These heinous killers should be held immediately and should be used in the zoo for the CROCODILE'S LUNCH & DINNER !!!!
ফটিকছড়ির হত্যাকারীরা অনেকে দুর্গম পাহাড়ে, আরও ১০ গ্রেফতার
নূরীসহ ৪২ জনের রিমান্ড মঞ্জুর
চট্টগ্রাম অফিস/ ফটিকছড়ি সংবাদদাতা ॥ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর কাজিরহাটে গত ১১ এপ্রিল দুপুরে ঘটে যাওয়া নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলার রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে রয়েছে সরকারী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। পুলিশ প্রশাসনও তা-বে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য জোর তৎপরতা শুরু করেছে। দুর্বৃত্তরা যেন সরে পড়তে না পারে সে জন্য পুলিশ প্রশাসন দেশের স্থল ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। এ হামলায় জড়িত হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা নাসিরসহ আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বেশির ভাগই জামায়াত-শিবির ক্যাডার। এ নিয়ে গত ৫ দিনে গ্রেফতারের সংখ্যা ৫২ জনে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া, পুলিশ চমেক হাসপাতাল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ১ হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ভুজপুর থানায় পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলা সংক্রান্ত পরিকল্পনা, ক্যাডারদের নির্দেশনা এবং হেফাজতের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার বিষয়ে নতুন নতুন তথ্য আসছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়। এদিকে, ইতোপূর্বে গ্রেফতারকৃত ৪২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান মঙ্গলবার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ড প্রার্থনা করা হয় ইতোপূর্বে গ্রেফতারকৃত ৪২ জনের। গ্রেফতারকৃত এই আসামিদের মধ্যে একজন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা শফিউল আলম নুরী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ জনের সাতদিন এবং বাকি ৩২ জনের দশদিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে বিচারক ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম নুরীসহ ৩২ জনের তিন দিন এবং ১০ জনের দু'দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ফটিকছড়ির ভুজপুর কাজিরহাট এলাকায় গত বৃহস্পতিবার হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াত-শিবিরের নিষ্ঠুর তা-বের ঘটনায় এ ৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এদিকে, ফটিকছড়ির এই নির্মম ঘটনা তদন্তে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে মাঠে রয়েছে প্রশাসন ও পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তদন্তে ক্রমশ খোলা হচ্ছে ঘটনার নেপথ্যে পরিকল্পনা ও মূল হোতাদের কর্মকা-। বের হতে শুরু করেছে থলের বিড়াল। পুলিশের অভিযান থেকে বাঁচার জন্য হামলায় জড়িত থাকা জামায়াত-শিবির, বিএনপি ক্যাডার, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী এবং বাইরে থেকে আসা আশ্রিত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে। আবার কেউ কেউ সুকৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যাচ্ছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। এ জন্য পুলিশ প্রশাসন বিমান ও স্থলবন্দরগুলোতে এ অপরাধীদের ধরার জন্য তৎপর থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
লোমহর্ষক এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হোতাদের ধরার জন্য ফটিকছড়ি থানার সুন্দরপুর ও পাইন্দং, ভুজপুর থানার সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি, নারায়ণহাট এবং দাঁতমারা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে ভুজপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ জন, ফটিকছড়ি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হেফাজতে ইসলাম নেতা মাওলানা নাসির ও আব্দুল করিম নামে এক শিবির ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে। তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, শিবির ক্যাডার আব্দুল করিমকে সুন্দরপুর থেকে এলাকাবাসী পাকড়াও করে ফটিকছড়ি পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তার বাড়ি ভুজপুরের কাজিরহাটে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গ্রেফতারকৃত মাওলানা নাসির হেফাজতে ইসলামের নেতা। তিনি এবং একই সংগঠনের নেতা কাজিরহাট মাদ্রাসার শিক্ষক আজগর সালেহীন ১১ এপ্রিল ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত হামলায় ক্যাডার এবং সাধারণ নারী-পুরুষকে উত্তেজিত ঘটনায় জড়াতে উৎসাহিত করে। এছাড়া ওই শিক্ষককে গত ৬ এপ্রিলের লংমার্চ সফল করার জন্য আগের দিন ৫ এপ্রিল কয়েকটি পিক-আপ ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের পাহাড়ী এলাকা মানসাপাড়ায় এখানও অনেক সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এ পাহাড়ী এলাকাটি অরণ্যবেষ্টিত বলে সন্ত্রাসীদের জন্য অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। গত দু'দিন ধরে হামলাকারীরা এ মানসাপাড়ায় অবস্থান নেয়ার পর একই ইউনিয়নের দুই জনপ্রতিনিধি স্ব-উদ্যোগে তাদেরকে খাবার সরবরাহ করছে। এর মধ্যে ওই এলাকার আন্ডা ভোলার পুত্র এবং বর্তমানে ইউপি সদস্য শাহজান মেম্বার উল্লেখযোগ্য।
আওয়ামী লীগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবারের নৃশংস হামলায় রুবেল, ফোরকান ও বিপুল নামে যে ৩ আওয়ামী লীগ কর্মী নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছে তাদের হত্যায় মঙ্গলবার বিকালে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্রমতে, জামাল পাশা শওকত বাদী হয়ে রুবেল হত্যা মামলা, এজাহারুল হক বাদী হয়ে তার পুত্র ফোরকান হত্যা মামলা এবং জিয়াউল হক জিয়া বাদী হয়ে বিপুল হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ফটিকছড়ির ভুজপুরে গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের মোটর শোভাযাত্রায় বর্বর হামলার ৫ দিন গত হলেও এলাকায় আতঙ্ক কাটেনি। দুর্বৃত্তরা এখনও ফটিকছড়ির দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান করছে বলে ধারণা এলাকাবাসীর। পুলিশ এ পর্যন্ত মোট ৫২ জনকে গ্রেফতার করলেও মূল পরিকল্পনাকারী এবং হোতাদের বেশিরভাগই ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশের অবস্থান থাকলেও এলাকাবাসীর আতঙ্ক কাটাতে তা যথেষ্ট নয়। তবে নিষ্ঠুর এই পরিকল্পিত মৌলবাদী হামলায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হলেও সাধারণ মানুষ আবারও ঘুরে দাঁড়াবার সাহস অর্জন করছে। এলাকাবাসীকে সাহসী করে তুলতে স্থানীয়ভাবে প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তি ও সংগঠনগুলোর প্রয়াসও লক্ষণীয়।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ড প্রার্থনা করা হয় ইতোপূর্বে গ্রেফতারকৃত ৪২ জনের। গ্রেফতারকৃত এই আসামিদের মধ্যে একজন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা শফিউল আলম নুরী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ জনের সাতদিন এবং বাকি ৩২ জনের দশদিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে বিচারক ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম নুরীসহ ৩২ জনের তিন দিন এবং ১০ জনের দু'দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ফটিকছড়ির ভুজপুর কাজিরহাট এলাকায় গত বৃহস্পতিবার হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াত-শিবিরের নিষ্ঠুর তা-বের ঘটনায় এ ৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এদিকে, ফটিকছড়ির এই নির্মম ঘটনা তদন্তে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে মাঠে রয়েছে প্রশাসন ও পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তদন্তে ক্রমশ খোলা হচ্ছে ঘটনার নেপথ্যে পরিকল্পনা ও মূল হোতাদের কর্মকা-। বের হতে শুরু করেছে থলের বিড়াল। পুলিশের অভিযান থেকে বাঁচার জন্য হামলায় জড়িত থাকা জামায়াত-শিবির, বিএনপি ক্যাডার, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী এবং বাইরে থেকে আসা আশ্রিত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে। আবার কেউ কেউ সুকৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যাচ্ছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। এ জন্য পুলিশ প্রশাসন বিমান ও স্থলবন্দরগুলোতে এ অপরাধীদের ধরার জন্য তৎপর থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
লোমহর্ষক এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হোতাদের ধরার জন্য ফটিকছড়ি থানার সুন্দরপুর ও পাইন্দং, ভুজপুর থানার সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি, নারায়ণহাট এবং দাঁতমারা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে ভুজপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ জন, ফটিকছড়ি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হেফাজতে ইসলাম নেতা মাওলানা নাসির ও আব্দুল করিম নামে এক শিবির ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে। তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, শিবির ক্যাডার আব্দুল করিমকে সুন্দরপুর থেকে এলাকাবাসী পাকড়াও করে ফটিকছড়ি পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তার বাড়ি ভুজপুরের কাজিরহাটে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গ্রেফতারকৃত মাওলানা নাসির হেফাজতে ইসলামের নেতা। তিনি এবং একই সংগঠনের নেতা কাজিরহাট মাদ্রাসার শিক্ষক আজগর সালেহীন ১১ এপ্রিল ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত হামলায় ক্যাডার এবং সাধারণ নারী-পুরুষকে উত্তেজিত ঘটনায় জড়াতে উৎসাহিত করে। এছাড়া ওই শিক্ষককে গত ৬ এপ্রিলের লংমার্চ সফল করার জন্য আগের দিন ৫ এপ্রিল কয়েকটি পিক-আপ ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের পাহাড়ী এলাকা মানসাপাড়ায় এখানও অনেক সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এ পাহাড়ী এলাকাটি অরণ্যবেষ্টিত বলে সন্ত্রাসীদের জন্য অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। গত দু'দিন ধরে হামলাকারীরা এ মানসাপাড়ায় অবস্থান নেয়ার পর একই ইউনিয়নের দুই জনপ্রতিনিধি স্ব-উদ্যোগে তাদেরকে খাবার সরবরাহ করছে। এর মধ্যে ওই এলাকার আন্ডা ভোলার পুত্র এবং বর্তমানে ইউপি সদস্য শাহজান মেম্বার উল্লেখযোগ্য।
আওয়ামী লীগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবারের নৃশংস হামলায় রুবেল, ফোরকান ও বিপুল নামে যে ৩ আওয়ামী লীগ কর্মী নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছে তাদের হত্যায় মঙ্গলবার বিকালে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্রমতে, জামাল পাশা শওকত বাদী হয়ে রুবেল হত্যা মামলা, এজাহারুল হক বাদী হয়ে তার পুত্র ফোরকান হত্যা মামলা এবং জিয়াউল হক জিয়া বাদী হয়ে বিপুল হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ফটিকছড়ির ভুজপুরে গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের মোটর শোভাযাত্রায় বর্বর হামলার ৫ দিন গত হলেও এলাকায় আতঙ্ক কাটেনি। দুর্বৃত্তরা এখনও ফটিকছড়ির দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান করছে বলে ধারণা এলাকাবাসীর। পুলিশ এ পর্যন্ত মোট ৫২ জনকে গ্রেফতার করলেও মূল পরিকল্পনাকারী এবং হোতাদের বেশিরভাগই ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশের অবস্থান থাকলেও এলাকাবাসীর আতঙ্ক কাটাতে তা যথেষ্ট নয়। তবে নিষ্ঠুর এই পরিকল্পিত মৌলবাদী হামলায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হলেও সাধারণ মানুষ আবারও ঘুরে দাঁড়াবার সাহস অর্জন করছে। এলাকাবাসীকে সাহসী করে তুলতে স্থানীয়ভাবে প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তি ও সংগঠনগুলোর প্রয়াসও লক্ষণীয়।
__._,_.___