Banner Advertiser

Saturday, April 27, 2013

[mukto-mona] Fw: অভিজ্ঞতা নেই তবু চেষ্টা নিরন্তর



 

অভিজ্ঞতা নেই তবু চেষ্টা নিরন্তর, ঝাঁপিয়ে পড়ছে ঝুঁকি নিয়ে
সাভারে উদ্ধার কাজে গণজাগরণ মঞ্চ
মোরসালিন মিজান ॥ প্রকৃত অর্থেই এখন লোকজন নেই শাহবাগে। কারণে অকারণে ছোটাছুটি নেই। সেøাগান বন্ধ। প্রতিবাদী সঙ্গীত আর কানে আসে না। তবে কি হার মানল গণজাগরণ মঞ্চ? সত্য হলো সেই সব শকুন আর শেয়ালের কথা? না। ঘটনা একদমই তা নয়। বরং আরও একবার প্রমাণিত হলো, শাহবাগ মানবিক মানুষের মঞ্চ। দেশের, দেশের মানুষের ভালটুকুর জন্য সব করতে পারে প্রজন্মযোদ্ধারা। যে দায় থেকে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তাঁরা সে একই দায় থেকে ছুটে গেছেন মৃত্যুকূপ সাভারে। হ্যাঁ, শাহবাগ থেকে সাভার। একেবারেই ভিন্ন বাস্তবতা। ধসে পড়া বিল্ডিংয়ের নিচে চাপা পড়ে আছে শত শত মানুষ। তাঁদের উদ্ধারের চ্যালেঞ্জ। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার দায়িত্ব। নিজের জীবনের ঝুঁকি নেয়ার ব্যাপার আছে। তাতে কী? পিছু হটতে নারাজ গণজাগরণ মঞ্চ। কর্মীদের অভিজ্ঞতা নেই। আছে আবেগ, ভালবাসার বোধ। সেই বোধ দ্বারা তাড়িত হয়ে, সকল সীমাবদ্ধতাকে পেছনে ফেলে সেনাবাহিনী ও দমকল বাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন মঞ্চের শতাধিক কর্মী। কম্পিউটারের মাউস ছেড়ে আর্ত মানবতার সেবায় অক্লান্ত তরুণ প্রজন্মকে দেখে মন ভরে যায়। 
সাভারে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে কাজ করছেন তাঁরা। দুর্ঘটনার দ্বিতীয় দিন সেখানে গড়ে তোলা হয় একটি ফিল্ড হাসপাতাল। দুর্ঘটনাকবলিত রানা প্লাজার পাশের বিল্ডিং আর এস টাওয়ারের ওপরে স্থাপন করা হয় ফরোয়ার্ড ক্যাম্প। সেখান থেকে চালানো হচ্ছে উদ্ধার কাজ। একই সঙ্গে সাধ্যমতো জীবিতদের পুনর্বসানের চেষ্টা হচ্ছে। দ্বায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উদ্ধারকারী দল মোট আটটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে। পর্যায়ক্রমে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিচ্ছেন কর্মীরা। দলটির মূল দায়িত্বে রয়েছেন তারকা ব্লগার আরিফ জেবতিক, বিন্দু, হিমেল, কায়েস, রুমা, সাগুফতা, সানজিদা, ফয়সাল, রুশাদ, সাগর, ফয়সাল, মুনতাসির ও শেখ সাদী। এঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধ্বংস্তূপের ভেতরে যতটা সম্ভব প্রবেশ করে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। 
অবশ্য গণজাগরণ মঞ্চের সবচেয়ে বড় দলটি নিয়োজিত চিকিৎসা সেবায়। এ কাজের জন্য ৬৩ চিকিৎসক ও ৬০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে গড়ে তোলা হয় একটি ফিল্ড হাসপাতাল। পরবর্তীতে দলটি আরও বড় হয়। এখানে এ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন ৮৭ জন চিকিৎসক। তাঁদের মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন অনেকেই। প্রাথমিক চিকিৎসাসহ মাঝারি ধরনের অস্ত্রোপচারের কাজ করা হচ্ছে এখানে। কেবল দুর্ঘটনায় আহতরাই নন, উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চ। প্রতিদিনই বাড়ছে স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা। এখন তা দুইশতাধিক বলে জানা গেছে। সাধারন মানুষও ওষুধ, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী, খাবার ও পানীয় নিয়ে এখানে দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে দ্বায়িত্ব পালন কিছুটা সহজ হয়েছে। 
এ ছাড়া সাভারে কাজ করছে একটি ভ্রাম্যমাণ দল। দলটি বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছে। কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন, সেই তথ্য সংগ্রহ করছেন তরুণরা। সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই বিভিন্ন স্থানে ওষুধ, রক্ত বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। এই দলে রয়েছেন পুলক, টকি, শাহীন, শাকিল, খায়রুলসহ অনেকেই। তবে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে আহত এবং উদ্ধারকৃত বিপন্ন মানুষদের পুনর্বাসন করা। এ কাজেও নিয়োজিত রয়েছে একটি দল। এ দলের সার্বিক দায়িত্বে আছেন ব্লগার অনিমেষ রহমান। দারুণ যতেœর সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে শাহবাগে রক্ত সংগ্রহ শুরু করে গণজাগরণ মঞ্চ। আহ্বানে সাড়া দিয়ে ছুটে আসেন শত শত মানুষ। রাত আটটার মধ্যে এক হাজার ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। জানা যায়, এ পর্যন্ত গণজাগরণ মঞ্চ মোট ১ হাজার ৫শ ব্যাগের বেশি রক্ত সংগ্রহ করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 
বলা বাহুল্য, এ ধরনের একটি কর্মকা-ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ সহায়ক হয়েছে ইমরান এইচ সরকারের ডাক্তারি বিদ্যা। নিজে চিকিৎসক হওয়ায় দ্রুত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি পুরো কাজের তদারকি করছেন ইমরান। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, সাভারে অনেক বড় মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কারও ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। যার যেভাবে সম্ভব এগিয়ে আসা উচিত। আমরা এ কারণেই এসেছি। গণজাগরণ মঞ্চ তার ক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়ে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মঞ্চের আরেক কর্মী ডা. উজ্জ্বল। খুব মিষ্টি দেখতে। তরুণ এই চিকিৎসকও কাজ করছেন জীবন বাজি রেখে। ধ্বংসস্তূপের ভেতরে মাঝে মধ্যেই প্রবেশ করতে হচ্ছে তাঁকে। সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, আমি কী করছি সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা, অনেকগুলো প্রাণ জীবিত। এদের বাঁচাতে হবে। চিকিৎসকের জন্য এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না। তবে চিকিৎসক নন- গণজাগরণ মঞ্চের এমন কর্মীদেরও দেখা যাচ্ছে স্যাভলন হাতে। দিব্যি তুলো ঘষে দিচ্ছেন আহতদের ক্ষতস্থানে। তাঁদেরই একজন পিকলু। মঞ্চের পরিচিত এই তরুণ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। নাটক, চলচ্চিত্র করে নাম কুড়াবেন- এমন স্বপ্ন মাথায়। তবে শাহবাগ তাঁকে আষ্টেপিষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। আর সাভারে গিয়ে সেই তিনি এখন ছোটখাট ডাক্তার! সামান্য প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্ষতস্থান ধুয়ে দিচ্ছেন। ব্যান্ডেজ পরিয়ে দিচ্ছেন। মঞ্চের আরেক প্রিয় মুখ শামস রাশিদ জয়। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নিজের আই প্যাড থেকে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট দিচ্ছেন তিনি। কী লাগবে, কেন লাগবে তা ক্ষণে ক্ষণে জানিয়ে দিচ্ছেন। ফেসবুকে কেউ ভুল তথ্য দিলে সেটি সংশোধন করে দিচ্ছেন। এভাবে সময়ের প্রয়োজনে নিজেদের বদলে নিয়েছেন ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টরা। সব দেখে আশাবাদী হওয়া যায়, অচিরেই বদলে যাবে দেশটাও। যুদ্ধাপরাধী রাজাকার মুক্ত সুখী সুন্দর সোনার বাংলা হবে, হবে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ- আমাদের তাই প্রত্যাশা।




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___