Banner Advertiser

Tuesday, April 30, 2013

[mukto-mona] FW: Anwar Sadat's must read column






From: mohiuddin@netzero.com
Date: Tue, 30 Apr 2013 21:49:17 +0000
To: farahmina@gmail.com
CC: syed.aslam3@gmail.com; syed.aslam3@gmail.com; baaiwdc_comm@yahoogroups.com; syed.aslam3@gmail.com; poplu@hotmail.com; chowdhury.harun@yahoo.com; nazrulic@gmail.com; manik195709@yahoo.com; syed.aslam3@gmail.com; helala7@yahoo.com; khabor24@gmail.com; khabor@yahoogroups.com; man1k195709@yahoo.com; syed.aslam3@gmail.com; baaiwdc_comm@yahoogroups.com; Bangladesh-Zindabad@yahoogroups.com; ovimot@yahoogroups.com; duafinc@yahoo.com; farahmina@gmail.com; wkhan3@hotmail.com; srbanunz@gmail.com; obaidul.quader@gmail.com; asifnazrul@gmail.com; farida_majid@hotmail.com; khabor@yahoogroups.com; malamgir1@aol.com; projonmochottar@gmail.com; guhasb@gmail.com; poplu@hotmail.com; notun_bangladesh@yahoogroups.com; Alapon@yahoogroups.com; Alochona@yahoogroups.com; BaaiNews@yahoogroups.com; BaaiWdc@yahoogroups.com; Bangla-Women@yahoogroups.com; Bangladesi@yahoogroups.com; Bangladesi-American@googlegroups.com; BangladeshCommunity@yahoogroups.com; Bangladesh_News_Website@yahoogroups.com; Bangladesh_Newpaper@googlegroups.com; Bangladeshi@yahoogroups.com; BanglarNari@yahoogroups.com; Miss_Bangladesh@yahoogroups.com; BanglaVision@yahoogroups.com; Better_Bangladesh@yahoogroups.com; BdFacts@yahoogroups.com; BdNews@yahoogroups.com; BdResearchers@yahoogroups.com; Bikalpa_Dhara_Bangladesh@yahoogroups.com; Chottala@yahoogroups.com; Corruption-Free-Bangladesh@yahoogroups.com; Dahuk@yahoogroups.com; DakBangla@yahoogroups.com; Dakghor@yahoogroups.com; DUAFI@yahoogroups.com; Diagnose@yahoogroups.com; Digital-Bangladesh@yahoogroups.com; DigitalBangladesh@yahoogroups.com; Friends_Bangladesh@yahoogroups.com; Friends-Bd@googlegroups.com; FriendsNFamilys@yahoogroups.com; Group_Bangladesh@yahoogroups.com; Hindu_Bangladesh@yahoogroups.com
Subject: Anwar Sadat's must read column

 
আনোয়ার সাদাত

পদ্মা সেতুর টাকায় ভাগ-বাটোয়ারা, সাথে ড. ইউনুস, প্রথম আলো ও মাহমুদুর রহমান

19 Apr, 2013
১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পত্রিকার প্রধান খবর হচ্ছে, পদ্মা সেতু দূর্নীতি নিয়ে কানাডিয়ান আদালতে বিচার কার্যক্রমের অগ্রগতি, দশটি মুসলিম দেশের কূটনীতিকদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসের 'কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল' প্রাপ্তি, গোলাম আযমের বিচারের রায়, ইলিয়াস আলী গুমের এক বছর পুর্তি এবং মাহমুদুর রহমানের অনশন।

প্রথম আলো চার কলামে প্রথম পাতার ওপরে ইউনুসের মেডেল গ্রহণের ছবিটি দিয়েছে। ছবির নিচে তিন কলাম শিরোণাম করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসমারিক পদক নিলেন ড. ইউনুস। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে ড. ইউনুসের সাক্ষাতের আরেকটি ছবি একইদিনের শেষের পাতায় বড় করে দিয়েছে পত্রিকাটি। অর্থ্যাৎ একই ব্যক্তির ছবি পত্রিকাটি একই দিন প্রথম ও শেষের পাতায় বড় করে ছাপলো। ডেইলি স্টার ছবিটা (একই ছবি) আরো বড় করে প্রথম পাতার ওপরে ৫ কলামে দিয়েছে। পত্রিকাটি এ খবরটিকে দিনের প্রধান শিরোণাম করেছে। অর্থ্যাৎ তারা মেডেল নেয়ার সংবাদটি পত্রিকার প্রথমেই দুই কলামে ছেপেছে। সমকাল শিরোণাম করেছে, যুক্তরাষ্ট্রর সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক পেলেন ড. ইউনূস। প্রথম পাতার মাঝামাঝি তিন কলামে ছেপেছে তারা।

প্রথম আলো গোলাম আযমের রায় নিয়ে প্রধান শিরোণাম করেছে তিন কলামে। 'এবার গোলাম আযম'- শিরোণামের নিচে দাড়ি-টুপি ও চশমা পরা গোলাম আযমের ছবি। এর পাশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শীর্ষক লোগোটি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ইয়াহিয়া ও টিক্কাখানের যে ঘাতক প্রতীকী ছবি বাংলাদেশের বিভিন্ন দেয়ালে ছাপ দেয়া থাকে তার আদলে তৈরি করা। যুগান্তর এ খবরটি দ্বিতীয় প্রধান শিরোণাম করে বক্স করে ছেপেছে।

ডেইলি স্টার এ নিয়ে দুটি স্টোরি করেছে। দুই কলাম করে প্রথম পাতার মাঝামাঝিতে পাশাপাশি দেয়া হয়েছে। প্রথম স্টোরিটির মাঝে গোলাম আযমের ছবি দিয়ে শিরোণাম করা হয়েছে, ভারডিক্ট এনি ডে। পাশের শিরোণামটি হল-জামাত রেডিস ফর এনাদার টেরর। আগের মতই দলটি সন্ত্রাসি কার্যকলাপ চালাবে এ প্রতিবেদনের মন্তব্যধর্মী বক্তব্য সেটি। সমকাল দ্বিতীয় প্রধান শিরোণাম করেছে, 'গোলাম আযমের রায় যে কোনো দিন।' এর সাথে বিভৎস একটি কার্টুন সেটে দিয়েছে খবরের ভেতর।

সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা করতে চায় মুসলিম বিশ্ব- শিরোণামে মুসলিম বিশ্বের কূটনীতিকদের খালেদা জিয়ার সাথে দীর্ঘ দুই ঘন্টা বৈঠকের খবরটি প্রথম পাতায় এক কলামে দিয়েছে প্রথম আলো। সমকাল, 'সংকট নিরসনে আরব কূটনীতিকদের উদ্যোগ' শিরোণামে দিনের প্রধান সংবাদ করেছে। শিরোণামের ওপর চার কলামে বৈঠকের ছবিও দিয়েছে। ইনকিলাব এটিকে দ্বিতীয় প্রধান শিরোণাম করেছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় আরব বিশ্ব। সমকাল ও ইনকিলাব বৈঠকের সরল বর্ণনা দিয়ে গেছে। প্রথম আলো একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। এই উদ্যোগ প্রকৃতপক্ষে আরব বিশ্বের না প্রভাবশালী কোনো দেশের সেই দ্বিধা তৈরি করেছে তাদের প্রতিবেদন। আরব বিশ্ব রুল প্লে করার জন্য এগিয়ে এসেছে অন্য কোনো প্রভাবশালী দেশের পক্ষ হয়ে। সেই দেশটি বলতে তারা সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র বুঝিয়ে থাকতে পারে। ১/১১ এর সরকার ইউরোপীয় ভারতীয় কূটনীতিকরা ডেকে এনেছিলেন। সে যাত্রা বাংলাদেশের জন্য কোনো ভালো ফলাফল বয়ে আনে নি। এজন্য সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ আবার কোনো উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে চাচ্ছে না।

যুগান্তর ইলিয়াস আলীর স্ত্রী লুনার অশ্রুসিক্ত একটি ছবি প্রথম পাতার নিচের দিকে দুই কলামে দিয়েছে। এর নিচে দুই কলামের শিরোণাম- ইলিয়াস ফিরবেন এখনও আশাবাদী লুনা। মানবজমিন শিরোণাম করেছে, কাঁদলেন ইলিয়াসপত্মী কাঁদালেনও। এর ওপর ক্রন্দনরত লুনার ছবি। প্রথম আলো, সমকালের প্রথম ও শেষ পাতার কোথাও এ সংবাদটি দেখা যায়নি।

মানবজমিন প্রথম কলামের টপে ইউনুসের ছবি দিয়েছে। নিচে শিরোণাম করা হয়েছে, কংগ্রেশনাল মেডেল অসামান্য উচ্চতায় আবারও বাংলাদেশ। পত্রিকাটি সম্ভবত এর আগে নোবেল এনে দেয়া বিষয়টি ইঙ্গিত করছে। দুটো পুরস্কার একাই ইউনুস এনে দিয়েছে বাংলাদেশের জন্য।
[img]
[/img]
মাহমুদুর রহমানের আমরণ অনশন : গুরুতর অবস্থায় কারাগারে প্রেরণ- শিরোনামে তিন কলাম খবর দিয়েছে নয়া দিগন্ত। এ খবরটি আমার দেশ প্রকাশ হলে প্রধান শিরোনাম হত পত্রিকাটিতে। নয়া দিগন্ত এখবরটি দ্বিতীয় প্রধান শিরোণাম করেছে। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার প্রথম ও শেষের পাতায় এ সংবাদটি দেখা যায়নি। মানবজমিন, 'তিন কারণে কারাগারে অনশন মাহমুদুর রহমান'- শিরোণামে প্রথম পাতায় এক কলামে দিয়েছে।

কালের কণ্ঠ ও ইনকিলাব পদ্মা সেতু নিয়ে প্রধান শিরোণাম করেছে। রঙ্গিন করে চমৎকার মেকআপের লক্ষ্যণীয় চেষ্টা ছিল কালের কণ্ঠের। ৫ জনে ১০ শতাংশ ঘুষ- শিরোণামে চার কলাম স্টোরির ভিতর সম্ভাব্য ঘুষ গ্রহীতাদের ছবি দিয়ে তাদের পাশে ঘুষের শতাংশ বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে পত্রিকাটি। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ১ শতাংশ। সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ৪ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি পরিমান তার। সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার ২ শতাংশ। মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী ২ শতাংশ। সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া ১ শতাংশ।

কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের ভারতীয় বংশোদ্ভুত কর্মকর্তা রমেশ সাহার ডায়রি সূত্রে কানাডিয়ান আদালতের কাছে এ তথ্য উদঘাটিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় পত্রিকায়। একই খবর ইনকিলাব ৫ কলামে, 'দৃষ্টি সবার কানাডার দিকে'- শিরোণামে দিনের প্রধান সংবাদ করেছে। পত্রিকাটি কানাডার আদালতে মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া তুলে ধরেছে। পত্রিকাটি হাইলাইট করে লিখেছে, সরকার প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ভিতরে ভিতরে চরম উদ্বিগ্ন।

মানবাধিকার নিয়ে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের আহবায়ক ও আইন সালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বুধবার। জাতিসংঘে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যাচ্ছে এটি তার অগ্রবর্তী প্রতিবেদন। সুলতানা কামালের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে সরকার প্রকৃত মানবাধিকারের অবস্থা তুলে ধরবে না জাতিসংঘে। অনেক কিছুই লুকিয়ে ছাপিয়ে সরকারের প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

মানবজমিন এ নিয়ে প্রধান শিরোণাম করেছে। এক শব্দের বুলেট শিরোনামটি হল, 'ক্রসফায়ার'। এর নিচে বডি হরফের চেয়ে বড় করে লেখা রয়েছে, চার বছরে নিহত ৪৬২, গুম ১৫৬। পত্রিকাটি কুচকুচে কালো জমিনের ওপর সাদা কালির কণ্ট্রাস্ট করে স্টোরিটি মেক-আপ করেছে। একজনের ছবিও দিয়েছে। মানুষটির পেছনটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে। তার গায়ে কালো পোশাকের ওপর লেখা রয়েছে র‌্যাব। একই খবর বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রধান শিরোনাম করেছে। তবে এ খবরটি অন্য কোনো পত্রিকায় সেভাবে গুরুত্ব পায়নি।

মানবাধিকার নেত্রী সুলতানা কামালকেও কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। এমনিতেই কবি সুফিয়া কামালের এই মেয়ে বাংলাদেশে অত্যন্ত হাইপ্রোফাইল ব্যক্তি। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবেও নিয়োগ পেয়েছিলেন। সুলতানা কামালের যেকোনো খবর মিডিয়া সব সময় খুব ফলাও করে প্রকাশ করে। সর্বশেষ সুলতানা কামালকে দেখা গেছে মৌলবাদ বিরোধী একটি মোর্চার সাথে কাজ করতে। সেখানেও এই মানবাধিকার নেত্রীকে ফলাও কাভারেজ দিয়েছে পত্রিকা। জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার আন্দোলন ছিল সেটি।

পরের দিন প্রায় সব পত্রিকার প্রধান শিরোণাম পদ্মা সেতু দূর্নীতি নিয়ে। কয়েকটি পত্রিকা চেয়েছে এর দায়ভার সম্পূর্ণ সরকারের ঘাড়ের ওপর চাপাতে। কিছু পত্রিকা চেয়েছে কিভাবে এর দায়ভার অন্যদিকে ডায়ভার্ট করা যায়। নয়া দিগন্ত ও ইনকিলাব একই শিরোনাম করেছে, 'পদ্মায় দুর্নীতি প্রমাণিত লাভালিন নিষিদ্ধ।' এখানে লাভালিন মুখ্য নয় পদ্মা সেতুকে দুর্নীতি হয়েছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। ইনকিলাবের শিরোনামে 'লাভালিন নিষিদ্ধ' শব্দ দুটি নেই।

প্রথম আলো ভিন্ন এক পথ দিয়ে হেটেছে, দুই কলামে প্রধান শিরোণাম করেছে, ঘুষ দেওয়ার চক্রান্ত মেনে নিল কানাডার এসএনসি-লাভালিন।' যুগান্তর ৬ কলামে শিরোনাম করেছে, লাভালিন ১০ বছর নিষিদ্ধ। শিরোণামের ওপর সেই ৫ জনের ছবি দিয়ে ঘুষের শতাংশ উল্লেখ করেছে পত্রিকাটি। আগের দিন কালের কণ্ঠ যেভাবে ছেপেছে। পত্রিকাটি পাশে একটি বক্স সংবাদ করেছে তিন কলামে। শিরোণাম করেছে, ক্ষমতাসীনদের ভোট বাক্সে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। ডেইলি স্টার এ খবরটি দিয়েছে প্রথম পাতার নিচের দিকে।

সংগ্রাম শিরোণাম করেছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কানাডীয় কোম্পানির ঘুষ-দুর্নীতি প্রমাণিত। এর মাধ্যমে স্পস্ট করার চেষ্টা করছে পত্রিকাটি ঘুষ বাণিজ্যের সাথে বাংলাদেশ সরকার জড়িত। ইত্তেফাক প্রধান শিরোণাম করেছে, বিশ্বব্যাংকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ এসএনসি-লাভালিন। পত্রিকাটি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী সাইয়িদা ওয়ইর্সিকে উদ্ধৃত করে প্রথম পাতায় একটি সংবাদ দিয়েছে। অন্য পত্রিকাগুলোতে এটি চোখে পড়েনি। ওয়ার্সির ছবিসহ প্রথম পাতার নিচের দিকে একলাম সংবাদটির শিরোনাম, 'যুদ্ধাপরাধের বিচার ন্যায়সঙ্গত হতে হবে।'

ইনিকলাব, নয়া দিগন্ত, সংগ্রাম হেফাজতের খবর গুরুত্বের সঙ্গে দিচ্ছে। প্রতিদিনই এই অরাজনৈতিক সংগঠনটির কিছু আশা জাগানিয়া খবর দিচ্ছে। তিনটি পত্রিকাই শুক্রবার প্রথম পাতায় বড় করে ছবিসহ বরিশালে মহাসমাবেশের খবর দিয়েছে। এ নিয়ে ইনকিলাবের শিরোনামটি হচ্ছে, 'দিনবদলের কথা বলে সরকার ঈমান বদলের কাজ করছে।' তারা একটি এক্সক্লুসিভ রিপোর্টও করেছে। রাজনৈতিক ভাষ্যকারের বরাতে করা প্রতিবেদনটির শিরোণাম, 'আশার নতুন দিগন্ত হেফাজতে ইসলাম।'

মাহমুদুর রহমান যেন চলে গেলেন পর্দার অন্তরালে। তিনটি দাবিতে অনশন করতে গিয়ে তিনি এখন মৃত্যুশয্যায়। তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজের জরুরী বিভাগে রাখা হয়েছে। চারদিন ধরে অনশন করছেন। কেউ তাকে বিরত করতে পারেনি। এখন শরীরের অবস্থার অবনতি ঘটেছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। খবরটি ইনকিলাব দিয়েছে শেষের পাতায় এক কলামে। সমকাল, কালের কণ্ঠ, ডেইলি স্টার, যুগান্তর, প্রথম আলোর প্রথম ও শেষের পাতায় এ নিয়ে কোনো রিপোর্ট করেনি। নয়া দিগন্ত প্রথম পাতায় দুই কলামে এ বিষয়ক শিরোনামটি হল: মাহমুদুর রহমানকে বিএসএমইউর কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সিতে ভর্তি।


প্রসঙ্গ ড. ইউনুস

শুক্রবার মানবজমিন ড. ইউনুসের সংবাদটি জমকালো করে উপস্থাপন করেছে। প্রথম পাতায় দশ পয়েন্টের লালরঙ্গের বক্সের ভেতর মেডেলের ছবির পাশে ইউনুসের ছবি দিয়ে ছেপেছে। শিরোণাম করেছে এক শব্দের, 'কনগ্রাচুলেশন'। বিস্তারিত বিবরণে পত্রিকাটি তুলে ধরেছে কিভাবে বাংলাদেশ এবং একই দেশের নাগরিক ড. ইউনুস বিপরীত পথে হাটছেন। বাংলাদেশ হাটছে ধংসের পথে অন্যদিকে ইউনুস হাটছেন সাফল্যের পথে বিশ্বজয়ের পথে।

ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তা বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুস এবার যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক 'কংগ্রেসনাল মেডেল' পেয়েছেন। নোবেল পুরস্কারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ এ বেসামরিক পদকটি পেয়েছেন বিশ্বের আর মাত্র ছয়জন ব্যক্তি। তারা হলেন, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, নেলসন মেন্ডেলা, অং সান সুকী, মাদার তেরেসা, নরমান বারলেগ ও ইলি উইসেল। এরা সবাই নিজ নিজ কর্মগুনে বিশ্বে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। প্রত্যেকেই নিজের দেশে অসাধারণ সম্মান ও মর্যাদা পেয়েছেন। ড. ইউনুস এর বাইরে যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদকও পান।

বিশ্বব্যাপী দারিদ্রের বিরদ্ধে লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পদক দেয়া হয়। ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার জন বোয়েনার ড. ইউনুসের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। বিশ্বে তার কর্মকান্ডের যে স্বীকৃতি মিলেছে, তার গড়ে তোলা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো বৈশ্বিক পর্যায়ে যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে উপমহাদেশে তার সমপর্যায় অন্য কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্টান তার কাছাকাছি যেতে পারেনি। দারিদ্র বিমোচনে তার দেয়া মডেল সারাবিশ্বে অনুসরণ করা হচ্ছে।

এদিন ইউনুসকে নিয়ে কালের কণ্ঠের সংবাদটি চোখে পড়ার মত পত্রিকাটি একটি পর্যায়ে এই নোবেল বিজয়ীর সমালোচনা করেছিল। শুক্রবার প্রথম পাতার অর্ধেকজুড়ে কংগ্রেসনাল মেডেল পাওয়ার খবরটি দিয়েছে।

প্রথম আলো সম্পাদক কোন পথে

শুক্রবার ইত্তেফাকের প্রথম পাতায় অস্টম কলামের টপে একটি শিরোণাম, 'নারীদের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে'। নিচে শোল্ডার করা হয়েছে, প্রথম আলো সম্পাদককে খুশী কবির। বিস্তারিত বিবরণে পত্রিকাটি লিখেছে, প্রথম আলো সম্পাদক খতিবের পা ধরে ক্ষমা চাইতে পারলে নারীদের কাছেও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নারী নেত্রী খুশি কবির। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর কাওরান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের পাশে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বেসরকারি সংস্থা 'নিজেরা করি'র সমন্বয়কারি খুশি কবির বলেন, ইচ্ছা করলো আর একটা লেখা ছাপান হলো, তার পরে আবার বলা হল যে ক্ষমা চাই। এটা হতে পারে না। এ ক্ষমা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। খতিবের পা ধরে যদি মাফ চাইতে পারে তাহলে যে নারীদের অপমান করা হয়েছে, শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চে গিয়ে সে নারীদের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

উল্লেখ্য সাবেক আমলা ও সাহিত্যিক হাসনাত আবদুল হাই শাহবাগ জাগরণের নারীদের উপজীব্য করে একটি গল্প লিখেন। সেখানে তিনি দেখান কিভাবে মফস্বল থেকে আসা নারী শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক নেতাদের খপ্পরে পড়ছে। এসব নারীরাই শাহবাগ জমিয়েছেন বলে পরোক্ষ ইঙ্গিত দেন। 'গণজাগরণ' কারীরা এনিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখায়। পত্রিকাটি সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নেয় এমনকি লেখক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। যদিও হাসনাত আবদুল হাই অন্য একটি মাধ্যমে এজন্য প্রথম আলোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন সম্পাদকের একটি গার্ড থাকা উচিৎ। ছাপানোর পর সেটিকে ডিফেন্ড করতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষতা, মৌলবাদ ও নারী অধিকার নিয়ে কাজ করতে দেখা যায় খুশি কবিরকে। অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালও তাদের সাথে আছেন। এখন কিছুটা নিরাপদ দরত্ব বজায় রাখছেন সুলতানা। কারণ টিআইবির পতাকায় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা উপস্থাপন করছেন।

প্রথম আলোর সম্পাদকের মতপথ নিয়ে আলোচনা চলছে। শাহবাগ শুরুর সাথে সাথে প্রচারণায় সবার আগে থাকতে চেয়েছে প্রথম আলো। হেফাজত দৃশ্যপটে আসার পর পত্রিকাটি গেছে ভারসাম্য নীতিতে। অরাজনৈতিক সংগঠনটি পূর্ণ যৌবনে আত্মপ্রকাশ করলে শাহবাগকে ব্যঙ্গ করে ছাপাচ্ছেন গল্প। এতবড় একটি গল্প কখনোই সম্পাদকের দৃষ্টির আগোচরে ছাপানো হতে পারে না। শাহবাগওয়ালাদের দাবি এটি।

১৪ এপ্রিল ১ বৈশাখের দিন পত্রিকা বন্ধ থাকায় ১৫ এপ্রিল পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। বাংলা বছরের প্রথম দিনের নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের খবর ও ছবি প্রকাশ হয়েছে ১৬ এপ্রিলের পত্রিকায়। এদিন প্রায় সব পত্রিকার লিড ছবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় অনুষ্ঠিত মঙ্গলশোভা যাত্রার ছবি। কালের কণ্ঠের তিন কলাম ছবিটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, 'রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ' শ্লোগান নিয়ে রবিবার বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে চারকলা ইনস্টিটিউট থেকে বের করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি জীবজন্তুর ছবি উচিঁয়ে মিছিল। একই ছবি সমকাল আরো বড় করে ৫ কলামে প্রথম পাতার ওপরে ছেপেছে। ক্যাপশনে লিখেছে, ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভযাত্রা। একই ছবি ছেপেছে ইনকিলাব।

 


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___