Banner Advertiser

Wednesday, April 17, 2013

[mukto-mona] যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ নাটের গুরু গো. আযমের রায় যে কোন দিন !!!!



যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ নাটের গুরু গো. আযমের রায় যে কোন দিন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতের সাবেক আমির ও একাত্তরের হত্যাকা-ের মূল হোতা গোলাম আযমের মামলার রায় যে কোন দিন ঘোষণা করা হবে। তার মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। বুধবার প্রসিকিউশনপক্ষের পাল্টা যুক্তিতর্ক শেষে চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষাধীন (সিএভি) রাখেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দু'সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। এর আগে মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল-২-এ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। সে মামলাটিও রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছেন। অর্থাৎ কামারুজ্জামান ও গোলাম আযমের মামলার রায় যে কোন দিন ঘোষণা করা হবে। এর আগে ট্রাইব্যুনাল গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী ৫ ধরনের অপরাধের ৬১টি অভিযোগ এবং কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগ বিচার শুরু হয়।
দুটি ট্রাইব্যুনালে ১৪টি মামলার মধ্যে এ পর্যন্ত রায় ঘোষণা করা হয়েছে তিনটি। দুটি রায় ঘোষণার জন্য সিএভিতে রাখা হয়েছে। চারটি মামলা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সেগুলো হলোÑ জামায়াতের বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও বিএনপির নেতা আবদুল আলীম।
বাকি মামলাগুলো তদন্তাধীন রয়েছে। সেগুলো হলোÑ জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী, একেএম ইউসুফ, সাবেক এমপি সৈয়দ মোহাম্মদ কাওসার, গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, জামায়াত নেতা আব্দুস সোবহান মিয়া, এটিএম আজহারুল ইসলাম, এমএ জাহিদ হোসেন খোকন, মোবারক হোসেন, আমজাদ মিনা। তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন সূত্রে জানা গেছে, আর কোন নতুন মামলা এই মুহূর্তে নেয়া হচ্ছে না। যে সমস্ত মামলা আগে হয়েছে সেগুলোতেই তদন্ত করা হবে।
জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের মামলার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ যুক্তিতর্কের মাধ্যমে শেষ হলো দ্বিতীয় কোন মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া। এর আগে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদ-াদেশ দিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা কর হয়। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২১ জানুয়ারি বাচ্চু রাজাকার হিসেবে পরিচিত আবুল কালাম আজাদকে ফাঁসি ও ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করে। বাচ্চু রাজাকার উচ্চ আদালতে আপীল করেনি। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও আব্দুল কাদের মোল্লার পক্ষে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করা হয়েছে।
বুধবার গোলাম আযমের মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের জবাবে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজ বুধবার চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক ও সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন। চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সোমবার গোলাম আযমের পক্ষে ১২তম দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে আসামিপক্ষ। ওই দিন আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও ইমরান সিদ্দিকী।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত ১১ কার্যদিবস প্রসিকিউশন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, এ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম ও সুলতান মাহমুদ সীমন। নির্ধারিত ১২ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন সাফাই সাক্ষীকে হাজির করে সাক্ষ্য দেয়াতে পেরেছে আসামিপক্ষ। একমাত্র সাফাই সাক্ষী গোলাম আযমের চতুর্থ ছেলে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্তকৃত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী গত বছরের ১২ নবেম্বর থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাফাই সাক্ষ্য দেন তাঁর বাবার পক্ষে। পরে প্রসিকিউশন তার জেরা শেষ করে।
২০১০ সালের ১৫ জুলাই গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন, অন্যান্য তথ্য-প্রমাণ এবং আলামত তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে দাখিল করা হয়।
১২ ডিসেম্বর প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালের কাছে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়। ২৬ ডিসেম্বর অভিযোগপত্রে উল্লিখিত অভিযোগগুলো আমলে নেয়ার জন্য ধার্য দিনে দাখিলকৃত অভিযোগপত্রটি সঠিক বিন্যাসে উপস্থাপিত না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল তা আবার প্রসিকিউশনের কাছে ফেরত পাঠায়।
গত বছরের ৫ জানুয়ারি ফেরতপ্রাপ্ত অভিযোগপত্রটিকে সঠিকভাবে বিন্যস্ত করে প্রসিকিউশন টিম পুনরায় ট্রাইব্যুনালের কাছে দাখিল করে। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের জমা দেয়া ওই আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মোট ৬২টি অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়। মোট ৩৬০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনের পাশাপাশি ১০ হাজার পৃষ্ঠার নথিপত্র সংযুক্ত করা হয়। ৯ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল ১১ জানুয়ারি সশরীরে গোলাম আযমকে হাজির করতে তাঁর আইনজীবীদের নির্দেশ দেয়। ওই দিন হাজির না হলে ট্রাইব্যুনাল গোলাম আযমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির কথা জানায় ট্রাইব্যুনাল। ১০ জানুয়ারি গোলাম আযমের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করেন।
১১ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় গোলাম আযমকে। ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ আমলে নেয় এবং জামিন নামঞ্জুর করে গোলাম আযমকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তার স্বাস্থ্য ও বয়সজনিত বিষয় বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনাল তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে রাখার নির্দেশ দেয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষের চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু ও প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম অভিযোগ গঠনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। অন্যদিকে গোলাম আযমকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে যুক্তি দেন তার প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও আইনজীবী এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
মানবতাবিরোধী ৫ ধরনের অপরাধের ৬১টি অভিযোগে অভিযুক্ত করে গত বছরের ১৩ মে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। ৩০ মে গোলাম আযমের মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তরের আবেদন করেন আসামিপক্ষ। শুনানি শেষে ১৮ জুন তা খারিজ করে দেয় ট্রাইব্যুনাল। ১০ জুন গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ১৪২ পৃষ্ঠার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, প্রসিকিউটর নূরজাহান বেগম মুক্তা, প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম, প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ ও প্রসিকিউটর মীর ইকবাল হোসেন।
১ জুলাই থেকে শুরু করে ৪ নবেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়। তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমানসহ গোলাম আযমের বিরুদ্ধে জব্দ তালিকার ৭ সাক্ষীসহ রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৭ সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ জন সাক্ষীর তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া জবানবন্দীকেই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। অন্যদিকে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে জব্দ তালিকার ৭ সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমানসহ প্রসিকিউশনের ১৭ সাক্ষী এর আগে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এদের মধ্যে ১ সাক্ষীর তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া জবানবন্দীকেই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল।
গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সাক্ষীরা হলেন, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও গবেষক ড. মুনতাসীর মামুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবউদ্দিন আহম্মদ বীরবিক্রম, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, মানবাধিকারকর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈরতলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের সোনা মিয়া, একজন শহীদ পরিবারের নারী (ক্যামেরা ট্রায়াল), দেশবরেণ্য গীতিকার ও সুরকার মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, রাজধানীর নাখালপাড়ার ফরিদ আলম এবং মহসিন আলী খান। বাংলা একাডেমীর সহকারী গ্রন্থাগারিক মোঃ এজাব উদ্দিন মিয়া, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) রাজনৈতিক শাখার উচ্চমান সহকারী সেলিনা আফরোজ, কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের উচ্চমান সহকারী কাজী আইয়ুব হোসেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার কামালের বোন ডা. মুনিয়া ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় জাদুঘরের কিপার ড. স্বপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে কর্মরত সাঁট মুদ্রাক্ষরিক জামিনুর শেখ।
৩ জানুয়ারি শুনানি শেষে গোলাম আযমের মামলা পুনর্বিচারে আসামিপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১২ সালের ১৯ ডিসেম্বর মামলাটির পুনর্বিচারের আবেদন জানান গোলাম আযমের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬ কার্যদিবসে আবেদনগুলোর ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আসামিপক্ষে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, সিনিয়র আইনজীবী বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও এ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম। অন্যদিকে আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___