Banner Advertiser

Friday, March 8, 2013

[mukto-mona] 'শান্তিবাদী মনীষীরা' এখন কোথায়?



Enter your message here.
'শান্তিবাদী মনীষীরা' এখন কোথায়?
 
রেটিং :
10.00%
 
গড় রেটিং:
1
কালের আয়নায়
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
গত বছরের শেষ দিক থেকে সকালে ঘুম থেকে উঠে লেখার টেবিলে বসলেই একটা না একটা মৃত্যুর খবর পাই। তার বেশিরভাগ আমার অত্যন্ত নিকটজনের। গত ডিসেম্বরেই চলে গেলেন আমার স্ত্রী। তারপর একের পর এক শুধু মৃত্যুর খবর। গত বৃহস্পতিবার লিখতে বসে খবর পেলাম, আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র সাংবাদিক আহমদ জামান চৌধুরী আর নেই। তার বড় ভাই ফখরুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্ত্রী নাট্যব্যক্তিত্ব দিলারা জামানও আমার অত্যন্ত কাছের মানুষ। ফখরুজ্জামানও একজন খ্যাতিমান সাহিত্যিক।
আহমদ জামানের জন্য চোখের পানি মুছতে না মুছতেই শুক্রবার ভোরে খবর পেলাম নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট নাগরিক রফিউর রাবি্বর তরুণ ছেলেটিকে কারা হত্যা করে ভাসিয়ে দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় সেলিনা হায়াৎ আইভীর নির্বাচনকালে এই রাবি্ব ছিলেন সেই প্রচারাভিযানের একজন কুশলী নায়ক। আর এই হত্যাকাণ্ডটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড কি-না জানি না। এই তরুণকে আমি কখনও দেখিনি। কিন্তু তার নির্মম মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান হয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমার বিনীত আবেদন, এই মৃত্যুটি যদি দুর্ঘটনা না হয়ে থাকে এবং হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত হওয়া যায়, তাহলে এই ঘাতকদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ যেন তৎপরতা দেখায় এবং এই হত্যাকাণ্ডটিও 'তদন্তাধীন' ছাপ মারা ফাইলে চাপা পড়ে না থাকে।
স্বাভাবিক মৃত্যুর সঙ্গে অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং সেই সঙ্গে জামায়াতি সন্ত্রাসের কারণে আরও মৃত্যু সব মিলেমিশে বাংলাদেশে যে শোকাবহ ও শঙ্কাজনক পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা এত দূরে বাস করেও উপলব্ধি করি। আমাদের প্রয়াত রাজনীতিক এবং সাংবাদিক নির্মল সেন তার এক লেখার শিরোনাম দিয়েছিলেন, 'স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই।' দেশের ধনী-নির্ধন সকল নাগরিকের জন্য যে সরকার এই স্বাভাবিক মৃত্যুর কিছুটা নিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারবে, তাকেই বলা যাবে দেশের মানুষের প্রিয় এবং সফল সরকার।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার কি এই স্বাভাবিক মৃত্যুর স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারবে? আমার ধারণা, বর্তমান সরকার এই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আন্তরিক। এ ব্যাপারে সরকারের নানা দুর্বলতা ও ভুলত্রুটি থাকা সত্ত্বেও আরেক টার্ম ক্ষমতায় থাকতে পারলে সন্ত্রাসজনিত মৃত্যুর হার তারা অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারবেন। অর্থাৎ সামাজিক সন্ত্রাসসহ রাজনৈতিক সন্ত্রাস ষোলআনা না হলেও বারোআনা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। হিংস্র মৌলবাদী সন্ত্রাস এবং হত্যার রাজনীতি যে তারা অনেকটাই প্রতিহত করতে পারবেন তার প্রমাণ সরকার ইতিমধ্যেই দিয়েছে।
শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের আমলে উত্তরবঙ্গের একাংশসহ দক্ষিণবঙ্গের এক বৃহৎ অংশ ছিল একশ্রেণীর বিভ্রান্ত দলছুট বাম সন্ত্রাসীদের কবলে। তাদের মধ্যে 'সর্বহারা' গ্রুপের সন্ত্রাস জনজীবনে বিরাট ভীতি সৃষ্টি করে রেখেছিল। শ্রেণীশত্রু খতম করার নামে গরিব কনস্টেবল হত্যা, মজুদদার নিধনের নামে সম্পন্ন কৃষক হত্যা, ক্ষেতের ফসল, থানা লুট করা, নারী ধর্ষণ ইত্যাদি ছিল একশ্রেণীর বাম সন্ত্রাসীর কর্মসূচি। জিয়াউর রহমান ও এরশাদের সামরিক সরকারও এদের দমন করতে পারেনি অথবা চায়নি।
শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের আমলে সম্ভবত দ্বিতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন শহীদ জাতীয় নেতা মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার সম্পর্কে নানা ধরনের নানা অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এ কথা অনস্বীকার্য, তার পরিকল্পিত এবং কঠোর পুলিশি ব্যবস্থার ফলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল এই বাম বর্গিদের নিত্যহামলা থেকে মুক্ত হয়।
পরবর্তীকালে বাম সন্ত্রাসীদের স্থলাভিষিক্ত যে জঙ্গি ধর্মীয় গোষ্ঠী_ জামায়াত থেকে হিযবুত তাহ্রীর বাংলাদেশে শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং সন্ত্রাসী রাজনীতি শুরু করে, তার প্রশ্রয়দাতা ছিলেন দুই সামরিক শাসক_ জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং জেনারেল এরশাদ। জিয়াউর রহমান '৭১-এর পরাজিত ও পলাতক যুদ্ধাপরাধীদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনেন এবং বৈধ-অবৈধ সর্বপ্রকার তৎপরতা চালানোর সুযোগ দেন। জিয়া সরকারের প্রশ্রয়ে তারা মসজিদ-মাদ্রাসা দখল করে তাকে ক্যাডার সংগ্রহ ও ক্যাডার ট্রেনিংদানের ঘাঁটি করে এবং সৌদি রাজাদের প্রতিষ্ঠান রাবেতা আলমের মাধ্যমে প্রচুর পেট্রোডলার পেয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যসিদ্ধির জন্য শক্তিশালী অর্থনৈতিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে।
বর্তমানে বাংলাদেশে জামায়াতি সন্ত্রাসের যে এত দাপট তার মূলে রয়েছে জিয়াউর রহমান সরকারের মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা এবং পরবর্তীকালে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া কর্তৃক চিহ্নিত স্বাধীনতার শত্রুদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অংশীদার করা। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে তাদের প্রশ্রয়ে যখন দেশে হিংস্র ধর্মীয় মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এবং বাংলাভাইদের মতো ঘাতকদের দৌরাত্ম্যে দেশ মগের মুল্লুকে পরিণত হতে চলেছে, তখনও খালেদা জিয়ার জামায়াতি মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী সদম্ভে বলেছেন, 'বাংলাভাই বলে কেউ নেই। এটা সাংবাদিকদের আবিষ্কার।' যখন আমেরিকার চাপে এই বাংলাভাইকে বাংলাদেশের পুলিশ গ্রেফতার করে এবং বিচারে তার ফাঁসি হয়, তখন মইত্যা রাজাকার নামে কুখ্যাত জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর কণ্ঠে আর কোনো রা ছিল না।
বাংলাদেশে ধর্মান্ধতা ও ধর্মীয় রাজনীতিকে দ্বিতীয় দফা তোল্লা দেন জেনারেল এরশাদ। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল আদর্শকে সংবিধান থেকে বাদ দেন, সংবিধানের চরিত্র হনন করেন। তিনি মসজিদ ফান্ডের তহবিল মেরে '৭১-এর এক যুদ্ধাপরাধীকে মিডিয়া মোগলে পরিণত হওয়ার চেষ্টা করার সুযোগ দেন। তিনি আওয়ামী লীগের এক প্রবীণ নেতাকে হত্যাকারী এবং খুনি ও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত আজম খানকে প্রকাশ্য জনসভায় জড়িয়ে ধরে বলেন, 'আজম আমার ভাই।'
কিসসা লম্বা করে লাভ নেই। আজ বাংলাদেশে সহিংস মৌলবাদীদের, বিশেষ করে জামায়াত এবং তার উপদলগুলোর যে এত ভয়াবহ উত্থান তার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস, যে ইতিহাস কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে এক টার্ম ক্ষমতায় থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। কথায় বলে, 'ব্যাড মানি আউস্ট গুড মানি ফ্রদ্ধম দ্য মার্কেট'_ কালো টাকা সাদা টাকাকে বাজার থেকে হটিয়ে দেয়, তেমনি অশুভ রাজনীতিও শুভ রাজনীতিকে ক্রমে ক্রমে গ্রাস করতে থাকে। ফলে সামরিক ও স্বৈরাচারী শাসকদের মদদে বাংলাদেশে রাজনীতির যে 'মস্ক অ্যান্ড মিলিটারি' দ্বারা প্রভাবিত কালচার গড়ে উঠেছে, তা থেকে আওয়ামী লীগও মুক্ত থাকতে পারেনি।
তবু শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানাব। এই নেতৃত্বের অনেক ভুলত্রুটি আছে। স্খলন-পতন আছে; কিন্তু যা নেই তা হলো ভীরুতা। হাসিনার নেতৃত্বের বড় মূলধন সাহস। পিতা বঙ্গবন্ধুর মতো সাহস। নিজের জীবনের ওপর বারংবার ভয়াবহ হামলা উপেক্ষা করে তিনি তার লক্ষ্য অর্জনে অবিচল রয়েছেন। নানা হুমকি, প্রধান প্রতিপক্ষ দলের নানা চক্রান্ত সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের অধিকাংশের তিনি বিচার ও দণ্ডদান সমাধা করেন।
তারপর যে ইস্যুটি তার জন্য, তার দল ও সরকারের জন্য, এমনকি দেশের জন্যও সবচেয়ে বিপজ্জনক, সেই '৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দণ্ডদানের কাজেও তার সরকার অসীম সাহসিকতার সঙ্গে হাত দিয়েছে। কেউ কি ভেবেছিলেন, দু'দিন আগেও বিএনপি ও খালেদা জিয়ার কৃপায় '৭১-এর যুদ্ধাপরাধী যে মতিউর রহমান গাড়িতে মন্ত্রিত্বের পতাকা উড়িয়ে ঢাকার রাজপথে ঘুরেছেন, তাকে জেলখানায় আটক হতে হবে? যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রতাপে দক্ষিণ বাংলা কাঁপে, তাকে জেলখানায় ফাঁসির আসামির সেলে কয়েদির পোশাকে দেখা যাবে? বাচ্চু রাজাকার প্রাণ দণ্ডাদেশের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাবে?
'৭১-এর ঘাতক ও দালালদের বিচার সম্পর্কে যারা এতকাল সন্দেহবাদী ছিলেন, তারাও এখন হাসিনা সরকারের পারদর্শিতায় না হলেও সাহসিকতার প্রশংসা করেন। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে এই সরকার জঙ্গি মৌলবাদের শক্তি যে অনেকটা খর্ব করেছে, জঙ্গিদের সন্ত্রাস বহুলাংশে হ্রাস করেছে, এটা সরকারের সমালোচকরাও স্বীকার করেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দণ্ড বানচাল করার জন্য জামায়াত সর্বশক্তি নিয়ে জঙ্গের ময়দানে নামলেও এবং বিএনপি শেষ পর্যন্ত তার সহযোগী হয়েও যে সুবিধা করতে পারছে না, সেটাও এখন দেশবাসীর সামনে স্পষ্ট।
যে কোনো দেশেই নেতৃত্বের পরীক্ষা জাতির ক্রাইসিসের সময়। যেসব আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নেতা ও শান্তির জন্য নোবেল বিজয়ী 'গরিবের বন্ধু' কাজে-কথায় হাসিনা সরকারের সমালোচনা ও বিরোধিতা করেন, সেই ড. কামাল হোসেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন কোথায়? জাতির এই চরম ক্রাইসিসের মুহূর্তে শাহবাগ চত্বরে যখন প্রতিবাদী জনসমুদ্র উত্তাল, তখন ড. কামাল হোসেন সময়টাকে বেছে নিয়েছেন বিদেশে তার হাঁটুর চিকিৎসার জন্য। আর শান্তি পুরস্কারে ভূষিত ড. ইউনুস? তিনি কোথায়?
তিনি দেশময় এই অশান্তির মুহূর্তে দেশে নেই, দেশবাসীর পাশে নেই। তিনি নাকি এখন আরেকটি সর্বোচ্চ মার্কিন সম্মানে ভূষিত হওয়ার কাজে মার্কিন মুল্লুকের রাজরাজড়ার দরবারে রয়েছেন। দেশে এত সহিংসতা, অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু, সংখ্যালঘু হিন্দু ও বৌদ্ধদের ওপর নির্মম নির্যাতন, তাদের বাড়িঘর, মন্দির আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া_ এ সম্পর্কে তার বা তার অতি সাধের ইউনূস সেন্টারের কোনো বক্তব্য নেই। এই ক্রাইসিস কেটে গেলে দেখা যাবে তিনি আবার দেশের ত্রাণকর্তা সেজে এই গরিব দেশে আবির্ভূত হবেন।
সম্প্রতি কক্সবাজারের রামু এলাকায় সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্যাতন চলেছে, তাদের ঘরবাড়ি, বিহার যেভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে ড. ইউনূস নাকি বলেছেন, 'বৌদ্ধদের ওপর অত্যাচারে তার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। মনীষী বাক্য এখানেই শেষ। তারপর দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দুদের ওপর যে অত্যাচার চালাচ্ছে জামায়াতিরা, তাদের ঘরবাড়ি, মন্দির পোড়াচ্ছে, সে সম্পর্কে মহামতি ড. ইউনূস একেবারেই নীরব।
আমার এক সাংবাদিক বন্ধুর ধারণা, শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইউনূস সাহেব রামুর বৌদ্ধদের ওপর অত্যাচারে যে মৃদু প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তার কারণ আছে। জাতিসংঘের প্রধান একজন বৌদ্ধ, বিশ্বব্যাংকের প্রধানও একজন কোরিয়াবাসী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। হিসাবের কড়ি বাঘে খায় না, ড. ইউনূসের হিসাবের কড়িও কারও খেয়ে ফেলার উপায় নেই।
আমার ধারণা, বিএনপি এবং জামায়াত দুটি দলের রাজনীতিই এখন গণবিরোধী এবং দুটি দলই এখন অস্তিত্বের সংকটে। ফলে পরস্পরের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই মহামিলন। কিন্তু সরকার যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দণ্ডদানে অটল থাকে এবং এই দণ্ডদানের দাবিতে দেশে যে গণঐক্য গড়ে উঠেছে তা অটুট থাকে, তাহলে জামায়াত ও বিএনপির পকেট-সন্ত্রাসের যোগফল সেক্যুলার ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের নবজাগরণকে ঠেকাতে পারবে না। নজরুলের ভাষায়_
'ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর
ধ্বংস নতুন জীবন-বেদন
আসছে নতুন জীবন হারা
অসুন্দরে করতে ছেদন।'
লন্ডন, ৮ মার্চ ২০১৩, শুক্রবার
রেটিং দিন :
 
( এই লেখাটি পড়েছেন : ২৭৪২ জন )
 
আপনার মতামত দিন
*
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন
*
পাসওয়ার্ড ভূলে গেলে এখানে ক্লিক করুন
Bangla Unijoy
Bangla Probhat
Bangla Phonetic
Bangla Phonetic Int.
English
*
 



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___