গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বানধর্মকে পুঁজি করে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না নিজস্ব প্রতিবেদকমাথার ওপরে দেশের পতাকা নিয়ে শাহবাগে তারুণ্যের লাখো কণ্ঠে উচ্চারিত হলো, 'ধর্ম যার যার_রাষ্ট্র সবার'। গতকাল বৃহস্পতিবার মহাসমাবেশে মুহুর্মুহু স্লোগানে এবং শাণিত বক্তব্যে জবাব দেওয়া হয় গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে নানা মহলের অপপ্রচারের। বক্তারা একই সঙ্গে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান জামায়াত-শিবির চক্রের এবং কিছু গণমাধ্যমের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মতো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার।
তারুণ্যের এই গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন নিয়ে বিভিন্নভাবে অপপ্রচারের দিকে নজর রেখে গতকাল মহাসমাবেশ শুরু হয় সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। শুরুতে পবিত্র কোরআন, এরপর গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন নিজ নিজ ধর্মের একেকজন প্রতিনিধি। কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন মাওলানা মেহেদী হাসান, গীতা থেকে পাঠ করেন সাধন চক্রবর্তী, বাইবেল থেকে পাঠ করেন বিশপ মাইকেল এশা এবং ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন অধ্যাপক ধীমান চন্দ্র বড়ুয়া।
গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক, অনলাইন ও ব্লগার অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার মহাসমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার সময় বলেন, 'কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন নয়, আমাদের আন্দোলন কেবল স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে।'
সমাবেশে বক্তাদের বেশির ভাগই জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন ধর্ম ব্যবসা ও ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করার বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরেন।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তমাল তাঁর বক্তব্যে বলেন, "জামায়াতে ইসলামী দেশের মাদ্রাসা শিক্ষার প্রসঙ্গ তুলে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের চেষ্টা করে। তবে তাদের কোনো নেতা মাদ্রাসায় পড়েনি বা এখনো পড়ছে না। গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামীসহ জামায়াতের বড় বড় নেতার সন্তানরা বিদেশে গিয়ে 'আধুনিক শিক্ষা' নিয়েছে। এতে বোঝা যায়, তারা কেবল ধর্ম ব্যবসা করে।"
অন্য বক্তারাও গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে মহলবিশেষের ধর্মীয় অপপ্রচারের ধিক্কার ও নিন্দা জানান।
এর আগে মহাসমাবেশের শুরুতে মঞ্চ থেকে বলা হয়, ১৭ দিন ধরে এই গণজাগরণ মঞ্চে আন্দোলন চলছে। এখন এই গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ধর্মের দোহাই দিয়ে এই আন্দোলন সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই আন্দোলনে যারা আসে, তারা নাকি সবাই নাস্তিক। কিন্তু এই আন্দোলনে কোনো নাস্তিক-আস্তিকের বিষয় নেই। এখানে সব ধর্মের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছে।
বক্তারা বলেন, এই দেশে ধর্মকে পুঁজি করে আর ব্যবসা করা যাবে না। পাকিস্তান আমলে স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সময়ও নাস্তিকতার কথা বলে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। কিন্তু বাঙালিরা সেসব কানে তোলেনি। সেসব অপপ্রচারের দিন শেষ হয়ে গেছে।http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1161&cat_id=1&menu_id=0&news_type_id=3&news_id=326896#.USbunh2u8vw
22 Feb 2013 06:19:52 AM Friday BdST 
নির্ঘুম ১৮ রাতের ইতিহাসে প্রজন্ম চত্বর
__._,_.___
