Banner Advertiser

Thursday, May 2, 2013

[mukto-mona] বঙ্গবন্ধু সবুজ বাংলা আর শেখ হাসিনা সুনিল বাংলা উপহার দিয়েছেন: যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের গণ সম্বর্ধণা সভায় ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ



বঙ্গবন্ধু সবুজ বাংলা আর শেখ হাসিনা সুনিল বাংলা উপহার দিয়েছেন: যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের গণ সম্বর্ধণা সভায় ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ
নিউইয়র্ক, ২ মে ২০১৩ (বিডিএনএন২৪) :- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ মহাজোট সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্থি তুলে ধরে বলেছেন, 'জাতির জনক' স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে আমাদেরকে সবুজ বাংলা উপহার দিয়েছেন। আর তাঁর কন্যা জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহাজোট সরকার উপহার দিয়েছেন সুনিল বাংলা। অপরদিকে জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের বীজ করেছেন। আর বেগম খালেদা জিয়া সেই বীজ লালন-পালন করছেন, খালেদা জিয়া সরাসরি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সংকটকাল অতিক্রম করছে উল্লেখ করে ড. গোলাপ বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুর 'সোনার বাংলা' আর শেখ হাসিনার 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়তে মহাজোট সরকারকে পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনার জন্য প্রবাসীদের প্রতি কাজ করার আহ্বান জানান।
ড. আব্দুস সোবহান গোলাপের সম্মানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে আয়োজিত গণ সম্বর্ধণা সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ পালকী পার্টি হলে গত ১ মে সন্ধ্যায় এই সম্বর্ধণা সভার আয়োজন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভাটি পরিচালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুর রহমান, সহ সভপতি যথাক্রমে আকতার হোসেন, সৈয়দ বসারত আলী, মাহবুবুর রহমান, নজমুল ইসলাম ও লুৎফুল কবীর, যুগ্ম সম্পাদক আইরীন পারভীন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ। অবশ্য পরবর্তীতে সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সকল সদস্যকে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঘোষণা দেন।
সভার শুরুতে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাজী মনিরুল ইসলাম। এরপর সপরিবারে নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলা ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন, ২২ আগষ্টের বোমা হামলা এবং সর্বশেষ সাভার ট্রাজেডিসহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় ড. গোলাপকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দিত করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য শাহানা রহমান।
সভায় সম্বর্ধিত অতিথি ড. আব্দুস সোবহান গোলাপকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়ে বিশেষ অতিথিবৃন্দসহ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক সোলায়মান আলী, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন আজমল, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুর রহমান চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সভাপতি মিসবাহ আহমেদ ও সাবেক আহ্বায়ক রেজাউল করীম চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সোহাগ, যুক্তরাষ্ট্র জাসদ-এর সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম জিকু, ব্রঙ্কস বরো আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম নজরুল, যুক্তরাষ্ট্র সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল হামিদ, সাখাওয়াত বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য শরীফ কামরুল হীরা, আবুল হোসেন, আলী হোসেন গজনবী, রুহেল চৌধুরী, শামসুল আবেদীন, টিটু রহমান, জসিম উদ্দিন খান মিঠু প্রমুখ।
সভায় ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ মহাজোট সরকারের খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতি মন্ত্রণালয়ের সফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। তিনি বলেন, বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের 'রোল মোডেল'। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় দেশের প্রবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশংসা করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের মাথাপিছু গড় আয় বেড়েছে, শিশু ও প্রসুতি মৃত্যুর হার কমেছে, শিক্ষার হার ৭০ ভাগ বেড়েছে। দেশে সুশাসন বইছে। দেশের ৪৫১৩ ইউনিয়নের তথ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে সকল পর্যায়ের মানুষ সেবা পাচ্ছে, জঙ্গীবাদ নির্মূল করে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে উদার, গণতান্ত্রিক আর সমৃদ্ধশালী আধুনিক রাস্ট্র হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হবে। তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই আমরা মিয়ানমারের কাছ থেকে আরেকটি বাংলাদেশ পেয়েছি। আগামীতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যসকার সকল সমস্যারও সমাধান হবে। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহ রাখতে শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই।
ড. গোলাপ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে দেশ-জাতি ও দলের জন্য অপূরনীয় ক্ষতি উল্লেখ করে বলেন, দেশ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বিরোধী দল মানুষ হত্যা করে, বাসে আগুন দিয়ে, পুলিশের উপর হামলা করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। বিরোধীদল উন্নয়নের প্রগতির চাকা বন্ধ করতে চায়। তারা ভোটের রাজনীতি নয়, সহিংসতার রাজনীতি পছন্দ করে। তারা পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু রকরতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ তার ব্যক্তিগত আর রাজনৈতিক সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমার সকল অর্জন এই নিউইয়র্ক থেকে। কেননা, আমি এই নিউইয়র্কেরই প্রবাসী ছিলাম। প্রবাসীদের সাথে দেশের স্বার্থে, দলের প্রয়োজনে রোদে পুড়ে, বরফ মাথায় নিয়ে হোয়াইট হাউজ, জাতিসংঘ, ষ্টেট ডিপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ, মিছিল করেছি। তিনি বলেন, প্রবাসে আমি 'ক্লিন পলিটিক্স' করেছি, দেশেরও 'ক্লিন পলিটিক্স' করছি বলেই সম্মান ধরে রাখতে পেরেছি। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক বিশেষ সহকারী হারিছ চৌধুরীর মতো কোন কাজ করে আমি সমালোচিত হতে চাই না। আমি অজোঁ পাড়া গাঁয়ের সন্তান হিসেবে সততার সাথে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে চলেছি। আমার সততা আর কর্মনিষ্ঠাই আমাকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কর্মকান্ড বিশেষ করে বিশ্ব ব্যাংক ঘেরাও কর্মসূচীসহ অন্যান্য কর্মসূচীর প্রশংসা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডে খুশী এবং প্রশংসা করেন। দলের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ঢাকায় গেলে প্রধানমন্ত্রী নিজে তাকে সম্মানিত করেন। এই সম্মান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী তথা সকল প্রবাসীদের প্রতিই সম্মান।
সভায় ড. সিদ্দিকুর রহমান সম্বর্ধিত অতিথিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ড. আব্দুস সোবহান গোলামের মাধ্যমেই আমরা শক্তিশালী কমিটি পেয়েছি। তবে এই কমিটির বিভিন্ন পদে থাকা যারা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশে আসছেন না তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। তারা সভা-সমাবেশেও আসছেন না, চাঁদাও দিচ্ছেন না। অনেকে এই জ্যাকসন হাইটসে থেকেও আজকের সভায় আসেননি। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তা সরাসরি আমাকে বলুন। তিনি কারো নাম উল্লেখ না করে বলেন, 'কমিটি ফর সেক্যুলার ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ' কারা করেছে, তাদের উদ্দেশ্য কি? তারা কি দেশের জন্য কাজ করছে? তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় অন্যান্য বক্তারা ড. আব্দুস সোবহান গোলাপকে প্রবাসীদের বন্ধু আখ্যায়িত করেন এবং আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন দিয়ে তাকে নির্বাচিত করার দাবী জানান। উল্লেখ্য, সভায় সম্বর্ধিত অতিথির বক্তব্যের আগে মোছাম্মৎ নূরুন্নাহার বেগম নামের একজন আওয়ামী সমর্থক বক্তব্য দেয়ার দাবী জানালে সভাস্থলে বিশংখল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ড. গোলাপ তার বক্তব্যের পর তার (নূরুন্ন্াহার বেগম) কথা শুনা হবে বলে তাকে আশ্বস্থ করলে তিনি নিজ আসনে বসেন। পরবর্তীতে নূরুন্নাহার বেগম ড. গোলাপের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক সফরে আসলে তাঁর সাথে সাক্ষাতের সুযোগ না দেয়ার অভিযোগ এবং হাসিনা সরকারের কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন।
 


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___