থেকে কেটে যাবে কালো মেঘ। সেদিন আর খুব বেশি দূরে নয়। 
আমায় সঙ্গে নাও- সুমনের আকুতি ॥ শাহবাগের চলমান আন্দোলন নিয়ে আবারও গান লিখলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগসহ সারা দেশ বিকেল চারটা থেকে তিন মিনিটের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই নীরব প্রতিবাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সংহতি জানিয়ে 'তিন মিনিট' শিরোনামে আরেকটি গান বেঁধেছেন তিনি। নতুন এই গানটি বুধবার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে পোস্ট করেছেন সুমন। সুমন তাঁর ওয়েবসাইটে লিখেছেন, '১২ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ ও সারা দেশে তিন মিনিটের যে নীরবতা কর্মসূচী পালিত হয়েছে, তার প্রতি স্যালুট জানিয়ে এই গান। বাংলাদেশে চলমান ঐতিহাসিক আন্দোলনের প্রতি এই গান স্যালুট জানাচ্ছে। আমি ৬৪ বছর বয়সী একজন সুরকার, শিল্পী ও গায়ক। বাংলাদেশের তরুণদের কাছ থেকে আমি শিখছি।'
পাঠকদের জন্য তুলে দেয়া হলো গানটি। 
'তিন মিনিট, কথা ও সুর-
'তিন মিনিটের জন্য শাহবাগ হল দেশ/তিন মিনিটের জন্য দেশটাই শাহবাগ/এ হলো নতুন যুগের জন্ম/ আকাশে পূর্বরাগ/তিন মিনিটের নীরবতা হলো/যুগের আঁতুড়ঘর/ গণতন্ত্রের অভিষেক হবে/দুনিয়ায় এর পর/শহীদ যোদ্ধা বীরাঙ্গনারা/ ইতিহাস জুড়ে জাগে/ যৌবন যায় ইতিহাস গড়ে/আজকের শাহবাগে/ দূর থেকে তবুও আমি শামিল/শামিল অন্যরাও/বুড়ো সুমনের একটাই কথা/আমায় সঙ্গে নাও।'
গান আর কবিতায় প্রতিবাদ ॥ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখতে দুই দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয় মঙ্গলবার। এর মধ্যে বুধবার ছিল প্রতিবাদী গান আর কবিতা। বিকেল তিনটা থেকে শুরু হয় কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিকতা। মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলাবেতার কেন্দ্রের শিল্পী থেকে শুরু করে দেশের বিশিষ্টজনরা এতে অংশ নেয়। গান ধরেন। কবিতা আবৃত্তি করেন। প্রতিবাদী গান আর কবিতায় পুরো এলাকা জুড়ে দ্রোহের আগুনে ফেটে পড়েন হাজারো মানুষ। তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেন রাজাকারদের প্রতি। 
বিকেল ৫টায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ফকির আলমগীর 'ভয় কি মরণে, রাখিতে সন্তানে, মাতঙ্গে মেতেছে আজ সমর রঙ্গে' এই গান শুরু করেন। তিমির নন্দীর কণ্ঠে ধ্বণীত হয় 'সময় এসেছে এবার/ শাহবাগের চেতনায়/'৭১ এর স্বপ্ন নিয়ে/এই গণজাগরণে/রাজাকার বিতারিত হবে/নতুন করে সোনার বাংলা গড়তে হবে'-এই গান। তিনটায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে প্রথম গান ছিল 'একুশের অমোঘ বাণী, দু'হাতে সূর্য আনি/ আয় রে আয়, ডাক দিয়েছে মায়, অস্তিত্বের সংগ্রামে আজ জোট বাঁধ সবাই/আর নয় দেরি নয়সহ প্রতিবাদী অনেক গান পরিবেশন করে শিল্পীরা। প্রতিবাদী গান পরিবেশন করতে এসেছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরজ্ঞন ঘোষাল। 
কবিতায় আহকাম উল্লাহ বলেন, 'ফাঁসি-ফাঁসি-ফাঁসি চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই, ক-তে কাদের মোল্লা, তাই রাজাকার-তুই রাজাকার, গ-তে গোলাম আযম-নিজামী-তুই রাজাকার-তুই রাজাকার।' এছাড়া কবিতা আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গীত পরিবেশনার পর বক্তব্য রাখেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক বেলাল মোহাম্মদ। তিনি বলেন, এই জাগরণ আমাদের কাক্সিক্ষত ছিল। বাংলাদেশ মিনি পাকিস্তানে পরিণত হতে যাচ্ছিল। এই জাগরণের কারণে আমরা আশাবাদী হতে পারছি যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। যেসব যুদ্ধাপরাধী জীবিত রয়েছে তাদের ফাঁসি দিতেই হবে। আর যারা মৃত তাদের ফাঁসির রায় উল্লেখ করে এর নিন্দা জানাতে হবে। পরে আমরা এদের কুশপুতুল দাহ করব। এছাড়া সংহতি প্রকাশ করেন অভিনেতা মিজু আহমেদ, টিভি অভিনেত্রী বন্যা মীর্জা, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী সহ অনেকে। 
এছাড়া সংহতি প্রকাশ করতে দিন দিন মানুষের ভিড় বাড়ছে শাহবাগে। বিভিন্ন এলাকা থেকে দল বেঁধে ব্যানার নিয়ে সংহতি জানাতে আসছেন হাজারো মানুষ। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঁধভাঙ্গা ঢল অব্যাহত রয়েছে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে। বুধবার সংহতি জানাতে আসে পূর্ব নূরেরচালা ভাটারা মুক্তিযুদ্ধে প্রজন্ম, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, গ্রীন ওয়েল স্কুল, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শাজাহান কবীরের নেতৃত্বে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তাসহ কর্মচারীরা বিকেলে সংহতি প্রকাশ করেন। আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ৩০টি নফল রোজা রাখার ঘোষণা দেন এক ব্যক্তি। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন, প্রশিকা টঙ্গি উন্নয়ন এলাকা, গাজীপুর, মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে। এই মহা ফাগুনে-দালাল পোড়াও আগুনে, জামায়াত-শিবির পোড়াও আগুনে এরকম প্রতিবাদী হাজারো স্লোগান দেয়া হয় পহেলা ফাল্গুনের আন্দোলনে। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ছায়ানট, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবাদী গান ও আবৃত্তি পরিবেশ করে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশাল আকৃতির ব্যানারে গণস্বাক্ষর দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ও মানবতাবিরোধীদের প্রতি তীব্র ঘৃণা জানায়। 
ভালবাসার টানে ... ॥ জাগরণ মঞ্চ থেকে দুপুরে মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়-১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসার টানে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস ও রাজাকার কবর দিবস উদযাপন করা হবে। এতে সমর্থন জানায় হাজারো জনতা। বিকেল তিনটায় মাইকে ঘোষণা আসে '৭১-এর ঘাতক কাদের মোল্লা ও সাঈদীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে করতালি প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়। উল্লেখ্য, শুক্রবারের মহা-সমাবেশ থেকে তাদের সদস্যপদ বাতিলের দাবি জানানো হয়েছিল। 
আন্দোলনজুড়ে জাহানারা ইমাম ॥ শাহবাগের আন্দোলনে বার বার উচ্চারিত হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নাম। কারণ তিনিই প্রথম বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনের বাতিঘর হয়ে আছেন তিনি। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের তরুণ সমাজের উত্তাল আন্দোলনের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তেই তাঁর উপস্থিতি রয়েছে। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জননীর বিশাল আকৃতির একটি প্রতিকৃতি স্থান পেয়েছে শাহবাগে। বারডেম হাসপাতালের দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে রাস্তার ওপর তাঁর বিশাল প্রতিকৃতি উদ্বোধন করা হয় সন্ধ্যায়। প্রতিকৃতিটির উচ্চতা ৫০ ফুট, প্রস্থ ৩৫ ফুট। ভূপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ ফুট ওপরে এটি স্থাপন করা হবে। উদ্বোধনের সময় আন্দোলনকারীরা জননীর সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। প্রতিকৃতিতে লাগানো হয় লাইট। মাঝখানে লেখা হয় 'জয় আমাদের হবেই।' শাহবাগ থানার সামনে বটতলার পাশে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের শেষ চিঠি টানানো হয়েছে বিশাল করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন চালিয়ে যেতে জাতির কাছে মৃত্যুর আগে শেষ চিঠি লিখে গিয়েছিলেন তিনি।
মোবাইল ফোনে লাকীর স্লোগান ॥ ক-তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার তুই রাজাকার' বা 'ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি চাই।' অগ্নিকন্যা লাকির কণ্ঠের এমন স্লোগান এখন আর শুধু শাহবাগের মাইকে সীমাবদ্ধ নয়। ছড়িয়ে গেছে মোবাইলে-মোবাইলে। এখন দেশের কোটি জনতার কাছে সংরক্ষিত লাকির স্লোগান। মোবাইল ফোনের রিংটোনে শাহবাগের অগ্নিঝরা স্লোগানগুলো বেজে উঠছে বার বার। রাস্তায়, বাসায়, মার্কেটে, অফিসসহ সবখানে এখন লাকির কণ্ঠ। আন্দোলনের শুরু থেকে স্লোগানে স্লোগানে শাহবাগ চত্বর মুখরিত করে রেখেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লাকী। 
আন্দোলনে বসন্তের আবহ-প্রতিবাদে কালো পোশাক ॥ ঋতুরাজ বসন্তের শুরুর দিনে বেলা বাড়ার সঙ্গে গণজাগরণ চত্বরে বাসন্তী রঙের পোশাক পরে ঢল নামে প্রতিবাদী মানুষের। একই সঙ্গে প্রতিবাদী কালো পোশাকেও এসেছেন আন্দোলনকারীরা। এবার বসন্ত উৎসবকে বিপ্লবের নতুন প্রেরণা হিসেবে দেখছেন তরুণ-তরুণীরা। সেজন্য বাইরে বাসন্তী রং থাকলেও কণ্ঠে ধরেছেন প্রতিবাদী স্লোগান। গণজাগরণ মঞ্চে উপস্থিত তারুণ্যের মাথায় বাঁধা রাজাকারের ফাঁসি চাই ব্যান্ডের সঙ্গে থাকছে ফুলের তৈরি গোলাকার চাকতি। আর মুখে রাজাকারের প্রতি ঘৃণা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ভিড়। এদিকে কালো পোশাক পরে প্রজন্ম চত্বরে আসেন বীণা ও আঁখি। তাঁরা জানান, রাজাকারের প্রতি ঘৃণা জানাতে কালো কাপড় পরে এসেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের প্রতি প্রতিবাদ জানাতেই তাদের এই চেতনা। কেউবা হাতে, কেউবা গালে লিখেছেন 'রাজাকারের ফাঁসি চাই।' 
অহিংস থাকার পরামর্শ আনিসুজ্জামানের ॥ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান শাহবাগে আন্দোলনকারীদের অহিংস থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। মঙ্গলবার মধ্য রাতে প্রজন্ম চত্বরের মঞ্চে সংহতি প্রকাশ করে তিনি এ পরামর্শ দেন। বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদ বলেন, এখানে যে দাবিতে আন্দোলন চলছে তাতে সবার সমর্থন রয়েছে। কোন প্রকার সহিংস কাজে অংশ নেয়া যাবে না। আমরা অহিংস থেকে রাজাকাদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাব। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন একাত্তরের বুদ্ধিজীবীরা দেখেছিলেন, তরুণ প্রজন্ম তা প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হব। তিনি আরও বলেন, জয় বাংলা স্লোগান কোন রাজনৈতিক দলের নয়। এটা বাঙালীর স্লোগান। এই স্লোগানে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালী শক্তি জেগে উঠত। 
জীবন দিয়ে হলেও বিচারের কাজ করে যাব ॥ মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে জাতীয় সংসদে তরুণ প্রজন্মের স্মারকলিপির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভাষণ বিতরণ করা হয়েছে শাহবাগে। স্বাধীনতা তরুণ প্রজন্ম চত্বর ব্যানারে প্রকাশিত বইটি প্রচ্ছদসহ ১০ পৃষ্ঠার ভাষণ সবার হাতে হাতে তুলে দেন একদল কর্মী। ১০ ফেব্রুয়ারির দেয়া ভাষণে লেখা ছিল-'আমি অভিনন্দন জানাই, শুভাশিষ জানাই এবাং প্রাণ ভরে তরুণ সমাজকে দোয়া করি তারা যদি এভাবে জেগে না উঠত তাহলে এই বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে এভাবে সোচ্চার হয়ে উঠত না। তাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমার জীবন দিয়ে হলেও আমি এই বিচারের কাজ অবশ্যই করে যাব, চালিয়ে যাব এবং যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই বাংলার মাটিতে হবে না। রাজাকার, আল বদর, আল শামস এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইনশাল্লাহ বাংলার মাটিতে হবেই। এই মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমি চাই, সর্বোচ্চ শাস্তি এদের হোক, এটাই আমরা চাই। ... যাতে এই বিচারের সুষ্ঠু রায় এবং কার্যকর হয় তার জন্য আমরা দেশবাসীর সহযোগিতা চাই।'-শেখ হাসিনা
সিরাজুল আলম খানের আহ্বান ॥ 'বীর বাঙালী এগিয়ে চলো, শাহবাগের রাস্তা ধর/রাজাকারমুক্ত বাংলা গড়ো/'৭১-এর চেতনায় দেশ গড়ো।' সামাজিক শক্তির পক্ষ থেকে এই আহ্বান জানিয়েছেন সিরাজুল আলম খান।



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___