বাংলা একাডেমীর অনুষ্ঠানে আলোচকেরা
এবারও মুক্তিযুদ্ধের শক্তিই জিতবে
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ২৭-০৩-২০১৩
বাংলা একাডেমীর রবীন্দ্রচত্বরে গতকাল স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান
ছবি: প্রথম আলো
একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে ও বিপক্ষে দুটি শক্তি ছিল। বর্তমানেও দেশ তেমনি এক অবস্থানে দাঁড়িয়ে। একাত্তরের মতো এবারও মুক্তিযুদ্ধের শক্তি জয়লাভ করবে। কোনো ষড়যন্ত্রই এ দেশের অগ্রগতি রুখতে পারবে না। আর এর নেতৃত্ব দেবেন তরুণেরা।
গতকাল মঙ্গলবার স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বাংলা একাডেমীর রবীন্দ্র মঞ্চে 'স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়: প্রেক্ষাপট-প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি' শীর্ষক একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় বাংলা একাডেমীর সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, একাত্তরে নয় মাস ধরে যুদ্ধ চলাকালে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর বিরোধিতা করে পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তা করেছে। এ সময় তারা সাধারণ মানুষ ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছে। আজ এত বছর পরে যখন মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার শুরু হলো, তখন দুটি রাজনৈতিক দল ট্রাইব্যুনাল উচ্ছেদ এবং অপরাধীদের পুনর্বাসনের জন্য আন্দোলন করছে।
আনিসুজ্জামান বলেন, একাত্তরে যেমন দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও বিপক্ষে দুটি পক্ষ ভাগ হয়েছিল, তেমনি এখন এ দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই, একাত্তরের মতো আবারও মুক্তিযুদ্ধের শক্তিরই জয় হবে। দেশের তরুণেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন করে উজ্জীবিত করেছেন।
ধর্মের দোহাই দিয়ে যাতে কেউ সুযোগ নিতে না পারে, সে জন্য সজাগ থাকার পরামর্শ দেন আনিসুজ্জামান।
স্বাগত বক্তৃতায় বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, ধর্মের নামে উন্মাদনা করে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতি যে অবমাননা করা হচ্ছে, তা দেশদ্রোহের নামান্তর। যারা এ দেশের অর্থনীতির এত বড় ক্ষতি করছে, তারা কি দেশপ্রেমিক?
শামসুজ্জামান খান জামায়াতে ইসলামীর সাম্প্রতিক কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, একাত্তরে যেমন পাকিস্তানি স্বৈরশাসকেরা মিথ্যাচার করেছিল, তেমনি তারা এখন মিথ্যাচার করছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, তরুণেরাই নেতৃত্ব দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতার চেতনা সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
একক বক্তৃতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'এ দেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য যত রক্ত দিয়েছে, যত ত্যাগ স্বীকার করেছে, তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। বাংলাদেশের যতটুকু সম্ভাবনা ছিল, তা আমরা অর্জন করতে পারিনি। এর অন্যতম প্রধান কারণ, দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতার অভাব আর দীর্ঘ সময়ের সামরিক শাসন। তবে নানা সমস্যা থাকার পরও এর অর্থনৈতিক অগ্রগতি অসাধারণ।'
মানবতাবিরোধী অপরাধের চলমান বিচার প্রসঙ্গে আবদুল মান্নান বলেন, বিচার বানচাল করার জন্য দেশে ও দেশের বাইরে নানা অপতৎপরতা আর ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু দেশের মানুষ এ বিচারের পক্ষে আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এখন সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এ বিচারকাজ শেষ করা। এর জন্য বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের শহীদ এবং দেশের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ।
অনুষ্ঠান শেষে ছিল সাংস্কৃতিক আয়োজন। এতে সংগীত পরিবেশন করেন মনোরঞ্জন ঘোষাল, রেবেকা সুলতানা, কাদেরী কিবরিয়া, বুলবুল মহলানবীশ ও সন্দীপন দাস।
http://prothom-alo.com/detail/date/2013-03-27/news/339794
জামায়াতে ইসলামী আগাগোড়াই একটি অবৈধ সংগঠন
. মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম
Published: 2013-03-24 19:01:48.0 Updated: 2013-03-25 06:31:30.0
http://bangla.bdnews24.com/opinion_bn/article605994.bdnews
__._,_.___